পাবলিস্টঃ ০১ নভেম্বর ২০২৪
সম্মানিত আমার ভাই-বোন, বাড়ির লোক সকল, আত্মীয়-স্বজন, এলাকাবাসি ও সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আমার স্ব-শ্রদ্ধ সালাম। আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
আমার জীবনে ঘটে যাওয়া গত প্রায় ২৩ বছরের মধ্যে যে সব অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটমান হয়েছিলো, এবং যা আমি ফেসবুকে শেয়ার করেছিলাম ও যা আমি আমার ar900.com এ ওয়েবসাইটে লিপিবদ্ধ করেছিলাম এবং যেখান থেকে আমি হুবহু এ ব্লগে আপগ্রেড় করেছিলাম ও এখনো এগুলো পূর্বের মতোই রয়েছে; আমার এ প্রবন্ধ গুলো আমি বারবার ফেসবুকে শেয়ার করার পরও আমার এ ২টি বিষয়ে (আমি আওলাদে রাসূল (সাঃ), মানে সৈয়দ বংশীয় হওয়া ও জ্বীনমানব হওয়া) ২/১ জন অপরিচিত ব্যক্তি বা যিনি আমার এলাকায় থাকেন না, এ রকম ব্যক্তির ২/১টি নেগেটিভ মন্তব্য ব্যতিত আর কেউই কোন ধরনের মন্তব্য করেননি।
শুধুমাত্র যখন ম্যানুয়েলি ভাবে আমার নিকটজনদের নিকট চিঠি দিয়ে উপরে উল্লেখিত আমার এ ২টি বিষয়ে পজিটিভলি তাদের কাছে এ চিঠির উত্তর চেয়েছি, তখন কেউ কেউ উত্তর দিয়েছেন, আবার কেউ কেউ উত্তর দিতে রাজি হননি। এ চিঠি ও এর উত্তর এ ব্লগার ওয়েবসাইটের ১৯ নং পোস্টে (এর আগের পোস্টে) রয়েছে।
অপরদিকে আমার মা বলেছিলেন যে, উনার নানা সৈয়দ বা আওলাদে রাসূল (সাঃ) ছিলেন।
উনার এ সৈয়দ নানার নাকি একটা পালকি ছিলো ও তাঁর ৪/৫ জন খাদেম ছিলো। আর আমার মায়ের নানার খাদেম গণ তাঁর পালকিটি বহন করে নিয়ে যেতেন ও তাঁর হাজতগুলো পূর্ণ করার কাজে সব ধরনের সহযোগিতা করতেন। এবং তিনি হাফেজ ও আলেম ছিলেন। পবিত্র রমজান মাসে তিনি বিভিন্ন মসজিদে তারাবীর নামাজ পড়াতেন। আমাদের বাড়ির পাশের মসজিদেও (তিতারকান্দি মসজিদ) নাকি তিনি পবিত্র রমজান মাসে তারাবীর নামাজ পড়াতে এসেছিলেন।
তাঁর গ্রামের বাড়ি বা স্থায়ী ঠিকানা কী ছিলো তা আমার মা বলতে পারেননি। অবশ্য না পারারই কথা। যেহেতু আমার মা, তাঁর সৈয়দ নানার ভাগ্নি ঘরের নাতিন, তাই আমার মা হয়তো একেবারেই ছোট ছিলেন এবং হয়তো তাঁর এ সৈয়দ নানা একেবারেই বুড়া ছিলেন। হয়তো আমার মায়ের বয়স কম হওয়ায় তিনি তাঁর এ সৈয়দ নানার ঠিকানা বলতে পারেননি। আবার রিলেটিভস হিসেবে তাঁদের পারষ্পরিক সম্পর্ক একটু দূরবর্তী হওয়ায় এবং তাঁর সৈয়দ নানার বয়স বেশি হওয়ার প্রেক্ষিতে তিনিও হয়তো বার্ধ্যক্যজনিত কারণে ঘর বা বাড়ির বাহিরে চলাচল না করতে পারায় আমার মা তাঁর এ সৈয়দ নানার ঠিকানা বলতে পারেননি। তাছাড়া আমার মায়ের একেবারে শিশু বয়সে, আমার নানা ও আমার মায়ের, তাঁর নিজ মায়ের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় এবং তা এ কারণে যে, আমার নানার নাকি তখন তেমন কোন ইনকাম ছিলো না, তাছাড়া অন্য কারণও থাকতে পারে; এখানে এতো কিছু লিখার প্রয়োজন মনে করছি না।
তো শিশুকালেই আমার মাকে পালক হিসেবে আমাদের বাড়ির পাশের এক বাড়িতে দত্তক নিয়ে আসা হয় (গোবিন্দপুর, ফেনী)।
এছাড়াও আমার নানাদের পূর্বের বাড়ি ছিলো ফেনী জেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের মজুপুর গ্রামে। কিন্তু পরে তারা দাঁতমারা বাজার, চট্টগ্রাম (হেঁয়াকোঁ) এ পার্বত্য অঞ্চলে স্থায়ী ভাবে বসতি স্থাপন করেন এবং বর্তমানেও সেখানেই আছেন। ফেনীর দৌলতপুরে এখন আর তাদের কিছুই অবশিষ্ট্য নেই। তারা এখন স্থায়ী ভাবে দাঁতমারা বাজার, এ পার্বত্য অঞ্চলেই থাকেন।
