Ticker

6/recent/ticker-posts

জ্বীন আসার জন্য পরিচিতজনদের নিকট দোয়া প্রার্থনা

 


দোয়ার আবেদনঃ জ্বীন যেন স্ব-শরীরে আমার নিকট আগত হয় এবং প্রকাশিত হয় ও আমার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে দৃঢ় বন্ধনে আবদ্ধ থাকে এবং মানুষকে সেবা দেয়, এ জন্য আমার নিকটস্থজন, পরিচিতজন ও শুভাকাঙ্খী, সকলের দোয়া চাই।

[এ পোস্টটি দেখলে এবং আমার সম্পর্কে জানলে, আশা করি সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন]

(কষ্ট করে পুরো প্রবন্ধটি পড়ার জন্য এবং এরপর মন্তব্য করার জন্য অনুরোধ করছি)
 
পাবলিস্টঃ ২২/০২/২০২৫ খ্রি.
 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।

আমার এলাকাবাসী ও পরিচিতজন সহ অত্র ফেনী জেলার অনেকেই এখন মনেহয় জানেন, (এবং ফেনী জেলার বাহিরের কিছু মানুষও জানেন) আমি একটা অনু জ্বীব, মানে জ্বীন বা ফেরেশতা কর্তৃক প্রায় বন্ধী জীবন কাটাচ্ছি!

(জ্বীন আসার জন্য পরিচিতজনদের নিকট দোয়া প্রার্থনা, পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ও মন্তব্য করার জন্য অনুরোধ করছি)

কিন্তু এভাবে হলে আমার জীবন যাবে কিভাবেরে ভাই! আমারতো একটা জীবন আছে, সংসার আছে! স্ত্রী-পুত্র-কন্যা আছে? না কি!

কষ্টের বিবরণ লিখে আসলে আমি শেষ করতে পারবো না!!

তাই আপনাদের সকলের নিকট আমি কায়মনোবাক্যে অনুরোধ করবো, আমার জন্য মহান রবের নিকট আপনারা সকলে এই বলে দোয়া করুন যে, আমার সাথে যে বা যারা থাকে, যারা আমাকে বন্ধী করে তাদের মতো করে আমাকে চালাতে চাচ্ছে; সে বা তারা আসলে আমার নিকট বা মানুষের নিকট কী চায় (?); বা কোন্ সেবা দিতে চায় এবং সেটি কী (?); তা যেন মানুষের বেসে ওপেন হয়ে আমার পাশাপাশি বসে আলোচনার মাধ্যমে বুঝিয়ে বলে। কারণ সৃষ্টিগত কারণেই মানুষকে বন্ধী বা অবশ করে কখনো কোন কিছু করা সম্ভব হয় না বা হবে না। আর আমি নিজেও অনুমান বা ধারনার ভিত্তিতে কোন কাজ করতে পারি না। পারবো না।
 
এ বিষয়টি রবকে বলে, তাকে ওপেন হওয়ার জন্য, ওপেন ভাবে সুশ্রী মানুষের বেসে মায়াময় ভাবে আমার নিকট যাতে সে আসে; এ জন্য আপনারা আমায় আপনাদের নিকটে দেখলে, তবে তাকে এবং রবকে অন্তর থেকে বলুন। এটি আপনাদের নিকট আমার কামনা।
(জ্বীন আসার জন্য পরিচিতজনদের নিকট দোয়া প্রার্থনা, পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ও মন্তব্য করার জন্য অনুরোধ করছি)
আমি আপনাদের আপনজন হিসেবে, আপনাদের প্রতিবেশী হিসেবে, আপনাদের বন্ধু-বান্ধব হিসেবে, আপনাদের পরিচিত হিসেবে, আপনাদের নিকট এ বিষয়টি আমি আপনাদের প্রতি একান্ত অনুরোধ করছি।
 
আমার জীবন শেষ হয়ে যাচ্ছে রে ভাই! লেখা-পড়া, উন্নত বৈশিষ্ট্য, প্রতিভা সবই শেষ হয়ে যাচ্ছে! সবই যেন মরে যাচ্ছে! একটা তাজা, আর সম্ভাবনাময় জীবন আপনাদের চোখের সামনে ঝরে যাচ্ছে! এবং আমার সাথে ও আমার কারণে জীর্ণ-শীর্ণ হয়ে যাচ্ছে আরো কমপক্ষে ৫টি জীবন! অন্ধকার ভবিষ্যতের দিকে এগুচ্ছে পুরো পরিবার!
 
প্লীজ ভায়েরা, আমার জন্য এ অনুজীবটিকে মানুষের অবয়বে আসতে অনুরোধ করুন। কারণ সে মানুষের অবয়বে না এলে, কেন সে আমার সাথে এভাবে গত প্রায় ২৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমার সাথে লেগে আছে এবং আজ আমি অনেকটাই ঋণী ও অনেকটাই পাপী; কিন্তু এরপরও সে আমার কাছ থেকে যায় না।
 
অতীতে তাকে তাড়ানোর জন্য, যত চেষ্টাই করা হয়েছিলো, সে যায়নি। তাকে তাড়াতে গিয়ে আমার ভায়েরা, আমার জায়গা জমি বিক্রী করে, আমাকে প্রায় ফকির করে দিয়েছে। একলা ও নিঃস্ব করে দিয়েছে আমাকে। পরিবার ও বংশের মধ্যে আমাকে করেছে অসহায়। বাদিয়ে দিয়েছে অনেকটা ফ্যাতনা-প্যাসাদ।
 
সে কি আমাকে শেষ করতে চায় (?); না উন্নত করতে চায়; এটা সে স্ব-শরীরে না এলে ও তার নিজ মুখে বুঝিয়ে না বললে, তাহলে এর এবং এ রহস্যের কুলকিনারা আমি ও আমরা বুঝবো কী করে? তার মানে ও প্রকাশ্য ভাবে নিজ মুখে বুঝিয়ে না বললে এর কিছুই বোঝা যাবে না।
(জ্বীন আসার জন্য পরিচিতজনদের নিকট দোয়া প্রার্থনা, পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ও মন্তব্য করার জন্য অনুরোধ করছি)
এবং আপনারা তাকে কোনরূপ কষ্ট দিবেন না, অপমান করবেন না, বিরক্ত করবেন না, সহযোগিতা করবেন, ভালোবাসবেন, এ বিষয় গুলো তাকে বলুন এবং দূর থেকে হলে, তাহলে রবকে বলুন ও রবের মাধ্যমে তাকে বুঝিয়ে দিতে, রবের নিকট প্রার্থনা করুন।
 
