Ticker

6/recent/ticker-posts

জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলূম মাদানিয়া, যাত্রাবাড়ি, ঢাকা; এ মাদরাসায় ফতোয়ার আবেদন।

 প্রতি,

ফতোয়া বিভাগ,

জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলূম মাদানিয়া, যাত্রাবাড়ি, ঢাকা।

বিষয়ঃ পরীর সাথে মানুষের বিয়ে, দাসীদের সাথে যৌন সম্পর্কের বৈধতা এবং দুনিয়াতে মানুষের মত ও মানুষের সাথে জ্বীনদের বসবাস ইত্যাদি বিষয়ে এবং যেহেতু জ্বীন আমায় ঘ্রাস করে আছে, তাই, আমার সীমাহীন এ যন্ত্রণাময় জীবন থেকে মুক্তির লক্ষ্যে লিখিত ভাবে  ফতোয়া প্রদানের জন্য আবেদন (মুফতি হুজুরদের নাম, স্বাক্ষর ও তারিখ এবং মাদরাসার সীলমোহর সহ)।

জনাব,

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। প্রশ্নের শুরুতে প্রথমে ভূমিকায় কিছু কথা বলে নেয়ার প্রয়োজন মনে করছি।

সম্মানিত মুফতি মহোদয়, প্রথমেই আপনাদের প্রতি এই বলতে চাই যে, যেহেতু আল্লাহু তা'য়ালাই আপনাদেরকে আলেম হওয়ার তাওফিক দিয়েছেন; তাই আপনাদের কাছ থেকে শরয়ী সমাধান পাওয়া, এটা আপনাদের প্রতি আমার অধীকার বলেই আমি মনে করি।  

আর তাই, আমি আশা করবো, (সাঃ), আপনাদের নিকট থেকে আমার প্রশ্ন সমূহের সঠিক উত্তর আমি পাবো, এবং ইনশা'আল্লাহ! মহান প্রভূর রহমতে আমার এ যন্ত্রণাময় জীবনের অবসান হবে এবং হয়তো মানুষ ও জ্বীন জাতির কিছু উপকার করতে পারবো। মহান রব আপনাদেরকে এ লিখার বা এ প্রশ্ন সমূহের উত্তরে, তাঁর কথাই বলার বা লিখার বা আপনাদের থেকে আমাকে একটা গাইড লাইন পাওয়ার বা পরামর্শ পাওয়ার তাওফিক দান করবেন। আমিন। (সাঃ)।

(সাঃ) আবার, অন্যদিকে, আপনারা যদি আমার এ প্রশ্ন সমূহ জমা না নেন, বা উত্তর না দেন; এবং সে কারণে, ও এতে যদি আমি কোন ভূল আমল করি বা কোন পাপ করি, এর জন্যে; বা আমার এ দুঃখময় জীবনের জন্যে বা জাতীয় উন্নতিতে অংশিদার হতে না পারার জন্যে আপনারাও দায়ি থাকবেন। (সাঃ)।

(সাঃ) প্রিয় হুজুর, আমি আপনাদেরকে স্পষ্ট করে জানাতে চাই যে, আমি আর বসে থাকতে চাই না। সুযোগ পেলেই, ভূল হোক, শুদ্ধ হোক, কিছু না কিছু করে ফেলবো ইনশা'আল্লাহ! তাই আমাকে প্রশ্ন নিয়ে, অন্য কোন মাদরাসায় পাঠাইয়েন না আর! প্লিজ, আমার এ সম্পূর্ণ লিখাটি পড়ে; আমার প্রশ্ন সমূহের উত্তর দিন। চিন্তা করুন, আমি সেই ২০০১ সনে প্রথম উদিত হয়েছি। আজ প্রায় সুদীর্ঘ ২৫ বছর; এ সুদীর্ঘ সময়ে, কারো কাছ থেকে কোনরূপ সহযোগিতার আহবান আমি পাইনি। যদিও পাই, সেটি কোন ব্যক্তি বা ক্ষুদ্র কোন দল থেকে পেয়েছি। দয়া, মায়া, ভালোবাসা এবং সাপোর্টতো পাই'ইনি উল্টো শয়তান হিসেবে আখ্যা পেয়ে সীমাহীন লাঞ্চনা আর নীপিড়নের শীকার হয়েছি! এবং অন্তহীন এক অর্থ সংকটে পড়ে গেছি ও প্রায় একাকী জীবন কাটাচ্ছি! খেয়ে না খেয়ে আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের জীবন আজ অনেকটাই বিপন্ন! প্লিজ হুজুর! নিম্নে উল্লেখিত আমার প্রশ্নের উত্তর সমূহ দিন! আমায় সহযোগিতা করুন! আমায় দয়া করুন! (সাঃ)।

(সাঃ) প্রিয় হুজুর, আমি আপনার বা আপনার দলের হলে (অর্থাৎ ক্ষুদ্র একটি গোষ্ঠির অধীনতা বা বশ্যতা স্বীকার করলে); তাহলে আমার উত্তর দিবেন, নতুবা দিবেন না; আর এতে আমায় শুধু ভূল বুঝতে থাকবেন; এ ধারা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। ইনশা'আল্লাহ আমি শুধু আওয়ামি লীগ, জামাত ইসলামের নয়; হিন্দু-বোদ্ধ সহ সকল মানব ও জ্বীন গোষ্ঠীর (ইবলিশ ব্যতিত) উপকার করতে চাই। অর্থাৎ আমি সকলের। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষ ও জ্বীনকেই (ইবলিশ ব্যতিত) আমি ভালোবাসি। অতএব ইনশা'আল্লাহ আমাকে কোন রাজনৈতিক গ্রুপ কিংবা গোষ্ঠির ছাতার নিচে পাবেন না। এ বিষয়ে আমি প্রচন্ড ভাবে ভূক্তভূগী। তাই বিষয়টি জানিয়ে দিলাম। (সাঃ)।

ফতোয়া পেতে কোন না কোন দলে ঢুকতে হবে কেন (?), এটা আমি বুঝিনা। আমি কোন দল বা গ্রুপের সদস্য না হওয়ার মানে, আমি কোন মানুষকেই মানি না, মানুষের অধীনতা মানি না, এমনটি নয়; মূলত আমি সকল ধর্ম, বর্ণ, দল ইত্যাদি সকলের সেবা করতে চাই। মহান রব মানুষকে শ্রেষ্ঠ করে সৃষ্টি করেছেন; তাহলে অবশ্যই আমি মানুষকে শ্রেষ্ঠ হিসেবে মানি; এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। তবে মানুষ যদি নিজেই অমানুষ আর অহংকারী হয়, তাহলে তাকে আমি কেন মানবো, আর কিভাবে মানবো বলুন? রবের রচিত আইন বাদ দিয়ে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এঁর তরীকাকে বাদ দিয়ে, নিজেদের মনগড়া নিয়ম-নীতি ও তরীকা দিয়ে যদি নিজেদের মন-মগজ আর মস্তিষ্ক এবং সমাজ আর রাষ্ট্রকে পেঁচিয়ে রাখে, তাহলে নিজেদেরই এহেন বিকৃত প্রকৃতিতে, তখন ওরা আমায় চিনবে কিভাবে বলুন? কিন্তু এ পরিস্থিতিতে আপনাদের কাছেও ফতোয়া প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে প্রশ্ন জমা দিতে পারবো না; বা প্রশ্ন জমা দিলেও আমায় উত্তর প্রদান করবেন না; তা ইসলামিক কন্সটিটিউশনের কোথাও থাকতে পারে বলে আমার মনে হয় না। কারণ আমি যদি ভূল পথে বা ভূল জ্ঞানে থাকিও; আপনিতো আমায় শুদ্ধ করতে আমার প্রশ্ন সমূহের উত্তরই দিলেন না। অতএব, প্লিজ হুজুর! আমার প্রশ্ন সমূহের উত্তর পেতে অধীর আগ্রহে আপনাদের পানে চেয়ে আছি!

