Ticker

6/recent/ticker-posts

পরামর্শ আহবান

 

পরামর্শ আহবান
[আপনারা বা আপনাদের পরিচিতদের অনেকে টাকা পাবেন বলে, বা অন্য যে কারণেই হোক না কেন, আমায় যদি পরামর্শ না দেন, তাহলে আমি বাঁচতেই যদি না পারি, তবে আপনাদের টাকা দেবো কিভাবে? এবং আমায় বুঝবেন কিভাবে? আবার এ রমজান মাসে আমি যদি নিজের গুনাহ্ সমূহ মাফ করাতে না পারি, তাহলে আমি যে ধ্বংস হয়ে যাব! আমায় ধ্বংস করে আপনারা বুঝি আমার শুভাকাঙ্খী থাকবেন?
 সুতরাং আমায় এড়িয়ে না গিয়ে, আমার এ পোস্টটি মনোযোগের সহিত পড়ে আমায় পরামর্শ, উৎসাহ ও মনোবল দেয়ার জন্য সকলের প্রতি সবিনয় অনুরোধ করছি। পরামর্শের বিষয় সমূহ এ পোস্টের শেষের দিকে রঙিন হরফে পাবেন।]

প্রিয় আপনজন, পরিচিতজন ও দেশবাসী। 
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ্।
আপনাদের প্রতি আমার বিশেষ আবেদন, এখন রমজান মাস চলছে, আর এ মাসে, যে তার গুনাহ সমূহ মাফ করাতে পারেনি তার জন্য ধ্বংস অবধারিত।

তাই আপনারা আমার পরিচিত ও প্রতিবেশি হিসেবে আমাকে পরামর্শ দিয়ে নিশ্চিত ধ্বংসের হাত হতে আমাকে হেফাজত করতে, আপনাদের প্রতি বিনীত অনুরোধ করছি।

আপনারা জানেন, ২০০১ সনে আমি অনেক ডিপলি ভাবে এবং অনেকটা হঠাৎ করে আল্লাহ ডাকা শুরু করলাম।

নামাজে দীর্ঘ সময় কেরাত পড়া, অনেক সময় নিয়ে সেজদা দেয়া, প্রত্যেক কাজের শুরুতে এবং শেষে মাসনূন দোয়া পড়া, ঘন্টার পর ঘন্টা কোরআন তিলাওয়াত করা, এই ছিলো আমার নভোদ্ভিন্ন মানসিক অবস্থা। যা অনেকটা অস্বাভাবিক ছিলো।

তখন আমি নিজে ছিলাম প্যান্ট-শার্ট পরা এক ইংরেজ ভদ্রলোকের মতো। (আল্লাহ্ মাফ করুক।) লেখা-পড়া করেছিলাম স্কুল-কলেজে। মাদ্রাসায় পড়িনি। তবে অপ্রাতিষ্ঠানিক ভাবে বিভিন্ন ধর্মীয় বই পড়ে এবং আলেমদের ঘনিষ্ঠতায় থেকে যথেষ্ট ইসলামি জ্ঞান ছিলো আমার। 

অবশ্য পরবর্তীতে নূরানী প্রশিক্ষণ দিয়ে এবং আরো ইসলামিক জ্ঞান অর্জন করে ও নূরানী মাদ্রাসায় মুয়াল্লিম হিসেবে শিক্ষকতা করে এবং সুন্নাতি লেবাস পরে একজন আলেমের মতো জীবন-যাপনে অভ্যস্ত হই। যা আজ প্রায় ২৫ বছরের মতো অব্যাহত আছে।

তখন মানুষগুলো বুঝে উঠতে পারছিলো না, কেন আমি এভাবে দুনিয়া বিমুখ হয়ে যাচ্ছিলাম। আর কেনইবা প্যান্ট-শার্ট পরে এভাবে একজন বড় মাপের বুজর্গের মতো আল্লাহ ডাকা শুরু করলাম। অনেক সময় অতিরঞ্জিতও করেছি।

মানুষগুলো কেউ বললো এটি মানসিক রোগ; আবার কেউ বললো জ্বীনে ধরেছে। অনেকে এও সন্দেহ করেছে যে, আমার নিকট মেয়ে বিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে বা আমি এ জাতীয় আবেদন প্রত্যাখান করায় প্রতিশোধ নিতে গিয়ে, আমার উপর তারা ব্ল্যাক মেজিক করেছে বা বান মেরেছে বা দুষ্ট জ্বীন সোয়ার করে দিয়েছে আমার উপর। ইত্যাদি।
আবার আমার স্কুলের সভাপতি মিটিং এর মধ্যে তখন বলেছিলো, আমাকে আধ্ম্যাত্বিকতায় ধরেছে। তিনি আমাকে ছুটি দিয়ে একজন পীরের কাছে ৬ মাসের জন্য পাঠিয়ে দিতে চেয়েছিলেন এবং বলেছিলেন ৬ মাস সেখানে এলেম অর্জন ও আমল করে এলে সব ঠিক হয়ে যাবে। অথবা বিয়ে করাতে চেয়েছিলেন, আমি রাজী হইনি।
সম্প্রতি কিছু কিছু হুজুরকে বলতে শুনেছি, আমার নাকি কাশফ খুলেছে। কারণ মাদরাসায় চাকুরী করা কালীন, আমি ফেরেশতার মতো আচরণ করি।

বন্ধুগণ, আমার মতে দুনিয়াতে পিউর আল্লাময় পরিবেশ কোথাও নেই, বা থাকবেওনা হয়তো। কারণ এটি বেহেশতখানা নয়। এটি দুনিয়া এবং এটি পরীক্ষাগার। পরিপূর্ণ ইসলামী সমাজ আর ইসলামী পরিবেশ থাকলেতো সেটা বেহেশতের মতো হয়ে যাবে হয়তো। আর তখন আমার-আপনার পরীক্ষা হবে কিভাবে?

কিন্তু আমি হঠাৎ বুঝে উঠতে না পেরে (কারণ আল্লাহ নামের সীমটা হঠাৎ করেইতো আমার শরীরে ঢুকে পড়ে) হয়তো চেয়েছিলাম পিউর বেহেশতী মানুষ ও বেহেশতী পরিবেশ। আর আল্লাহর সীমের ওজনতো স্বাভাবিক ভাবেই বেশি হবে!
আর আল্লাহর কোন্ সীম আমার দেহে ঢুকেছে, বা কী ঢুকেছে, বা কেন আমি এ রকম করছি বা করে আসছি, তা আমি তখনও বুঝিনি এবং এখনো বুঝিনা!

তা না হলে আমি আমার ভাইদের, ভাবীদের বিরোধীতা শুরু করছিলাম কেন? এ বিরোধিতার উপসর্গ সমূহ অটোমেটিক ভাবে আমার শরীর থেকে বেরুতো। কথায়, ব্যবহারে, ইশারা-ইঙ্গিতে। তারা একটা শব্দ করলে, আমি এর বিপরীত আরেকটা শব্দ করতাম। সবচাইতে বেশি বিরোধিতা করেছি বড় ভাবী-ভাইকে নিয়ে। কারো বশ্যতা স্বীকার করিনি।

এবং তাদেরকে কেন বিরোধিতা করেছি, কেন কারো বশ্যতা স্বীকার করিনি, এর সঠিক ব্যাখা আমার জানা নেই। কারণ বিষয়টা আমার স্ব-জ্ঞানে ঘটেনি। যা ঘটেছে অনেকটা অলৌকিক বা অটো ভাবে! এখন অনুভবে ও চিন্তাকরে যা বুঝতে পারছি।

আমার মানসিকতা বুঝে ওরাই করেছিলো বেশি। বিভিন্ন উদ্দেশ্যমূলক কথা ও শব্দে আমি জর্জরিত ছিলাম! এবং এখনো এ আগুনে অনেকটা জ্বলছি।

তাদের প্রতি এ বিরোধিতা, এটা আমার স্ব-জ্ঞানে ছিলো না। তবে তারা কিন্তু আমার প্রতি স্ব-জ্ঞানেই করেছে!

অনেক সময় আমার কোরআন শরীফ কেড়ে নেয়া হতো! কারণ আমি দীর্ঘক্ষণ পড়তাম! মাছনূন দোয়া সমূহ পড়ার সময় বলা হতো, এতো কী পড়স! তাই অনেক সময় চুরি করে মনে মনে পড়তাম!
আমার কাছ থেকে আল্লাহ নামের এ ভূতটা দূর করতে, আমি যে খাটে শুয়ে ছিলাম, সেখানে জুতার উপর রাখা হলো কোরআন শরীফ! যাতে ঘুম থেকে উঠে কোরআনের উপর পা দিই! আর ভূতটা চলে যায়! (নাউজুবিল্লাহ্)
তর্কা-তর্কির এক পর্যায়ে বলা হলো, তোর দাঁড়িতে আগুন ধরামু! আমার মিসওয়াক কেড়ে নিয়ে পানির মাঝে ফেলে দেয়া হলো! 