এখানে আপনাদেরকে একটা কথা আমি বলতে চাই যে, এ অনুজীবটি আমায় গ্রাস করার পর, অর্থনৈতিক ভাবে যদিও আমি ফকির হয়েছি, কিন্তু আল্লাহ্ ভক্ত ঈমানদীপ্ত বুদ্ধিমান কোমল সহানুভূতিশীল একটা মন আমার সৃষ্টি হয়েছে। আমার শরীরে সে আগত হওয়ার আগে আমি এতো বেশি আল্লাহ ওয়ালা ছিলাম না।
 
উদহারণ স্বরূপ বলতে চাই, এখন যখনই মসজিদে আজান দেয়া হয়, তখনই আমার হৃদয়ে শিহরণ জাগে, মনে হয় এখনই মসজিদে চলে যাই!
 
তাহলে অর্থ হারালেও, এরচাইতে বড় পাওয়া আমার আর কী হতে পারে! আমি বুঝতে পেরেছি আমার সাথে যে জ্বীন বা পরী থাকে, সে আসলে আল্লাহর অলী এবং হয়তোবা বড় মাপের আলেম!
 
তাই যেহেতু ও সাথে থাকায়  আমি আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ পাওয়া, আল্লাহকে পাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা পেয়েছি, তাই, ও জ্বীন হোক আর পরী হোক, ওকে আমি আর হারাতে চাচ্ছি না।
 
হয়তো ও মানুষের অবয়বে আমার নিকট আসলে এবং আমার সাথে থাকলে, তাহলে হয়তো অর্থও ফিরে পেতে পারি!
 
এবং আমার ধারনা অনুযায়ী অনুজীবটি যদি মহিলা হয়, তবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে, তাহলে আমার ইন্তেকাল পর্যন্ত সে আমার সাথে থেকে, আমাদেরকে সার্ভিস দিতে একটা মজবুত ধর্মীয় বাঁধন থাকবে ও বেপর্দার গুনাহ হবে না, এছাড়া করা যাবে অনেকগুলো গবেষণা, হয়তো দিগন্ত উন্মোচিত হবে আরো কিছু জ্ঞান-বিজ্ঞানের। তার সাথে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার আগ্রহ আমার এ সব কারণে। নতুবা এখন সে আসলেও, যে কোন সময় হারিয়ে যেতেতো তার আর কোন বাঁধন থাকলো না।
 
(জ্বীন আসার জন্য পরিচিতজনদের নিকট দোয়া প্রার্থনা, পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ও মন্তব্য করার জন্য অনুরোধ করছি)
তাই আপনাদের সকলের প্রতি আমার একান্ত অনুরোধ, ও যাতে স্ব-শরীরে আমার নিকট আসে এবং স্ব-শরীরে আমার নিকট থাকে এবং আমি যে দিকে যাই, সেদিকে প্রকাশ্য অবয়বে আমার সাথে সে যেন প্রকাশ্য ভাবে যায়, মানুষ যাতে তার উপস্থিতি বুঝতে পারে ও চোখে দেখে এবং তার সাথে কথা বলতে পারে; এ জন্য আপনারা আমায় দেখলে, ইশারায় বা কৌশলে তাকে অনুরোধ করুন এবং এ জন্য একই সাথে আল্লাহু তা'য়ালার নিকট দু'য়া করুন।
 
এখন আপনাদেরকে একটা আইডিয়া দিতে চাই যে, আমি নিজে এ অনুজীবকে কী মনে করি!
 
আমার মা সৈয়দ বংশীয়। আমি আমার মায়ের সূত্র ধরে, আমার নাম ও আমার ওয়ারিশদের নামের সাথে চৌধুরী বাদ দিয়ে সৈয়দ সংযোজন করার আমার নিজ কর্তৃক ফাইনাল সিদ্ধান্ত ইতিপূর্বে আপনাদেরকে জানিয়েছি। মানে আমিও সৈয়দ বংশীয়। মানে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এঁর বংশ হতে আমরা আগত। মানে আমরা আওলাদে রাসূল (সাঃ)। আপনি প্রয়োজনে এখানে ক্লিক করে এ ব্লগের পোস্ট সমূহ পড়ে এ বিষয়ে জানতে পারেন।
 
(কষ্ট করে পুরো প্রবন্ধটি পড়ার জন্য ও মন্তব্য করার জন্য এবং শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি)
 
পবিত্র কুরআনের সূরা আহযাব এর ৩৩ নং আয়াত অনুযায়ী, যারা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এঁর বংশীয় বা উত্তরসূরী তাঁদেরকে আল্লাহু তা'য়ালা তাঁর নিজ অনুগ্রহে পবিত্র করার ঘোষণা দিয়েছেন। ইতিপূর্বে এসব বিষয়ে আমি লিখেছি, আপনারা সেখান থেকে বা এ বিষয়ক আমার ইউটিউব ভিডিও থেকে জানতে পারেন এবং সূরা আহযাব এর ৩৩ নং আয়াত থেকে এ বিষয়ে জ্ঞান নিতে পারেন।
 
