সর্বশেষ আপডেটঃ ৩ অক্টোবর ২০২৪ খ্রি.
এ পর্বের বিষয়বস্তুঃ 
নিজ আত্মীয় স্বজনের কিছু সদস্য ও সংশ্লিষ্ট পরিচিতজনদের প্রতি চিঠি আকারে প্রশ্ন প্রেরণ করে ও পরবর্তীতে তাদের প্রদানকৃত প্রতি উত্তরকে এনালাইসিস করে নিশ্চিত হতে চেষ্টা করা যে, আমি (আরিফ উল্যাহ চৌধুরী, পিতা-ছিদ্দিক আহাম্মদ, গোবিন্দপুর, হাজীর বাজার, ফেনী) প্রকৃতই সৈয়দ বংশীয় মানুষ ও আমার সাথে আসলেই জ্বীন রয়েছে (এ দু'টি বিষয়ে আমার মা ও আমার স্ত্রীর ভিডিও স্ট্যাটমেন্ট দেখতে এখানে ক্লিক করুন। ভিডিওটি অবশ্য বর্তমানকার এ পোস্টের জন্য উদ্দেশ্য করে তৈরী করা হয়েছিলো না।) এবং আমার প্রতিবেশী ও অন্যান্য মানুষদেরকে এও বুঝতে বা বোঝাতে চেষ্টা করা যে, আমার সাথে ও আমার পরিবার এবং বংশীয় সদস্যদের সাথে ঘটে যাওয়া এ সব অনাকাঙ্খিত ঘটনায় আমি বা আমার জ্বীন কেউই দোষী নয়।

এ বিষয়ে একান্ত প্রয়োজনীয় প্রশ্ন সহ যাদের স্থায়ী বা বর্তমান ঠিকানায় চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে (আমার স্বাক্ষর ও তারিখ সহ), তাদের নিকট প্রেরিত এ চিঠিতি ও এ চিঠির রিপ্লাই চিঠিটি হুবহু ইমেজ আকারে নিম্নে উল্লেখিত হলো। যেহেতু সবাইকে একই চিঠি দিয়েছি এবং যেহেতু ইমেজ থেকে চিঠিটি পড়া যাবে না হয়তো, তাই প্রথমে চিঠিটি তুলে ধরে (প্রশ্ন ও উত্তর উভয়টি), এরপর যাদের নামে চিঠি ইস্যু করা হয়েছে এবং যারা শুধু চিঠির উত্তরে স্বাক্ষর প্রদান করেছে, তাদের চিঠিটি (প্রশ্ন ও উত্তর উভয়টি) ইমেজ আকারে উল্লেখ করা হলো-
চিঠির প্রশ্নাংশ

আল্লাহু আকবার

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

সূত্রঃ গুগল সার্চ/jinmanb.blogspot.com                                          তারিখঃ

আল্লাহু তা’য়ালার গোলাম, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এঁর উম্মত-

 জনাব আরিফ উল্যাহ চৌধুরী, গ্রাম- গোবিন্দপুর, পোঃ হাজীর বাজার, উপজেলা- ফেনী সদর, জেলা- ফেনী, বাংলাদেশ হতে

(প্রয়োজনে ০১৭১৮৯৮১৩৪৪ অথবা ০১৮২২৮৫৯৯৯১ নাম্বারে অথবা jinarif1@gmail.com এ ইমেইল এড্রেসে প্রশ্ন প্রেরকের সাথে যোগাযোগ করুন)

জনাব                                                    গ্রাম-                                               ,  পোঃ                                                  উপজেলা-,                                          জেলা-                                            , বাংলাদেশ  এর প্রতি নিম্নোক্ত প্রশ্ন সমূহের উত্তর প্রদানের জন্য অনুরোধ করছি।

প্রশ্নসমূহঃ

১। আমার মায়ের নানা সৈয়দ বংশীয় ছিলেন। আমার মা তাঁর ভাগ্নির মেয়ে। অর্থাৎ নানার মেয়ের সংসারের ভাগ্নির মেয়ে। তাহলে ইসলামী আইন অনুযায়ী নানা যদি সৈয়দ হয়, নানার মেয়ে সৈয়দ হবে এবং ভাগ্নি সৈয়দ হবে ও ভাগ্নির মেয়ে সৈয়দ হবে। নানার নাতনির মেয়ে হিসেবে আমার মা একজন সৈয়দা এবং সে সূত্রে আমরা ৩ ভাই ও ২ বোন সৈয়দ বংশীয়। মানে মায়ের দিক থেকে আমাদের বংশ সৈয়দ বংশ। অবশ্য বাবার বংশ হিসেবে আমাদের নামের পরে বর্তমানে চৌধুরী রয়েছে। কিন্তু আমি আমার মায়ের বংশ সৈয়দ হিসেবে থাকতে চাই। ফলে আমি প্রয়োজনীয় সকল স্থান হতে আমার ও আমার সন্তানদের নামের পূর্বে সৈয়দ/সৈয়দা লিখে এবং আমাদের সকলের নামের পরে চৌধুরী শব্দটি স্থায়ী ভাবে কর্তন করে ও এভাবে সংযোজন ও বিয়োজন করে আমাদের মা সহ আমার ও আমার সন্তানদের নাম এফিডেভিট করবো ইনশা’আল্লাহ। এ লক্ষ্যে আপনার নিকট ২টি বিষয় জানতে চাই। বিষয়গুলো হচ্ছে-

(ক) উপরোক্ত বর্ণনা অনুযায়ী আমার মায়ের দিক থেকে আমাদের বংশ সৈয়দ বংশ হিসেবে বৈধ কিনা? আমার মায়ের সাথে কথা বলে ও এর সত্যতার বিষয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করে উত্তর প্রদানের জন্য অনুরোধ করছি।

(খ) এফিডেভিট করে বংশীয় পরিচয় পরিবর্তনে আমার এ উদ্যোগের সাথে আমাকে হেলপিং এর বিষয়ে আপনার সমর্থন ও সহযোগিতা থাকবে কিনা? 