সম্মানিত হুজুর মহোদয়! শুনুন, আমাদের থেকে আপনাদের প্রতি উত্থাপিত আজকের এ প্রশ্নগুলো; পৃথিবীতে এমন কিছু ঘটতে যাচ্ছে, বা ঘটতে পারে, যা ইতিপূর্বে কখনো ঘটেনি, হয়তো এমনকিছু বিষয়কে কেন্দ্র করে উত্থাপিত হয়েছে। আমি আশা করবো, শুধুমাত্র কোরআন-হাদীস ও আপনাদের নিজস্ব এবং নতুন ভাবে গঠিত ইজমা ও কেয়াস অনুযায়ী আমার এ প্রশ্ন সমূহের হ্যাঁ বোধক উত্তর দিয়ে (যদি হ্যাঁ বোধক হয়), আমার ধারনা মোতাবেক জ্বীন সম্প্রদায়কে পৃথিবীতে আসার, মানুষের পাশাপাশি ও মানুষের সাথে, প্রকাশ্যে বসবাসের সুযোগ করে দিবেন, বা এ বিষয়ে সহযোগিতা করবেন। প্রিয় হুজুর, আমি, আমার আত্মীয়-স্বজন, পাড়া প্রতিবেশি ও পরিচিত জনদের প্রায় সবাই অনেকটা নিশ্চিত যে, সেই ২০০১ সন থেকে অদ্যাবদি একজন বা দু'জন মহিলা জ্বীন, এবং হয়তো তার দলবল বা তার সম্প্রদায় সহ আমার শরীরে সাহর বা ভর করে আছেন। প্রথম প্রথম একে বা এদেরকে খারাপ মনে করে, আমার আত্মীয়-স্বজন তাকে বা তাদেরকে তাড়ানোর জন্য বা মেরে ফেলার জন্য অনেক চেষ্টা-তদবীর করেছিলো। কিন্তু কোন ভাবেই তাকে বা তাদেরকে তাড়াতে বা মেরে ফেলতে পারেননি। যে কারণে, ও যার সূত্র ধরে আজ আমার অর্থ-সম্পদ, চাকুরী-বাকুরী, ব্যবসা-বাণিজ্য সব হারিয়ে এখন আমার ও আমার পরিবারের ৬ জন সদস্যের জীবন প্রায় বিপন্ন হওয়ার পথে। অনেকটাই মানবেতর জীবন-যাপন করছি আমরা। যতদূর বুঝতে পেরেছি, আমার সাথে থাকা এ পরী জ্বীনটি বা জ্বীনদ্বয় আমাকে বিয়ে করতে চায় এবং আমি এও ধারনা করছি যে, তার বা তাদের এ বিয়ে করতে চাওয়া, এটা শুধু তার বা তাদের বা আমার বা শুধু আমাদের ব্যক্তিগত প্রয়োজনে নয়; এটা মুসলিম সম্প্রদায় এবং পুরো মানব ও জ্বীন জাতির কল্যাণার্থে। আমি আরো বুঝতে পারছি যে, এ মহিলা জ্বীন বা জ্বীন সম্প্রদায় এতোটাই যোগ্য ও ভালো যে, যা কল্পনাতীত। এবং আমার আরো বুঝে ধরেছে যে, এ পরী জ্বীনগুলো আমাকে ছেড়ে কিছুতেই যাবে না, বা তাদেরকে তাড়ানোও সম্ভব হচ্ছে না বা হবে না। আগে না বুঝলেও, এখন আমি এ পরীটি বা পরীদ্বয় বা তাদের সম্প্রদায়কে ভালো মনে করছি। কারণ, আলহামদুলিল্লাহ! এর বা এ দলের প্রভাবে আমার কারেক্টার দিন দিন উন্নত হচ্ছে বলেই, আমার কাছে মনে হচ্ছে এবং আমি এও মনে করছি যে, এ পরী বা পরীদ্বয়কে বিয়ে করার মাধ্যমে মুসলমানদের বড় বড় সমস্যা, যেমন ফিলিস্তিন সমস্যা, বা এ জাতীয় ছোট বড় আরো অনেক সমস্যার সমাধানও হতে পারে হয়তো। অথবা যতদূর সম্ভব, মুসলিম সম্প্রদায় ও মানুষের অন্তত কিছু না কিছু উপকার হবে বলে আমার বিশ্বাস হয়েছে। কোন কিছু না হলে অন্তত আমিতো মুক্তি পাবো! এ হিসেবে এখন আমিও তাকে বিয়ে করতে চাই। কিন্তু ইসলাম অনুযায়ী এ বিয়ের বৈধতার স্বীকৃতি না পেলে এরা হয়তো ওপেনই হবে বলে মনে হয় না। তাই তাদেরকে ওপেন করতে পারা এবং তাদেরকে দিয়ে ভালো কোন কাজ করানো যায় কিনা এবং ব্যক্তিগত ভাবে আমি এ লাঞ্চনাময় ও নিপীড়িত-নির্যাতিত জীবন থেকে মুক্তি পেতে পারি কিনা(!!); এ লক্ষ্যেই তাদেরকে ওপেন করতে পারার উদ্দেশ্যেই আমার এ প্রচেষ্টা। বা আপনাদের প্রতি আমার এ প্রশ্ন প্রেরণ। তাদেরকে ওপেন করতে পারলে, তাদের নিজ মুখে মুখোমুখি ডিসকাস করতে পারলে হয়তো বুঝতে পারতাম, আসলে বিষয়টা কী!! কেন তারা আমায় সাহর করে আছে! কেন তারা আমায় এতো কষ্ট দিচ্ছে! তারা কে! তাদের পরিচয় কী! তাদের দ্বারা কী উপকার বা অপকার হতে পারে!