তাছাড়া এ অনুজীবটি ২০০১ সনে যখন প্রথম আমাকে গ্রাস করে তখন সে আমাকে হযরত ঈমাম মাহাদী (আঃ) এঁর নাম উচ্চারণ করতে বাধ্য করতে চেয়েছিলো। আলহামদুলিল্লাহ, আপ্রাণ চেষ্টা করে এবং অনেক কষ্টে আমি সেটা রুখে রেখেছিলাম। কারণ কী বলতে কী বলি!
(জ্বীন আসার জন্য পরিচিতজনদের নিকট দোয়া প্রার্থনা, পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ও মন্তব্য করার জন্য অনুরোধ করছি)
পরবর্তীতে যখন আমি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করি, তখন এ ফাউন্ডেশনের অফিস ঘর হযরত ঈমাম মাহাদী (আঃ) ও হযরত ঈসা (আঃ) এঁদের জন্য ওয়াকফ করার ঘোষণা দিয়েছিলাম। এবং ফাউন্ডেশন ও ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত সমিতির মধ্যে ইনাদের জন্য একটা অর্থনৈতিক ফান্ড গঠনের সিদ্ধান্ত আমি সমিতির গঠনতন্ত্রে উল্লেখ করেছিলাম।
 
এবং এগুলো সহ এ কেন্দ্রীক আমার আচরণ সমূহ অনেকটা অটো সিস্টেমেই আমার মন ও ব্রেন থেকে বেরিয়েছিলো এবং যা একজন সাধারণ মুসলমানের জন্য স্বাভাবিক ছিলো না।
 
একপর্যায়ে হযরত ঈমাম মাহাদী (আঃ) যাতে আমার বংশে আসে সে জন্য এবং আমি যাতে তাঁর পূর্বপূরুষ (বাবা) হতে পারি সে জন্য রবের নিকট দুয়া করতে থাকি।
 
আমার ইবাদত ও আচরণে অনেকটা আমাকে সৌদি নাগরিকদের মতো মনে হয়। আমার এ আচরণ গুলো বেশির ভাগ; মানে হাত, পা ও চোখের ইশারা ইঙ্গিত গুলো বা কথা বলার ভঙ্গিমা গুলো, আমার মন ও ব্রেণ থেকে অটোমেটিক ভাবে প্রকাশিত হতে দেখা যায়। এবং এগুলো আমাকে এ অনুজীবটি ঘ্রাস করার পর থেকেই বেশি প্রকাশিত হচ্ছে।
 
গত কিছু সময় আগে আমি মাদরাসায় শিক্ষকতা করা কালিন, আমার ছোট ছোট দুই ছাত্রকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, মানুষ আমার সাথে যে এ রকম করে, তারা আমার শরীরে কী আছে বলে মনে করে? বা এ রকম করে কেন?
 
ছাত্র দুই জন আমাকে বলে, তারা মনে করে, আপনার সাথে নাকি ফেরেশতা আছে!
 
এ সব ঘটনা ও আমার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে আমি বলতে চাই যে, আমার সাথে ফেরেশতা থাকতে পারে!
 
কিন্তু আবার ভাবী, যদি এ রকমই হতো তাহলে কোরআন ও হাদীসে কি এর কোন ইঙ্গিত কি থাকতো না? আবার ভাবী কোরআন হাদীসে না থাকলে যে এসব হতে পারবে না, সে বিষয়েওতো কোরআন হাদীসে কিছু বলা হয়নি!
 
সবকিছু কোরআন হাদীসে থাকতে হবে, এমন কোন কথা নেই। কই বিমান আবিষ্কারের কথাতো কোরআন হাদীসে নাই। ইত্যাদি।
(জ্বীন আসার জন্য পরিচিতজনদের নিকট দোয়া প্রার্থনা, পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ও মন্তব্য করার জন্য অনুরোধ করছি)
এবার বলবো, আমার সাথে এটি ফেরেশতা না হলে, জ্বীন হতে পারে কিনা?
 
হ্যাঁ, জ্বীন হওয়ার বিষয়েও সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। এটি যে জ্বীন, এ বিষয়ে আমার এলাকাবাসী ও পরিবারস্থ লোকদের সার্টিফাই দেখতে  এখানে ক্লিক করতে পারেন।  আসলে এরচাইতে বিস্তারিত লিখার সময়, সুযোগ, মানসিক অবস্থা কিছুই আমার এখন নেই।
 
কারণ বন্ধীদশা কাটাতে কাটাতে আমার জীবন প্রায় শেষ। অর্থনৈতিক ভাবে আমি একেবারেই পঙ্গু হয়ে গেছি।
 
কোথাও চাকরিও করতে পারি না। কয়েক দিন যেতে না যেতেই সে এমন ভাবে উঠে বসে, এমন ভাবে আমায় ঘ্রাস করে, যেন আমি একজন ফেরেশতা! ফলে অতিরিক্ত ভালো হয়ে যাওয়ার কারণে সমাজের মানুষ আমাকে তখন ভূল বুঝে! মেচিং হতে পারিনা আর সমাজের মাঝে। এটা আসলে কিছুই না; আমার সঙ্গে থাকা এ জ্বীন বা পরী ব্যক্তিটিই মূলত আমাকে চাকুরী করতে দেয় না! আর এখন অনেক জায়গায় চাকরিও দেয় না, এ জ্বীন বা পরীটির ইশারায়। এ বিষয় গুলো আমায় যারা চিনেন ও জানেন, তারা ভালো করেই বুঝেন বলেই আমি মনে করি।
 
তাহলে কি এভাবে বেকার থেকে আমি শেষ হয়ে যাবো!?
 
জ্বীনের বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে গিয়ে উইকিপেডিয়া থেকে যখন অনলাইনে জ্বীনদের প্রকারভেদ, বৈশিষ্ট্য ও বসবাস সম্পর্কে পড়তে ছিলাম, তখন একটি অংশ পড়া কালীন, আমার মুখ দিয়ে অটোমেটিক বেরিয়ে যায়, আমি জ্যান, আমি জ্যান।
 