২। ২০০১ সনে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়, বন্দর, নারায়নগঞ্জ, এ স্কুলে শিক্ষকতা করা কালীন আমার মন, ব্রেন ও শরীরে জ্বীন বা জ্বীন জাতির একটি সম্প্রদায়ের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। মানে আমার মধ্যে জ্বীন জাতির উদ্ভব ঘটে। যারা আজো আমার শরীরে সক্রীয় ভাবেই অবস্থান করছে। যা অনুভব আর ক্রিয়াশীল আকারে আলো আর বাতাসের মতোই অনুভবশীল, দৃশ্যমান ও বিশ্বাস যোগ্য। এ বিষয়ে আপনাদের নিকট নিম্নোক্ত প্রশ্ন সমূহের উত্তর জানতে চাই-

(ক) সত্যিই কি আমার শরীরে জ্বীন বা জ্বীন সম্প্রদায় রয়েছে? এবং তা কি ক্রিয়াশীল, স্পষ্ট ও বিশ্বাসযোগ্য? এবং এরা কি পুরো একটি সম্প্রদায় (?), না শুধু একজন জ্বীন? আপনার মন্তব্য লিখুন।

(খ) আমার শরীরে অবস্থানরত ও বসবাস করতে থাকা এ জ্বীন বা জ্বীন সম্প্রদায় আমাদের এলাকার এবং এ পর্যন্ত যত স্থানে গিয়েছি সকল স্থানের কারো কোনরুপ ক্ষতি সাধন করেনি। এবং এ পর্যন্ত আমার বা আমার জ্বীনের বিরুদ্বে কেউ কোনরুপ অভিযোগ উত্থাপন করেনি এবং আমরা কারো জন্য কোনরুপ হুমকি স্বরুপও নয়। আমরা সম্পূর্ণ নির্দোষ ও নিরপরাধ। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য লিখুন।

(গ) এ জ্বীন বা জ্বীন সম্প্রদায়কে কি আপনি ঈমানদার, মুসলিম এবং আল্লাহ ভীরু ও আল্লাহ ভক্ত মনে করেন? আপনার উত্তরের স্বপক্ষে যুক্তি দেখান।

(ঘ) জনাব আরিফ উল্যাহ চৌধুরী এর সাথে থাকা জ্বীন বা জ্বীন সম্প্রদায় তার ইন্তেকাল পর্যন্ত কি তার সাথে থাকতে পারেন? বা কতদিন বা কতকাল থাকতে পারেন। এ বিষয়ে আপনার অভিমত লিখুন।

(ঙ) সর্বোপরি তাকে কি একজন জ্বীনমানব বলা যায়? সংক্ষেপে এ বিষয়ে আপনার অভিমত   জানতে চাই।

৩। জ্বীনমানব বিষয়ক সংশ্লিষ্ট পোস্ট সমূহ ar900.com এ ওয়েব এড্রেস থেকে jinmanb.blogspot.com এ গুগল লোকেশনে স্থানান্তর করার সময় শুধুমাত্র উক্ত পোস্ট সমূহের টাইটেল বা শিরোনাম এবং থামনিল ও এগুলোর নাম্বারিং ব্যতিত আর কোন কিছুতে বা কোথাও পরিবর্তন করা হয়নি। অবশ্য পরে পোস্ট সমূহের মান উন্নয়ন কল্পে এ গুলো পরিবর্ধন করা হতে পারে। তাই কিছুদিন পর পর উক্ত গুগল লোকেশনে সার্চ করে সংশ্লিষ্ট সকলের এগুলো দেখা উচিত ও প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ঐ পোস্ট এর কমেন্টস সেকশনে অভিযোগ প্রদান করা উচিৎ। আপনার ক্ষেত্রে যদি বিষয়টি প্রয়োজনীয় হয়, তবে এ বিষয়ে আপনার মূল্যবান মন্তব্য লিপিবদ্ধ করুন।