এছাড়া এ জ্বীন জাতিকে প্রকাশ্যে আসার সুযোগ দিয়ে ও তাদের সহযোগিতায় ইসলামি শরিয়তের কিছু অকার্যকর আইন, যেমন দাসীদের সাথে যৌন সম্পর্কের বৈধতা, এ আইনটি কার্যকর করে এবং প্র্যাক্টিক্যালি তা মানুষদেরকে দেখিয়ে মানুষের কূপ-মুন্ডতা দূর করতে এবং আল কোরআনের আইন যে মানুষের জন্য উত্তম ও সঠিক ছিলো, এ বিষয়টিও মানুষদের নিকট প্রদর্শন করার বিষয়ে সহযোগিতা করতেও আপনাদেরকে অনুরোধ জানাচ্ছি। 
দেখুন, ইবলিশ জ্বীনের বংশ হওয়ায়, এবং পৃথিবীতে বিভিন্ন মানুষ দুষ্ট জ্বীনদের দ্বারা বা দুষ্ট জ্বীনদের প্রভাবে সীমাহীন ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় ও কষ্ট পাওয়ায়, মানুষ জ্বীনের নাম শুনলেই বা জ্বীন হিসেবে সনাক্ত করতে পারলেই; এদেরকে খারাপ মনে করে। এটা জ্বীনের প্রতি ভয় থেকে হোক বা তাদের প্রতি খারাপ ধারনার কারণে হোক; বা মানুষদের নিজেদেরই খারাপ চরিত্র ও বদ্ধমূল জ্ঞান-গরিমা থেকে হোক; এটা হওয়টা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু সব জ্বীনই যে খারাপ; এটা কিন্তু সঠিক নয়। যেহেতু আমার আইডিয়া মতে ভালো জ্বীন গুলো মানুষদেরকে খুব কমই আমার মতো এভাবে সাহর করে! 
ফলে প্রকৃত সত্য উৎঘাটন বা আল্লাহু তা'য়ালার আরেকটি জীবকে ওপেন ভাবে দেখার ও বুঝার মানুষের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। না হয় আল্লাহ সম্পর্কেইতো মানুষের খারাপ আইডিয়া বা জ্ঞান এসে যেতে পারে যে, আল্লাহ্ যদি এতোই সুন্দর হন, তাহলে এমন একটি দুষ্ট সৃষ্টি কেন সৃষ্টি করলেন? (নাউজুবিল্লাহ!)। মানুষ ফলকে মূল্যায়ন করে যেমন, গাছের মর্যাদা বুঝে; তেমনি তাঁর সৃষ্টি দেখেও তাঁকে বুঝা যেতে পারে; এটি স্বাভাবিক। আমার মতে, জ্বীন জাতি মানুষের মত যদি প্রকাশ্য হতো, তাহলে ইসলামের এবং পৃথিবীর অনেক অনেক উপকার হবে বলে আমার বিশ্বাস। তাই জ্বীন জাতি বা তাদের কোন সদস্য যদি মানুষের মতো প্রকাশ্য ভাবে ওপেন হতে চায়, তবে আমাদের সকলের এতে সহযোগিতা করা কর্তব্য বলেই আমি মনে করি। এতে করে আল্লাহর আরেক বিষ্ময়কর সৃষ্টি জ্বীনের বিষয়ে মানুষের কিছু ভূল ধারনার অপনোদনও হতে পারে। আশা করবো আল্লাহর এ মহা সৃষ্টি, জ্বীন জাতিকে, মানুষের নিকট ইন্দ্রীয় গ্রাহ্য হিসেবে, মানুষের পাশাপাশি প্রকাশ করতে আমার যে প্রচেষ্টা, তাতে আপনারা বাধার কারণ না হয়ে আমার সহযোগী হবেন। 
দেখুন, আমাদের অতীত বুজর্গগণের প্রায় সবাই জ্বীন ও মানুষের বিয়ে অবৈধ বলেছেন এবং জ্বীন ও মানুষের মাঝে, মানুষের মতো সহবাস হতে পারেনা বলেছেন এবং তাদের প্রায় সবাই একমত জ্বীন ও মানুষের সহবাসে কখনো সন্তান হতে পারে না। অথচ তাদের এ কথা গুলো শুধুমাত্র তাদের জ্ঞান, অথবা বুজর্গানে দ্বীনের নিজস্ব যুক্তি নির্ভর। এগুলো কখনোই প্র্যাকটিক্যালী নয়। আমার জানামতে কোরআন হাদীস থেকেও তাদের এ ধরনের ফতোয়ার স্বপক্ষে, সরাসরি কোন কোরআনের আয়াত বা সহীহ্ হাদীস নেই। দেখুন, আমি (যদি বাবা না হতে পারি, তাহলে) শুধু শুধু সেক্স এর এতো খায়েশ আমার নাই। আমি একমাত্র প্র্যাকটিক্যাল গবেষণা ও মহান রবের সৃষ্টিতত্ত্বের বিষয়ে যদি তাঁর নতুন কোন উদ্দেশ্যে থাকে; তা ভালোভাবে বুঝতে ও পৃথিবীকে এ বিষয়ে কিছু সত্য ম্যাসেজ প্রদান করতে বিষয়টি হাতে নিতে চাচ্ছি। তাই কোরআন হাদীস অনুযায়ী যদি সুযোগ থাকে, তবে নাজায়েজ বলে, প্লিজ আমাকে ব্লক করে দেয়ার অবস্থা সৃষ্টি করবেন না। অনুরোধ থাকবে, সূক্ষ গবেষণা করবেন, আসলে বিষয়টি জায়েজ হতে পারে কিনা? (মানুষের সাথে পরীর বিয়ে) 