কারণ তারা এ ভয়ও করছিলো হয়তো, এভাবে আল্লাহ ডেকে, আমি ভাত পাবো না! ইত্যাদি ইত্যাদি অত্যাচার গুলো আমাকে সহ্য করতে হয়েছিলো।

আমার ইচ্ছার বাইরে কাঁড়ি কাঁড়ি তাবিজ গলায় ঝুলাতে হলো। তাবিজের ধোঁয়া শুকতে হলো। তাবিজ খেতে হলো। সে সাথে খেতে হলো মুঠো মুঠো মানসিক রোগের ঔষুধ।

পরবর্তীতে আমার চিকিৎসা নিয়া, যখন আমার ভাগ পৃথক করে, জমি বিক্রি না করে, বাবা তাঁর নামীয় জমি মফস্বল থেকে শুধু মেঝভাইর কাছে বিক্রী করে, হয়তো এ কারণে আমার বড় ভাই আরো জোরালো ভাবে আমার বিরুদ্ধে লেগে পড়ে এবং হিংসায় ফেটে পড়ে।

শুরু হয়, আমার বিরুদ্ধে এক যুদ্ধ! আমাকে দূর্বল থেকে দূর্বলতর করবেই তারা। অথবা আমার ভিতর কোন এক জ্বীন বা অশরীরী শক্তি আছে, তাকে তাড়াতেই হবে যে তাদের! না হয় আমার ও তাদের ক্ষতি হবে, হয়তো এই তাদের জ্ঞান। 

কারণ আমি অটো ভাবে তাদেরকে মানছি না। সমাজ হয়তো এতো কিছু জানে না! বাহিরের লোকগুলো জানে, আমার মানসিক রোগ, তাই তারা আমার চিকিৎসা করাচ্ছে!

আমাকে প্রায় সপ্তাহের উপরে, প্রায় ১০ দিন একরুমে বন্ধী করে রাখা হলো, অথচ রুমের বিদ্যূতের বোর্ড সম্পূর্ণ খোলা ছিলো। আমিই সব ছিঁড়ে ফেলেছিলাম। রশি দিয়ে সন্ধ্যায় শক্ত করে বাঁধা হলো আমাকে এবং রাত ২/৩ টার দিকে শরীরে রক্ত চলাচলে বাধা হবে মনেকরে, তখন খোলা হলো। 
হয়তো উদ্দেশ্য ছিলো, আমার দেহ-মনে ভীতীর সঞ্চার করা। যাতে কোন দিন বড় মানুষ হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারি, যেহেতু আমি তাদের মানছি না। এভাবে বিভিন্ন ধরনের নির্মম আচরণ ও অত্যাচার করা হলো আমার সাথে।

এ অবস্থা ও পরিস্থিতিতে আমি অস্থির, অশান্ত ও আনব্যালেন্সড ছিলাম। ফলে মানুষগুলো আমার জ্বীন তাড়াতে গিয়ে বা আমায় সুস্থ করতে গিয়ে, বা আমায় বাধ্য করতে গিয়ে, শুরু করলো আমার উপর অকথ্য নির্যাতন, অবর্ণনীয় অত্যাচার।
এতে আমায় তারা ফকির করেছে; কিন্তু কিছুতেই আল্লাহ্ নামের এ ভূতটা তারা তাড়াতে পারেনি। যতই ঔষুধ খাওয়াক এ আধ্ম্যাত্বিকতা কিছুদিন পর পর আবার ফিরে ফিরে আসছিলো। আর তখন আমি অনেকটা অটো হয়ে যেতাম।

যাক, তারা স্থায়ী ভাবে বুঝে গেলো হয়তো, আমার মন-মোগজ তাদের বিরুদ্ধে! আর তাই তারাও (আমার ভাই,ভাবী,বোন এরা) আমার বিরুদ্ধে যুক্তি করলো, আমাকে কখনোই তারা মাথা-চাড়া দিয়ে, চোখে পড়ার মতো করে উঠতে দেবে না! দাবিয়ে রাখবে! কোনভাবে বাঁচিয়ে রাখবে! কারণ আমার যে মানসিকতা, এটা তাদের জন্য হয়তো ক্ষতিকর হতে পারে! এবং তাদের মুখে এও শুনছিলাম, তুই কোন রাস্তা দিয়ে যাস, কিভাবে বেড়ে উঠস, তা আমরাও দেখে নেবো! কেউ কেউ বলতো, আমার ছাতি নে! আমার ছাতি নে!

তাদের এ মানসিকতাগুলো প্রবল ভাবে বুঝতে পেয়েছি, যখন আমি সমিতি করতে যাই, যখন আমি ব্যবসা করতে যাই এবং যখন আমি অনলাইনে কিছু করতে যাই, তখন দেখি আমার এ সম্মানজনক কাজগুলোয় আমার পরিবার এবং বংশের কেউই আমায় সাপোর্ট বা সমর্থন দেয় না। একজনও আমার সাথে থাকে না। অথচ গ্রামের লোক কিছু হলেও পেয়েছি। সমিতিতে একাউন্ট প্রায় ২০০ এর উপরে ছিলো; সঞ্চয়ের পরিমাণ প্রায় ২০ লক্ষের উপরে ছিলো। বিষয়টা একবার আমার জেঠাতো এক ভাতিজা আমার লিখা একটা পোস্টে কমেন্টস করতে গিয়ে বলেই ফেলেছিলো যে, আপনার বিরুদ্ধে একদল লোক পূর্ব থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছে যে, ভবিষ্যত জীবনে কোন কাজে আপনাকে সমর্থন বা সহযোগিতা করা হবে না; আপনি এদেরকে এড়িয়ে চলবেন।

প্রচুর ঔষুধ খাবার পর আমার অবর্ণনীয় কষ্টের এ স্মৃতিগুলো হারিয়ে ফেলেছিলাম। কিন্তু গত প্রায় ১২ বছর ঔষুধ না খাওয়ায় বা যে কারণেই হোক না কেন আমি আবার এগুলো ফিরে পেয়েছি। আবার আমার সে আধ্ম্যাত্বিকতা ফিরে এসেছে! 
২০২৪ সালে মাদরাসায় শিক্ষকতা করতে গিয়ে সেই যে এ আধ্ম্যাত্বিকতা আবার উঠেছে, তা আর যাচ্ছে না। কারণ, মাদরাসা ও মাদরাসার আশে-পাশে সবাই আমার সাথে ফেরেশতা আছে বলেই মনে করতো এবং রাত্রিকালে আমার মশারি লাগতো না। সবাই মশারি টাঙ্গালেও, আমার প্রয়োজন হতো না। ইত্যাদি।

তাই এখন আর ঔষুধও খাচ্ছি না। কারণ বুঝতে পারলাম, এটা আল্লাহরই কোন এক সীম। এটা আধ্ম্যাত্বিকতা ছাড়া আর কিছু না! এর ঔষুধ হিসেবে আমি বুঝতে পারছি, প্রচুর ধর্মীয় জ্ঞান, আমল, ধর্মীয় পরিবেশ, ধর্মীয় মান-সম্মান, ধর্মীয় বা আল্লাহ্ ওয়ালা হিসেবে মূল্যায়ন ইত্যাদি। 
ঔষুধে এ রোগের কিছু হবে না বলেই মনে হয়েছে আমার কাছে এখন। বরং ঔষুধে আমার স্মৃতি শক্তি লোপ পাইয়ে, আমার ব্রেনকে দূর্বল করার আশংকাই করছি আমি।
 এর মাঝে বিয়ে করলাম। বউ প্রথম ২ বছরের মতো এসব বুঝতে পারেনি বা তাকে বুঝতে দেয়া হয়নি। আমারও তখন স্মৃতিগুলো ফিরে আসছিলো না। কিন্তু এরপর থেকে সেও চলে গেলো তাদের দলে। শুরু হলো তার মতো করে তার বেঁচে থাকার লড়াই। শুরু করলো আমাকে অবহেলা আর অপমানের। আমার প্রেম-ভালোবাসার গ্রহণযোগ্যতা তার কাছে আর থাকলো না। বউ আমার হলেও, পরিচালিত হতে থাকলো তাদের দ্বারা, মূল্যায়ন করতে লাগলো তাদেরকে। কারণ আমার ভালো ইনকাম ছিলো না। যেহেতু সেওতো দুনিয়াতে এসেছে খাওয়া-পরার জন্যে।

আল্লাহর একনিষ্ঠ গোলাম বা বন্ধু হওয়া, এটা অনেক সময়, আলেমের দ্বারাও সম্ভব না যে! 
সব মিলিয়ে আমার ঘর, আমার বাড়ি, আমার জন্য যেন দোযখের গর্ত হয়ে গেল! 