 আমি উইকিপেডিয়া থেকে হুবহু নিম্নে  ঐ অংশটুকু পেস্ট করে দিচ্ছি।আপনারা ইচ্ছে করলে গুগলে 'জ্বীন' লিখে সার্চ দিয়ে উইকিপেডিয়াতে ক্লিক করে সেখান থেকেও পড়তে পারেন। অংশটি নিম্নরুপ-
"উইকিপেডিয়া থেকেঃ
জ্যান:-জ্যানরা মূলত মরুভূমি অঞ্চলে বসবাস করে থাকে। এরা সাধারণত ঘূর্ণিবায়ু বা সাদা উটের বেশ ধারণ করে চলাফেরা করে। জ্যানদের সঙ্গে ঘৌলদের চরম শত্রুতা রয়েছে। তারা মানুষের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করে থাকে। এছাড়া বলা হয়ে থাকে, জ্যানরা হলো জ্বীন জাতির মধ্যে সর্বপ্রথম যারা মানবজাতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলো।এরা মানুষের বন্ধু হয়ে থাকে। এরা অন্যান্য জ্বীন থেকে সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী, খুবই পরোপকারী, আল্লাহওয়ালা বা আল্লাহভীরু ও বন্ধুত্বপরায়ণ এবং ন্যায়পরায়ণ জ্বীন হয়ে থাকে।"
 
(কষ্ট করে পুরো প্রবন্ধটি পড়ার জন্য ও মন্তব্য করার জন্য এবং শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি)
 
এখানে মূলত জ্বীন ও ফেরেশতা হওয়ার বিষয়ে কার্যত কোন অসমানজস্যতা নেই। আমার অনেক বড় বড় মানব কল্যাণকর নিয়ত রয়েছে। হয়তো অর্থাভাবে আপনারা তা বুঝতে পারছেন না। আবার আমি যদি সৈয়দ বংশীয় হই, তাহলে আল্লাহ আমায় পবিত্র করবেন, মানে ফেরেশতা দিয়ে সহযোগিতা করবেন, এটি আল্লাহর ওয়াদা।
 
মানুষের নেক কাজে যেমন আল্লাহু তা'য়ালা ফেরেশতা দিয়ে সহযোগিতা করেন; ঠিক তেমনি জ্বীনদের নেক কাজেও মহান রব ফেরেশতা দিয়ে সহযোগিতা করেন।
(জ্বীন আসার জন্য পরিচিতজনদের নিকট দোয়া প্রার্থনা, পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ও মন্তব্য করার জন্য অনুরোধ করছি)
এমনটি ভাববার কোন অবকাশ নেই যে, আল্লাহর রহমত, মানে ফেরেশতাদের সহযোগিতা ও অংশগ্রহণ ছাড়াই জ্বীনেরা একাই ভাল কাজ করতে পারে। মানুষের ভালো কাজ যেমন ফেরেশতার সহযোগিতায় হয়, তেমনি জ্বীনদের ভালো কাজও ফেরেশতার সহযোগিতাতেই হয়। তাহলে আমার নিকট জ্বীন থাকবে এবং ফেরেশতা সহযোগিতা করবে, ইহা স্বাভাবিক।
 
তাই আমি আমার সঙ্গে থাকা এ সঙ্গীকে উপরে উল্লেখিত জ্বীনদের একটি প্রকার, জ্যানই মনেকরি। এবং যেহেতু আমরা সৈয়দ বংশীয় এবং যেহেতু আল্লাহ্ আমাদেরকে পবিত্র করার ঘোষণা দিয়েছেন এবং যেহেতু মানব কল্যাণকর ভালো ভালো নিয়ত আমাদের রয়েছে, তাই ফেরেশতাদেরও সহযোগিতা পাচ্ছি বলে আমি মনে করি। তবুও কিছু প্রশ্ন থেকেই যায়, জ্যান জ্বীন যদি মরুভূমিতেই থাকে, তবে এখানে এলো কী করে!!
 
তাছাড়া আমার চালচলনে আমাকে অনেকটা আরবের লোকদের মতো মনে হয়। নামাজ পড়ার সময় ঈমাম সাহেব ডানদিকে সালাম ফিরালে, আমি পারিনা সালাম ফিরাতে, কে যেন শক্ত করে ধরে রাখে আমায়। অনেক সময় আমি ইচ্ছে করেই এ রকম করি। ঈমাম সাহেব উভয় দিকে সালাম ফিরালে, তারপর আমি সালাম ফিরানো আরম্ভ করি। কারণ আমি আমার রবকে এই বুঝাই যে, আমি মক্কাকে ভালোবাসি। আল্লাহ্ যেন আমায় সৌদি আরবের নাগরিক বানায়ে দেন। এভাবে আমার নানাবিধ বৈশিষ্ট্যে আমার মধ্যে আরবীয়দের বৈশিষ্ট্য দেখা যাচ্ছে। এ পর্যন্ত আমার সাথে ঘনিষ্ঠ ভাবে যারা মিশেছেন তারা বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন।
 
আর এসবের জট; বা আমার শরীরে আগত হওয়া এ জ্বীনটি মূলত কী চান (?); বা তিনি কে? কী তার পরিচয়? বা তিনি কী করতে চান? তিনি জ্বীন হোক, বা ফেরেশতা হোক; স্ব-শরীরে আসা ব্যতিত আমি বা আপনাদের কেউ এ বিষয়টি সঠিক ভাবে বুঝবেন বলে মনে হয় না।
 
তবে জ্বীন যে আমার সাথে রয়েছে, তা কিন্তু সত্য! আর আমার আচরণ যে সৌদি আরবের লোকদের মতো, তাও সত্য! প্রয়োজনে আপনারা আমার এলাকার বা পরিচিত লোকদের থেকে জেনে নিতে পারেন।
 
অন্যদিকে এটি জ্বীন বা ফেরেশতা যাই হোক, মানুষের বেসে আসার ক্ষেত্রে, কোরআন হাদীস বা জ্ঞান-বিজ্ঞান বা  ইতিহাস বা বাস্তবতা অনুযায়ী, যেহেতু অতীতে এ পৃথিবীতে মানুষের বেসে, এদের প্রত্যেকেই মানুষের নিকট তারা এসেছেন। তাই এদের স্ব-শরীরে আমার নিকট আসতে, আইনগত ভাবে কোন বাধা নেই বলেই আমি বুঝি।
 