আমার আজকের প্রশ্নসমূহ আসলে এ মূল বিষয়কে কেন্দ্র করে; এবং তা এ প্রাসঙ্গিক সমস্যা বিষয়ক। যার ইসলামিক সমাধান, পূর্ব থেকে জানা ব্যতিত এবং মানুষদেরকে, মানে সমাজকেও জানানো ব্যতিত জ্বীন আমার নিকট মানব রূপে উপস্থিত হলেও, তখন কী করবো না করবো, এ বিষয়ে একদিকে যেমন হা হুতাশ করতে হবে; ঠিক অন্যদিকে মানুষদের দৃষ্টিতে সম্পর্কের ইসলামিক বৈধতা ব্যতিত, আমার নিকট জ্বীন বেশিক্ষণ অবস্থান করলে (যেহেতু বেশিক্ষণ বা নিয়মিত ২৪ ঘন্টা অবস্থান করা ছাড়া হয়তো বড় ধরনের মানব কল্যাণ মূলক কোন কিছু করা সম্ভবও হবে না), তখন মানুষের কূ-দৃষ্টিভঙ্গি ও বাজে মনোভাবের কারণে এবং নাজায়েজ (!!), এ ফতোয়ার কারণে, মানুষদের নিকট আমি ও আমার জ্বীন অপরাধী হিসেবেই সাব্যস্ত হতে থাকবো হয়তো। এছাড়া প্রেম-প্রীতির বিষয়টিও ইসলামে ঐভাবে অনুমোদিত নয়; তার উপর আমাদের এ ভদ্র মানুষদের অনেকেই আমাদের নির্দোষ ও প্রিয় নবী, রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কেও কামুকই বলেছে (নাউজুবিল্লাহ!); এসব কারণ হেতুও হয়তো বা মানুষের কূ-দৃষ্টিভঙ্গির বিপরীতে সময়কে বা নিজকে বিসর্জন দিয়ে হলেও আমার এ অল্প বা যৌবন বয়সের মধ্যে হয়তো জ্বীন মানবরূপে আসছেনা বা আসতে পারছে না। আর এ অবস্থায় এসে ভালো কিছু করার ইচ্ছা থাকলেও, উপরোক্ত কারণে তা বাস্তবায়নে ব্যাঘাত ঘটতে পারে হয়তো। আর তাই হয়তো জ্বীন আমার নিকট মানবরূপে প্রকাশিত হচ্ছে না, অথবা জ্বীনের প্রতি মানুষের নেগেটিভ ধারণা বদ্ধমূল ও মশহুর হওয়ায় এবং জ্বীন ও মানুষের সহাবস্থানের বিষয়ে ফতোয়া বা আইন গঠিত বৈধতা না থাকায় অথবা জটিলতা থাকায় অথবা অনুকূল আইন না থাকায়, এবং বিষয়টি একেবারেই নতুন হওয়ায়, মানুষেরাই জ্বীনকে মানবরূপে বা তার বা তাদের নিজস্ব শরীরে প্রকাশিত হওয়ার পথে একটি অদৃশ্য ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে।তাছাড়া জ্বীন আসবে কোথায়? এ পৃথিবীতেতো তাদের কোন সম্পদ বা কর্মের মালিকানা নেই। ফলে কার্যততো পৃথিবীতে পরবাসি (মানে মানুষের উপর ভর করা বা আসর করা বা সাহর করা ছাড়া, যেমন আমার উপর) হয়ে অবস্থান করা ব্যতীত, আলাদা ভাবে তাদের স্ব-শরীরে বা মানবরূপে আগত হওয়ার কোন অধিকার বা সুযোগ তাদের নেই। তাই যুক্তি মোতাবেক আলাদা ভাবে জ্বীন জাতির পৃথিবীতে আগত হওয়ার কোন সূত্র নেই। যদি আমি আমার এ কথাটি আপনাদেরকে বোঝাতে না পারি, তবে সম্পদ বা কর্মের মালিকানা ব্যতিত, দেখি আপনি সৌদি আরবে বা নিজের দেশের ঢাকা শহরে বসবাস করুনতো (?); দেখি আপনি কিভাবে যান, আর কিভাবে বসবাস করতে পারেন!? তাহলে ঠিক একই পরিস্থিতি বা অবস্থায় জ্বীন কিভাবে আমার নিকট তার আলাদা শরীরে বা মানবরূপে আসতে পারে বলে আপনি ধারনা করেন? হয়তো