বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আপনাদের পার্মিশন বা মতামত চাই!
প্লিজ জরিপে অংশ নিন। লিখিত ভাবে জরিপের প্রতি উত্তর দিয়ে, স্পষ্ট করে বলুন যে, আমাকে সম্মানজনক ভাবে আপনাদের সাথে থাকতে দিবেন!? ওপেন হতে দিবেন!? না দিবেন না!? আমাকে মেনে নিবেন!? না নিবেন না!?
জরিপের প্রশ্নঃ আপনাদের নিকট জানতে চাচ্ছি যে, ইসলাম অনুযায়ী মানব জাতীর সাথে জ্বীন জাতীর বিয়ে জায়েজ কিনা?
[সম্পূর্ণ প্রবন্ধটি পড়ার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করছি।]
জরিপের উত্তরঃ ১। জ্বী, জায়েজ।
অথবা ২। না, জায়েজ নাই।
[যে বা যারা জায়েজই বলবে না, সে বা তারা কেমন করে আমায় সম্মান ও নিরাপত্তা দিবে!? তাহলে তার বা তাদের নিকট ওপেন হয়েই'বা আমার লাভ কী? সুতরাং তার বা তাদের কাছে ওপেন হওয়া বা থাকতে চাওয়াটাই আমার বোকামী]
[আমার রক্ত সম্পর্কিত আত্মীয়গণ এ জরিপের আওতাবহির্ভূত থাকবে। তাদের জন্য এ জরিপ প্রযোজ্য নয়।]
কমেন্ট করে উপরের যে কোন একটি উত্তর দেয়ার জন্য আপনাকে সবিনয় অনুরোধ করছি। তবে আপনি যদি ২ নং উত্তরটি দেন, তাহলে চিন্তা করুন, শাফেয়ী মাযহাব কেমন করে এটিকে জায়েজ মনে করে? (শাফেয়ী মাযহাব জায়েজ মনে করে কিনা তা এখানে ক্লিক করে এবং ঐ প্রবন্ধটি পড়ে বুঝে নিন) তারা কি মুসলমান না!? উত্তর দিবেন শুধুমাত্র এই সাইটে। কারণ সোসাল মিডিয়া বা অন্য কোন সাইটে উত্তর দিলে তা হারিয়ে যাবে এবং আপনি আমি কেউই তা প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন ও সংরক্ষণ করতে পারবো না। সুতরাং, অন্য কোন সাইটে উত্তর দিলে তা ধর্তব্য হবে না। উত্তর দিতে প্রথমে আপনার ইমেইল দিয়ে লগইন করুন। যেহেতু আপনি কে, আপনার পরিচয় কী, তা আমাদেরকে এবং গুগলকে জানতে হবে।
আমি আমার সাথে থাকা এ পরীকে বিয়ে করতে চাই। পড়া চালিয়ে যান, সম্পূর্ণ প্রবন্ধটি পড়ুন, তাহলে বুঝতে পারবেন, কেন আমি এ কাজটি করতে চাই!
এছাড়া আমি যে শুধু লিখিত ভাবে জরিপ চালাবো তা কিন্তু নয়। বাস্তবিক ও পিজিক্যালি, ব্যবহারগত ভাবেও এলাকায় আমি বুঝতে চাইবো যে, আমার প্রতি আপনাদের ব্যবহার পরিবর্তন হয়ে সম্মানজনক হয়েছে কিনা? আপনারা আমার এ বিয়েকে জায়েজ মনে করতে পারবেন বা করেন কিনা এবং এ বিয়েকে মেনে নিয়ে আমাদেরকে শ্রদ্ধা ও সম্মানের চোখে দেখতে পারবেন কিনা? এবং সর্বপরি আমাদেরকে মুসলিম হিসেবে মেনে নিবেন কিনা? না পাপী বা দুষ্ট জ্বীন বা কাফের হিসেবে বিবেচনা করবেন?
সাধারণত স্বাভাবিক ভাবে সম্ভব হতে পারে না, অনলাইনে এ ধরনের তথ্য দিয়ে প্রচার করা পোস্ট সমূহের প্রায় সবগুলোই মানুষকে ব্লাক মেইল করে পোস্টকারীর স্বার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে মানুষকে ধরাশায়ী বা ক্ষতিগ্রস্থ করার উদ্দেশ্যেই প্রকাশ ও প্রচার করা হয়। যারা আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে চিনেন ও জানেন, তারা অবশ্যই স্বীকার করতে বাধ্য হবেন যে, মানুষকে ক্ষতিগ্রস্থ করার বিন্দুমাত্র নিয়ত আমার নেই। এমনও নয় যে, জ্বীনের মিথ্যা গল্প সাজিয়ে ধাঁন্দাবাজি মার্কা মনগড়া চিকিৎসা করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার কৌশলী নিয়তে আমি এমন পোস্ট করেছি। আসলে আমার যোগ্যতা থাকা স্বত্তেও গত ২৪ বছর ধরে জ্বীন দ্বারা আক্রান্ত হয়ে আমি কেমন অসহায় আর মজলুম হয়েছি তা আমার এলাকাবাসী সকলেই জানে! তবে কথা হচ্ছে, যদি জ্বীন'ই হয়, তাহলে সে আসছে না কেন, এ প্রশ্নটির উত্তর খুঁজতেই এবং জ্বীনের জন্য একটা অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে, মানে সম্মানজনক একটা সম্পর্ক গড়তেই আমি তাকে বিয়ে করতে চেয়েছি। অর্থাৎ জ্বীনকে প্রত্যক্ষ ভাবে জনসম্মুখে মানব অবয়বে নিয়ে আসার প্রচেষ্টা হিসেবে আমি এ কাজটি করতে চাচ্ছি। এমনিতে তাদের অধিকার কী যে, তারা এ ধরায় কারো নিকট আসবে? তারা কি কোন জায়গা-জমির মালিক? তাহলে তাদের সম্মানজনক আসন বা সূত্র কই যে, মানুষের পাশাপাশি তারা আত্ম প্রকাশ করবে। এ চিন্তা থেকে আমি চেষ্টা করছি, তাদেরকে একটি সম্মানজনক আসন দিয়ে এ ধরার বুকে তাদেরকেও ওপেন করতে। তাদেরকে ওপেন করে আল্লাহু তা'য়ালার পরিচয় প্রকাশ করা, মুসলিম হিসেবে জ্বীন ও মানুষ, সকলেরই এ দায়িত্ব রয়েছে বলেই আমি মনে করি। অথচ আপনারা নিজেরা কোরআন-হাদীস রিসার্চ না করেই, শুধু ঈমাম আবু হানিফা (রহঃ) যেভাবে বলেছেন, ঠিক সেভাবে বলে বেড়াচ্ছেন ও মেনে চলেছেন। এমনকি আমি এর বিপরীত কেন বলেছি, সে শাস্তিও আমাকে দিয়ে যাচ্ছেন। একজন মুজতাহিদের ইজতেহাদে কিছু না কিছু ভূল বা দ্বীমত থাকতেই পারে। এটা অস্বাভাবিক কিছু না। যেখানে আপনাদের চোখের সামনে ঈমাম শাফেয়ী (রহঃ) জ্বীন ও মানুষের বিয়েকে জায়েজ মনে করেন। একজন খাঁটি ও জ্ঞানবান মুসলমান হিসেবে নিজে কোন কিছু রিসার্চ না করে, নবী, রাসূল ও রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এঁর সাহাবীগণ (রাঃ) ব্যতিত অন্য কাউকে হুবহু মান্য করা, তা কখনো কাম্য হতে পারেনা। তাই আপনাদের প্রতি অনুরোধ থাকবে, আপনারা নিজেরা কোরআন হাদীস রিসার্চ করুন এবং জ্বীন জাতিকে মানব জাতির পাশাপাশি প্রত্যক্ষ ভাবে প্রকাশ করার প্রচেষ্টায় আমার সাথে অংশ নিন এবং খুঁজে বের করুন যে, আর কী কী সমস্যা থাকার কারণে, জ্বীন জাতি এ ধরায় প্রকাশ হতে পারছে না বা প্রকাশ হচ্ছে না এবং আল্লাহু তা'য়ালার একটা সৃষ্টি লোকচক্ষুর অন্তরালে থেকে যাচ্ছে। আর আল্লাহু তা'য়ালার সত্যবাদিতায় কিছু মানুষ প্রশ্নতুলে ঈমান আনয়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে! এমনটি নয় যে, কোরআন হাদীসে জ্বীন জাতি মানব রূপে ওপেন হতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে!? অতএব কোরআন হাদীস রিসার্চ করে এ জরিপের জায়েজ উত্তর দেয়ার জন্য আপনাদের সকলের প্রতি আমার আবেদন থাকলো!
সবকিছু পরিষ্কার ভাবে জেনে-বুঝে এ পোস্ট প্রকাশের কমপক্ষে ১২০ দিন পর আমার সিদ্ধান্ত; মানে আপনাদের প্রতি উত্তর ও ব্যবহারের পরিপ্রেক্ষিতে স্থায়ী ভাবে আপনাদের সাথে আমি বসবাস করতে পারবো কিনা, মানে জ্বীন ওপেন করতে পারলে তখন এ স্থান ত্যাগ করে চলে যাবো বা চলে যেতে হবে কিনা, তা, তখন আরেকটি পোস্ট প্রকাশ করে ইনশা'আল্লাহ আপনাদের সবাইকে জানিয়ে দিবো।
(আপনারা যারা আমায় ব্যক্তিগত ভাবে চিনেন না বা আমাকে এখনো বুঝতে পারেননি, তারা পোস্টটি এডিয়ে যেতে পারেন। তবে না বুঝে দয়া করে কোনরূপ বাজে মন্তব্য করবেন না। পোস্টটি প্রধানত যারা আমায় চিনেন-জানেন, তাদের জন্য।)
আমাকে লক্ষ্য করে অনেকে বলতে পারেন, যা এতো হাজার বছর সম্ভব হয়নি, তা অবশ্যই অবাস্তব। সুতরাং জরিপে অংশগ্রহণ করে লাভ নেই। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, যেহেতু জ্বীন জাতি মানব রূপে আগমনের ক্ষেত্রে আল কোরআন ও আলহাদীসের কোথাও নিষেধ নাই, এবং আমার শরীরে যেহেতু এরা আসর করছে বলে দৃঢ় ভাবে প্রতিয়মান হচ্ছে, তাহলে চেষ্টা করলে হয়তো আমরা সাকসেস হতেও পারি! তাছাড়া আমার শরীর থেকেও ইশারা-ইঙ্গিত বা উপস্বর্গ বেরুচ্ছে, মানে জ্বীন জাতি থেকেই আভাস দেয়া হচ্ছে যে, সে বা তারা আসবে। এ বিশ্বাস থেকে হয়তো জরিপে অংশগ্রহণ করতে পারেন অথবা অন্তত আমাকে ভালোবেসে শুধু উপরোক্ত মাসআলায় আপনার অবস্থান জানাতে পারেন। জ্বী, আমাকে যদি আপনি ভালোবাসেন, তাহলে আমি কিন্তু মূলত এ বিষয়ে আপনার নিজস্ব মাসআলা গত উত্তরই জানতে চাই। শুধু মাসআলাকে মুখ্য মনে করেই, মাসআলার উত্তর জানতেই আপনার নিকট আমি প্রশ্ন পাঠিয়েছি। আমার প্রশ্ন হচ্ছে ইসলামের একটা জায়েজ আইন নাজায়েজ থাকবে কেন?
দেখুন, উত্তর দিতে আপনি বাধ্য নই। তবে আমাকে যদি আপনার গ্রামে, আপনার সমাজে স্থায়ী ভাবে রাখতে চান, ওপেন হওয়ার মাধ্যমে স্থায়ী ভাবে বসবাসের সুযোগ দিতে চান, তাহলে সমাজের ও পরিচিত মানুষদের উদ্দেশ্যে বলছি, আপনারা অবশ্যই উপরের ১ নং উত্তরটি দিন এবং অপরকেও দেয়ার জন্য লিংকটি শেয়ার করুন। [আমিও ফেসবুক, ইমো, হোয়াটস এপপ ইত্যাদিতে লিংকটি শেয়ার করবো।] নতুবা পরবর্তীতে আমি ওপেন হলেও বা হতে পারলেও আমি কিন্তু আপনাদের সাথে থাকতে পারবো না। যেহেতু সুসময়ে দুধের মাছির অভাব হয় না, যা একেবারেই স্বাভাবিক ও সকলেরই মুখস্থ কথা। তাছাড়া আমি একবার কোন কিছু সিদ্ধান্ত নিলে সাধারণত তা আর পরিবর্তন করি না। যেহেতু আমি বুঝে-শুনেই সিদ্ধান্ত নিই এবং ভদ্রলোক তাকেই বলা হয়, যার কথার মূল্য থাকে!