আর তাই আপনাদের প্রতি আমার বিনীত অনুরোধ থাকবে, তারা যাতে স্ব-শরীরে আমার নিকট আসেন ও বুঝিয়ে বলেন যে, আমার শরীরে তাদের আগমনের কারণ কী? এবং তা কিভাবে তিনি বা তাঁরা বাস্তবায়ন করতে চান? বা আমাকে বা মানুষকে তাঁরা কোন সার্ভিস দিতে চান কিনা? দিতে চাইলে সেটি কী? বা কিভাবে দিতে চান? কারণ, সুদীর্ঘ সময় একটা মানুষের সাথে থাকা, তাকে প্রায় ফকির করে দেয়া, আল্লাহর দিকে ড্রাইভ করা  এবং কোন ভাবেই তার কাছ থেকে না যাওয়া; তাহলে বোঝা যায়, নিশ্চয় তাদের কোন নেক নিয়ত রয়েছে।
 
(কষ্ট করে পুরো প্রবন্ধটি পড়ার জন্য ও মন্তব্য করার জন্য এবং শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি)
 
এ সব বিষয়ে বুঝিয়ে বলতে,  যেহেতু তারা আমার শরীরে থাকে, তাই আপনারা আমাকে দেখলে, বা আমার সাথে মিশার সময়, ইশারা ইঙ্গিতের মাধ্যমে তাকে বা তাদেরকে অন্তর থেকে এ অনুরোধটুকু করার জন্য এবং একই সাথে মহান রবের নিকট বিষয়গুলো বলে, তাদেরকে স্ব-শরীরে আসার জন্য এবং এর একটা সমাধানে পৌঁছানোর জন্য, রবের নিকট কায়মনোবাক্যে আমার জন্য দোয়া করতে, আমি সকলের নিকট বিনীত অনুরোধ করছি। এবং প্রয়োজনে ইশারা ইঙ্গিতে তাকে প্রশ্ন করে বুঝে নিতে পারেন যে, সে কী কী পারবে (?), আর কী কী পারবে না। এবং সে হিসেবে আপনারা আমায় বুঝিয়ে দিতে পারেন।
(জ্বীন আসার জন্য পরিচিতজনদের নিকট দোয়া প্রার্থনা, পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ও মন্তব্য করার জন্য অনুরোধ করছি)
এখন আসুন, যদি এটি জ্বীন হয়, এবং যদি এটি মহিলা জ্বীন হয় (আমার ভিতর থেকে মহিলা জ্বীন হওয়ার বিষয়ে জোরালো উপস্বর্গ বা ইশারা ইঙ্গিত বের হচ্ছে, তাই আমি এটিকে মহিলা জ্বীন, মানে পরীই মনে করছি), তাহলে পর্দা বিহীন তিনি আমার কাছে আসবেন কিভাবে (?), আর এসে কোন সার্ভিস দিতে চাইলে, তাহলে বিয়ে ব্যতিত তার স্ব-শরীরে তিনি আমার নিকট ওপেন ভাবে থাকবেন কিভাবে? ইসলামী শরিয়তের হুকুম সমূহ জ্বীন জাতি এবং মানব জাতি, এ উভয় সম্প্রদায়ের জন্যই। এখানে আপনারা আমায় প্রশ্ন করতে পারেন, একজন মহিলা জ্বীনের শরীর কি একজন মানব মহিলার মতো? এখানে আমার উত্তর হচ্ছে, হ্যাঁ এমনটিই হতে পারে বা হবে। যেহেতু নামাজ, রোজা, হায়েজ, নেফাস সহ শরিয়তের কোন বিধানে এমন ভাবে কোরআন-হাদীসের কোথাও বলা নাই যে, এ বিধানটি শুধু মানুষের জন্য বা শরিয়তের এ আইনটি জ্বীনদের জন্য প্রযোজ্য নয়। যেহেতু এভাবে আলাদা করে কোথাও বলা নেই এবং জ্বীনদের জন্য আলাদা করে কোন শরিয়তের উপস্থিতি মুসলমানদের মাঝে নেই এবং যেহেতু হাদীস অনুযায়ী জ্বীনেরা মানুষের আকার ধারন করতে পারে। আর তাই আমি মনে করি সে আমার কাছে থাকতে হলে, একমাত্র পর্দার বিধান মান্য করেই ওপেন ভাবে থাকতে হবে। যা শুধু মাত্র আমার সাথে তার বিয়ের মাধ্যমেই সম্ভব। আর কোন ভাবে নয়।
 
যেহেতু সে মানব সম্প্রদায় নয়। তাই তাদের সাথে আর আমাদের সাথে কিছু ভিন্নতা থাকতেই পারে। কিন্তু থাকলে সেটি কী? ইসলাম আবির্ভূত হওয়ার আজ প্রায় সাড়ে চৌদ্দশ বছর অতিক্রান্ত হলেও কেউ আজ পর্যন্ত এ সব জানতে ও অন্য সব মানুষদেরকে জানাতে ঐভাবে কেহ আগ্রহ প্রকাশ বা চেষ্টা করেনি।
 
কিন্তু আমি এক ভিন্ন প্রকৃতির মানুষ। রবের কথা অনুযায়ী, "বিচরণ কর, দেখ, গবেষণা কর, রব কোথায় কিভাবে সৃষ্টি করেছেন"। সম্ভবত একটি আয়াতে এ রকমই পড়েছি।
 
আর তাই আমি তাকে বিয়ে করতে চাওয়া এবং তিনি যদি রাজি ও খুশি থাকেন, তবে আমার সাথে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া, এটি শুধু একটি বিয়ে নয়, এটি হবে একটি ইসলামিক গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি হওয়া। এবং জ্বীন ও মানবজাতির মধ্যে একটা ঐতিহাসিক সেতুবন্ধন।
 
আচ্ছা আপনি কি জানেন, পরীদের হায়েজ-নেফাস হয় কিনা? হলে এর মুদ্দত কতো দিন। মানুষ ও জ্বীনের মিলনে সন্তান পয়দা হয় কিনা! জানেন না। বা শারীরীক স্ট্র্যাকচারের কারণে মানুষ ও জ্বীনের মাঝে মিলন করা আসলে যায় কিনা? ক্লিয়ারলি আসলে জানেন না।
 