আমার মতো কারো উপর সাহর করে ভদ্র ভাবে আসলো; কিন্তু তখন আমি বা আমরা কি তাকে সঠিক মূল্যায়ন করছি!? বা করবো!? তাকে তার ন্যায্য প্রাপ্য দিচ্ছি!? বা দেবো!? আমরা মানুষেরা আসলেই কি আসর করা এ জ্বীন সদস্যকে তার ন্যায্য হক বা তার উপযুক্ত ন্যায্য প্রাপ্য বা হক অনুযায়ী সঠিক হিস্যা দেবো!? তাই জ্বীন যদি এ পৃথিবীতে আলাদা ভাবে আসতে চায় এবং মানুষের মতো প্রকাশ্য ভাবে বসবাস করতে চায়, তবে সে বা তারা তাদের নিজস্ব শরীরে বা মানব আকৃতিতে আলাদা ভাবে আসাটাই শ্রেয়তর বা বেস্ট হবে বলে আমি মনে করি। আর এর সব চাইতে বড় বাধা হচ্ছে, এ পৃথিবীতে বা আল্লাহু তা'য়ালার এ মহা সৃষ্টিতে জ্বীন জাতির কোন সদস্যের কাগজের দলিলগত কোন সম্পদের প্রকাশ্য মালিকানা বা মালিকানা পাওয়ার কোন সিস্টেম বা অধিকার নেই। এসব কারণেও হয়তোবা জ্বীন জাতির সদস্যগণ এ পৃথিবীতে তাদের নিজস্ব অবয়বে বা মানবরূপে আসেনা। বা আসতে পারে না। কিন্তু ভূলে গেলে চলবে না; এ পৃথিবী বা রবের এ মহাসৃষ্টি শুধু মানুষের জন্য নয়!! পবিত্র কোরআন শরীফে রব দুই জাতি সৃষ্টির ঘোষণা দিয়েছেন। তাহলে আমরা মানুষেরা কোন্ অধিকারে তাদেরকে বঞ্চিত করবো!? তাই এ পৃথিবীতে জ্বীন জাতির কোন সদস্য, বা তাদের কোন সম্প্রদায়, যদি পৃথিবীতে আসতে চায় এবং মানুষের মতো বসবাস করতে চায়, তবে তাকে বা তাদেরকে আসার বা মানুষের মতো বসবাস করার সুযোগ না দেয়া, সম্পদ ও কর্মের মালিকানা বা দায়িত্ব না দেয়া; এটা হবে হয়তো আমাদের মানুষদের একটা মস্ত বড় কবীরা গুনাহ!! এ বিষয়ে জ্বীন যদি আমার কাছে আসে, তাহলে তার সাথে যদি আমার লিখিত চুক্তি হয় এবং দেশীয় আইনে যদি তা কভার করে, তবে আমি আমার রাস্তার পাশের ঘরটি তার বা তাদের নামে রেজিস্ট্রি করে দেবো অথবা তার বা তাদের নামে পৃথিবীর কিছু সম্পদ রেজিস্ট্রি করে দেয়ার প্রচেস্টা চালাবো এবং জ্বীনের পক্ষে পৃথিবীর আইন সমূহ সংশোধনে ইনশা'আল্লাহ আমরণ সংগ্রাম চালিয়ে যাবো বলে আমার বিশ্বাস অনুযায়ী আমি আমার শরীরে থাকা এ মহিলা জ্বীনকে বা জ্বীনদেরকে কথা দিচ্ছি। যেহেতু আল্লাহু তা'য়ালার সৃষ্ট জীব হিসাবে, এটি পাওয়া, ইহা তাদের ন্যায্য হক। আবার যদি দেশীয় বা আন্তর্জাতিক আইনে সবকিছু কভার না করে, তবে অন্যান্য সকল আইন সংশোধনের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করবো বলে ও এ বিষয়ে আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালাবো বলেও আমি তাকে বা তাদেরকে কথা দিচ্ছি। যা হলে পরে জ্বীন জাতির সদস্যরা মানব জাতির মতোই পৃথিবীতে আসতে পারবে ও বসবাস করতে পারবে বা একটা ছিলছিলা জারি হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। না হয়, সম্মানিত হুজুর মহোদয়, আপনারা কি ভেবেছেন! (?), কেন এ জাতির সদস্যরা এ পৃথিবীতে তাদের স্ব-শরীরে বা মানব আকৃতিতে আসেনা বা আসতে পারেনা? এ বিষয়ে প্রতিবন্ধকতা কোথায়!? পবিত্র কোরআন-হাদীস বা জ্ঞান-বিজ্ঞানের কোন শাখায় বা এমন কোথাও কি এ বিষয়ে কোনরূপ নিষেধাজ্ঞা বা তাদের অযোগ্যতার কথা বলা আছে? আমার জানামতে রব পবিত্র কুরআন ও হাদীসের কোথাও বলেন নাই যে, এ পৃথিবীর সম্পদের