[বিঃদ্রঃ  উপর্যুক্ত এ প্রশ্নপত্রটি যাদের নিকট ম্যানুয়েলী পাঠানো হয়েছে, তাদের প্রতি প্রেরিত এ চিঠি ও তাদের নিকট থেকে প্রাপ্ত চিঠির প্রতি উত্তর jinmanb.blogspot.com এ গুগল লোকেশনের উক্ত পোস্টে আপলোড করা থাকবে। প্রয়োজন মনে করলে গুগল সার্চে ক্লিক করে jinmanb.blogspot.com লিখে সার্চ করলে তা দেখা যাবে। ইতিপূর্বে এ বিষয়ক পটভূমি ও ব্যাকগ্রাউন্ড সমূহ  ar900.com এ ডোমেনে লিপিবদ্ধ ছিলো। সেখান থেকে উপরোক্ত ডোমেনে স্থানান্তর করা হবে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে উক্ত গুগল ডোমেনে আপগ্রেড করা কালীন আমি উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে পরিবর্তন করে ফেললে তা অভিযোগ আকারে উক্ত পোস্ট এর কমেন্টস সেকশনে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হলো। উত্তর প্রদান করতে প্রয়োজন মনে করলে, এ বাস্তব গল্পের সকল পটভূমি ও ব্যাকগ্রাউন্ড ar900.com অথবা jinmanb.blogspot.com এ প্ল্যাটফর্ম দ্বয়ের যে কোন একটিতে লিপিবদ্ধ রয়েছে; সেখান থেকে দেখে নেয়া যেতে পারে। এছাড়া সম্মানিত পাঠক বর্গ আপনারাও সবকিছু যাচাই করতে পারেন। সবকিছুই আমার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম সমূহে ওপেন রয়েছে। অন্যদিকে যাদেরকে চিঠি দেয়া হয়েছে, তাদের প্রতি অনুরোধ থাকবে, আপনারা সর্বোচ্চ এক সপ্তাহের মধ্যে আপনার প্রতি প্রেরিত এ চিঠির উত্তর প্রদান করবেন। যেহেতু চিঠির প্রতি উত্তরটি আমি-ই টাইপ করে পাঠিয়েছি, শুধু প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সামান্য একটু লিখে বা শুধু কলমের খোঁচা লাগিয়ে, আর চিঠিটি ও এর প্রতি উত্তরটি ভালো করে পড়তে এবং প্রতি উত্তরের নিম্নে স্বাক্ষর প্রদান করতে এর চাইতে বেশি সময় লাগার কথা নয়।]

প্রাপ্তিস্বীকার                                                                                                   বিনীত নিবেদক,

 

                                                        (আরিফ উল্যাহ চৌধুরী)

চিঠির উত্তরাংশ

আল্লাহু আকবার

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

সূত্রঃ গুগল সার্চ/jinmanb.blogspot.com                                                      তারিখঃ

আল্লাহু তা’য়ালার গোলাম, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এঁর উম্মত-

জনাব                                                  গ্রাম-                                               , পোঃ                                                উপজেলা-,                            জেলা-                                            , বাংলাদেশ হতে 

জনাব আরিফ উল্যাহ চৌধুরী, গ্রাম- গোবিন্দপুর, পোঃ হাজীর বাজার, উপজেলা- ফেনী সদর, জেলা- ফেনী, বাংলাদেশ কর্তৃক প্রেরিত চিঠির উত্তর প্রদান।

প্রশ্নের ক্রমানুসারে ধারাবাহিক উত্তর সমূহঃ

১। (ক) জ্বী। মায়ের দিক থেকে আমাদের/আপনাদের বংশ সৈয়দ বংশ। এ বিষয়ে আমি আমাদের/আপনার মায়ের সাথে কথা বলেছি এবং আপনার সাথে যে জ্বীন বা জ্বীন সম্প্রদায় আছে তাকেও এ বিষয়ে বুঝতে চেস্টা করেছি। সবকিছু বিচার-বিশ্লেষণ করে আমি আপনাকে/তোমাকে উপর্যুক্ত এ স্বাক্ষ্য প্রদান করলাম।

(খ) জ্বী। অবশ্যই আমিএ বিষয়ে সম্ভব মত সব ধরনের সাপোর্ট ও সহযোগিতা প্রদান করবো।

২। (ক) জ্বী, রয়েছে। জ্বী অবশ্যই আপনার শরীরে যে জ্বীন রয়েছে তা ক্রিয়াশীল, স্পষ্ট ও বিশ্বাসযোগ্য। তবে এটি কি শুধু একটি জ্বীন, না পুরো একটি জ্বীন সম্প্রদায়, এ বিষয়টি আমার কাছে পরিপূর্ণভাবে ক্লিয়ার না। তারপরও আমার কাছে যতটুকু মনে হয়েছে এতে আমি মনে করি, পুরো একটি জ্বীন সম্প্রদায়। অর্থাৎ আপনার/তোমার সাথে শুধু একটি জ্বীন নয়, পুরো একটি জ্বীন সম্প্রদায় রয়েছে। আমি আপনার/তোমার গত প্রায় ২৩ বছর জীবনের কথাবার্তা, চালচলন ও আচার-ব্যবহার, ইশারা-ইঙ্গিত, শারীরিক-মানসিক বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি এবং বিভিন্ন পশু পাখি ও অন্যান্য ক্রিয়াশীল সৃষ্টি জগতের সাথে আপনার রিলেশন ইত্যাদি খুব গভীরভাবে পর্যালোচনা করে উপরোক্ত বিষয়ে এই সাক্ষ্য প্রদান করলাম।