এমনিতেই গত ২৪ বছর ধরে যা সহ্য করছি এতে, আপনাদের ব্যবহার কতটা অপমাণ, নির্দয় আর নির্যাতন মূলক ছিলো; তা ভাষায় ব্যক্ত করা সম্ভব নয় এবং ভূক্তভূগী ছাড়া তা হয়তো বুঝাতেও পারবো না!! এরপরও আমি লিখিত ভাবে আপনাদের কমিটমেন্ট চেয়েছি, শুধু আপনারা আমার জন্মভূমির মানুষ! আর তাই আপনাদের সাথে থাকতে পারবো কিনা এ আশায়!!
দেখুন, জ্বীন যদি সত্যিই আমার সাথে থেকে থাকে, তাহলে সে কি দুই মিনিটের অথবা ১ পলকের জন্য হলেও আমার নিকট ওপেন হয়ে, আমাকে উৎসাহ যোগাতে পারে না!? তার ওপেন হতে সমস্যা কোথায়? তাহলে এখন যখন আমার নিকট ওপেন হতে সে পারছেনা, জীবনে কি কোনদিন উপস্থিত হওয়ার সক্ষমতা সে পাবে? কিন্তু একে মানসিক রোগইবা আমি বলি কিভাবে!? আমারই বড় ভাই, আমার বাবার নামীয় পুকুর থেকে মাটি এনে আমার ঘরের ভিটি ভরাট করতে দেয় বাধা; আমারই ভাতিজার নিকট ইউটিউবের কোরআন তিলাওয়াতের ভিডিও শেয়ার করলে সে প্রতি উত্তরে কমেন্টস করে, নেক্সট টাইম আমি যেন তার কাছে কোন ভিডিও শেয়ার না করি, আল্লাহু তা'য়ালার রহমতে আমার ধর্মীয় জ্ঞান রয়েছে, তাই রমজানে ইতেক্বাফে ২৪ ঘন্টার ভিতরে প্রায় ১৬ ঘন্টা ইবাদত করলে, মানে সুন্দর করে কুরআন তিলাওয়াত করলে, বেশি বেশি নামাজ পড়লে মানুষ আমায় সম্মান না করে শুধু তামাসা চায়, ধর্মীয় কাজে আমাকে কোন সুযোগ কেউ দেয় না, চায়ের দোকানীর নিকট নাস্তা খেতে গেলে সে তাচ্ছিল্য করে বলে নাস্তা বাহিরে বাহিরে; এভাবে হাজারো ঘৃণা মূলক ব্যবহার আমাকে সহ্য করতে হয়েছে বা হচ্ছে! কিন্তু কেন? মানসিক রোগিকে মানুষ এভাবে ঘৃণা করবে কেন? ইউটিউব ফেসবুকে রয়েছে আমার কম করে হলেও প্রায় ১০০টি লিখিত কন্টেন্ট, প্রায় ৩০০টিরও বেশি ভিডিও কন্টেন্ট; ইত্যাদি সব কিছুর বিবেচনায় আমাকে মানসিক রোগী বলা যায় না। কিন্তু তাহলে কী আমি!! যদি জ্বীন হয়, তাহলে গত ২৪ বছরে সে এক পলকের জন্যেও যদি ওপেন হয়ে আমাকে তার আদর্শ-উদ্দেশ্য বলে যেত, তাহলেও মানুষ এবং আমি একটা দিশা পেতাম!! কিন্তু এভাবে অন্ধকারে ঢিল মেরে কত বছর জ্বীন অনুভব বা উপলব্ধি করে কাজ করা যায়!! কিন্তু তবুও কাজ করতে হচ্ছে!! যেন অটো ভাবেই আমি কাজ করছি!! যেহেতু অনেকটা অটো ভাবে কাজ চালানো আমার দ্বারা সম্ভব হচ্ছে; কে যেন আমার শরীরে উপস্থিত থেকেই কাজের ইন্দন যোগাচ্ছে বা কাজ করছে! প্রায় অর্ধাহারে অনাহারে থেকেও আমি যেন মহা ব্যক্তিত্ববান মানুষ! এতে আপনারা যদি একটুও আমার কাজে সমর্থন না যোগান, বা আমাকে ভালো বিবেচনা না করেন, তাহলে বাস্তবে যদি কোন এক সময় এ জ্বীন মানবরূপে উপস্থিত হয় বা উপস্থিত করতে পারি ও তখন যদি জ্বীন আমাকে অঢেল সম্পত্তির মালিক করে দেয়; তখন কিভাবে আপনারা আমার থেকে সার্ভিস আশা করতে পারেন!? জ্বী, ভবিষ্যতে আল্লাহু তা'য়ালা যদি আমায় স্বাবলম্বী করে, তবে আপনারা আমায় যা দিয়েছেন বা দিচ্ছেন, এর থেকে বেশি কখনো আপনাদের কেউ আমার থেকে পেতে চেয়ে আবেদন করবেন না। কথাটা যেন মনে থাকে। হ্যাঁ আমি নিজ থেকে করলে সেটা আমার এহসান। আমি প্রায় অসহায়, দূর্বল আর নিঃস্বহ হয়ে পথ চলছি, আপনারা কি আমায় একটু উৎসাহ বা সাহসও যোগাতে পারেন না!!?? যাক এখন থেকে আপনারা আমার সাথে ভালো ব্যবহার করবেন এবং জরিপের লিখিত উত্তর দিবেন, আমি এটি চাই। না হয় আমাকে কী দিয়েছেন এবং সে প্রেক্ষিতে কী পাওয়ার যোগ্যতা আপনারা রাখেন, তা ভালো করে মনেরাখবেন!!