মালিকানা শুধু মানুষের জন্য অথবা পৃথিবীতে শুধু মানুষই বসবাস করবে অথবা এ বিষয়গুলোতে জ্বীনদের কোন অধিকার নেই বা থাকতে পারে না অথবা জ্বীন মানবরূপে মানুষের নিকট আসতে পারবে না বা আসবে না অথবা মানুষের সাথে তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক বৈধ নয় অথবা তারা পৃথিবীর কোন কর্মের বা সম্পত্তির মালিকানা পেতে পারবে না, ইত্যাদি। হয়তো রাসূলুল্লাহ (সাঃ) জ্বীনদের থাকার জায়গা পাহাড় কিংবা সাগর দেখিয়ে দিয়েছেন। আবার আবু সাইদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ(সঃ) বলেছেন- “মদিনার কিছু সংখ্যক জ্বীন মুসলমান হয়েছে। এদেরকে (সাপ বা এ জাতীয় ক্ষতিকর প্রাণী হিসেবে) যদি কেউ দেখো, তাহলে তিনবার সাবধান করবে। তারপরেও আবার এলে সেই প্রাণীকে হত্যা করবে।” (মুসলিম, ২২৩৬)। এতে প্রমাণিত হয়, এ পৃথিবীতে মানুষের মতো, জ্বীনের বা জ্বীন সম্প্রদায়ের বসবাসের অধিকার রয়েছে। এবং তারা যে কোন সম্পদের মালিকানা ভোগ করতে পারবে না; এ বিষয়ে নেই কোন সুস্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা। 
এখানে আরো একটি কথা প্রিয় হুজুর মহোদয়, আপনাদেরকে শুনিয়ে রাখতে চাই যে, দেখুন আলকোরআন নাজিল হয়েছিলো পুরো ২৩ বছরে, একদিনে নয়; তেমনি পবিত্র কোরআনের বিজ্ঞানময় আয়াতগুলোর বাস্তব প্রমাণও যুগে যুগেই মানুষ প্রত্যক্ষ করছে। বিজ্ঞানময় কোরআনের অনেকগুলো আয়াতের বাস্তবতা বিজ্ঞানীরা যুগে যুগেই প্রমাণ পাচ্ছে! তেমনি এ জাতি যদি আমার মাধ্যমে মানবরূপে আলাদা ভাবে হাজীর হতে চায় এবং হাজীর হয়, তবে আমার মতে এটি হবে বিশ্বের বুকে সপ্তাচর্যের আরেক আচর্য। এবং যদি আমার, মানে জ্বীন ও মানব এ পরিবারের সন্তান হয়, তবে এর মাধ্যমে হয়তো সারা বিশ্বে একটি আলোড়ন বা নতুনত্বের সৃষ্টি হবে। এবং এতে করে হয়তো অনেক গুলো নাস্তিক ও কাফের, যারা বলে অদেখা বিষয়ে বিশ্বাস করিনা; তাদের নিকট ও সকলের নিকটই কোরআনের উক্তির বাস্তব প্রমাণ, হয়তো তারা ও বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করবে এবং যার পরিপ্রেক্ষিতে দু-চার জন মানুষ হলেও ঈমান আনতে পারে হয়তো। তাই যদি বাস্তব নাও হয়, তবুও শুধু গবেষণার জন্যে হলেও, মহান রবের সৃষ্টি তত্ত্বের কিছু রহস্য উৎঘাটনে প্রচেষ্টার জন্যে হলেও, এমন একটি ঐতিহাসিক কাজে, যদি সম্ভব হয় ও বৈধতা থাকে, তাহলে আপনারা বাধা না দিয়ে, এ বিয়ের বৈধতা ও এর আনুষাঙ্গিক কার্য সমূহের একটি সু-ব্যবস্থা ও এগুলোরও বৈধতা আপনাদের দেয়াটা উত্তম হবে বলে আমার মনে হয়। এখানে আপনাদেরকে আরো একটি কথা আবারো স্বরণ করাতে চাই যে, দেখুন আমার শরীরে জ্বীন যখন প্রথম আসর করে, তখন থেকে অনেকটা এ পর্যন্ত, মানুষ গুলো একে, মানে আমাকে শয়তান হিসেবে চিহ্নিত করে এবং চারদিকে এ ম্যাসেজ ছড়িয়ে দেয়; আর তখন জ্বীনের প্রতি ভূল ধারনা; ও মানুষের অর্থ, সম্পদ, ক্ষমতা, সম্মান, লোভ, অহংকার ও স্বার্থবাদিতার কারণে, আপন-পর, প্রতিবেশিদের আবালবৃদ্ধবর্ণিতা ও পরিচিতজন সবাই মিলে আমার উপর অমানষিক নির্যাতন চালায়, জুলুম করে এবং এখনো করছে। অথচ তাদের কেউ এ জ্বীনকে তাড়াতে