যে বড় ভাই বাবার মতো হওয়ার কথা ছিলো, সে বড় ভাইকে প্রায় ২ বছরের অধিককাল প্রচুর রিকোয়েস্ট করেও আমার মুদি দোকানে একটি বারের জন্যেও নিতে পারিনি, বাবার পুকুর থেকে আমার ঘর ভিটার জন্য মাটি আনতে দেননি তিনি! বাধা দিয়ে আমার কামলাদেরকে তুলে দিয়ে ছিলেন। 

তাঁর কারণে তাঁর সমস্ত আত্মীয়-স্বজন ও পরিচিতজন আমাকে নেগেটিভ চোখে দেখতো। কিন্তু এর মূল কারণকি, তা কেউ ক্ষতিয়ে দেখতো না! 

আর আমিও, আজও বুঝতে পারি নাই যে, ঠিক কী কারণে আমার নিজ বড় ভাই, আমার সাথে এই, এই পরিমাণ হিংসা, শত্রুতা আর অসহযোগিতা করলো! হয়তো কোনদিন তা আমি আর জানতে পারবোও না!

 আমার সে অলৌকিকতা, ভাইকে যে কী বুঝালো! অথবা আমি যে, ভাই-ভাবীকে কী পরিমাণ নেগেটিভ আচরণ দেখিয়েছিলাম, যার জন্যে, রবের সৃষ্ট আমাদের রক্তের বাঁধন উবে গিয়ে, এই পরিমাণ হিংসা আর বিরোধিতায় পরিণত হলো!? 

অর্থাৎ আমার দোষ কী, এ পরিমাণ ছিলো যে, আমাকে সবাই মিলে এভাবে বিরোধিতা করতে হবে!? এবং দলবদ্ধ ভাবে এ রকম একটি মানবতা বিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়ে সবাই মিলে আমাকে আমার উন্নয়ন মূলক সকল কাজে অসহযোগিতা বা বাধা প্রদান করতে হবে!?

বউ আসলো ঘরে, তাকে ব্যবহার করেও, তাকে জ্ঞান দিয়ে বা ব্যবহার দেখিয়েও আমার ঘরটিকে করে রেখেছিলো, প্রায় দোজখের গর্তের মতো করে?

তার মানে, একটা উন্নত চরিত্রের ব্যক্তিত্ববান মানুষকে জ্যান্ত মেরে ফেলার মতো সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছে সবাই মিলে! অথচ ইসলামিক নিয়মানুযায়ী আত্মীয়তা সম্পর্ক ছিন্ন করলে বা রক্ত সম্পর্কিত আত্মীয়দের বিপরীত কোন কাজ করলে, সে কাজে কোন মুমেন সাকসেস করতে পারবে না।

কিন্তু আমার অপরাধ কী!? আর অপরাধ থাকলেও কি তা এ পর্যায়ের!? 

এ বিষয়টি হয়তো আমি আর কোনদিন জানবো না! কারণ আমাকে যে আল্লাহর অলি বা তাঁর বন্ধু হতে হবে! আর আল্লাহর ভালোবাসা পেতে হলে এবং আল্লাহর বন্ধু হতে হলে যে, আত্মীয়তার বন্ধন, আত্মীয়দের সাথে সু-সম্পর্ক অবশ্যই আমার লাগবে! ইসলামে আত্মীয়তার সম্পর্ক যে এ রকমই! 

আগে বিষয়টি অনুভবে না আসলেও অথবা আমার সে অলৌকিক অনুজীবটি আমাকে, ইসলামের এ মূল বিষয়টি, ঐভাবে বুঝতে না দিলেও এখনতো ঠিকই বুঝতে পারছি!

 সমিতির অফিস ভবনের জন্য প্রথম যে দিন ইট আনি, তা রাস্তার পাশে রাখায় এবং এতে আমার বড় ভায়ের দু'চারটা পাট শাখের গাছ নষ্ট হওয়ায়, বাড়ি থেকে সোঁ সোঁ করে তেড়ে চলে আসেন তিনি এবং লেবারদেরকে অকথ্য ভাষায় বকাবকি ও রাগ দেখান! 
অন্য এক ভাই, বাবা ইন্তেকালের আগে আমার ছাত্র বয়সে আমাদের ৩ ভাইয়ের নামে জমি কিনলে, মেঝ ভাই তাতে আমায় দখল দেয় না, তখন জেঠাতো ভাইকে বিষয়টি বললে, তিনি বলেন, এ জমি তাকে ফিরিয়ে দিতে হবে; কারণ আমি এ জমি কিনার সময় টাকা দিইনি।

বউ আমার ভাইদেরকে করতো সম্মান, আমাকে তার সহস্র ভাগের এক ভাগও করতো না এবং এখনো করেনা। বরং করতো চরম অবহেলা! ছলনা! বুঝতাম এ সবই তার বেঁচে থাকার আকুতি! এ সবই আমার বিরুদ্ধে তাদের গ্রুপিং। এসব তখন না বুঝলেও, এখনতো বুঝি!

আমি স্পষ্ট বুঝতে পারছি, এখন এসব বলায় হয়তো তাঁদের কাছে খারাপ লাগছে আমাকে। কিন্তু তাঁদের বোঝা উচিৎ, আমার এসব বলার কারণেই হয়তো, আল্লাহ কর্তৃক রিজার্ভকৃত, তাদের শাস্তি লঘু হওয়ার পথ সুগম হচ্ছে! অথবা তাদের সাওয়াব বাড়ছে! তবে আমার মনে হয় আমি মিথ্যা বলিনি।

আবার সমিতি ৬/৭ বছর চালানোর পর, বিভিন্ন কারণে আর চালাতে না পেরে, সমাজের যে দু'চার জন মানুষ আমায় বুঝতে পেরেছিলো, তারাও আজ ৩/৪ বছর তাদের সঞ্চয়ের টাকা ফেরত না পেয়ে আমার প্রতি তারাও একেবারেই চক্ষুশূল! ক্ষুদ্ধ!

এরমাঝে মায়ের সূত্রে নিজকে সৈয়দ বা রাসূলের (সাঃ) বংশধর দাবী করলাম। কিন্তু কোন মাদরাসা সার্টিফিকেট বা অর্থ-বিত্ত নেই আমার।

আর স্বভাবত মানুষগুলো প্রতিষ্ঠিত ও শক্তিমান মানুষদের সাথে থাকতে চায় এবং থাকে; তাহলে আমার সাথে থাকবে কেন তারা!?

যাক, সমাজে আমার ভাই-ভাতিজাদের তথ্য প্রদান ও তাদের নেটওয়ার্ক বা তাদের অবস্থান বা তাদের সাঙ্গ-পাঙ্গদের ব্যবহার অনুযায়ী এবং আমারও আনকমন আল্লাহ ভক্তি মানসিকতা নিয়ে, এ সমাজে বাসকরা আমার জন্য যেন এক মহাচেলেঞ্জ ও মরণ-পণ অপমানের হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো! মসজিদে নামাজ পড়ছি অনেকটা চুরি করে! সীমাহীন অপমান আর মাথানত করে!
অনেক অনেক পরে সমাজের মুরুব্বী শ্রেণীর লোকেরা আমাকে বুঝতে পারলেও, বালক শ্রেণীর লোকেরা আজো আমাকে বুঝতে পারেনি।
অথচ আমার ব্যবহার সহ আমাকে দেখতে একজন বড় আলেম ও বড় মানের ধনী লোকের মতোই মনে হয়। এবং একজন সত্যাশ্রয়ী ব্যক্তিত্ববান পূরুষের মতোই মনে হয়।
 উপযুক্ত পদবী আর সার্টিফিকেটের অভাবে এবং মান সম্মত সম্মানজনক কাজ না থাকায় বা বয়স থাকতে বেশি বেহুশ থাকায় বা কোন এক অলৌকিক কারণে সরকারি বা উপযুক্ত কাজ না পাওয়ায়, এখন আমি আমার উপযুক্ত সম্মানের কোন কাজই পাই না; ফলে সাধারণ মানুষ আমাকে বোঝার কোন ক্ষেত্রই পায় না। বা ছোট খাট কিছু পেলেও আমার অতিরিক্ত পিউরিটি, অলৌকিক আচরণ, বড় মানসিকতা ইত্যাদি কারণে ধরে রাখতে পারি না।
ফলশ্রুতিতে সবাই মিলে প্রায় একযোগেই মনেহয় বলতে থাকলো, এ হলো বাঙ্গাল, এ কিসের আল্লাহ ডাকবে! এ কিসের এবং কিভাবে আল্লাহর অলি হবে! এ এভাবে আল্লাহ ডেকে ভাত পাবে কোথায়! এবং বেঁচে থাকবে কিভাবে! 