যদি আল্লাহ্ এ বিয়ে সম্পন্ন করান, তবে এর মাধ্যমে ইসলামী শরিয়তের নতুন নতুন হাজারো প্রশ্নের উত্তর কিন্তু পাওয়া যাবে হয়তো। তাই জ্বীন ও মানুষের বিয়ে নাজায়েজ বলে আমাদেরকে দমিয়ে না রেখে, এ বিয়ের মাধ্যমে ইসলামিক গবেষণা করার আরেকটি দ্বার উম্মোচিত হওয়ার সুযোগ দেয়ার জন্য আমি সকলের নিকট, বিশেষ করে আলেম সম্প্রদায়ের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। আর এ বিষয়ে জানা বা জানতে চাওয়াও আমাদের একটি ঈমানী দায়িত্ব বলেই আমি মনে করি।
 
তাছাড়া মানুষদের বিশাল এক অংশ যা দেখতে পায় না, তাতে তারা বিশ্বাস করে না। ফলে কোরআনের বাণীকে তারা মিথ্যা বুঝতে পায়। তারা বলতে চায়, জ্বীন শয়তান বলতে আসলে কিছু নেই। পরিদের সাথে, তাদের স্ব-শরীরে প্রকাশ্য ভাবে মানব সমাজে আমাদের বিচরণ যদি সম্ভব হয়, যদি পরি রাজি থাকে, তাহলে এ বিয়ের মাধ্যমে, আমরা দেশ ও বিশ্বে কালিমার দাওয়াত পৌঁছিয়ে দিতে চাই। আমি চাই যে, দুনিয়ার একটি মানুষ, ও একটি জ্বীনও যেন আল্লাহকে না বুঝে ও আল্লাহু তা'য়ালার পরিচয় না পেয়ে যেন তাকে নরকে যেতে না হয়। আল-কোরআন যা বলছে সব সত্য, এটি যেন সবাই বুঝতে পায়। এটি এ বিয়ের ও জ্বীন স্ব-শরীরে আমার নিকট আসার প্রথম উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য আমার।
 
এ প্রথম উদ্দেশ্যের মধ্যে আমি আরো চাই যে, যেহেতু হাদীস অনুযায়ী জ্বীনেরা তিনটি অবস্থায় থাকতে পারে, তাই বিয়ের পরে, সে যেন এ তিনটি অবস্থায়, যেমন, একজন মুসলিম মহিলার মতো বোরখা পরিধান করে, পর্দা মেনে আমার সাথে মনূষ্য সমাজে আমার সাথে প্রয়োজনীয় কাজে মানুষের মতো যাবে ও মানুষের সাথে মানুষের মতো কথা বলে, যাতে মানুষ স্পষ্ট দেখতে পায় এবং মানুষের মতো স্পষ্ট উপস্থিতির মাধ্যমে আমার সাথে বা একাকী দ্বীনের দাওয়াত দেয় এবং মানুষ ও জ্বীনদের জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসা করে (যদি তার যোগ্যতা থাকে ও তার দ্বারা সম্ভব হয়)। এতে নিরাপত্তার প্রয়োজন হলে বা সে যে জ্বীন, এটি বুঝাতে সে যেন সাথে সাথে অন্যরুপ ধারণ করে বা মিলিয়ে যায়; বা শত্রুর মোকাবেলার প্রয়োজন হলে সে যেন বিশাক্ত বা হিংস্র প্রাণীর অবয়ব ধারণ করে এবং শত্রুর মোকাবেলা করে। আবার সব সময় সে যেন আমার শরীরে মিশে থাকে এবং সব সময় সে যেন পোষা ও অনুগত পাখির অবয়বে প্রকাশ্য ভাবে আমার সাথে থাকে ও আমি যে দিকে যাই, আমার সাথে উড়ে উড়ে সেও যেন সেদিকে যায় এবং আমি যা বলি সে যেন তা পালন করে।
 
আমার ধারনা মতে আমার সঙ্গে শুধু একটি জ্বীনই থাকে না। জ্বীনদের পুরো একটি গোত্র বা বংশই থাকে বলে আমার ধারনা। কিন্তু এ সবের রহস্য সে বা তারা স্ব-শরীরে আসা এবং তাদের নিজ মুখে বলা ছাড়াতো পরিষ্কার ভাবে কিছুই বোঝা যাবে না।
 
বন্ধুরা, আমার লিখাটি রূপকথার গল্পের মতো মনে হলেও, যদি সে জ্বীন হয়, তবে আমি মনেকরি তার দ্বারা এসব সম্ভব। বরং এর চাইতেও অনেক বেশি কিছু হয়তো তার বা তাদের দ্বারা সম্ভব হতে পারে। যেহেতু এ রকম করতে বা আমার সাথে প্রকাশ্যে এভাবে থাকতে পবিত্র কোরআন, হাদীস, ও জ্ঞান- বিজ্ঞান অনুযায়ী কোথাও কোনরূপ বাধা নেই।
 
তাই আপনাদের সকলের প্রতি আমার অনুরোধ, উপরে আমি যেভাবে চেয়েছি, ঠিক এভাবে যেন সে আমার সাথে প্রকাশ্য ভাবে মেনে চলে, সে জন্য আমাকে আপনারা দেখলে তাকে বলবেন বা ইশারা ইঙ্গিতে তার নিকট জিজ্ঞাসা করবেন, এভাবে সে পারবে কিনা এবং না পারলে, তাহলে কেন পারবে না, তাও বুঝিয়ে দিতে বলবেন। এবং পরে আপনারা আমাকে বুঝিয়ে দিবেন। সবমিলিয়ে তাকে স্ব-শরীরে ওপেন হয়ে আমার সাথে ডিসকাস করতে অনুরোধ করুন। তাকে বলুন, একটা জীবন এভাবে নিঃশেষ করার মানে কী? এবং সাথে সাথে মহান রবের নিকটও প্রার্থনা করুন।
 