এ কথা গুলো আমার মা আমাকে বলেছেন। মায়ের মুখ থেকে সব কিছু বুঝে শুনে ও বিচার বিশ্লেষণ করে আমার বিশ্বাস হয়েছে যে, আমার মা সত্য বলেছেন।
আমার মা আরো বলেছেন, তাঁর এ নানা নাকি কোথাও খাওয়ার জন্য কোন ধরনের দাওয়াত গ্রহণ করতেন না; অর্থাৎ তাঁর রান্না-বান্না নাকি এ ৪/৫ জন খাদেমই সম্পন্ন করতো।
ওয়াজের জন্য যেখানেই যেতেন, তিনি নাকি কোথাও অন্য কারো হাতের রান্না খেতেন না; যা আমার মা আমাকে এনশিউর করেছেন। তিনি যা খাবেন, তা শুধুমাত্র তাঁর খাদেমগণই পাকাতেন; অন্য কেউ নয়। এছাড়া কখনো কোথাও তিনি অন্য কারো খাওয়া খেতেন না।
দোকান, বাজার, হোটেল কিংবা কারো বাসা বা বাড়ি বা ওয়াজের মন্স বা এরিয়া ইত্যাদি কোন স্হানে কখোনো কোন ধরনের খাওয়া-দাওয়া তিনি করতেন না।
আমার মা তাঁর এ নানার ভাগ্নি ঘরের নাতিন। অর্থাৎ আমার মা মাতৃকূলের দিক থেকে তাঁর এ সৈয়দ নানার সূত্রে সৈয়দ বংশীয় সদস্য। এবং আমি ও আমার সন্তানেরা আমার মায়ের সূত্রে এবং মাতৃকূলের দিক থেকে সৈয়দ বংশীয় সদস্য।
দেখুন সৈয়দ বংশের সদস্য মানে আমরা আওলাদে রাসূল (সাঃ)।
তাহলে ভালো করে বুঝতে চেষ্টা করুন; আমার এ দাবীটি যদি মিথ্যে হয় বা দাবীকারীর মানে আমার জন্য যদি তা হক বা বৈধ না হয় বা কোন সূত্রের সন্ধান না পেয়ে বা কোন ভিত্তিমূল নেই, এরপরও যে কোন উদ্দেশ্য প্রণোদিত বা দুনিয়াবী মান-সম্মান বা দুনিয়াবী অন্য কোন ধান্দা নিয়ে যদি আমি এ আবেদন করি, তাহলে আমি মনেকরি ঐ দাবীকারী ব্যক্তির মানে আমার দুনিয়া-আখিরাত উভয়টিই বরবাদ হতে বাধ্য এবং অবশ্যই মহান রবের পক্ষ থেকে আমি কঠিন শাস্তির উপযুক্ত।
সৈয়দ বংশ, হযরত ফাতেমা (রাঃ) এঁর বংশ, মানে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এঁর বংশ।
বেহেশতী রমনিদের সর্দার এবং আখেরী নবী, মহান রব আল্লাহু তা'য়ালার বন্ধু ও সমগ্র সৃষ্টি জগতের যিনি শিক্ষক ও যিনি সকলের জন্য রহমত স্বরুপ, সে নবীর (সাঃ) এঁর আদরের কন্যা হযরত ফাতেমা (রাঃ) ও ইসলামের তৃতীয় খলিফা ও রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এঁর জামাতা হযরত আলী (রাঃ) এঁদের বংশ থেকে যে বংশের সূচনা বা প্রারম্ভিকতা;
সুতরাং এটি অবশ্যই সত্য যে, কেউ যদি বৃথা এবং নাহক, অবৈধ বা দুনিয়াবী কোন উদ্দেশ্য নিয়ে বেহুদা এ সম্মানিত বংশের ও এ রকম শ্রদ্ধেয় একটি বংশের সদস্য হিসেবে নিজকে দাবী করে, তাহলে তা আমাদের নবী রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এঁর বংশকে, তাঁর পরিচয়কে কলংকিত করার শামিল হবে।
নবী (সাঃ) এঁর বংশকে অপমাণ করা মানে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে অপমাণ করা।
অতএব ইহা স্পষ্টই বুঝা যায় যে, হযরত ফাতেমা (রাঃ) এঁর পরিচয়কে বিকৃত করা, হযরত আলী (রাঃ) এঁর পরিচয়কে বিকৃত করা এবং রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এঁর পরিচয়কে বিকৃত করা, তথা এ সম্মানিত বংশকে কলংকৃত করা, এটি কত বড় গুনাহের হতে পারে!
আপনারা সকলেই জানেন, একজন মুমেনকে বেহেশত পাওয়ার জন্য, আল্লাহু তা'য়ালাকে পাওয়ার জন্য তার নামের আগে বা পরে বংশীয় পরিচয় থাকতে হবে, ইহা কখনোই আবশ্যিক নয়!
বরং কালের পরিক্রমায় এমন অনেক মানুষ থাকতে পারে বা রয়েছে; যাদের নামের আগে বা পরে সৈয়দ বা সাইয়্যেদ নেই; আসলে তারা হয়ত মূলগত ভাবে সৈয়দ বংশেরই সদস্য।
তাঁরা প্রকৃত ভাবে সৈয়দ বংশের সদস্য হওয়ার পরেও, শুধুমাত্র তাঁদের নামের আগে বা পরে সৈয়দ শব্দটি না থাকার কারণে, তাঁরা কি এ বংশের ফজিলত ও বরকত পাবে না?