আর যদি কোন প্রতি উত্তর না দেন বা ২ নং উত্তর দেন, তাহলে বাধ্য হয়েই আমি আপনার সমাজ, আপনার গ্রাম ছেড়ে দিয়ে সম্মানজনক স্থানে বসতি গড়ার চেষ্টা করবো! আমি চলে যাওয়ার চেষ্টা করবো বললে এখানে ভূল হবে; সত্য হচ্ছে, মতাদর্শ জনিত বিভক্তি ও ভূলবুঝাবুঝি থাকায় এবং স্বার্থজনিত হিংসা, বিরোধিতা সৃষ্টি হয়ে যাওয়ায় ও এ কারণে আপনারা আমায় নিপীড়ন এবং নির্যাতনে রেখেছেন ও যার প্রেক্ষিতে আমাকে তাড়িয়ে দিচ্ছেন! আমাকে যদি আপনার সমাজে রাখতে চান, আমাকে যদি ভালোবাসেন, তবে অবশ্যই শুধু এক নং উত্তরটিই দিতে হবে। এবং এ প্ল্যাটফর্মে লিখিত উত্তর না দিয়ে কমেন্ট না করে থাকা যাবে না এবং কোন ধরনের ছলনা বা তাচ্ছিল্য বা রাগ প্রদর্শন মূলক বা কৌতুক মূলক উত্তর দেয়া যাবে না। আপনাদের কমেন্ট না করাকে আমি ২ নং উত্তর, মানে আপনারা নাজায়েজ মনে করেন, এ হিসেবে গ্রহণ করবো! এবং উত্তর দিতে হবে বুঝে-শুনে!
আপনাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, আমি যদি চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই বা যদি চলে যাই, তখন এ জন্য আপনারা আমাকে দোষী করতে পারবেন না! আপনাদেরকে বুঝতে হবে, আপনাদের নিষ্ঠুর, নির্দয় ব্যবহার ও আপনাদের বিভক্তিমূলক অনৈসলামিক বিবেচনা এবং স্বার্থের কারণে সৃষ্ট হিংসা ও এ কারণে আপনাদের বিরোধিতা আমাকে দূরে চলে যেতে সিদ্ধান্ত নিতে বা দূরে চলে যেতে বাধ্য করেছে। এতে আমার কোন দোষ নেই। বরং আপনাদের দ্বারা আমি ছিলাম সীমাহীন অবহেলিত, নির্যাতিত ও জুলুমের শীকার! এবং আমার কলিজায় প্রচন্ড থেকে প্রচন্ডতম আঘাত থাকবে যে, নিজ মাতৃভূম থেকে আমাকে বিতাড়িত হতে হলো!!
তবে ভয় পাবেন না, আপনারা যারা আমার নিকট টাকা পাবেন, তাদের টাকা পরিপূর্ণ ভাবে শোধ করা ব্যতিত, ইনশা'আল্লাহ আমি স্থায়ী ভাবে এ গ্রাম ছেড়ে কোথাও যাবো না।
হ্যাঁ, এ চেষ্টা, আমার এ প্রতিক্রিয়া, শুধুমাত্র জ্বীনকে যদি ওপেন করতে পারি এবং আমার পাশে মানুষের বেসে নিয়ে আসতে পারি, কেবল তখনই ঘটিবে। তখন ঘটাইতে আমি বাধ্যও হইবো!
আমার সাথে থাকা জ্বীনকে ওপেন করতে পারলে ও তখন পরী রাজী থাকলে, তাহলে পবিত্র কোরআন অনুযায়ী ইনশা'আল্লাহ তাকে আমি বিয়ে করবো। আল কুরআন (শাফেয়ী মাযহাব) অনুযায়ী এটি জায়েজ ও হালাল।
আপনারা এখানে ক্লিক করে ও ঐ প্রবন্ধটি পড়ে যা ভালোভাবে বুঝে নিতে পারেন।
অবশ্য অন্যান্য মাযহাব অনুযায়ী এটিকে হারাম ও মাকরূহে তাহরীমী সাব্যস্ত করা হয়। (এখানে ক্লিক করে সে সম্পর্কেও জানতে পারেন) কিন্তু যার প্রমাণ কোরআন হাদীসে দেখতে পাওয়া যায় না; বরং ঐ আইনগুলো অনেকটা কেয়াস ও মানব মস্তিষ্ক প্রসূত যুক্তি নির্ভর।
যদি এটি হারামই হয়, তাহলে শাফেয়ী মাযহাব এটিকে হালাল সাব্যস্ত করে কিভাবে!? তাদেরকে মুসলমান মানলে; তবে আপনারা যে কাজ করে মহাপাপী হন অথবা কাফের হন; ঠিক সে কাজটি করলে আপনারাই তাদেরকে মুসলমান বলেন!? তারা কি কোন ভিন্ন গ্রহের মুসলমান তাহলে!? না আমার মাথায় পোকা ঢুকেছে!? না আপনাদের মাথা উকুনে ভরা!? আমি জানি বিজলী বাতি জালানো, আর ফ্যান ঘুরানোর সূত্র ১টি হয়! কিন্তু আল্লাহকে পাওয়ার সূত্র ২টি হবে কেন? আমিতো এসবের কিছু বুঝতে পারিনা! একই রবের, একই রসূলের (সাঃ) দুই মেথড় হবে কেন!?
আবার কিভাবেইবা আপনারা শাফেয়ী মাযহাবকে গ্রহণযোগ্য বলে ফতোয়া দেন বা মেনে নেন!? আপনাদের এ রকম দৈত কথা বার্তারতো কোন শরয়ী মান বা গ্রহণযোগ্যতা আছে বলে আমি যুক্তি দেখিনা?
যে কাজটি করলে আপনারা কাফের বলেন, সে কাজটি করেই তারা মুসলমান থাকে কিভাবে!? তারা কি অন্য কোন নবীর (সাঃ) মুসলমান!?
আপনারা যারা আমায় চিনেন, তারা অবশ্য জানেন যে, পরীকে বিয়ে করার এ কাজে আমাকে পরীর পক্ষ থেকেই বাধ্য করা হয়েছে। এখন আমিও স্ব-ইচ্ছায় এতে রাজি।
দেখুন, আপনাদের মতে যদি এটি হারাম হয়, তাহলে ইসলামী শরিয়াহ্ মোতাবেক হারামকে জেনে বুজে স্বজ্ঞানে সুস্থ মস্তিষ্কে হালাল জানলে বা অবজ্ঞা করলে তার ঈমান থাকে না। মানে সে কাফের হয়ে যায়। তাহলে আপনাদের সাথে মুসলমান হিসেবে আমি কিভাবে বসবাস করবো!? মুসলমান হয়েও কি কাফের হিসেবে পরিচিত হয়ে থাকতে হবে তাহলে!?