(খ) জ্বী। যদিও জ্বীনের পরিচয় দিতে গিয়ে মানুষ ভুলবশত:, বিশেষ করে যেখানে আপনি/তুমি আপনার/তোমার প্রথম পরিচয় পর্ব আরম্ভ করেছিলে/করেছিলেন সেখানকার মানুষ শুধু অনুমান ও ধারণায় বশবর্তী হয়ে; অর্থাৎ বিশেষ করে আপনার/তোমার নিজ বাড়ি, নিজগ্রাম ও নিজ শহরের কেউ কেউ বিষয়টি না বুঝে, বা না বুঝতে পেরে আপনার/তোমার এই পরিচিতি পর্বের প্রথম দিকে আপনাকে/তোমাকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। কিন্তু মূলত আপনি/তুমি ছিলেন/ ছিলে নির্দোষ। তাই আমি উপরোক্ত কথার সাথে সম্পূর্ণ একমত। অর্থাৎ আপনার/তোমার দ্বারা আমার বা আমাদের কোন ক্ষতি সাধন হয়নি। আপনি/তুমি আমাদের কারো কোন ক্ষতি সাধন করেননি/করোনি। যেহেতু আমরা আপনাকে/তোমাকে গত প্রায় ২৩ বছর ধরে দেখেছি। এর আগেও যখন আপনার/তোমার শরীরে জ্বীন ছিল না বা আমরা দেখতে পাইনি, তখনও আপনার/তোমার শিশুকাল থেকে প্রায় ২৩ বছর ধরে আমরা আপনার/তোমার সাথে মিলেমিশে ছিলাম। তখনও আপনি/তুমি কারো কোনরুপ ক্ষতি সাধন করেননি/করোনি। আপনি/তুমি ছিলেন/ছিলে সরল প্রকৃতির সাদাসিদে মানুষ। সে বিচারে আমি মনে করি আপনি/তুমি ভবিষ্যতেও দেশ-বিদেশের মুসলিম/অমুসলিম কালো/ধলো কারো জন্য কোন রুপ হুমকি স্বরূপ নয়।

(গ) জ্বী, আমি আপনার এই জ্বীন বা জ্বীন সম্প্রদায়কে ঈমানদার ও মুসলিম সম্প্রদায় ভুক্ত মনে করি। যেহেতু ঈমান ওয়ালা কাজ, নামাজ, কুরআন তেলাওয়াত ও মসজিদের প্রতি আপনার মুহাব্বত দেখতে পাওয়া যায়। এবং তোমার/আপনার শরীরে জ্বীন আগত হওয়ার পর, গত প্রায় ২৩ বছর ধরে এ মোহাব্বত আরো অনেক বেশি পরিমাণে দেখতে পাওয়া গিয়েছে। সেই হেতু আমি আপনার/তোমার বিষয়ে এই মন্তব্য প্রদান করলাম।

(ঘ) জ্বী, আমি মনে করি থাকতে পারেন। যেহেতু তোমার/আপনার এ জ্বীনকে তাড়াতে গিয়ে, তোমার/আপনার মরহুম বাবা ও ভাইয়েরা অনেক চিকিৎসা তদবীর করেছে; এবং এই কাজে তোমার/আপনার জায়গা জমিও প্রায় সব বিক্রি করে ফেলতে হয়েছে। কিন্তু আজ ২৩ বছর ধরেও এ জ্বীনকে বা জ্বীন সম্প্রদায়কে তোমার/আপনার নিকট থেকে কেউ তাড়াতে পারেনি। যার জন্য আমি মনে করি, এ জ্বীন বা জ্বীন সম্প্রদায়ের কোন একটি উদ্দেশ্য রয়েছে; এবং তা হয়তো শুধু তোমাকে/আপনাকে ঘিরেই। না হয় এতদিনে হয়তো ওরা অন্য কারো দেহে চলে যেতে পারত; বা তোমাকে/আপনাকে অন্তত ছেড়ে যেতে পারতো। কিন্তু তারা তা করেনি। আবার এই জ্বীন জাত ইচ্ছে করলে হয়তো তোমাকে/আপনাকে স্থায়ী ভাবে পাগল বা মানসিক রুগী  করে ফেলতে পারতো অথবা এভাবের উপর দায়েম ও কায়েম করেও রাখতে পারতো। কিন্তু তাও তারা করেনি। যেহেতু ওরা তোমার সাথে গত একটা দীর্ঘ সময়, প্রায় ২৩ বছর ধরে থেকেছে। তাই হয়তো তোমাকে নিয়ে তারা কোন উদ্দেশ্য সফল করতে চেষ্টা করছে বা করবে অথবা করে চলেছে; এবং তাদেরকে যেহেতু ফরহেজগার মুসলিম বলেই দেখতে পাচ্ছি; সুতরাং আমি তোমার/আপনার বিষয়ে উপরোক্ত এই মন্তব্য প্রদান করলাম।