উত্তর হচ্ছে, ঈমান ও আমল অনুযায়ী অবশ্যই পাবে।
তাহলে কথা হলো আমি কেন আমার এ চরম অবহেলা, অসহযোগিতা, দৈন্যদশা এবং অর্থহীনতার এ সময়ে আমাদের নামের এ এফিডেভিট করতে এভাবে উঠেপড়ে লেগেছি।
আসলে আমিতো আমার সূত্র বুঝতে পেরেছি। তাহলে সত্যকে সত্য বলা ও তা মানুষের নিকট দৃশ্যমান করা এটা আমার দায়িত্ব।
প্রত্যেক সত্যেরই থাকবে একটা সম্মানবোধ। সেটা কোন মানুষ বা জ্বীনের নয়। সে সম্মান আসলে সত্যের।
আর তা দৃশ্যমান করার মাঝে বা মেনে নেয়ার মাঝেই ঐ সত্যকে তার প্রকৃত সম্মান দেয়া হয় বা দিতে হয় বা দেয়া যায় বলে আমি মনে করি। সত্যকে লুকিয়ে রেখে বা গোপন রেখে বা বুঝতে পারার পরেও প্রকাশ না করে, কখনোই সত্যকে সম্মান দেয়া যায়, এটা কিন্তু কোন যৌক্তিক কথা নয়।
অর্থাৎ এ অবস্থায় কখনোই সত্যকে তার প্রকৃত সম্মান দেয়া যায় না।
একজন ঈমানদার হিসেবে সত্যকে তার উপযুক্ত অবস্থানে দৃশ্যমান করা এবং সকলে যাতে তা বুঝতে পারে সে ব্যবস্থা করা, ইহা সকল মুমেন মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব তথা আল্লাহর হুকুম বলেই আমি মনে করি।
আর বুঝতে পারার পরেও যদি কোন সত্যকে সাপোর্ট করা না হয় বা গোপন রাখা হয়, তবে তা হবে একটি কবীরা গুনাহ। হয়তো আমাদের এ উপলব্ধি না থাকায় আমরা তা বুঝতে পারি না।
সত্যকে প্রকাশ বা দৃশ্যমান করার মাধ্যমেই সত্যকে সম্মান দিতে হয়; গোপন করার মাধ্যমে নয়।
আর এ সত্যকে মানে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এঁর এ বংশকে মানে সৈয়দ বংশকে সম্মান প্রদর্শন করতেই মূলত তাঁর বংশকে দৃশ্যমান করার জন্য বা আমাদের নামের এফিডেভিট করার জন্য আমার এ প্রাণান্তর প্রচেষ্টা।
এখন কথা হচ্ছে, আমি যে সৈয়দ বংশের সদস্য বলে গলা ফাটাচ্ছি তা আসলে সত্য কিনা?
এ বিষয়ে আমিতো আমার মায়ের সাথে কথা বলেছি এবং উনাকে সত্যিকার ভাবে ও গভীর ভাবে বুঝতে চেষ্টা করেছি এবং এ বিষয়ে আমার সাথে থাকা জ্বীনের কারণে আমার ভিতর থেকে উৎসারিত শারীরিক ও মানসিক প্রাকৃতিক উপস্বর্গ সমূহ গত দ্বীর্ঘ সময় ব্যপী এনালাইসিস করেছি, যা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সাঃ) প্রতি পজিটিভ বলেই মনে হয়েছে এবং এমন মনে হয়েছে যে, আমি হয়তো সম্মানি মানুষদের কেউ।
কিন্তু কই, আমারতো তেমন কোন আমল নেই! এবং আমি আলেম-হাফেজ এ রকমও কেউ নই! তাহলে হঠাৎ করে আমার মানসিক পরিবর্তন ঘটবে এবং আমি আল্লাহ ওয়ালা হতে থাকবো! আল্লাহর কথা শুনলে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এঁর কথা শুনলে, আল্লাহর অলিদের কথা শুনলে চোখে পানি আসবে, এর মানেটা কী!?