এ বিয়ের মাধ্যমে আমার দ্বিতীয় উদ্দেশ্য হচ্ছে, জটিল ও কঠিন রোগ সমূহের চিকিৎসা, বিশেষ করে জ্বীন গঠিত রোগ সমূহের চিকিৎসা এবং জ্বীন সম্প্রদায়ের মাধ্যমে মানুষদেরকে নানাবিধ ভাবে সহযোগিতা প্রদান করা।
(জ্বীন আসার জন্য পরিচিতজনদের নিকট দোয়া প্রার্থনা, পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ও মন্তব্য করার জন্য অনুরোধ করছি)
এছাড়া এ জ্বীনকে নিয়ে আমার রয়েছে বড় বড় মানব কল্যাণকর নিয়ত। যা আপনারা হয়তো কল্পনা বা চিন্তাও করতে পারবেন না যে, একজন গরীব মানুষের মাথায় এ ধরনের উচ্চ পর্যায়ের নেক চিন্তা আসে কী করে! তাই এগুলো এখন বললে, আপনারা আমাকে হয়তো পাগল বলবেন! তাই আর বলছি না।
 
তবে সত্য কথা হচ্ছে, এ জ্বীন আমার নিকট তার স্ব-শরীরে না এলে, এবং আমাদের বিয়ে না হলে, এসবের হয়তো কিছুই হবে না। তাছাড়া ধীরে ধীরে আমি মৃত্যু মুখে পতিত হই কিনা তাও জানি না!
 
বিজ্ঞ আলেমদের প্রায় সবাই জ্বীন ও ইনসানের বিয়ে নাজায়েজ বলেই ফতোয়া দিয়েছেন এবং তাদের অনুকরণে বর্তমান আলেমেরাও শুধু নাজায়েজই বলেই ফতোয়া দিয়ে যাচ্ছেন। কেবল খুব অল্প সংখ্যকই এটি জায়েজ বলেছেন। আসলে কেন আলেম সমাজ এটিকে নাজায়েজ বলছেন এবং কিসের ভিত্তিতে বলছেন, এর সঠিক উত্তর কিন্তু তাদের নিকটও নেই।
 
অনেকে বলেছেন দু'টি দুই জাত, মানে দু'টি ভিন্ন প্রকৃতির জাত হওয়ার কারণে তারা নাজায়েজ বলছেন। কিন্তু দু'টি ভিন্ন জাত হলেও কোরআন-হাদীস তাদেরকে নাজায়েজ বা হারাম ফতোয়া দেয়ার কোন অধিকার দেয়নি। ফলে এ ভিত্তিতে নাজায়েজ বললে, তা গ্রহণযোগ্য হবে বলে আমি মনে করি না।
 
(কষ্ট করে পুরো প্রবন্ধটি পড়ার জন্য ও মন্তব্য করার জন্য এবং শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি)
 
এখন আপনারা যদি নাজায়েজই মনে করেন এবং মানুষদের মাঝে শুধু নাজায়েজই ছড়াতে থাকেন, তাহলে এমন একজন আলেম ও আল্লাহু তা'য়ালার অলি পর্যায়ের জ্বীন আমার নিকট প্রকাশিত হবে কেন? কেন সে আমাকে বিয়ে করে, আপনাদের নিকট অগ্রহণযোগ্য হয়ে যাবে সে।
 
আমার বর্তমান যে অবস্থা, এ অবস্থায় আমার মতো মানুষদের ঈমান টিকানো গিয়ে দূরে থাক, হার্ট ফেল করে এ ধরনের মানুষেরা মরেও যাচ্ছে অনেক জায়গায়। আর সে ক্ষেত্রে আমি এখনো আল্লাহর অলির মতোই চলাফেরা ও জীবন-যাপন করি। আপনাদের জন্য বিশাল বিশাল প্রবন্ধ লিখি।
 
চিন্তা করেছেন একবার, এসব আমি কার সহযোগিতাতে করি! কে আমায় ধরে রাখে! একলা কর্মহীন জীবনে কে আমায় প্রবোধ দেয়। প্রত্যেক নামাজ মসজিদে নিয়ে পড়ায়। পারবেন (?) আমার মতো পরিস্থিতিতে পড়লে, মানুষের সাথে মিষ্টি কথা বলতে? নিয়মিত মসজিদে নামাজ পড়তে? উচ্চ ব্যক্তিত্ব নিয়ে জীবন-যাপন করতে? হয়তো পারবেন না!
 
আমার মনে হয়, আমাকে আমার সঙ্গে থাকা এ জ্বীনটি সহযোগিতা করছে বিধায়, আমি পারছি বা আমার দ্বারা সম্ভব হচ্ছে। নতুবা হতো না।
 
আমি ব্যক্তিগত ভাবে জ্বীন যদি চায়, তবে জ্বীন এবং মানুষের বিয়েকে নাজায়েজ মনে করি না। এটা আমার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট হওয়ার কারণে নয়, বরং যুক্তির বিচারেই আমি এ কথা বলেছি।
 
(জ্বীন আসার জন্য পরিচিতজনদের নিকট দোয়া প্রার্থনা, পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ও মন্তব্য করার জন্য অনুরোধ করছি)
কোরআন হাদীসের কোথাও জ্বীনকে বিয়ে করা যাবে না, এ কথা স্পষ্ট ভাবে বলা নেই। যদি কোন আলেম স্পষ্ট করে বলতে পারেন, আছে, তবে অবশ্যই এ পোস্টের কমেন্টস বক্সে তা জানাবেন।  কোন যুক্তি নির্ভর কথা বলবেন না। কারণ হারাম বা মাকরুহে তাহরীমী বা এক কথায় নাজায়েজ কখনো যুক্তি নির্ভর কথায় বা অনুমান আন্দাজে হয় না। এরজন্য প্রয়োজন দলীল, আয়াত বা হাদীস।
 