দেখতে পেলাম, আলেম-বাঙ্গাল সবাই মিলে এক কথায় বলতে লাগলো, এর আল্লাহ ডাকা থামাও! এর এভাবে আল্লাহ ডাকার যোগ্যতা নেই!

আমার গায়েবী আচরণের কিছু উদাহরণ এ রকম, ধরুন মসজিদে জুমার বয়ানে সাহাবীদের কথা বলা হচ্ছে, আর আমার দু'চোখ বেয়ে অশ্রু নির্গত হচ্ছে; ধরুন তখন ওমর (রাঃ) এঁর কথা বলা হলো, আর আমার শরীরে এতোই জোস সৃষ্টি হলো যে, হয়তো আমি তা কন্ট্রোল করতেও কষ্ট হচ্ছে। হয়তো কেউ আমাকে কোন প্রশ্ন করলো, বা কিছু জানতে আক্ষেপ প্রকাশ করলো; আর আমার অবচেতন মন, আমার অজান্তেই আমার কোন ইশারা-ইঙ্গিতের মাধ্যমে তা বুঝিয়ে দিলো; যা হয়তো আমি বুঝতেও পারিনি। এবং মূল সত্যের প্রতি কট্টর অবস্থান আমার। ইত্যাদি। এ বিষয়ে আমার পরিচিতদের থেকে আরো বুঝে নিতে পারেন!

নিয়ত করেছিলাম, প্রতি রমজানেই এতেকাফ করবো, কিন্তু আমার বেশি ইবাদত, বেশি কুরআন তিলাওয়াত, এগুলোকে মানুষ সম্মান না করে, তারা দেখে শুধু আমার তামাসা! ফলে মানুষের মূল্যায়ন না পেয়ে বা নিপিড়ন সহ্য করতে না পেরে, প্রতি রমজানে এতেকাফ করার নিয়তও আমি বাদ দিয়েছি!
সওয়াবের নিয়তে ইউটিউবে আরম্ভ করেছিলাম কোরআন তিলাওয়াতের একটা ফ্রি কোর্স; কিন্তু একদিন নিজ ভাতিজার কাছে এর একটি ভিডিও শেয়ার করলে, সে কমেন্টস করে কিনা, নেক্সট টাইম তার কাছে যেন, আর কোন ভিডিও শেয়ার না করি!
প্রতিষ্ঠিত হতে তৈরী করেছিলাম ওয়েবসাইট ও অনলাইন কার্যক্রম। কিন্তু কোনদিন আমার কোন লোক আমার একটি ভিডিও বা কোন একটি পোস্টও কেউ লাইক বা শেয়ার করেনি। এমনকি আমার প্রতিষ্ঠানের নাম পর্যন্ত কেউ মুখে নিতে মনেহয় অপমান বোধ করে! 

আর আমিও কখনো চাপার জোরে, বা যে কোন ধরনের বাহুবলে বা এখানে সেখানে বলাবলি করে, বা কৌশল করে নিজের পরিচয় প্রকাশ বা পরিচিতি প্রতিষ্ঠিত করতে চাই না; এটা আমার প্রাকৃতিক স্বভাব।

 (আমাকে বুঝাতে গিয়ে আসলে অতীতের অনেক কথাই বলেছি। এরচাইতে বিস্তারিত জানতে এ ব্লগে প্রকাশিত সিমিলারলি কন্টেন্ট সমূহ পড়তে পারেন)

এখন কথা হলো বর্তমানে আমার অর্থ-বিত্ত বলতে কিছুই নেই। অন্য দিকে আমার যেহেতু আল্লাহকে প্রয়োজন, আল্লাহর অলি হওয়া, আউলিয়া হওয়া যেহেতু আমার প্রয়োজন; তাই আমার আপনজনেরা আমার যতই বিরোধিতা করুক; আমি কিন্তু তাদের কাছে ভালো হওয়া ছাড়া, তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়া ছাড়া, তাদের সাথে সু-সম্পর্ক থাকা ছাড়া, কখনোই আমার আল্লাহকে আমি পাবো না বলেই মনে করি। 

যেহেতু আল্লাহকে পাওয়ার থিওরিটাই আমার কাছে আলাদা।

আমি মনে করি, আমরা যে, যেখানে বাসকরি, সেখানকার মানুষের কাছে সৎ ও বিশ্বস্থ থেকে (প্রয়োজনে হিজরতকৃত ঐ স্থানের) এবং আমাদের মুমেন আত্মীয়দের আত্মীয়তায় আবদ্ধ থেকেই আল্লাহকে পাওয়ার আশা করতে হবে। 

অমুকে এ কাজ করছে, তাতে আমার কি আসে যায়; এ রকম স্বার্থবাদী কথা বলে কখনোই পিউর ভাবে আল্লাহকে পাওয়া যাবে না বলেই আমার মনে হয়। অর্থাৎ আল্লাহকে পেতে হলে মানুষকে এড়িয়ে যাওয়ার, মানুষকে অবহেলা করার, মানুষের সাথে বৈরী আচরণের, কোন সুযোগই নাই। এবং আল্লাহকে পেতে হলে, আমি মনে করি, লোকটিকে অবশ্যই সহজ-সরল হতে হবে ও অন্তত দ্বীনের আবশ্যিক জ্ঞান এবং সে অনুযায়ী সহীহ্ আমল তার থাকতে হবে।

যেহেতু আমার বিশ্বাস হচ্ছে আল্লাহর ম্যান্ডেট পেতে হলে, প্রথমে মানুষের ম্যান্ডেট পেতে হবে। 

আর তাই আমার মতে, যারা পুরোপুরি আল্লাহ্কে পাবে, তাদের আশে-পাশে যত মানুষ আছে, তাদের মনোভাব, আশা-আকাঙ্খা, চিন্তা-ভাবনা ইত্যাদি সব কিছুতে, এসব আল্লাহ্ ওয়ালা ব্যক্তিদেরকে, যে বা যারা আল্লাহকে পেতে চাইবে তাদেরকে ধরবেই। 

শুধু লেখা-পড়া করে, আর কয়েকটা নামকরা নামী-দামী সার্টিফিকেট যুগিয়ে; আর যদি কেউ মানুষকে এড়িয়ে যায়, অথবা যদি বলে যে, সে এ রকম করছে, এতে আমারতো সমস্যা হচ্ছে না, বা তোর কি এসে-যায় ওদের কাজ বা ব্যবহারে, অথবা মানুষের কোন কিছুতে যদি আমাদের শরীরে অনুভূতি বা উপস্বর্গের সৃষ্টি না হয়, তবে আমি মনে করি, এ ধরনের ব্যক্তিদের আল্লাহর বন্ধু হওয়ার, মূল যোগ্যতাই তার বা তাদের নাই। বা তাদের বদ আমলের কারণে, তা তারা হারিয়েছে!

 আর কারো যদি এ মূল যোগ্যতা সমূহ না থাকে, তাহলে, আমি মনে করি হাজার সার্টিফিকেট অর্জন করেও, এ ধরনের ব্যক্তিগণ কস্মিককালেও আল্লাহর দোস্ত হতে পারবেন না।

আলহামদুলিল্লাহ! আমার বিশ্বাস, আল্লাহর বন্ধু বা আউলিয়া বা অলি হওয়ার জন্য আমার এ মূল যোগ্যতা রয়েছে! 