আমার এ দীর্ঘ ও চুলচেরা গবেষণার ফলাফল হিসেবে আমি যা বুঝতে পেরেছি, তা হচ্ছে আমার মা যা বলেছেন এবং আমার মন ও শরীর থেকে অটোমেটিক্যালি ভাবে বা আমারই অজান্তে প্রাকৃতিক ভাবে প্রকাশিত এসব ইশারা-ইঙ্গিত, ভাব-ভঙ্গিমা, ও বিভিন্ন উপস্বর্গ অনুযায়ী, এ সব সত্যেরই স্মারক।
তার মানে আমার মা সত্য বলেছেন। তার মানে আমি বা আমার সন্তানেরা সৈয়দ বংশেরই সদস্য! মানে আমরা যোগ্যতা, ঈমান ও আমল অনুযায়ী আওলাদে রাসূল (সাঃ)।
এছাড়া আর কোন যোগসূত্রতো আমি দেখিনা যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সাঃ) এঁর জন্য আমি এভাবে দিওয়ানা হতে পারি! আর যদি তা না হয়, তাহলে আপনারাই বলুন (?), আমি কোন্ যোগসূত্রে, যেমন কেউ তাবলীগে গিয়ে আবার কেউবা পীর-মুর্শীদ ধরে, আল্লাহর দিকে, তথা ইসলামের দিকে মুভ হয়; আর আমি কোন্ লিংকের কারণে (যেহেতু আমি তাবলীগেও যাইনি, কোন পীর-মুর্শিদও ধরিনি এবং সরাসরি আমি কোন ইসলামি দলেরও সদস্য নই) এভাবে আল্লাহ মুখী,রাসূল(সাঃ) মুখী হতে শুরু করলাম।
ফলে আমি স্পষ্টই বুঝতে পারলাম, না! আমার মা মিথ্যে বলেননি! আমি এবং আমরা আসলেই সৈয়দ বংশীয় সদস্য! রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এঁর শান ও মানের কারণে শুধুমাত্র তাঁর বংশীয় সদস্য হওয়ায় এবং তাঁর প্রতি ভক্তি-শ্রদ্ধা, তথা ইসলামী শরিয়তের মৌলিক বিষয় সমূহের প্রতি আমার সাধারণ মান্যতা থাকায় (হয়তো)! মহান রব আমার জীবনের এ পরিবর্তন করে অটোম্যাটিক্যালি, তিনি নিজ থেকে তাঁর দিকে আমাকে মুভ করছেন।
মানুষ নিজের ভূল নিজে সাধারণত ধরতে পারেনা।
দেখুন বর্তমানে আমার কাছে অনেকেই টাকা পাবেন এবং যা প্রায় ৩/৪ বছর হয়ে গেছে, অথচ আমি এখনো আপনাদের টাকা দিতে পারিনি। আপনাদের কেউ কেউ ৪০,০০০ আবার কেউ ৭০,০০০ / ৮০,০০০ কিংবা ১ জন আছেন তিনি মনে হয় প্রায় লক্ষাধিক টাকা পাবেন। সব মিলিয়ে আমার পাড়া প্রতিবেশী ও পরিচিত ব্যক্তিগণ এখনো আমার কাছে আনুমানিক প্রায় ৫/৬ লক্ষ টাকা পাবেন।
এ টাকা পরিশোধের উপযুক্ততা বা যোগ্যতা হিসেবে কোন ইনকামের অবস্থাও এখনো আমার নেই। অলরেডী মানুষের সহযোগিতা ছাড়া আমার ছেলে-মেয়েদেরকে বাঁচানোর সুযোগ এখনো আমার সৃষ্টি হয়নি এবং আমার বয়সও প্রায় ৪৭ কি ৪৮ বছর।
এ অবস্থায় আপনাদের ঋণ পরিশোধের কোন ওয়ে আমার হবে কিনা তা কারো জানা নেই। এবং আমি নিজেও এখনো জানি না বাড়ি-ঘর মিলিয়ে যে অল্প কয়েক ডিসিমেল জমি আমার রয়েছে, তা বিক্রী করতে পারবো কিনা এবং আমার ঋণ পরিশোধ করে আমি পরিশুদ্ধ হতে পারবো কিনা!
কারণ এ গুলো বিক্রী করতে গেলে আমার স্ত্রী-সন্তানেরা হয়তো প্রবল বাধা দিবে। আবার উপযুক্ত বা কোনরকম দামে এগুলো কিনবেইবা কে?
আলহামদুলিল্লাহ! আমার ভাইদের অর্থনৈতিক যে অবস্থান, ভাইদের জীবনের জন্যতো হয়তো এগুলো অত জরুরীও নয়। তাছাড়া এখানে কিছু প্যাঁচের বিষয়ও রয়েছে। যেহেতু আমাদের মধ্যে (চাচাতো-জেঠাতো ভাইদের) এখনো বন্টন নামা দলীল হয়নি।
ফলে জমি বিক্রী করে যে লোন বা মানুষের পাওনা পরিশোধ করবো, সে সুযোগও আসলে একেবারেই ক্ষীণ।
ফলে চারদিকে অনেক গুলো মানুষের নিকট আমি ঘৃণিত। অপমাণিত। অবহেলিত।
একই ভাবে আমার নিজ বড় ভাই-বোন এবং বাড়ির সবাই যেন আমার প্রতিপক্ষ। যে কাজেই হাত দিই, তারা সহযোগিতা না করে আমায় শুধু বাধা দেয়; মনে হয় তারা যেন আমার প্রতিদন্ধী। তারা যেন আমার সাথে সামাজিক সম্মান-অসম্মানের প্রতিযোগিতাই করছে!
এর কারণ আমার অতীতের পোস্ট সমূহে লিপিবদ্ধ রয়েছে। কেউ যদি আমার এ সব বুঝতে চান তাহলে আমার ঐ পোস্টগুলো পড়ে বুঝে নিতে পারেন। একই কথা আমি বার বার বলতে পছন্দ করিনা। তাছাড়া উনারা আমার নিজ সহোদর ভাই-বোন বা জেঠাতো ভাই-জেঠাতো বোন। বা তাদের মানে আমার আপনজন।
দেখুন, আমি আলেম হাফেজও নই; আবার অর্থ-কড়িও আমার নেই। রাজনৈতিক দল-বলও আমি করি না।
অথচ টাকা-পয়সা ছাড়া, চেয়ার ছাড়া, সার্টিফিকেট ছাড়া আমি শুধু বড় লোকের মতো চলি। বড় আমলী আলেমের মতো জীবন-যাপন করতে চাই।
আচ্ছা বলুনতো!? আমার এ অবস্থায়, এ পরিণতিতে কে আমাকে সম্মান করবে? কে আমাকে বড় লোক হিসেবে মেনে নিবে? কে আমাকে বড় লোকের মতো মান দিবে?