আমার এই ক্ষুধাতুর, দূর্বল ও ঘরে যেখানে খাওয়ার নেই আমার, এমন একটি মূহুর্তে ভাবছিলাম এ বিষয়ে কলম ধরবো না। কিন্তু জ্বীন ও মানুষের বিয়ে ইসলাম অনুযায়ী জায়েজ, এ কথাটি না বুঝাতে পারলে, মনে হয় আমার এ পরী জ্যান জ্বীনটি জীবনেও মনে হয় আমার নিকট প্রকাশিত হবেন না। এবং আমি হয়তো এভাবে কষ্ট করতেই থাকবো। তাই আমার ar900.com, মানে এ ওয়েব সাইটে ফতোয়ায়ে আরিফ এ ক্যাটাগরীতে মাসআলাটির রিভিউ হিসেবে এর ১ম ধাপে ইনশা'আল্লাহ্ এটি আমি লিখবো ও প্রকাশ করবো। আশাকরি আপনারা উপরোক্ত সাইটে ক্লিক করে অথবা গুগলে সার্চ করে, সেখান থেকে পড়বেন ও আমায় পরামর্শ দিবেন।
 
তবে সমস্যা হচ্ছে, আপনারা আমার কোন লিখায় কেউ কোন মন্তব্য করেন না বা আমাকে কোন ধরনের পরামর্শ দেন না।
 
যাক সবমিলিয়ে আমি আমার এ দৈন্যদশায় মাসআলাটি যাতে বুঝিয়ে লিখতে পারি এবং এটি যে জায়েজ, তা যেন সবাইকে বুঝাতে পারি, এ জন্য সকলের নিকট আমি দোয়া চাই।
 
দেখুন, আল-কোরআনে স্পষ্ট করে নেই, তবুও আল-কোরআনে বিশ্বাস রেখেই, এবং শুধু একটা অনুমান নির্ভর ধোঁয়াসা জ্ঞান থেকেই আমরা কেউ বলছি জায়েজ আবার কেউ বলছি নাজায়েজ।
 
যদি আজকে এ জ্বীন জাতিকে মানুষের পাশে, মানুষের সাথে, যদি দেখতে পেতাম, তাহলে আমাদের বিশ্বাস কি আরো উন্নত হতো না!? নতুন নতুন অনেক গুলো বিষয়ে আমরা কি জানতে পারতাম না!?  তাই আপনাদের সবাইকে অনুরোধ করবো আপনাদের কেউ জ্বীন এবং মানুষের বিয়েকে অবৈধ বলবেন না। যদি বলতে চান, তবে বুঝে-শুনে বলুন এবং আমাকেও বুঝান, (আল্লাহ না করুক) যাতে এ পাপ উদ্যেগ থেকে আমিও ফিরে আসতে পারি। শুধু ওমুক হুজুর বলছে বিধায়, আপনিও বলবেন, এটা ঠিক না।
 
যদি আমি বুঝতে পারি যে, এটি নাজায়েজ, তাহলে আমি অবশ্যই এটি পরিহার করবো এবং ইনশা'আল্লাহ, আমরা দু'জন সারা জীবনের জন্য এভাবেই থাকবো! নিশ্চয়ই আল্লাহ বড়, আমাদের ক্ষণিকের এ দুনিয়ার জীবন বড় নয়! আমাদের দু'জনেরই সিদ্ধান্ত এটি!
 
প্রয়োজনে আমি চাই, ইনশা'আল্লাহ, আমি যে মাসআলাটি লিখবো (সপ্তাহ দশ দিন লাগতে পারে), তাতে কোরআন হাদীস ও যুক্তি দিয়ে আমার বিরোধিতা করবেন এবং প্রমাণ করবেন যে, আমি ভূল বলেছি, ভূল ফতোয়া লিখেছি, তাহলে আমিও আপনার সুবাধে বেঁচে যেতে পারবো একটা মহা পাপ থেকে।
 
তবে প্লিজ, আপনি কখন আমাকে বলবেন না, ওমুক ঈমাম সাহেব বলেছেন বা ওমুক কিতাবে লিখা আছে। আপনি অবশ্যই কোরআন-হাদীসের দলীল উল্লেখ করে ও যুক্তি দিয়ে আমাকে বলবেন। কারণ আপনারা জানেন, সাধারণত আমি নিজ জ্ঞানে বা নিজ ব্রেনে না বুঝলে, শুধু ওমুক হুজুর বলেছে, বা একদল মুসলমান বলেছে, মেনে চলছে, শুধু এর উপর ভিত্তি করে আমি কোন আমল করি না।
 
আবার মূলকথা হচ্ছে, যেহেতু জ্বীন বিষয়ে কোরআন হাদীসে খুব বেশি কিছু একটা নাই; তাই আমার এ জ্বীনটি স্ব-শরীরে না এলে কোন জটলাই খুলবেনা বা কিছুই হবে না হয়তো।
(জ্বীন আসার জন্য পরিচিতজনদের নিকট দোয়া প্রার্থনা, পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ও মন্তব্য করার জন্য অনুরোধ করছি)
তাই পরিশেষে আবারো আমার সঙ্গে থাকা এ জ্বীনটি যাতে স্ব-শরীরে আমার নিকট আসে এবং বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় ও আমার সাথে প্রকাশ্যে মানুষের মতো জীবন-যাপন করে, এ জন্য আমাকে কাছে দেখলে, আমাকে লক্ষ্য করে, জ্বীনকে অনুরোধ করার জন্য এবং আপনি দূরে থাকেন কিংবা কাছে থাকেন, যেখানেই থাকেন না কেন, মহান রবের নিকট এ বিষয়ে প্রার্থনা করার জন্য সকলের নিকট বিনীত প্রার্থনা করছি।
 
আল্লাহ হাফেজ। সকলে ভালো থাকুন।
 

এখানে ক্লিক করে ফেনী শহরের হাসপাতালের তথ্য দেখতে পারেন,

এবং

শুদ্ধরুপে কোরআন তিলাওয়াত শিখতে চাইলে

এখানে ক্লিক করা যেতে পারে

এ পোস্টের ট্যাগ সমূহ: জ্বীন আসার জন্য পরিচিতজনদের নিকট দোয়া প্রার্থনা, জ্বীন, জ্বীনের আসর, জিন তাড়ানো, jin
 
 
 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