(ঙ) জ্বী, বলা যায়। যেহেতু আপনি/তুমি একজন আমাদের মতই মানুষ ছিলেন/ছিলে। এবং আমরা আপনার/তোমার জন্মের পর থেকে এ পর্যন্ত তোমার/আপনার সাথে একসাথে, এ সমাজে মিলেমিশে বসবাস করছি বা এখন পর্যন্ত করে চলেছি। সে হিসেবে আমরা বলছি যে, আপনার/তোমার বয়স প্রায় ২৩ বছর হওয়া পর্যন্ত আমরা আপনার/তোমার নিকট এই ধরনের কোন কিছু দেখতে পাইনি বা পাওয়া যায়নি; এবং এরপর গত প্রায় ২৩ বছর ধরে অদ্যাবদি, অর্থাৎ পূর্বোক্ত ঐ একই সময়, মানে ২৩ বছর আপনার/তোমার শরীরে জ্বীন বা জ্বীন সম্প্রদায়ের আবির্ভাব দেখতে পাওয়া গিয়েছে। তবে এটি কখনো প্রকাশ্য ছিলো, আবার কখনো গুপ্ত ছিলো।  ফলে একদিকে যেমন একটা বড় ধরনের সময় আপনি/তুমি আমাদের নিকট মানুষ হিসেবে ছিলে; ঠিক তেমনি আবার সে পরিমাণ, মানে সমান সমান সময় ব্যাপিয়াই তোমাকে/আপনাকে আমরা জ্বীন হিসেবেও, মানে জ্বীনের ক্রিয়েটিভিটি হিসেবেও দেখতে পাচ্ছি। আপনার/তোমার মাঝে মানুষের ক্রিয়েটিভিটিও রয়েছে; আবার মানুষের ক্রিয়েটিভিটি নয়, বা মানুষ যা করতে পারে না এমন, বা সাধারণ মানুষের দ্বারা যা সম্ভব না, এরুপ ক্রিয়েটিভিটিও রয়েছে, যা আমরা দেখতে পেয়েছি। মহান আল্লাহ দুনিয়ায় ২ জাত সৃষ্টি করেছেন। একটি মানুষ, অপরটি জ্বীন। যেহেতু তোমার/আপনার অনেক গুলো বৈশিষ্ট মানুষের হতে পারে না; অর্থাৎ মানুষ এসব করতে পারে না বিধায়, আমরা এসব বৈশিষ্ট্য জ্বীনের বলে বুঝে নিয়েছি। যা তোমার/আপনার সাথে কিছু দিন থাকা ছাড়া বা তোমাকে/আপনাকে গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করা ছাড়া হয়তো সাধারণ দৃষ্টিতে বুঝা যাবে না। তবুও বিষয়টি দুনিয়ার আর কোথাও এভাবে দেখতে পাওয়া না যাওয়ার কারণে ও বিশ্বাস অবিশ্বাসের ক্ষেত্রে; যেহেতু মানুষ অদেখা বিষয়ে বিশ্বাস করতে রাজী না; তথাপি তোমার/আপনার বিষয়ে আমার কাছে বিশ্বাসযোগ্য বলেই মনে হয়েছে। ফলে আমি আপনাকে/তোমাকে একজন জ্বীনমানব বলে আখ্যায়িত করলাম।

৩। এ প্রশ্নটি আমার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। / হ্যাঁ, আমি আপনার/তোমার বর্তমান লোকেশনে এ কনটেন্ট সমূয় স্থানান্তরিত করার বিষয়টি অর্থাৎ তোমার/আপনার বর্তমান লোকেশন jinmanb.blogspot.com এ google ব্লগার ওয়েব এড্রেসটি ভালো করে দেখেছি। এতে আপনি/তুমি বর্তমান পোস্ট সমূহের টাইটেল, থামনিল ও নাম্বারিং করা ছাড়া আর কোন পরিবর্তন করেননি/করোনি। আমি কিছুদিন পরপর এই লোকেশনটি ভিজিট করবো ইনশাল্লাহ; এবং যে কোন অগ্রহণযোগ্য পরিবর্তন লক্ষ্য করলে অবশ্যই সকলের জ্ঞাতার্থে আপনার/তোমার নিকট এর কারণ জানতে চাইবো। অথবা সকলের জ্ঞাতার্থে সংশ্লিষ্ট পোষ্টের কমেন্ট সেকশনে এর বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করবো ইনশাআল্লাহ।

                                                                                                                            বিনীত নিবেদক,

                                                     স্বাক্ষর ও তারিখ-

নাম

(বিঃদ্রঃ পোস্টটি প্রকাশের  কমপক্ষে ১৫ দিন পর এ পোস্টের সর্বশেষে লিখিত পরিশেষ অংশ পোস্টটি আপডেট করে লিখা হবে। পরিশেষ অংশ এ জন্য লিখা হবে যে, আমার পরিবার ও বংশীয় সদস্য এবং পরিচিত ব্যক্তিবর্গের মধ্যেকার যারা চিঠির উত্তর দেননি, তারা হয়তো কোন কারণে দেননি বা যে কোন প্রতিবন্ধকতা থাকার কারণে দিতে পারেননি অথবা আমায় হিংসা করে দেননি অথবা যে কারণেই না দেন না কেন; কিন্তু আমি কোন মিথ্যা আবেদন করেছি কিনা, এ বিষয়ে কেউ আমাকে বেড় কমেন্টস করেছে কিনা; সে বিষয় গুলো এনালাইসিস করে তা ক্লিয়ার করার জন্য এ অংশটি লিখা হবে। এছাড়া এর আরেকটি অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে, কমেন্টস সমূহ পর্যালোচনার মাধ্যমে ar900.com থেকে জ্বীন সম্পর্কিত প্রবন্ধগুলো আপগ্রেড করতে কোন রকম পরিবর্তন করেছি কিনা তা নিশ্চত হওয়ার উদ্দেশ্যে। সর্বোপরি এ পোস্টের একটি সঠিক ও সত্য সারাংশ প্রদানই হবে এ অংশের মূল কাজ। অতএব যারা আমাকে চিনেন ও জানেন; তাদের প্রতি অনুরোধ থাকবে, দয়া করে আমার এ পোস্ট বা এ সম্পর্কিত বিষয় গুলোতে যদি মিথ্যা বা নেগেটিভ জাতীয় অন্যায় আবদার বিষয়ক বিন্দুমাত্রও কিছু পেয়ে থাকেন; তাহলে দয়া করে অবশ্যই কমেন্টস করবেন ও আমাকে জানাবেন।)