আপনারা আমার চারদিকে অবস্থান করে সবাই বলবেন, আমি হারাম কাজ করছি! আমি পাপী! আমি কাফের!
তাহলে আমি কি আপনাদের সাথে, আপনাদের সমাজে সম্মানের সহিত বসবাস করতে পারবো তখন?
তবে আমি জ্বীনকে হাজীর করতে পারবো কিনা, এ বিষয়ে কোন গ্যারান্টি নাই আমার কাছে। এবং আদৌ এটি জ্বীন কিনা, এ বিষয়েও জ্বীন হাজির না হলে, তখন এ বিষয়েও শতভাগ আমি নিশ্চায়তা দিতে পারছি না বা পারবো না। তখন জটলা, জটলাই থেকে যাবে হয়তো এবং তখন আমি হয় দোষী, না হয় মানসিক রোগী, না হয় পাগল সাব্যস্ত হবো আপনাদের নিকট, এই আর কি! কিন্তু জ্বীন বার বারই আমাকে বুঝাচ্ছে যে এবং বিভিন্ন ইশারা-ইঙ্গিত, উপস্বর্গ দিচ্ছে যে, সে আসবে। এখানে অনেকেই আমাকে বলছে যে, জ্বীনেরা সাধারণত মিথ্যাবাদী হয়। তাছাড়া এখনোতো এক পলকের জন্যেও জ্বীন আমার নিকট ওপেন হয়ে আমাকে আশা কিংবা কোনরূপ অঙ্গীকার দেয়নি।
অতএব জ্বীন যদি না আসে তাহলে আমরণ আপনাদের সাথে থেকেই এক অপমাণজনক এবং সীমাহীন এক কষ্টের জীবন আমাকে হয়তো অতিবাহিত করতে হবে। কিন্তু আমার কী দোষ, তা হয়তো কোনদিনই আমি বুঝতে বা বুঝাইতে পারবো না কাউকে! আর এটা যদি রোগ হয়, তাহলে এটি কোন ধরনের মানসিক রোগ, এর কোন ব্যাখ্যা আমার মনে হয় বর্তমান চিকিৎসা বিজ্ঞানেও নেই! বা এর কোন সঠিক চিকিৎসা বর্তমানে আছে কিনা বা আমি পাবো কিনা তা আমি বুঝতে পারছি না!
প্রিয় গ্রামবাসী ও পরিচিতজন! আমি স্থায়ী ভাবে আপনাদের সাথে থাকতে চাই! কিন্তু আপনারা যদি জরিপের প্রতি উত্তর হিসেবে আমায় না বোধক উত্তর দেন বা চুপ থাকেন, অথবা রাগ দেখান অথবা কোন ধরনের ছলনা বা তাচ্ছিল্য বা ক্রীড়া-কৌতুক করেন অথবা উল্টো আমাকে পাগল ভাবেন, তাহলে আমি মর্মাহত হবো! এবং মনে আঘাত নিয়ে ও দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আপনাদের এ সমাজ, মানে আমার হৃদয়ের, ভালোবাসার ও প্রেমের এ মাতৃভূমি আমাকে ত্যাগ করতে হবে হয়তো!! যেহেতু এখন সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলে আমি আর হয়তো তা পাল্টাবো না।
আমি আশা করবো আমাকে জরিপের স্পষ্ট, ওপেন ও লিখিত উত্তর দিবেন এবং আমাকে বঞ্চিত করবেন না! ভাগ্যাহত করবেন না! আমাকে এ দেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য করবেন না।
দেখুন মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। সামাজিক কিছু রীতি-নীতি ও পারষ্পরিক বোঝাপড়ার মধ্য দিয়েই মানুষকে তার কর্ম সমূহ সম্পাদন করতে হয়।
তাই আমাকেও আপনাদের মাঝে কোন কাজ করতে হলে, আপনারা যদি এতে রাজী-খুশি থাকেন ও আমার এ প্রদক্ষেপকে যদি আপনারা স্বাগত জানান ও আমার এ কাজকে যদি পূর্ণ্যের কাজ হিসেবে মেনে নেন এবং সর্বপরি আমার এ কাজকে যদি আপনারা ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী একজন মুসলমানের জন্য জায়েজ কাজ মনে করেন, তাহলেই কেবল; আপনাদের মাঝে, আপনাদের সমাজে, আপনাদের সাথে থেকে সংশ্লিষ্ট কাজটি আমার দ্বারা সম্পাদন করা সম্ভব হবে।
নতুবা আপনাদের সাথে থেকে, আপনাদের একই সমাজের বাসিন্দা হিসেবে আমি কাজটি কিভাবে করবো বলেন? কারণ সমাজতো আর আমার একার না; তাই না? তাহলে আমি জ্বীন হিসেবে ওপেন হয়েইবা লাভ কি হবে বলেন!? তাই মুসলমান হিসেবে আমাকে ওপেন হওয়ার, আসার, থাকার, পরিচয় দেয়ার একটা সম্মানজনক ও নিরাপত্তামূলক আসন, স্থান, পরিবেশ ও অবস্থাতো আমাকে দিতে হবে, তাই না?
এছাড়া ইনশা'আল্লাহ! আমি কোন ঘাড়তেড়া বেয়াদপ নই যে, আপনারা যা দেখতে পারেন না, যাকে আপনারা ইসলাম বলেন না, আপনাদের সাথে থেকে এ রকম একটি কাজ আমি সম্পন্ন করবো!? আর সমাজের মধ্যে প্যাঁচ লাগিয়ে দেবো!? মুসলিম হয়েও আপনাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও মনোভাবে নিজকে পাপী বা কাফের হিসেবে পরিচিত করে রাখবো!?