এছাড়া এ অবস্থায়ও আমি ১০০% ইসলাম মেনে চলতে চাই। মূল সত্য অনুযায়ী জীবন-যাপন করতে চাই।
তাহলে সমাজের প্রায় সবগুলো মানুষ আমার বিরোধী হবে, আমার বিরোধিতা করবে, এটা অনেকটা স্বাভাবিক।
হ্যাঁ আজ তারা বিরোধিতা করুক, একান্ত ভাবে আমি তাই চাই। আজকে, অন্তত আজকে, আপনারা আমার বিরোধিতা করুন। প্লিজ! আপনারা আমায় বলুন যে, আমার মা যে সৈয়দ বংশীয় বলছেন; এটি আসলে সত্য কিনা!? প্রয়োজনে আমার মায়ের সাথে একটু কথা বলুন। বুঝতে চেষ্টা করুন, আমরা আসলে আওলাদে রাসূল(সাঃ) কিনা!? এবং দয়া করে ও যুক্তি সহকারে আমায় একটু পরামর্শ দিন।
প্লিজ আমার ইহকাল ও পরকাল নষ্ট করে দিবেন না!? এমনিতেই এ বংশের নাম নিয়ে বা স্বভাবগত ভাবে নরমালও চলতে পারি না! বা পারছি না। আমার উচ্চ বংশীয় এ স্বভাব গুলো আসলে অনেকটা প্রাকৃতিক।
অবশ্য আমার এ অবস্থায় মানুষও আর কোন ধরনের মূল্যায়ন করতে চায় না! বা মূল্যায়ন করার জন্য কোন উপকরণ খুঁজে পায় না!
অপরদিকে আমি নিজেও বুঝতে পারছিনা যে, আসলে বিষয়টা কী? আমি সৈয়দ বংশীয় সদস্য হবো, মানে আওলাদে রাসূল (সাঃ) হবো। আবার ফকির-মিছকিন আর ইয়াতিমের মতো হয়ে কষ্টের পর কষ্ট করবো, আর অপমানের পর অপমান সইবো; এটা কতটুকু যৌক্তিক হবে।
সৈয়দ বংশ কি আল্লাহু তা'য়ালার নিকট সম্মানিত বংশ নয়? তাহলে আল্লাহু তা'য়ালা আমাকে এতো অপমাণিত করবেন কেন?
রাসূলকে (সাঃ) ভালোবাসলাম, আর গরীব হয়ে গেলাম, এটা মানা যায়; কিন্তু রাসৃলকে (সাঃ) ভালোবাসলাম আর পাপী হয়ে গেলাম, মানুষের কাছে ঘৃণীত হয়ে গেলাম, এটা কিভাবে মানতাম?
গতবার ইসলামী অর্থনীতি বিষয়ক সমিতি প্রতিষ্ঠা ও আমার ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবসায়, আপনারা, মানে আমার আপনজনেরা, মানে আমার রক্ত ও বীর্য সম্পর্কিত আত্মীয়-স্বজনেরা সবাই বিরোধিতা করলেন, কেউ সাথে থাকলেন না, ও এ বিষয়ে সমাজকে আনসাপোর্টেড করলেন, তবুও আপনাদের কারো কথা শুনলাম না। সমাজের কিছু হৃদয়বান মানুষকে নিয়ে গড়ে তুললাম সমিতি। ৭/৮ বছর সুন্দর ভাবেই চালিয়ে ছিলাম। কিন্তু এ বিষয়ে এখন আমি মহাপাপী। এ একটি কারণে মানুষ এখন আমার নিকট লাখ লাখ টাকা পাবে। অথচ পরিশোধের কোন সুযোগ, এমনকি খেয়ে পরে বাঁচার কোন সুযোগ এখন পর্যন্ত আমি দেখছি না। যার কারণে এলাকাতে আমি অপরাধী। মহাপাপী।
ভাবতে বড় অবাক লাগে। করতে চাইলাম মানুষের খেদমত, করতে চাইলাম আল্লাহু তা'য়ালার ইবাদত, রাত দিন পরিশ্রম করলাম; সীমাহীন ত্যাগ স্বীকার করলাম! অথচ এ বিষয়ে আজ আমি পাপী হয়ে গেলাম।
তাহলে কি আমার মনে কোন দূর্বিসন্ধী ছিলো!? না, মূলগত ভাবে এটি আত্মীয়-স্বজনের কারিষ্মা! না অন্য কিছু! তাহলে এমনটি কেন হলো? যে কারণে আমি আজ ঘর ছাড়া!বাড়ি ছাড়া!
করছি বা করতে চাচ্ছি আল্লাহর ইবাদত, ডাকছি আল্লাহকে; অথচ আমি দোযখের পথযাত্রি!?
সমীকরণতো একেবারেই মিলছেনা।
এখনো যদি ঠিক একই ভাবে আমি সৈয়দ বংশীয় না হয়েও, আওলাদে রাসূল(সাঃ) না হয়েও, এর দাবী করি; আর নামের এফিডেভিট করি ও মিথ্যা আওলাদে রাসূল (সাঃ) সাজি! তাহলে এই যে মহাপাপ আমার; এ নরক প্রাপ্তি কি আর কোনদিন রিকোভারী করতে পারবো আমি?