যাদেরকে চিঠি দেয়া হয়েছে এবং যারা এ চিঠির প্রাপ্তিস্বীকার ও উত্তরপত্রে স্বাক্ষর করে তা ফেরত দিয়েছে তাদের চিঠির ইমেজ সমূহ নিম্নে উল্লেখিত হলো:

১। সালমা আক্তার (আমার স্ত্রী)


২। হালিমা খাতুন (আমার মা)


৩। মোঃ হানিফ সওদাগর, বিশিষ্ট্য ব্যবসায়ী, সমাজসেবক ও রাজৈনতিক ব্যক্তিত্ব (বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী), গোবিন্দপুর, হাজীর বাজার, ফেনী।
৪। হারিছা খাতুন, আমার সহোদর বড় বোন-

মন্তব্যঃ আমার ভাই-ভাবী ও পরিচিতজনদের কয়েকজনই আমার এ চিঠিটি প্রত্যাখান করেছে। মানে প্রশ্নের প্রাপ্তি স্বীকারে ও উত্তরপত্রে স্বাক্ষর প্রদান না করে ফেরত দিয়েছে। অবশ্য আমার জ্বীনই কয়েকজনকে স্বাক্ষর না দিতে ইঙ্গিত প্রদান করেছে, যা আমি বুঝতে পেরেছিলাম। অতএব এ কোন্ হেকমত তা আমি বুঝিনা। আর তাই যারা স্বাক্ষর দেয়নি বা দিচ্ছে না, আমি তাদের কারো প্রতি নারাজ না। কিন্তু তারা যে কারণেই হোক না কেন, হয়তো স্বাক্ষর দেয়নি। তবে আমি আমার এ প্রশ্নপত্রে কোন ধরনের মিথ্যা, ভ্রানোয়াট বা কারো প্রতি কোন ধরনের ভূল আবেদন করিনি। আমি ১০০% সত্য আবেদন করেছি। যারা স্বাক্ষর করেননি তারা সহ যারা আমাকে চিনেন ও জানেন, আপনারা যদি মনে করেন যে, আমি মিথ্যা বা কোন ধরনের উদ্দেশ্য প্রণোদিত আবেদন করেছি, তাহলে দয়া করে এ পোস্টের কমেন্টস সেকশনে তা বুঝিয়ে লিখতে সবিনয় অনুরোধ করছি। কেউ যদি কমেন্টস না করেন বা কমেন্টস করলে, তবে আমি যদি সঠিক উত্তর দিতে পারি, তাহলে এতে অবশ্যই প্রমাণিত হবে যে, আমি সৈয়দ বংশীয় মানুষ এবং আমার সাথে জ্বীন বা জ্বীন সম্প্রদায় রয়েছে। এছাড়া আরো প্রমাণিত হবে যে, আমার জ্বীন বা জ্বীন সম্প্রদায় কারো জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে না।
#পরিশেষ: এ প্রবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছিলো ৩ অক্টোবর ২০২৪ খ্রি. তারিখে। তখন আমি লিখেছিলাম আমি জ্বীন হওয়ার বিষয়ে এবং সৈয়দ বংশীয় সদস্য হওয়ার বিষয়ে যদি কারো কোন ধরনের কনফিউশন থাকে বা এ বিষয়ে কোন ধরনের নেগেটিভ ধারনা থাকে, তাহলে কমেন্টস সেকশনে তা বুঝিয়ে লিখতে। যাতে আমি নিজেও সঠিক বিষয়টি বুঝতে পারি। তখন আমি এও বলেছিলাম যে, সে পোস্টটি পাবলিশের কমপক্ষে ১৫ দিন পরে আমার আত্মীয় ও পরিচিত জনদের কমেন্টস সমূহ পর্যালোচনা করে আমি একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাবো ও তা এ পরিশেষ অংশে লিখে এর মাধ্যমে সবাইকে জানাবো। অবশ্য গত ২৩ বছরের মধ্যে ঘটমান আমার অবস্থা যাচাই ও পর্যবেক্ষণ করে এবং সৈয়দ বংশের বিষয়ে আমার মায়ের স্ট্যাটমেন্ট প্রদান ইত্যাদি সব মিলিয়ে আমি ঘোষণা দিয়েছিলাম যে, অবশ্যই আমি সৈয়দ বংশীয় জ্বীনমানব। 
তবে আজ অনেকদিন জ্বীন আমার শরীরে নিষ্ক্রীয় হিসেবে রয়েছে এবং আমার মনে হচ্ছে এখন যেন আমার শরীরে জ্বীন নেই।
কথার কথা ধরুন, জ্বীন আমার শরীরে আর প্রস্ফুটিত হলো না; তবুও সৈয়দ বংশতো আর কোনদিকে যাবে না!