আমার ধর্ম ইসলাম। পারস্পরিক বোঝা-পড়ার মাধ্যমে দলবদ্ধ জীবন-যাপন করার নামই ইসলাম। এ ধর্মে একাকী আমলের বা বেঁচে থাকার কোন সুযোগ নাই।
আপনারা, আমার চারপাশে অবস্থানরত মানুষগুলো আমার কোন কাজকে সকলে মিলে যদি হারাম আর নাজায়েজ বলেন! তাহলে আমি আপনাদেরকে মরে গিয়েও কি বুঝাতে পারবো যে, কাজটি হালাল!? যেহেতু আমি আলেম না! এবং আমার এ এরিয়ায় বুঝে হোক না বুঝে হোক বেশির ভাগ মুসলিমই হানাফী মাযহাবের অনুসারী! এছাড়া যেহেতু চারদিকের বেশির ভাগ মানুষই ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ ও হুয়াক্কা হুয়ার দল!
আপনাদের সমাজে, আপনাদের মাঝে এমন একটি কাজ করবো, যে কাজে আপনারা রাজীই নাই, সন্তুষ্টই নাই, যে কাজকে আপনারা স্বতস্ফূর্ত ভাবে সমর্থনই দেন না, এমনকি যে কাজটি করলে আমাকে হয়তো আপনারা মুসলমানই বলেন না; এমন একটি কাজ আপনাদের মাঝে আমি করতে পারবো না!
এমনিতেই প্রতিদিনই আমাকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করছেন। আমার সাথে অপমাণজনক ব্যবহার করা হচ্ছে। ঘরে কি বাহিরে, বাড়িতে কি দোকানে; সর্বত্র আপনারা যে আমায় ঘৃণা করেন, তারই একটা বাস্তব স্বাক্ষী এ গোবিন্দপুর গ্রাম, আমার ঘর, আমার বাড়ি।
আর গিয়ে দূরে থাক, চায়ের দোকানে নাস্তা খেতে গেলে, দোকানী বলছে, নাস্তা ভিতরে নাই, বাইরে, বাইরে!
মসজিদে জিরাপি বিলানোর সময়, আমাকে দেয়া হয় না, কখনো বিলিকারী আমাকে চোখেও দেখে না! কয়েকবার চাইলেও পাওয়া যায় না! অবুঝ অথবা দুষ্ট শিশু কিশোরের চাইতেও অবহেলা করে রাখা হয়েছে আমাকে!?
আর নিজ ঘরে এবং বাড়িতে কিভাবে বেঁচে আছি, সেগুলো আগের আগের পোস্টগুলোতে এর একটু প্রমাণ রয়েছে।
যা বুঝতে আপনারা এখানে ক্লিক করে এ ব্লগের সংশ্লিষ্ট পোস্ট সমূহ পড়তে পারেন।
এ থেকে বুঝা যাবে, আপনারা আমাকে কেমন অপছন্দ করেন! আমাকে নিয়ে কতটুকু ভয়ে ও কষ্টে আছেন! এবং কী পরিমাণ অপমাণ আমায় করে যাচ্ছেন! ও কী পরিমাণ নজরবন্দী আর কালারিং করে রেখেছেন আমাকে!
কিন্তু ভাই! ভয় নেই আর! অযথা এডিয়ে চলার প্রয়োজন নাই। আমাকে আপনাদের সমাজের আগাছা ভেবে, তাকে দমিয়ে রাখার বা ছাফ করে ফেলার বিভিন্ন কৌশল করার প্রয়োজন নাই! আমাকে ছাফ করতে গিয়ে বা দমিয়ে রাখতে গিয়ে কেন পাপী হবেন? আর কেনইবা বহুরূপী সাজতে যাবেন বা ছলনা করবেন? আপনারা আপনাদের সিদ্ধান্ত বা মতামত বা এ বিষয়ে আপনাদের অবস্থান ক্লিয়ার করুন। শুধু মুখে বা ব্যবহারে নয়! লিখিত ভাবেও! যাতে কালের স্বাক্ষি বা ইতিহাসের পাতায় আপনাদের নাম লিখা হয়ে যায়!
আগেতো শুধু আমার হাব-ভাব আর মানুষের ইশারা-ইঙ্গিত দেখে, আমায় আপনাদের জ্ঞান অনুযায়ী অনুমান আর ধারনা করে এ রকম করেছেন, তাইনা!?
তাই এখন সময় এসেছে, ছলনা না করে, আপনারা স্পষ্ট বলুন যে, জ্বীনের সাথে মানুষের বিয়েকে ইসলাম অনুযায়ী আপনারা জায়েজ মনে করেন কিনা? এবং তা কমেন্টস এর মাধ্যমে আমাকে জানিয়ে দিন।
এছাড়া আজ যখন একটি বিষয়ে বাঙ্গাল হয়েও যখন হযরত আবু হানীফা (রহঃ) এঁর বিপরীত বলছি; তাহলে আরো কত কি যে বলতে পারি, তাওতো স্বাভাবিক!
তাই দেরী না করে আমার এ প্রবন্ধটি পাঠের পর পর জরিপের উত্তর পাঠিয়ে এ অধ্যায়টি শেষ করুন।
দেখুন আমি জ্বীন হিসেবে মানুষের মাঝে আগমণের আরো অনেকগুলো উদ্দেশ্য রয়েছে। আমাকে দেরী করানোর মানে হচ্ছে, আপনাদের কারণে আমার জীবনের অনেক গুলো বছর বৃথা গেলো। হয়তো অনেকগুলো কল্যাণমূলক কাজ আপনাদের কারণেই করতে পারলাম না। তাই যদি বিষয়টি সত্য হয়, তাহলে ইতিহাসের পাতায় কেন দোষী হিসেবে সাব্যস্ত হবেন।
সুতরাং, যে সমাজ, আমাদের এ বিয়েকে সম্মানের সহিত মেনে নিবে ও ইসলামে জায়েজ ও হালাল বলে স্বীকৃতি প্রদান করে, বা করবে এবং আমাকে তাদের সমাজে স্ব-সম্মানে থাকার একটা সু-ব্যবস্থা করে দেয় বা দিবে; ও যে সমাজে আমার এ মন-মানসিকতার মানুষেরাই বেশি বসবাস করে, সে সমাজে বসতি স্থাপন করে, আমাকে আমার কাজ সমূহ সম্পাদন করতে হবে।
আমার বিষয়ে আপনারা যারা নতুন তাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে, গত প্রায় ২৪ বছর আমার ও আমার এলাকার মানুষের বিশ্বাস অনুযায়ী এক বা একাধিক মহিলা জ্বীনের কারণে আমার জীবন প্রায় তছনছ হয়ে গেছে। তারা আমার শরীরে ভর করে বা আসর করে আছে এবং আমায় পরাধীন করে রেখেছে।
আগে বুঝতে না পারলেও, এখন আমি আশা করছি তাদের নিয়ত ভালো এবং তাদের মাধ্যমে আমি হয়তো আল্লাহর ইবাদত করতে বেগবান হবো ও আত্মমানবতার সেবায় নিজকে নিয়োজিত করতে অনেক অনেক সহযোগিতা পাবো।
অনেকে আমাকে বলেন, আপনি জ্বীনকে পাবেন কোথায় এবং জ্বীনকে বিয়ে করে আপনার লাভ কী?