প্লিজ আমার আপনজনেরা! আমাদের বাপ-দাদা ও নানা-এর পূর্বসূরীদের সাথে এ রকম নিমকহারামী করবেন না? যেহেতু আপনারা আমায় বিরোধিতা করেছেন, আমার পূর্বোক্ত বিষয় গুলোতে সাপোর্ট করেননি; তাই আজকের এ বিষয়টিতেও আপনারা আমার বিরোধিতা করুন।
আমাকে বুঝিয়ে দেন যে, এ বিষয়ে আমার মা মিথ্যা বলছেন। আমার সাথে থাকা জ্বীন মিথ্যা ইশারা-ইঙ্গিত বা বিভিন্ন উপস্বর্গ প্রকাশ করেছেন বা করে চলেছেন। আপনারা দয়া করে আমার মায়ের সাথে কথা বলুন।
আপনারা হয়তো মনে করতে পারেন, সৈয়দ বংশ এফিডেবিট করা, এটা এতো মূল্যবান কিসের? এটা আমার কাছে মহামূল্যবান ভাই। এ সৈয়দ বা সাইয়্যেদ পরিচয় বা আওলাদে রাসূল (সাঃ) পরিচয়, আমার কাছে যেন একটি রত্ন! যেন অন্তরের প্রশান্তি!
আজ আপনারা আমার বিরোধিতা না করে, যৌক্তিক ভাবে আমায় না বুঝিয়ে; যখন কাজে নেমে যাবো বা আল্লাহর রহমতে আমার ও আমার মা এবং সন্তানদের নামের এফিডেভিট করানোর কাজে হাত দিবো এবং প্রসেসিং কার্যক্রম ও সরকারি নিয়মানুযায়ী বিভিন্ন দপ্তর বা বিভাগে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সমূহ পরিচালনা করবো বা একসময় হয়তো ইনশা'আল্লাহ সমাধা করে নিজকে সৈয়দ হিসেবে, মানে আওলাদে রাসূল (সাঃ) হিসেবে পরিচয় প্রদান করবো (আল্লাহু তা'য়ালা তাওফিক দিলে); তখন এর যে কোন পর্যায়ে প্রকাশ্যে কিংবা গোপনে এবং গীবত-চোগলখুরী করে সমাজের মানুষের কাছে আমায় বা আমার মায়ের বা আমার সন্তানদের বিরোধিতা করবেন, বা যে কোন ভাবে আমাদেরকে অপমান করবেন, হেয় প্রতিপন্ন করবেন; দয়াকরে এ ঘৃণ্য মীরজাপরি কাজগুলো করবেন না।
আমি আবারো বলছি, আপনারা এ বিষয়টিতে এতোদিন বিরোধিতা করতে পারতেন, কিন্তু করেননি!! সমস্যা নেই; এখনো আমাকে বুঝিয়ে বলতে পারেন, তবে এ পোস্টের কমেন্টস লিখে। সরাসরি নয়। যাতে সকলেই বুঝতে পায় যে, আপনি কী বলতে চাচ্ছেন? আমাকে আপনি কী বোঝাতে চাচ্ছেন।
তবে অবশ্যই তা যৌক্তিক ভাবে। না হয়, ইতিমধ্যে আপনারা দেখেছেন, আমার যা স্বভাব, এতে সত্যের বিষয়ে আমার কোন আপন-পর নেই। এবং কলমের খোঁচায় ইনশা'আল্লাহ আমি বোকাও না। অতএব উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে আমি বুঝতে পারবো না মনে করে যদি আমায় অপমাণ করতে চান এবং এ লক্ষ্যে যদি কোন ধরনের বুদ্ধি পরিচালনা করেন, তবে আপনি যেইই হননা কেন, আমার কলম কিন্তু আপনার সেই কুতসিৎ রুপ মানুষের নিকট প্রকাশ করতে পিছপা হবে না এবং আপনারা আমার অতীত সময়ে কিন্তু দেখেছেন, একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর আমার আপনজনদেরকেও আমি কিন্তু ছাড়িনি। আর এখন সময় ক্ষেপনের প্রশ্নই আসেনা।
অন্যদিকে আমার জ্বীন সংক্রান্ত বিষয়ে, আমার এর আগের পোস্টে (১৯ নং পোস্ট) ফাইনাল সিদ্ধান্ত দিয়েছি যে, যদিও জ্বীন আমার সাথে সব সময় থাকে, কখনো প্রকাশ্যে এবং কখনোবা অপ্রকাশ্যে; তবুও যেহেতু এটি আলাদা ভাবে তার নিজস্ব অবয়বে বা তার নিজ শরীরে আমার নিকট আসেনি বা যতদিন না আসে, ততদিন বা এখনো আমার নিকট আমি জ্বীনমানব হওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হয়নি। এটি এখন থেকে পরবর্তী যে কোন সময়ের জন্য পেন্ডিং ও রিভিউ আকারে থাকবে।
এ বিষয়ে আজকের এ পোস্টে আমি ঘোষণা দিচ্ছি যে, যদিও গল্পটির নামকরণে আমি লিখেছি যে, আমি সৈয়দ ও আমি জ্বীনমানব। অবশ্য গল্পের নামকরণ যখন একবার ডিসপ্লে করা হয়ে গেছে, তখন এ গল্পের নামকরণ আর চেঞ্জ করা হবে না ইনশা'আল্লাহ!!