আর আমি হতে চাই আল্লাহু তা'য়লার প্রকাশ্য অলি বা বন্ধু! অর্থাৎ মানুষ প্রকাশ্য ভাবে জানবে যে, আমি আল্লাহর বন্ধু! যা শুধু আমি জানবো না। আমি জানবো, আমি চরম গুনাহ্গার! আমি ছোট! ও আমি অতি সাধারণ! 
তাই যদিও আমি আপনাদের কারো চোখে আল্লাহর অলি বা আল্লাহর বন্ধু হয়ে থাকি; দয়া করে এ ভাষায় আপনি আমাকে সম্ভোধন করবেন না। যেহেতু আমি আপনাদের চোখে-মুখে, আল্লাহর অলি ডাক শুনা বা পাবলিসিটির জন্য আল্লাহর বন্ধু হতে চাইনি। আমি চেয়েছি মূলতঃ আল্লাহর কাছেই, তাঁর বিবেচনাতেই এবং মানুষদের বিচারেই আল্লাহর অলি হতে, আর মানুষের সেবা করতে।

আমি মনে করি, আপনি-আমি যত বড় আলেম, আমলদারই হই না কেন; আমাদের নিকট, ও দূর পরিচিতজন গণ, যদি তাদের জান-মাল, ইজ্জত ও সম্মানের বিষয়ে আমাদেরকে বিন্দুমাত্র সন্দেহ পোষণ করে বা ভয় করে বা তাদের আমানত সমূহে যদি আমাদেরকে সকলে বিশ্বস্থ না মানে, এবং আমাদের আত্মীয়তার সম্পর্ক যদি পরষ্পর আন্তরিক ও সুদৃঢ় না হয়, তাহলে আমার মতে আমরা কখনোই আল্লাহর অলি হতে পারবো না।

আর আমার জীবনের একমাত্র প্রচেষ্টাই হচ্ছে, আল্লাহর অলি বা আউলিয়া বা তাঁর বন্ধু হওয়া। তাঁর প্রেম, তাঁর ভালোবাসা পাওয়া। আর এ জন্যে আমি আমার জান-মাল, মা-বাবা, সন্তান-সন্ততি, ও আমার সমস্ত কিছু উৎস্বর্গ বা কোরবানী করতে শতভাগ রাজী আছি।

যা অলৌকিকতা বলেন, আর পরিস্থিতি বলেন, যাই বলেন, সত্যের পক্ষাবলম্বনে বা সত্যের জন্যে আপনজনদেরকে পরিত্যাগ করতে, আমি বিন্দুমাত্রও কুন্ঠিত বা পিছপা হইনি; যা আপনারা প্রায় সু-দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে আমার চরিত্রে দেখতে পেয়েছেন। এবং আমার রয়েছে উপরে বর্ণিত এ বিষয়ে মূল যোগ্যতা সমূহ। তাই ইনশা'আল্লাহ আমি হবো বা হতে পারবো আল্লাহর অলি! আমি হতে পারবো আল্লাহু তা'য়ালার বন্ধু! এবং ইনশা'আল্লাহ, আমিই হতে পারবো তাঁর আউলিয়া! 

আর আল্লাহর প্রিয় বা আল্লাহর বন্ধু, বা আল্লাহর অলি বা তাঁর আউলিয়া হওয়া, এটিই হবে আমার জীবনের একমাত্র টার্গেট!

আমার সবকিছু আমি সবাইকে জানিয়ে পূর্ব ঘোষণা দিয়ে প্রকাশ্যেই করি এবং আমার সবকিছু খোলামেলাই থাকে। এতো ঘাপটিমারা লোক আমি নই। যা আপনারা যারা আমার পরিচিত, তারা এতোদিনে নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন।

 কারণ যে মানুষকে আমি প্রাণ দিয়ে ভালোবাসবো, তাহলে তার বা তাদের নিকট আমি গোপন করবো বা গোপন থাকবো কেন? তাই আমার জীবনের মূল ও প্রধান টার্গেট বা এ বিষয়টি, আমি প্রকাশ্যেই ঘোষণা করলাম। 

আর এ জন্যেই আমার প্রয়োজন আমার আত্মীয়দের সাথে আমার আন্তরিকতা, বন্ধুত্ব, হৃদ্যতা এবং ভালোবাসাময় সূ-সম্পর্ক!

এবং যেহেতু আল্লাহর বন্ধু হওয়াই আমার একমাত্র প্রয়োজন, তাই ইনশা'আল্লাহ আমি পারবো, আমার অতীতের এসব ভূলে গিয়ে নতুন করে শুরু করতে!

আবার আজ এতো বছর ধরে, আমার সাথে তাঁদের কোনই সু-সম্পর্ক নেই এবং আমার পরিবার, বংশ ও আত্মীয়দের সাথে আমার যে বিরোধ বা দূরত্বমূলক যে সম্পর্ক বা আচরণ, এ বিষয়ে আমি এক ফোঁটাও মিথ্যে বলছি না। যা এ ব্লগের সিমিলার কন্টেন্ট সমূহ পড়লে অথবা আমার গ্রামবাসিদের থেকে জেনে নিতে পারবেন।
কোন এক অলৌকিক কারণে হোক বা যে কারণেই হোক না কেন, এটা আমার কোন সাজানো নাটক ছিলো না।
 একমাত্র আল্লাহর দিকে চেয়ে তখনও আমাকে সবকিছু সহ্য করতে হয়েছে; আবার এখনো আমাকে সব কিছু সহ্য করতে হবে হয়তো। আমার এলাকাবাসী জানে আমি কোন অভিনয়কারী নই বা এসব আমার কোন সাজানো নাটক ছিলো না।

বাহির থেকে বল প্রয়োগ না করা হলে, তাহলে মানুষ কখনো তার দোষ বা ভূল স্বীকার করে না এবং চিরসত্য একজন দোষী মানুষও তার চারপাশের মানুষদের কাছে নির্দোষী, সাধু, আদর্শবান এবং ভদ্র থাকতে চায়। আবার মানুষ কখনো পরাজয় স্বীকার করতে চায় না [কেবলমাত্র আল্লাহর খাঁটি মুমেন ছাড়া (সঙ্গত বিষয়গুলোতে)]। আমার ভাই-বোন, স্ত্রী, এরাও মানুষ, এরাও ফেরেশতা নয়!
সে হিসেবে আমার স্ত্রীও, তার সন্তানদের কাছে নির্দোষী থাকবে; আমার ভাই-ভাবী-ভাতিজা সবাই নির্দোষী থাকবে! অথচ এইতো সেদিনও আমার ছোট ভাতিজা আমার অফিসের সামনে এসে, শুধু থুথু ফেলছিলো। আর আমি রুম থেকে বেরিয়ে জিজ্ঞাসা করলে, ও বললো, সে নাকি রোজার কারণে ফেলছে! 

সুতরাং, মানুষের মৌলিক কালচার অনুযায়ী আমি জানি, একমাত্র আল্লাহকে পাওয়ার জন্যে নির্দোষী হয়েও, সমাজে প্রকাশমান ও অপ্রকাশ্য সব বিষয়ে আমাকেই হয়তো দোষী সাব্যস্ত করা হবে, আমাকেই পরাজয় মেনে নিতে হবে।

আপনারা চারদিকে, দেশ-বিদেশে চোখ মেলে দেখেন না! যারা মুসলিম; যে যতবেশি ঈমানদার, সে ততবেশি মার খাবে; এ যেন প্রকৃতির অমোঘ নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে এ বিষয়ে সবাইকে বলতে চাই, যেহেতু আমার কাছে এখন টাকা-পয়সা নেই; আমার ভাই বা আত্মীয়-স্বজনের সাথে আমার অর্থ-সম্পদের বিশাল ব্যবধান; এবং আমিও রক্তে-মাংসে গড়া মানুষ; এছাড়া বর্তমান মানুষের সোসাইটি অনেকটাই অর্থ ও ক্ষমতা কেন্দ্রীক, যেখানে ঈমান-আমল প্রধান ও মূল বিবেচ্য বিষয় নয়; সেখানে তাদের সাথে আমার আন্তরিকতাপূর্ণ ব্যবহার করা, হয়তো অল্প দু'চার দিনে সম্ভব হবে না।
যেহেতু আপনারা জানেন, আমি প্রায় ফকির হয়ে যাওয়ার পরেও উচ্চ ব্যক্তিত্ব নিয়ে জীবন-যাপন করি এবং আল্লাহ্ ছাড়া কারো নিকট মাথা নত করি না; তাই আল্লাহকে পাবার উদ্দেশ্যে, আমার ভাই ও অন্যান্য সকল আত্মীয়-স্বজনের সাথে, বন্ধুত্ব ও আন্তরিকতাপূর্ণ ব্যবহারের যে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছি; এটা শুনে দয়া করে কেউ আমাকে মাতবরি মূলক ব্যবহার বা অপমান মূলক বা তাচ্ছিল্যমূলক ব্যবহার করবেন না। 