গত ২৩ বছরের মধ্যে জ্বীন আমার শরীরে বহুবার প্রকাশিত হয়েছে; আবার নিষ্ক্রীয়ও হয়েছে। যা আমার এলাকাবাসী প্রত্যক্ষ করেছে। 

আর আমার শরীর থেকে আলাদা ভাবে যদি জ্বীন আমার নিকট না আসে তাহলে আমি জ্বীনমানব কিনা তা হয়তো প্রমাণিত হবে না। তাই এখনো যখন জ্বীন আলাদা ভাবে আমার নিকট আসেনি, তাই বিষয়টি আমি পেন্ডিং ও রিভিউ'র মধ্যেই রেখে দিলাম। 

এবং জ্বীন যাতে সরাসরি তার নিজস্ব অবয়বে আমার নিকট আসে, সে জন্য সকলের নিকট দোয়া কামনা করলাম।

 যেহেতু গত ২৩ বছরে আমার জীবনে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা পর্যালোচনা করলে এটি স্পষ্টই বুঝা যায় যে, আমার সাথে জ্বীন রয়েছে এবং আমি জ্বীন মানব।  তবুও  জ্বীন আলাদা ভাবে না আসলে মানুষের নিকট জ্বীনমানব হিসেবে আমার নিজের প্রমাণ উপস্থাপন করতে আমি পারবো না।

 অতএব আমি জ্বীনমানব হওয়ার বিষয়ে এখনো যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি। 

পরবর্তী ভবিষ্যত সময়ে জ্বীন যদি আলাদা ভাবে সরাসরি আসে তাহলে তখন ইনশা'আল্লাহ বিষয়টি প্রমাণিত হবে এবং সে পর্যন্ত জ্বীন আমার শরীরের সাথে মিশে, তবে আলাদা ভাবে না এসে, আমাকে যতই ডিস্টার্ব বা কষ্ট দিক, তবুও বিষয়টি রিভিউ আর পেন্ডিং হিসেবেই বিবেচিত হবে।

অপরদিকে আমার বংশ সৈয়দ বংশ হওয়ার বিষয়ে, যেহেতু আমার মা, তিনি যে সৈয়দ বংশীয় তা আমার ভাই-বোন, মসজিদের ঈমাম (মাওঃ আবু তাহের) এবং সমাজের আরো ২/১ জনকে (সওদাগর মোঃ হানিফ), ইনাদেরকে তিনি নিজে বলেছেন, তাই বিষয়টি অকাট্য ভাবে প্রমাণিত।

 অতএব এ বিষয়ে যখন আমি ইনকাম করতে পারবো বা যদি আল্লাহ্ আমাকে ভালো ইনকাম দেন তখন আমি ইনশাআল্লাহ, আমার মায়ের, আমার সন্তানদের নামের এফিডেবিট করানোর মাধ্যমে আমাদের নামের শুরুতে সৈয়দ সংযোজন করবো ও নামের শেষ অংশ থেকে চৌধুরী বাদ দিবো।

আমার ভাই-বোন সহ সংশ্লিষ্ট যে কারো যদি এ বিষয়ে কিছু বলার থাকে, তাহলে এ পোস্টের কমেন্টস সেকশনে তা বলতে পারেন। আগে আমাকে কিছু না বলে, যখন কাজে হাত দিবো (আল্লাহ যদি তাওফিক দেয়), তখন আমাকে বাধা দেওয়া বা যে কোন ভাবে আমাকে অপমান করা; এগুলো অবশ্যই আপনাদের অন্যায় হবে, যা আমি আগ থেকে জানিয়ে রাখলাম। আমার মা জীবিত থাকতে আপনারা কে কী বলতে চান, বলুন এবং বলার জন্যই আমি উৎসাহিত করছি। 
আমার মা স্পষ্ট বলছেন যে, তাঁর নানা সৈয়দ ছিলো। আর তিনি তার এ সৈয়দ নানার ভাগ্নি সম্পর্কিত নাতিন।

আমি এতোদিন যে রিভিউ করেছি, এতে আমার মা মিথ্যা বলেছেন বলে মনে হয়নি। এবং আমার ভাই-বোন সহ চারপাশের কেউ আমার মায়ের এ কথায় কোন ধরনের নেগেটিভ কমেন্টস করেননি।
অতএব এ কথা প্রমাণিত যে, আমার মায়ের বংশ সৈয়দ বংশ। মানে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর বংশ। মানে হযরত ফাতেমা (রাঃ) এর বংশ। আর সে সূত্রে আমি বা আমার বংশও রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এঁর বংশ। মানে আমরা আওলাদে রাসূল (সাঃ)। 

এ বংশের মর্যাদা কী তা আমার ভাই-বোনেরা যদি না বুঝে এবং তারা যদি বাবার দেয়া চৌধুরী হিসেবেই থেকে যেতে চায়, সেটা একান্তই তাদের ব্যাপার। আমি তাদের বিষয়ে কোন ধরনের মন্তব্য করতে রাজী না। 

কিন্তু আমি ভাই ঐ ইংরেজ খেতাব চৌধুরী হিসেবে থাকতে পারবো না। আমি নিজকে আওলাদে রাসূল (সাঃ) হিসেবেই দাবী করলাম।

আর আপনাদের কেউ যদি আমাকে আওলাদে রাসূল (সাঃ) হিসেবে মেনে নিতে রাজী না থাকেন; তাহলে এ পোস্টের কমেন্টস সেকশনে আমাকে বুঝিয়ে বলুন কেন আপনি বা আপনারা আমাকে আওলাদে রাসূল (সাঃ) মানতে নারাজ বা রাজী না। 

বলুন! আমার মা কি মিথ্যা বলেছেন(?) বা বলছেন?