যেহেতু আমি যতটুকু বুঝতে পেরেছি যে, আমার সাথে আমার মহান রবের স্পেশাল একটা কিছু রয়েছে; কিন্তু যতদিন না, সে আলাদা শরীরে আমার নিকট আসবে, ততদিন এটি জ্বীন, না রবের স্পেশাল অন্য কোন কিছু, তা প্রমাণিত হবে না বিধায় নিজকে আমি এখন থেকে জ্বীনমানব বলার বিষয়টি এক্সফান্স বা উগ্র করলাম।
সে সাথে একবার যখন আমি নিজকে মানুষের নিকট পরিপূর্ণ জ্বীনমানব হিসেবে বলার পর, আবার তা উগ্র করতে হয়েছে এবং এতোদিন, প্রায় ২৩ বছর আমায় সহ্যের পর সহ্য করিয়েও যখন সে একটিবারের জন্যেও তার নিজস্ব শরীরে আমার নিকট আসেনি; তাই আমি এখন চাই যে, সে যদি মূলত ও আসলেই আমার উপকার করতে চায়, তাহলে সে আমার শরীরে থাকুক ও তার নিজ থেকে তার মতো করে উপকার করুক ও মানুষের নিকট সে ডিসপ্লে হোক।
কিন্তু আমাকে বুঝতে দিয়ে সে যেন কাউকেই কোন ধরনের ইশারা-ইঙ্গিত বা কোন ধরনে উপস্বর্গ প্রকাশ না করে এবং আমাকে অবশ বা আমার জ্ঞান-বুদ্ধিও যেন সে খর্ব বা এটাক না করে; যাতে মানুষদেরকে আমি আবার নিজকে জ্বীনমানব হিসেবে পরিচয় দিতে না হয়।
আমার মুখের কথার একটা মূল্য রয়েছে। একবার একটা বলবো; আবার আরেকটা বলবো। এটাতো হবে না। আমাকে যদি আবার নিজকে জ্বীনমানব বলতে হয়, তাহলে আমার সাথে থাকা এ জ্বীনকে অবশ্যই আলাদা ভাবে তার নিজস্ব অবয়বে আসতে হবে।
তাহলে আমার শরীরে থেকে, তার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে, এতে আমাদের মানে আমাদের দুজনের মানে আল্লাহর কী লাভ? বরং এটা একটা ঝামেলার ব্যাপার। তাই আমার শরীরে থেকে আমাকে বুঝতে দিয়ে কোন ধরনের উপস্বর্গ প্রকাশ করা, এটা আমার জন্য কল্যাণকর বলে মনে হচ্ছে না আমার কাছে।
আপনারা যারা আমায় চিনেন ও জানেন, তারা নিশ্চয় বলতে পারবেন জ্বীন নামের এ বিষয়টি কেমন করে আমাকে গত ২৩ বছরে আমার জীবন উল্টে-পাল্টে দিয়েছে। এ সময়ে কত ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে আমাকে। প্রায় মিসকিন আর ফকির হয়ে যেতে হয়েছে আমাকে। আমার এতো বছরের লেখাপড়া; হাই স্কুলে সিনিয়র স্কেলের চাকুরী; অনেক আশা-আকাঙ্খার ক্যারিয়ার আমার। এ সব কিছুই আমাকে পরিত্যাগ করতে হয়েছে। আর যার কারণে আমাকে এতো কিছু ত্যাগ করতে হলো, সে একটি বারের জন্য আমার নিকট তার নিজস্ব অবয়বে আসবে না; তাহলে এটি কোন একপ্রকার শয়তানের করসাজিওতো হতে পারে!?
আবার ঠিক একই ভাবে সৈয়দ বংশ হলো আল্লাহর নিকট সম্মানিত বংশ। অথচ আমার যেন এক যিল্লতির জীবন! সৈয়দ বংশের সদস্যও হবো; আবার অপমাণিতও হতে থাকবো, মাঝে-মধ্যে এটাতো যৌক্তিক বলে মনে হয় না আমার। এ জন্যে আজ বার বার ভাবী, আসলেই কি আমি বা আমরা আওলাদে রাসূল (সাঃ)? না ২০০১ সন থেকে আমার জীবনে যা ঘটে গেল এর সবই শয়তানী? আমাকে কি তাহলে শয়তান ঘ্রাস করেছে বা করেছিলো?
বিপরীতক্রমে আবার এটিও আমার মনে হয় যে, আমার এতো দৈন্যদশা, এতো এতো ফকিরি-মিসকিনি। যেখানে মানুষের দয়া-দাক্ষিণ্য ছাড়া আজ যেন আমি আমার ও আমার পরিবারের বাঁচাটাই অসম্ভব।
আমাকে এভাবে অবহেলা, নিষ্পেশন; ও ঋণের ভারে আজ আমি যেন মানুষের নিকট ঘৃণিত ও সকলের চক্ষুশূল। কিন্তু এরপরও আমি যেন একজন বাদশা। কথা-বার্তা, আচার-আচরণ ও চাল-চলনে আমি যেন এ দেশের বাদশার চাইতেও বাদশা। তাই আমার নিজের মধ্যে, নিজেরই প্রশ্নজাগে, ইহা আসলে কিসের লিংক। উচ্চ বংশীয় কোন লিংক না থাকলে, এ অবস্থায় এ মানসিকতা, এটি সাধারণ ভাবে মানুষের দ্বারা হয়তো কখনোই সম্ভব নয়।
তাই বারংবার আমার এটিও মনে হয় যে, আমরা আসলে সৈয়দ বংশেরই। সৈয়দ বা সাইয়্যেদ বংশের মতো এ রকম উচ্চ বংশের সদস্য হওয়ার কারণেই হয়তো আমার মনের এ রকম অবস্থা। মনোগত ভাবে আমি যেন একজন উচ্চ প্রকৃতির মানুষ। যেন একজন বাদশা!