আর আমিও কখনো আত্মীয়তা সম্পর্ক বজায় রাখতে গিয়ে, সত্যকে মিথ্যা বা সত্য মিথ্যায় মিশ্রণ বা সত্য গোপন বা মিথ্যা বা অন্যায়কারী যে হোক তাকে সাপোর্ট দেয়া, ইত্যাদি কাজগুলো আমি কখনো পারবো না।

যেহেতু এখন আমার অর্থ-সম্পদ বলতে তেমন কিছুই নেই, এবং যেহেতু ফকির হওয়ার পরেও আমার আচরণ ও ব্যবহার একনিষ্ঠ আল্লাহমূখী; তাই আমার বাড়ির লোকদের সাথে বা আত্মীয়দের সাথে প্রকাশ্য আন্তরিকতামূলক মেলামেশা করতে বা জীবন-যাপন করতে একটু সময় লাগতে পারে।

তবে আমি আপনাদের সবাইকে আশ্বস্থ করতে চাই যে, মূলত আমার চরিত্রের যে অলৌকিকতার কারণে, আমার ও আমার আত্মীয়দের মাঝে, যে হিংসা বা ব্যবধান সৃষ্টি হয়েছে (গত ২৪ বছরে মিলে) আমি আশা করছি, এখন সে অলৌকিকতাই আমাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করবে! তবে এতে হয়তো আমাদের উভয়কে আরো কিছু ত্যাগ স্বীকার করতে হবে ও হয়তো আরো কিছু সহ্য করতে হতে পারে। এবং প্রয়োজন হবে শুধু আমার অর্থনৈতিক উন্নতি! এবং অর্থনৈতিক ব্যবধান কমিয়ে আনা!

যেহেতু আমাকে আল্লাহর অলি বা বন্ধু হতে হবে এবং এ জন্য আমার ভাই-ভাবী-ভাতিজা সহ বাড়ির সকলের সাথে ও আমার সকল আত্মীয়ের সাথে একটা সুসম্পর্ক প্রয়োজন, এ বিষয়টি মাথায় ধরেছে; আমি মনে করি আগে যে অলৌকিকতার প্রভাবে আমাদের সু-সম্পর্কে চিড় ধরেছিলো; এখন আমার সে অলৌকিকতাই আমাদের সু-সম্পর্ক ও ভালো ব্যবহার ফিরিয়ে আনতে পক্ষে থাকবে; এটিই আমি আশা করছি; না হয়, এ বিষয়টা আমার মাথায় আসতো না।
আমি মনেকরি ঐ অলৌকিকতাই বিষয়টি আমার মাথায় ঢ়ুকিয়েছে। ফলে আমার আশা, আমাদের মধ্যকার এ সু-সম্পর্ক সৃষ্টিতে আমাদেরকে খুব বেশি বেগ পেতে হবে না।

দেখুন, মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। কোন মানুষই একাকী স্বয়ং সম্পূর্ণ নয়। মানুষ একে অপরের জন্য। আর তাই আমার জীবনের একমাত্র লক্ষ অর্জনে ও জীবনমান উন্নয়নে উপরোক্ত প্রবন্ধের আলোকে আমার আত্মীয়-স্বজন, এলাকাবাসী ও পরিচিত জনদের নিকট নিম্নে উল্লেখিত কয়েকটি বিষয়ে পরামর্শ আহবান করছি। আশা করি আপনারা যুক্তি, বুদ্ধি ও পরামর্শ দিয়ে ও সম্ভব মতো সহযোগিতা করে আমায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আনতে সহায়তা করবেন বলে আশা করি।

পরামর্শের বিষয় সমূহঃ

১। আমার ভিতর যে গায়েবী শক্তি বা গায়েবী উপস্বর্গ সমূহ বা চরিত্রটি দৃশ্যমান; একে আমি মহিলা জ্বীন বা পরী মনে করেছিলাম এবং মাদরাসায় শিক্ষকতা পেশায় যাওয়ার পরে, মানুষের মতামত অনুযায়ী, আমি এটাকে ফেরেশতা বা আধ্ম্যাত্বিকতা বা কাশফ ওপেন হওয়ার বিষয় হিসেবে বুঝতে পাই। 

কিন্তু গত অনেকদিন ধরে, অনেক চেষ্টা-তদবীর, দোয়া-খায়ের বা রিকোয়েস্ট করার পরেও আমি এ জাতীয় কাউকে তার নিজস্ব অবয়বে বা মানুষের বেসে হাজির করতে পারিনি। তাই এখন আমি, আমার সাথে জ্বীন বা পরী আছে বলে বিশ্বাস করি না। কারণ এ জাতীয় কিছু যদি থেকেই থাকতো, তাহলে নিশ্চয়ই এতোদিনে সে আসতো।

 আপনারা যারা আমায় ভালোকরে চিনেন ও জানেন; আপনারা এ বিষয়ে যদি আমাকে বলতেন বা পরামর্শ দিতেন; আপনাদের কাছে এটি কী বলে মনে হয়েছে!? 

আমার চরিত্রের এ জটলার বিষয়ে, আমি যদি সঠিক তথ্য পাই, তবে আমি মনে করি, আমি আল্লাহু তা'য়ালার বন্ধু হতে এবং আমার জীবনমান উন্নয়নে তা যথেষ্ট সহায়ক হবে বলে মনে করি।

 তাই আশা করি এ পোস্টের কমেন্টস বক্সে, এ বিষয়ে আপনারা যে যা বুঝেন, তা লিখে আমায় পরামর্শ প্রদান করবেন।

২। আমাকে পরামর্শের ২য় যে বিষয়টি, এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। দেখুন, ইসলামি সমিতি করেছিলাম মানুষের উপকার করতে। কিন্তু এখন আমি নিজে ঋণী হয়ে গেছি। আনুমানিক মানুষের প্রায়, ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা সঞ্চয় এখনো তারা পাবে। অথচ সমিতি বন্ধ করে দিয়েছি আজ প্রায় ৩/৪ বছর হবে। আপনারা ভালো করেই জানেন, এ টাকা দেয়া ছাড়া, আমি আল্লাহর বন্ধু হওয়া গিয়ে তো দূরে থাক, হয়তো নরকই হবে আমার ঠিকানা। 

অর্থ-সম্পদ এমনকিছু নেই যে, বিক্রি করে দিয়ে দেবো। তবুও যেহেতু আমার আল্লাহকে পাওয়া প্রয়োজন, তাই তাদের এ টাকাতো আমাকে দিতেই হবে। 

একজন মুমেন যখন মারা যায়, তখন তার সমস্ত সম্পত্তি বিক্রি করে হলেও আগে তার ঋণ শোধ করতে হয়। এরপর যদি থাকে, তাহলে ওয়ারিশেনেরা পায়, নতুবা পায় না।

 তাহলে আমার কাছে কে কে টাকা পাবে, আল্লাহু তা'য়ালা না করুক, কোপালের লিখন অনুযায়ী যদি আজকে বা এখনই বা কালকেই যদি আমার ইন্তেকাল হয়ে যায়, তাহলে তথ্য-প্রমাণ যথাযথ না থাকায় বা যে কারণেই হোক না কেন, হয়তো আমার অনেক পাওনাদার তাদের পাওনার টাকা পাবে না। এমতাবস্থায় আমার জীবন থাকতেই তাদের টাকা পরিশোধ করা আবশ্যক বলে মনে করছি।

 কিন্তু দেখতে পাচ্ছেন, এ বিষয়ে আমি কম রিক্স নিইনি; মানুষের হায়াত-মৌতের নির্দিষ্ট কোন সময় নেই। মানুষের কতগুলো টাকা মাথায় নিয়ে, দিনের পর দিন কিভাবে মাথা নত করে, শত অপমান সয়ে, মসজিদে যাচ্ছি, বাজারে যাচ্ছি, বেঁচে আছি, তা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। 

ইতিমধ্যে আমার কয়েকজন পাওনাদার একেবারেই দে-পরওয়া হয়ে গেছেন। আর কত তাদের টাকা আঁটকিয়ে রাখবো।  

তাই স্ত্রীকে অনুরোধ করেছিলাম, তার কাছে যে স্বর্ণ-গহনা রয়েছে, তা বিক্রি করে, আমার কাছ থেকে আমার বসত ঘরের সাথে ১ ডিসিম জমি ক্রয় করতে। সেখানে এরচেয়ে বেশি জমি আমার নাই। ইতিপূর্বে তার মোহরানা বাবত এ স্থানে কিছু জমি আমি রেজিস্ট্রি করে দিয়েছিলাম তাকে। এ জমিটুকু সহ হলে, তার একটা শক্ত অবস্থান হয়ে যেত এ বাড়িতে এবং তখন সে বরাবরের মতো আমাকে অবহেলা করতে যথেষ্ট শক্তি পেতো। কিন্তু এতে সে কিছুতেই রাজি না।

 এরপর মেজভাইকে প্রস্তাব দিয়েছিলাম; তিনিও রাজী না।

 ভাবছিলাম ১ ডিসিম বিক্রী করে, আরো কিছু ঋণ হালকা করি। কিন্তু হয়নি।

 ইচ্ছা ছিলো, ইনকাম করে ধীরে ধীরে ঋণ গুলো শোধ করবো, কিন্তু আল্লাহর কোন অলৌকিক বাধা, কোন্ এক গায়েবী শক্তি আমার সাথে! যার প্রভাবে ইনকামই করতে পারি না!