খুব স্বাভাবিক কতগুলো প্রশ্ন।
আসলেই কি আমার সাথে জ্বীন থাকে!? আর থাকলেও কি জ্বীন মানুষের মত ওপেন হবে? আবার ওপেন হলেই কি তার সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক গড়া যাবে?
আসলে এ বিষয় গুলো অনুভূতি আর উপলব্ধির এবং আত্ম-অনুসন্ধিতসু জ্ঞানের বিষয়।
সবকিছু মিলিয়ে আমার অন্তর্চক্ষু জ্ঞানে ও গত প্রায় ২৪ বছরের নিঃশেষ হয়ে যাওয়া জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে আমার কাছে মনে হয়েছে, জ্বী, জ্বীনকে বিয়ে করা বা তাকে ওপেন করা আমার দ্বারা সম্ভব! যেহেতু জ্বীন নিজেই আমাকে বিয়ে করতে চায় বলে আমি বুঝতে পেরেছি। এবং জ্বীন কর্তৃক আমাকে আসর করার, এটাও একটি অন্যতম কারণ হিসেবেই আমার বিশ্বাস হয়েছে।
তবে আমার এ জ্বীন আমাকে সেক্সুয়াল প্রয়োজনে আসর করেছে বলে আমার কাছে মনে হয়নি। সত্য মিথ্যা হয়তো এখনই পরিপূর্ণ ভাবে যাচাই করতে পারবো না, তবে আমার কাছে মনে হয়েছে সে আল্লাহু তা'য়ালার অলি। আমার কাছে মনে হয়েছে, সে ধর্মীয় কিছু কূপমুন্ডকতা দূর করতে চায় এবং মানুষকে চিকিৎসা সেবা সহ অন্যান্য সেবা প্রদান করতে চায়। এখন বিয়ে ছাড়া সে আমার কাছে আসার অন্য কোন বৈধ সূত্র না পেয়ে সে আমাকে বিয়ে করতে চায়। তবে সব কথার সার কথা হচ্ছে, সে মানবরূপে আমার নিকট, আমার পাশে আসা ছাড়া, বসা ছাড়া, খোলাখুলি আলোচনা ছাড়া এবং দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় পারষ্পরিক উপযোগিতার আলোকে সিদ্ধান্ত নেয়া ছাড়া পরিষ্কার করে বা ফাইনালী ভাবে কিছুই বলা যাচ্ছে না। তাই আমার প্রথম কাজ হচ্ছে, তাকে ওপেন করে তার সাথে ডিসকাস করা এবং তাকে ওপেন করার একটা পরিবেশ তৈরী করা। আর এরই অংশ হিসেবে আমি আপনাদের নিকট এভাবে জরিপ পরিচালনা করতে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এ পরীকে বা পরিদেরকে বা আমাকে আসর করা এ জ্বীন সম্প্রদায়কে ওপেন করে নিজের বা নিজেদের পাশে নিয়ে আসতে অতীতেও অনেক চেষ্টা তদবীর করেছি এবং এখনো তা অব্যাহত আছে, যেমন এ জরিপ পরিচালনা করা।
তাই আপনাদের প্রতি অনুরোধ করবো অন্তত আমাকে মুক্ত করতে হলেও আপনারা জরিপে অংশগ্রহণ করুন।
তবে সত্যি জ্বীন আসবে কিনা, বা আমরা তাকে আনতে পারবো কিনা; বা আমরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবো কিনা; এ বিষয় গুলোতে যতই আমি বিভিন্ন ধরনের আমল ইবাদত বা কৌশল অবলম্বন করি অথবা জ্বীন কর্তৃক যতই ইশারা-ইঙ্গিত, আভাস বা বিভিন্ন ধরনের উপস্বর্গ প্রকাশ করে আপনাদেরকে বুঝাক না কেন; অথবা এর পরিপ্রেক্ষিতে পজিটিভলি আপনারাও যাই করুন না কেন; অর্থাৎ আমরা সকলে মিলে যাই বা যে চেষ্টাই করিনা কেন; আদতে সবকিছু মিলিয়ে বিষয়টির ফলাফল, মানে জ্বীন মানবরূপে আমার ও আমাদের নিকট আগমন করা এবং বিয়ে সহ বিভিন্ন ধরনের ভালো ভালো কার্য সম্পাদন করা; এ বিষয়গুলোর পুরোটাই মহান রব আল্লাহু তা'য়ালার সিদ্ধান্তের উপর নির্ভরশীল। আল্লাহু তা'য়ালা তাওফিক দিলে বা আল্লাহু তা'য়ালার হুকুম থাকলেই বা তাঁর রহমত থাকলেই শুধুমাত্র জ্বীন মানব রূপে আসতে পারবে বা আসবে এবং আমাদের উভয়ের বিয়ে সহ যাবতীয় বিষয় কেবলমাত্র আল্লাহু তা'য়ালা চাইলেই সম্পাদিত হবে; নতুবা কখনোই হবে না।
আমি শতভাগ আশাবাদী যে, জ্বীন একটি শক্তিশালী ও অনেক অনেক সম্পদের অধিকারী জাতি। সুতরাং তাদেরকে আমাদের পক্ষে ওপেন করে একটা আত্মীয়তার বন্ধন সৃষ্টি করতে পারলে মজলুম ও গরীব মুসলিম জাতির এবং সমগ্র মানব জাতিরই অনেক অনেক কল্যাণ হবে বলে আমি মনে করি। এবং এতে মানব জাতি দ্বারাও জ্বীন জাতির উপকার হতে পারে বলে আমি বিশ্বাস করি।