প্লিজ আমার ভাই-বোন, পাড়া-প্রতিবেশী ও পরিচিত জনগণ আমাকে বাঁচান। আমাকে নিশ্চিত ধ্বংসের হাত হতে রক্ষা করুন। আপনারা আমায় পরামর্শ দেন যে, আসলেই আমি সৈয়দ বংশের কিনা? আসলেই আমার মা সৈয়দ বংশের সদস্য কিনা? না আমার মায়ের এ বিষয়ক যে জ্ঞান ও লিংক, এতে কোথাও ভূল রয়েছে? অথবা আমার এ মিসকিনি হাওলতে, তিনি আমাকে মিথ্যে বলে মূলত আমাকে প্রলুব্ধ করছেন ধ্বংসের দিকে ধাবিত হতে?
সূদীর্ঘ সময় যদিও আমি চরম দারিদ্রের কষাঘাত ও মানুষের অবহেলা ও অপমাণের মধ্য দিয়ে জীবন-যাপন করছি, তবু এ দীর্ঘ সময়ে আমার যে রিভিউ, এতে আমি নিশ্চিত, আমি সৈয়দ, আমি আওলাদে রাসুল (সাঃ)।
আজ ১ নভেম্বর পোস্টটি প্রকাশ করলেও; এ পোস্ট প্রকাশের কমপক্ষে ১০ দিন পর আপনাদের কমেন্টস অনুযায়ী এ পোস্ট এর পরিশেষ অংশ প্রকাশ করে আমার জ্ঞান ও বিশ্বাস অনুযায়ী আমার সিদ্ধান্তের বিষয়টি চুড়ান্ত ভাবে আমি আপনাদেরকে জানাবো ইনশা'আল্লাহ।
আমি আশা করবো, আল্লাহু তা'য়ালার যে হুকুম, "যে তুমি নিজে বাঁচ এবং তোমার আহালকে বাঁচাও।" পবিত্র কোরআন শরীফের এ হুকুম মেনে আপনারা আমায় সহযোগিতা করবেন এবং বলবেন যে, প্রকৃত ভাবে আমি সৈয়দ বংশের বা আওলাদে রাসূল (সাঃ) এর দাবিদার হতে পারি কিনা?
যেহেতু আমাকে এখন অনেকেই দেখতে পারেন না, তাই আশা করবো আমার বিরোধিতা করবেন এবং বিষয়টি সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত পেশ করবেন।
গত পোস্টটি প্রকাশ করেছিলাম (১৯ নং পোস্ট) ০৩/১০/২৪ তারিখে এবং ঐ পোস্টের কমেন্টস সেকশন ও এ ধরনের সকল পোস্টের ফেসবুক ও ইউটিউব কমেন্টস সেকশন এবং এ বিষয়ক অতীতের সমস্ত বিষয় পর্যালোচনা ও গবেষণা করে এ ১৯ নং পোস্টের পরিশেষ অংশে গত ২৩/১০/২৪ ইং তারিখে আমি ফাইনালি ভাবে আমার বৈচারিক সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলাম।
বিষয়টি অতীব গুরত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর হওয়ায়, এ বিষয়ে আমি আজকের প্রবন্ধটিও প্রকাশ করলাম।
পরিশেষঃ এ পোস্ট পাবলিস্ট করা হয়েছিলো গত ০১/১১/২০২৪ ইং তারিখে। কিন্তু আজ ১৪/১১/২০২৪ ইং তারিখ পর্যন্ত কেহই এ পোস্টের বিষয়বস্তু সম্পর্কে কোন ধরনের নেগেটিভ মন্তব্য করেনি। ফলে আমি নিশ্চিত আমি সৈয়দ বংশীয়। পূর্বের পোস্ট সমূহের মতো এ পোস্টটিও আমি ফেসবুকে শেয়ার করেছিলাম। এতে কেহ কোন ধরনের মন্তব্য না করায়, ফাইনালি ভাবে প্রমাণিত হলো যে, আমার মায়ের, আমার ও আমার সন্তানদের নামের এফিডেবিট করতে আমার আত্মীয়-স্বজন সহ কারো কোনধরনের দ্বিমত নেই। অর্থাৎ সকলে এ বলে বিশ্বাস বা সত্যায়ন করছেন যে, আমরা আওলাদে রাসূল (সাঃ)। দেইখেন আপনাদেরকে জানিয়েই কিন্তু আমি আমার মায়ের বংশ সৈয়দ বংশ হিসেবে আমি ও আমার বংশীয় পরিচয় দিতে যাচ্ছি। পরে আমাকে যেন কেউ দোষারোপ না করেন।
ধন্যবাদ সকলে ভালো থাকেন।
0 মন্তব্যসমূহ