আমার মা বা আমি মাতৃকূলের দিক থেকে সৈয়দ। আর সৈয়দ বংশ মাতৃকূল ও পিতৃকূল উভয় সাইড থেকেই বৈধ ও স্বীকৃত। যা সে সুদূর অতীত থেকেই প্রমাণিত। আপনারা ইতিহাস পর্যালোচনা বা ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করলেই এর সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত ভাবে বুঝতে পারবেন।

আর আমাদের এ সম্মানিত বংশটি মাতৃকূল থেকে বিস্তৃত হওয়ার কারণে হোক বা পারিবারিক নির্যাতন বা অবহেলার কারণে হোক অথবা আমার ভাইদের মতো আমাদের বংশের অতীত সদস্যগণের অনেকে বাবার বংশ বা উপাধি গ্রহণ করার কারণে হোক বা অর্থনৈতিক মন্দার কারণে হোক বা অন্য যে কারণেই হোক না কেন; আর তাই হয়তো আমাদের কারো নামের আগে সৈয়দ শব্দটি নেই। কিন্তু তাই বলে আমাদের বংশটিতো আর মিথ্যা নয়?
 বংশটি যদি সত্যিই সৈয়দ হয়; আর আমরা যদি সত্যিই আওলাদে রাসূল (সাঃ) হই; তাহলে আপনারাই বলুন এ বংশটি ডুবে যাবে কেন? 

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এঁর বংশ; অথচ তা ডুবে যাবে?

আমারতো মনেহয় এ বংশের হেফাজত, এ বিষয়টি আমার আপনার সকলের নৈতিক ও ধর্মীয় দায়িত্ব।

 দেখুন, আমি কোন ব্যক্তিগত সম্মান চাই না এবং দুনিয়াতে কোন ধরনের বাহুবলীয় বা কূটকৌশলীয় সম্মান আমার প্রয়োজন নাই। এটা আমার স্বভাব পর্যালোচনা করলে, তবে যারা আমায় চিনেন, তারা ঠিকই বুঝতে পারবেন বা পেরেছেন।

 আমার প্রয়োজন আমার মহান রব আল্লাহকে পাওয়া। আর আল্লাহকে পেতে হলে আমার এতো বংশীয় মর্যাদা আবশ্যিক বলে আমি মনে করি না। কিন্তু বংশটি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এঁর বংশ! মূলত আমার ব্যক্তিগত সম্মান নয়; রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এঁর সম্মানেই এ বংশীয় খেতাবটি আমি আমার এ দৈন্যদশার সময়ে ডুবন্তের হাত থেকে উদ্ধার করতে ও নিজেদের নাম এফিডেভিট করতে উদ্যেগ নিয়েছি।

 আমার এখন কী রকম দৈন্যদশা এবং আমি এখন কী রকম অসহায় তা আমার এলাকাবাসী ঠিকই জানে।

 মানুষের এ অবস্থায় কোন মানুষই বংশীয় খেতাব নিয়ে এতো লিখা-লিখি করা, ধৈর্য ধরে সময় ব্যয় করা, আমি কেন, যা কোন মানুষের দ্বারাই হয়তো সম্ভব নয়।

একটু চিন্তা করলেই বিষয়টি হয়তো বুঝতে পারবেন যে, আমি ব্যক্তিগত সম্মানের চাইতে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এঁর, অর্থাৎ আমাদের এ বংশটি ডুবন্তের হাত থেকে পূনরুদ্ধারের জন্যেই মূলত এ জেহাদে নেমেছি। 

আশা করি আপনারা আমায় এ বিষয়ে সহযোগিতা করবেন।

অতএব গত ২৩ বছরের সকল ঘটনা ও তথ্য যাচাই-বাচাই এবং পর্যালোচনা পূর্বক অদ্য ২৩/১০/২৪ ইং তারিখে ফাইনালি ভাবে আমি এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, আমার বংশ সৈয়দ বংশ, তথা আমরা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এঁর ওয়ারিশ।

এরপরও যদি কেউ কিছু বলতে চান বা বোঝাতে চান, যেহেতু আমি আগেই বলেছি এটা আমার কোন বাহুবলীয় সম্মানের জন্য নয়, তাই যতক্ষণ পর্যন্ত সরকারি ভাবে নামের এফিডেভিট না করবো, ততক্ষণ আপনারা নির্দিধায় যে কোন পরামর্শ বা গ্রহণযোগ্য কথা আমায় বলতে পারেন। আমি অবশ্যই আপনাদের যে কোন পরামর্শ সাদরে গ্রহণ করবো।

 যেহেতু আল্লাহকে পেতে হলে বা বেহেশত পেতে হলে নামের পূর্বে বংশীয় খেতাব থাকতে হবে; ইহা মানুষের জন্য কোনক্রমেই আবশ্যিক নয়। তাই আপনাদের প্রতি আমি সহযোগিতার আহবান করে ও আমার জ্বীন সম্পর্কিত বিষয় এবং আমি সৈয়দ বংশীয় সদস্য হওয়ার বিষয়টি ফাইনালী ভাবে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আজ এ পোস্টের মাধ্যমে জানিয়ে দিলাম। এবং এটিই আমার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

ধন্যবাদ। সকলে ভালো থাকুন।