তবে এ কথা নিশ্চিত যে, তাদেরকে ওপেন করা সম্ভব হলে, মহান রবের আরেকটি সৃষ্টিকে প্রত্যক্ষ ভাবে প্রকাশ্যে নিয়ে আসার মাধ্যমে এ বিশ্ববাসির মাঝে আল্লাহু তা'য়ালার পরিচয় প্রদানের কাজটি অনেকটাই এগিয়ে যাবে। এবং যা একটি বড় ধরনের ইবাদত হিসেবে পরগণিত হবে।
সুতরাং তাদেরকে ওপেন করতে প্রয়োজনে আপনারা ইসলামী ফতোয়ার দিকটি নিয়ে গবেষণা করুন এবং উপরোক্ত জরিপে উল্লেখিত ১ নং উত্তরটি দিন। আমার এ উদার্ত আহবান আপনাদের প্রতি রইলো।
অন্যদিকে জ্বীনের কারণে আমার কী হয়েছে বা হয়েছিলো এবং আমার সাথে জ্বীন আছে কিনা, তা বুঝতে এখানে ক্লিক করে এ সংশ্লিষ্ট প্রবন্ধ সমূহ পড়তে পারেন। আশা করি আপনার বুঝে আসবে।
এরপরও অনেকে বলতে পারেন, সব কিছু বুঝলাম। কিন্তু জ্বীন, মানে পরীকে বিয়ে করে আপনার লাভ কী, তা আরো ক্লিয়ার করে বলেন।
হ্যাঁ, আপনাদের এ প্রশ্নের সম্পূর্ণ উত্তর এ মুহূর্তে সবাইকে হয়তো লিখে বুঝাতে পারবো না। আবার বিয়ে একটি দ্বীপাক্ষিক বিষয়। স্বামী-স্ত্রী এ উভয় জনের যৌথ প্রয়াস ছাড়া, উভয়ের রাজি-খুশি ছাড়া এখানে সুতা পরিমাণ কোন কিছু লাভ করাও সম্ভব নয়। তবুও আমি মানুষ হিসেবে পরীকে বিয়ে করে যেসব বিষয়ে লাভবান হতে চাই, তার কিছুটা ইঙ্গিত নিম্নে প্রদান করছি। পরীকে আনতে পারবো কিনা, তাকে বিয়ে করতে পারবো কিনা এবং পরী আমার এসব বিষয়ে রাজী খুশি থাকবে কিনা, এসব পরের বিষয়। তবুও পরীকে বিয়ের বিষয়ে আমার প্রধান প্রধান ইচ্ছেগুলো নিম্নরূপ-
১। প্রথমতো জ্বীন জাতির পরাধীনতা থেকে নিজকে মুক্ত করা।
২। জ্বীনের সাথে বৈবাহিক বন্ধন সৃষ্টি করে বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দেওয়া যে ইসলামে এটি জায়েজ। অর্থাৎ আলকোরআনে উল্লেখিত এ বিষয়টি মানুষের নিকট প্রকাশ করে আল কোরআনের সঠিক ব্যাখ্যা দেয়া।
৩। জ্বীন জাতিকে ওপেন করার মাধ্যমে জ্বীন জাতির প্রকৃত ও সম্পূর্ণ স্বরূপ বা বৈশিষ্ট্য উন্মোচিত করে তাদের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে মানুষদেরকে জ্ঞান প্রদান করা এবং এভাবে আমার মহান রবের সৃষ্টি তত্ত্ব প্রকাশ করে তাঁর পরিচয় দিতে চেষ্টা করা। এবং জ্ঞান-বিজ্ঞানের উন্নয়ন ঘটানো।
৪। জ্বীন জাতির স্বরূপ উন্মোচিত করে এবং জ্বীন জাতিকে সাথে নিয়ে আল্লাহর পরিচয় দেয়ার মাধ্যমে ইসলামের দাওয়াত বিশ্বের মানুষ ও জ্বীনদের নিকট পৌঁছানো। যাতে আল্লাহু তা'য়ালার পরিচয় না পেয়ে পৃথিবীর কোন মানুষকে নরকে যেতে হয়।
৫। দুনিয়ায় মানুষেরা যেমন সম্পদের মালিক তেমনি জ্বীনেরাও সম্পদের মালিক। ইহা স্বাভাবিক। সুতরাং জ্বীনদের সাথে আত্মীয়তা ও বন্ধুত্ব গড়ে, এবং তাদের আগ্রহ ও তাদের সম্মতির মাধ্যমে, তাদের সম্পদ ব্যবহার করে দুনিয়ার মজলুম, ইয়াতিম ও অসহায়দের অভিভাবকত্ব করা ও তাদের জীবন-মান উন্নয়নে সচেষ্ট হওয়া।
৬। আমার জ্ঞান মোতাবেক মানুষের অনেকগুলো জটিল ও কঠিন রোগের প্রকৃত ও মূল কারণ এ জ্বীন সম্প্রদায়ের সদস্যরা, মানে জ্বীন। এবং আমি আরো বিশ্বাস করি, মানুষের অনেক গুলো রোগের শেফা বা চিকিৎসা রয়েছে এ জ্বীন বা জ্বীন সম্প্রদায়ের মাঝে, মানে কেবলমাত্র জ্বীনই হতে পারে এসব রোগের প্রকৃত ডাক্তার। তাই তাদেরকে দিয়ে বা তাদের মাধ্যমে মানুষের বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা সেবা দিয়ে রোগীদেরকে আরোগ্য করে তোলা।
পরীকে বিয়ে করার মাধ্যমে, মানে জ্বীনদের সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ক গড়ার মাধ্যমে ইত্যাদি আরো অনেক উদ্দেশ্যই আমার রয়েছে।
পরিশেষে, সবকিছুর বিবেচনায়, উপরে উল্লেখিত জরিপে অংশগ্রহণ করে, আমাকে সহযোগিতা করার জন্য ও এ সকল বিষয়ে একসাথে কাজ করার জন্য সবাইকে আহবান জানিয়ে আজকের মতো এখানে শেষ করছি।
সকলে সুস্থ থাকুন। সুন্দর থাকুন। ভালো থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।
ঐছডনডফ পঠডঠঠ পফঠট

0 মন্তব্যসমূহ