 জীবনে চাইলাম আল্লাহকে পেতে, আল্লাহর বন্ধু হতে; অথচ আমাকেই জাহান্নামের আগুনে জ্বলতে হবে?

এ বিষয়ে এখন আমার প্রস্তাবনা হচ্ছে, আমার যে অফিস ঘরটি, সমিতির জন্য দিয়েছিলাম, এ ঘর এবং এ ঘরের জায়গাটুকু আমার ভায়েরা আমার নিকট থেকে ক্রয় করে, কিছু টাকার লোন শোধ করে, বাঁকি টাকা দিয়ে আমাকে সৌদি আরব পাঠায়ে দিবে (মক্কায়)। বাকি ঋণ সৌদি গিয়ে পরিশোধ করবো ইনশা'আল্লাহ! আমি আশা করি আমায় সৌদি (মক্কায়) যদি পাঠাতে পারেন, তবে ইনশা'আল্লাহ আল্লাহর অলিও হতে পারবো এবং আমার কর্মও মিলবে। এবং ইনশা'আল্লাহ আপনাদেরও যথেষ্ট উপকার করতে পারবো বলে আশা রাখি।

 যেহেতু আমার স্বভাব ও কারেক্টারের সাথে সৌদি মানুষের কারেক্টারের অনেকটাই মিল আছে। তাই আশা করি সেখানে গেলে আমার উন্নতি হবে। 

আমার পাওনাদারেরাতো আমার জন্য অনেক সহ্য করেছে; কিন্তু আর কত সহ্য করবে তারা? তাই আমার নিকট পরিজন বা এলাকাবাসীর নিকট আমার আবেদন, মানুষের এ টাকা কিভাবে পরিশোধ করা যায়, এ বিষয়ে আমাকে, আমার স্ত্রীকে এবং আমার ভাইদেরকে এ পোস্ট এর কমেন্টস বক্সে কমেন্টস করে পরামর্শ প্রদান করবেন। বা অফলাইনে পারসোনালি তাদেরকে পরামর্শ প্রদান করবেন। 

প্রয়োজনে যদি বলেন, আমার অফিসঘর বিক্রি করে ফেলতে হবে, আমি তাতেও রাজি আছি, যা ইতিমধ্যে আমার কয়েকজন পাওনাদার আমাকে বলেছেন। সৌদি যেতে পারি আর না পারি, অন্তত ঋণতো শোধ করতে হবে!

যে ঘরটি দিতে আসবাব পত্রসহ আমার ব্যয় হয়েছে প্রায় সাড়ে আট লক্ষ টাকা। এখন যদি আমার ভায়েরা এ ঘরটি ও এ জায়গাটুকুও কিনতে না চান, অথবা যদি বাহিরে বিক্রি করতেও তাদের আপত্তি থাকে বা বাধা প্রদান করেন, তবে আমি ঋণমুক্ত হবো কিভাবে? আমাকে দুনিয়ার লাঞ্চনা ও জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচানোর, তাদের বুঝি কোন দায়িত্ব থাকবে না? এতে আমার স্ত্রী সহ তারা বুঝি শান্তি পাবেন?
অতএব, আমার এ ঘরটি কিনুন, আমার ঋণশোধে ও মক্কায় (সৌদি) যেতে সহযোগিতা করুন এবং এ রমজান মাসে আমাকে নিশ্চিত ধ্বংসের হাত হতে রক্ষা করুন।

 অথবা যদি বলেন, বাড়ির উপর দিয়ে বিক্রী করতে হবে, আমি তাতেও রাজি রয়েছি। 

কী করবো, কোন্ অলৌকিক বাধায় আমি ইনকাম করতে পারবো না; তাহলে কি আমি মানুষের পাওনা দেবো না? এটা কিসের অলৌকিকতা হলো, তা আমি বুঝিনা; এটা আমায় মানসিক ভাবে শুধু রাজা সাজায়ে রাখছে, আর মানুষকে বিভিন্ন ইশারা-ইঙ্গিত ও লক্ষণ প্রকাশ করে আমায় অন্তস্বারশূন্য পূণ্যবান বানিয়ে রাখছে।

 তাই হে আমার প্রিয়জনেরা, আপনারা অবশ্যই এ বিষয়ে আমাকে সাজেস্ট করবেন, আমি কিভাবে মানুষের পাওনা পরিশোধ করবো? তা না হলে আমায় জাহান্নামে জ্বালিয়ে, আপনারা বুঝি আমার পরিজন হবেন?

 এখানে একটা কথা না বললেই নয়; আমার স্ত্রী এসব ফেসবুক, ইউটিউবের কিছু বোঝে না; তাকে বুঝাতে হলে, শুধুমাত্র পার্সোনালিই বোঝাতে হবে।

অতএব, হে আমার এলাকাবাসী! আপনারা আসুন, আমার এ জমিটুকু ঘরসহ কে ক্রয় করবে, কত দাম দিবে এবং আমায় মক্কায় পাঠাবে কিনা, এসব ঠিক করে দিন। কারণ ঋণের বোঝা, অপমান আমার আর সহ্য হচ্ছে না।

৩। তৃতীয় ও শেষ যে বিষয়টি আপনাদের কাছে পরামর্শ চাইবো, সেটি আমার কর্মের বিষয়ে। 

এ বিষয়ে প্রথমে ভূমিকায় কিছু কথা বলতে চাই। আমি আলেম নই, অথচ আলেমের মতো চলি, এতে আলেমেরা আমাকে গ্রহণ করে নেয় না; আমি ধনী নই, অথচ ধনীদের মতো ব্যবহার আমার, এতে ধনীদের কেউ আমাকে তাদের নিকটে ভিড়তে দেয় না। আমার খুব বেশি সার্টিফিকেট বা সরকারি-বেসরকারি পদবী নেই, অথচ আমি উচ্চ ব্যক্তিত্ব নিয়ে চলতে চাই, এতে একটু ভালো চাকুরী যারা করে, তারাও আর আমায় পাত্তা দেয় না। বর্তমানে প্রায় সবগুলো প্রতিষ্ঠানে বিশ্বাস আর পিউরিটি জিনিসটার বড়ই অভাব। প্রায় নেই বললেই চলে। ফলে মানুষগুলো আন পিউরিটিতে চলতে চলতে প্রকৃত পিউরিটিই আর চিনে না বা অভ্যস্ত নয় অথবা আনপিউরিটিকেই পিউরিট মনেকরে। কিন্তু আমি শতভাগ পিউরিটি নিয়ে চলতে চাই। 

ফলে দয়া-মায়ার শূন্যতা আর লোভ এবং স্বার্থবাদিতা হেতু মানুষগুলো আমাকেই উল্টা বুঝে। 

আর আমার এ স্বভাবগুলো কোন কৃত্তিম স্বভাব নয়। এগুলো প্রাকৃতিক।

আর তাই আনপিউরিটিময় বা বড় মানুষগুলো আমাকে তাদের পাশে রাখতে তাদের বড়ত্বে বাধে; যেহেতু আমার ঐ রকম অর্থ-বিত্ত বা পদবী নেই।

আপনারা জানেন, আমিও বড় মানুষদের মতোই বেড়ে উঠতে ছিলাম। কিন্তু কোন এক গায়েবী অনুজীব আমাকে গ্রাস করে, দুনিয়ায় আমাকে আনব্যালেন্সড বানিয়েছে, তবে আমার কলবকে করেছে আরো উন্নত, আরো পিউর। 
যা দুনিয়ার জন্য ম্যচিং নয়। এ সবের কারণে এবং অনেকটা আমার অলৌকিক অনুজীবটির প্রভাবেই আমার নিজ ভায়েরা বা বাড়ির লোকজনেরাও আমায় ক্ষতিকর মনেকরে আমাকে দামী ও মানসম্মত কিছু করতে দেবে না বলে হয়তো আমার বিরুদ্ধে তারা দলবদ্ধ ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো। 

সমিতি যখন মান সম্মত পর্যায়ে পৌঁছাচ্ছিলো এবং যখন সমিতির অফিস রুম দিচ্ছিলাম, তখন নিজ ভায়েরাই আমাকে অকারণে চোখ রাঙ্গাতো। অথচ আমি তাদেরকে শ্রদ্ধা করতাম। যে বিষয়টি তারা স্বীকার না করলেও বিষয়টি এ রকমই। 

কারণ মানুষ তার দোষ এবং ভূল স্বীকার করবে না। এমনকি তারা আল্লাহর সামনেও করবে না। তাহলে আমার-আপনার কাছে স্বীকার করার প্রশ্নই আসে না। আর শিক্ষিতজনেরা এ বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে!

এখন আমি আমার ভাই ও বাড়ির লোকদেরকে বলতে চাই, সমিতি করেছিলাম, গ্রামের লোকেরা সাপোর্ট দিলেও আপনারা দেন নাই। ডিস্ট্রবিউটিং ব্যবসা করতে চেয়েছি, তাতেও আপনাদের কাউকে পাইনি; মসলা করতে চেয়েছি, তাও আপনারা কেউ সমর্থন বা সহযোগিতা করেননি; পরবর্তীতে অনলাইন কার্যক্রম করতে চেয়েছি, তাও আপনাদেরকে পাইনি; ভালো কথা, আপনারা সকলে মিলে আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন, হয়তো আমার কোন এক অলৌকিক বা গায়েবী দোষের কারণে। 

আপনাদের স্বার্থ, আমার অলৌকিকতার কারণে, রক্তের বাঁধন ছিন্ন করতে পেরেছিলো অনেকটা।

আপনাদের পারিবারিক বন্ধন, ভালোবাসা, সম্পৃতি, আন্তরিকতা আমার অলৌকিকতাকে ছিন্ন করতে পারেনি!

হ্যাঁ, এটা শতভাগ সত্য যে, আমার অতীতের সকল কাজের ব্যর্থতার মূল ও প্রধান কারণ, আমার ও আমার আত্মীয়দের মাঝে সৌহার্দপূর্ণ সম্প্রীতি ভাব না থাকা।

তবে ইনশা'আল্লাহ! এখন সে অলৌকিকতাই হয়তো আমাদের বংশের পক্ষে থাকবে।

আমার বোধশক্তি হয়েছে যে, যেহেতু আমি আল্লাহকে চাই, তাই আপনাদের বিপরীত কোন কিছুতে আল্লাহকে পাবো না বিধায়, আপনাদের অসমর্থিত কোন কিছু করতে যাবো না আর। আমার বুঝে ধরেছে যে, মুমেন কখনো, আত্মীয়দের বিপরীত কোন কিছু করে কখনোই সাকসেস হবে না সে। 

আমার অতীতের সকল কাজের ব্যর্থতার মূল ও প্রধান কারণ, আপনাদের সাথে সু-সম্পর্ক না থাকা, আমি এখন এটিই মনে করছি।

তাই অতীতের সব কিছু ভূলে গিয়ে, এবং নতুন করে, আপনাদের সকলের সাথে সু-সম্পর্ক রেখে আমি ভবিষ্যত সময়ে আমার সকল কর্ম সম্পাদন করতে চাই; যেহেতু আমি আল্লাহর বন্ধু হতে চাই। এবং যেহেতু আমার সাথে একটি অলৌকিকতা কাজ করে, তাই আমায় দোষারোপ না করে, আশা করি আমায় গ্রহণ করে নিবেন।

অন্যদিকে আমার এ মানসিক অবস্থার কারণে, সুদীর্ঘ প্রায় ২৪ বছর মেয়েদেরকে পড়াইনি। বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে চলে এসেছি অথবা আমার সেই অলৌকিক কারণের প্রভাবেও চলে আসতে পারি। 

হয়তো আমার এ আলেমী, বড়লোকী আর পিউরিটি মানসিকতার কারণেও চলে আসতে হয়েছে বা অনেক জায়গাতেই আমার চাকুরী হয়নি বা আমি এপ্লিকেশনও করিনি। 

আর আমার এ পরিস্থিতিটি হয়তো ৯২% মানুষ বুঝবেন না। তারা আমাকে দোষারোপ করা ছাড়া হয়তো তাদের ব্রেনে আর কিছু ধরবে না।

এখন আবার কর্ম করতে গেলে বা মেয়েদেরকে পড়াতে গেলে বা পরিস্থিতির কারণে পর্দা না মানতে পারলে, তাহলে আমার সে অলৌকিক কারণে, আবার ঐ কর্মটিতে ব্যর্থ হতে পারি কিনা, এ বিষয়েও পরামর্শ চাই।

এছাড়া আমি যেহেতু আল্লাহর বন্ধু হতে চাই। আল্লাহর আউলিয়া হওয়াই যখন আমার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, তখন আমাকে অবশ্যই আমার পারিবারিক বন্ধন মেনেই, তাদের সাথে সুসম্পর্ক রেখেই এবং এলাকাবাসীর মনজয় করেই ও তাদের মন-মানসিকতা অনুযায়ীই আমাকে জীবন-যাপন বা যে কোন কর্ম করতে হবে। যেহেতু রবের দুনিয়া নামের অফিসিয়াল নিয়মের ব্যতিক্রম হওয়ার কোন সুযোগ নেই আমার। 

কারো জন্য যদি রবের দুনিয়ার এ সফটওয়ারের পরিবর্তনই হতো, তাহলে তা অবশ্যই রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এঁর জন্য হতো। কিন্তু তাঁর (সাঃ) জন্যও হয়নি! যদি হতো তাহলে তিনি (সাঃ) মক্কাতেও পারতেন; কিন্তু পারেননি। আল্লাহর ঘর ও নিজ বংশ রেখে তাঁকেও মদীনায় চলে যেতে হয়েছিলো।

অবশ্য তখনকার সময় মক্কায় ছিলো বেশির ভাগই কাফের, আর হিজরতের ক্ষেত্রে আমার এখানে বেশির ভাগই মুমেন এবং আমি একজন অতি সাধারণ মুসলমান; এখানে একটা বিশাল পার্থক্য রয়েছে। তবে কাউকে কোন কিছু করতে হলে, ঐ এলাকার মানুষের মন যুগিয়েই যে করতে হবে, তা কিন্তু রহিত হওয়ার নয়।

এ অবস্থায় আমি মনে করি, আমার সেই অলৌকিক বিষয়টির প্রভাবে এবং তাদের দূর্বল ঈমানের কারণে হয়তো আমার সাথে মানুষ গুলো এ রকম করেছিলো! বা আমি এ রকম করেছিলাম!

তবে এখন আমি সবাইকে আশ্বস্থ করতে চাই যে, যেহেতু আমাকে আল্লাহর অলি হতে হবে এবং যেহেতু আল্লাহর অলি হওয়ার জন্য অবশ্যই পারিবারিক ও বংশীয় এবং এলাকাবাসীর সাথে মিলমিশ থাকা আমার প্রয়োজন হবে; যেহেতু এ বিষয়টি আমার মাথায় ঢ়ুকিয়েছে, তাই আমি মনে করি, এখন আমার সেই অলৌকিক বিষয়টিই আমার মাথায় এসব ঢুকিয়েছে, তাই সে আর কারো সাথে নেগেটিভ আচরণ করবে না এবং আমাকেও হয়তো সবার সাথে ভালো আচরণ করতে সহায়তা করবে।

অতএব, উপরোক্ত বিষয় গুলোর আলোকে আমার কর্মের বিষয়ে, আমাকে পরামর্শ দিয়ে ধন্য করার জন্য সকলের নিকট উদার্ত আহবান জানাচ্ছি!

বন্ধুরা,এখানে ক্লিক করে ফেনীতে অবস্থিত হাসপাতালের তথ্য দেখতে পারেন, এবং

শুদ্ধরুপে কোরআন তিলাওয়াত শিখতে চাইলে

এখানে ক্লিক করা যেতে পারে

এ পোস্টের ট্যাগ সমূহঃ পরামর্শ, পরামর্শমূলক আহবান।

সকলে ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। সুন্দর থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।




বফপননসপটনন পডছ ডডঠটহড

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