বা হত্যা করতে এখনো সক্ষম হয়নি এবং ইনশা'আল্লাহ হবেও না। আর আমি যদি তাদের এ ধরনের কর্মের কোনরূপ প্রতিবাদ করতাম, তাহলে হয়তো এতোদিন আমাকে তারা বাঁচতেও দিতো না। বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না, আমার সমাজের মানুষ আমাকে একটা প্রাইভেট টিউশনিও দিতে চায় না। এতোদিন মুখবুজে সবকিছু সহ্য করেছি শুধু! আর কিছু করিনি। তবে এ বিষয়ে, এখন হয়তো কেউ কেউ আমাকে একটু একটু পজিটিভ হিসেবে বুঝতে পারছে; তারপরও সামাজিক ভাবে কঠিন একটি নজরদারিতে রাখা হয়েছে আমাকে! আমাকে ভাইরাল হতেও হয়তো দেবে না তারা। তা না হলে, অনলাইনে এ পর্যন্ত আমি অনেক গুলো ভিডিও বা টেক্সট কন্টেন্ট পাবলিস্ট করেছিলাম। এতে আমার একটি কন্টেন্টেও কেউ একটি লাইক বা শেয়ার দেয়নি। তাছাড়া আমার ইবাদত, আমার নামাজ, অনেকের কাছে এখনো সন্দেহ, আর তামাসা চাওয়া-চাওবি বলেই তারা মনে করছে! ফলে একদিকে আমি যেমন পরাধীন, ঠিক তেমনি আমি কোন অপরাধ না করেও মানুষ গুলোর নিকট, তাদেরই একটি অদৃশ্য জেলখানার বাসিন্দা। যেখানেই যাই, যে কাজই ধরি, মানুষ আমাকে মুখস্থগত ভাবে শয়তান হিসেবেই দেখতে পায় এবং অসহযোগিতা করে। নেগেটিভ ভাব ধারায় থাকার কারণে, আমার কর্মের সৎ উদ্দেশ্য বা আমাকে পজেটিভ হিসাবে কেউ দেখতে পায় না। ফলে আমার কোন কাজকেই তারা পূর্ব থেকে পজিটিভলি বিবেচনা করতে পারে না এবং পূর্ব থেকেই সকলে সিদ্ধান্ত নিয়ে রাখে যে, আমাকে তারা কোন রূপে বাঁচিয়ে রাখবে শুধু! বিগ কিছু বা সম্মানিত কোন কাজে কেউ আমাকে কখনো সহযোগিতা করবে না। যার জন্যে আমি আজ চরম অসহায়, অর্থহীন ও প্রায় সম্পূর্ণ একা এবং মানবেতর জীবন-যাপন করছি। এবং সীমাহীন মানসিক ও শারীরিক যন্ত্রণায় পড়ে, আমি অল্প বয়সেই আজ প্রায় বুড়ো হয়ে গেছি। নিজ স্ত্রীর কাছেও এখন খুব একটা যাই না বা প্রয়োজন হয় না। আর জ্বীনও যদি খারাপই হতো, তাহলে আমায় আল্লাহর পথে রাখবে কেন সে? এবং আমার যৌবন থাকা কালীন আজ সুদীর্ঘ ২৫ বছরের মধ্যে সে ওপেন হবে না কেন? জ্বীনের বৈশিষ্ট্য এবং মানুষের উপর জ্বীনের প্রভাব, জ্বীনের শক্তি-সামর্থ কম-বেশি নিশ্চয় আপনাদের জানা রয়েছে! এমতাবস্থায় জ্বীনকে মানবরূপে উদিত হওয়ার প্রতিবন্ধকতা সমূহ অপসারণ করার অংশ হিসেবে ও সে কী বলে বা কী করতে চায়, তা বুঝতে; অথবা আমাকে মানুষ হিসেবে বাঁচতে, আপনাদের সহযোগিতা করা, মানে জ্বীনকে মানবরূপে বা তার নিজস্ব অবয়বে আসার সুযোগ দেয়া, বা এ বিষয়ে সহযোগিতা করা, আপনাদের ঈমানী ও নৈতিক দায়িত্ব বলে আমি মনে করি। আমার মনে হয়, নিম্ন লিখিত বিষয় সমূহের সমাধান ছাড়া বা এসব বিষয়ে জ্ঞান অর্জন ছাড়া জ্বীন হয়তো ওপেন হবে না বা হতে পারবে না। তাই এগুলোর ইজমা গঠিত শরয়ী সমাধানের লক্ষ্যে, সমস্যা সমূহ নিম্নে তুলে ধরছি এবং আশা করছি আপনারা এগুলোর একটি ঐতিহাসিক ও পজিটিভ সমাধান প্রদান করবেন। সমস্যা সমূহ নিম্নরূপ-
১। আমি বুঝতে পারছি যে, একজন বা দু'জন মহিলা জ্বীন, মুসলিমদের প্রয়োজনে ও মানব এবং জ্বীন জাতির কল্যাণার্থে আমাকে বিয়ে করতে চায়। আত্মমানবতার মুক্তি ও মানুষের সেবার লক্ষ্যে আমিও তাকে বা তাদেরকে বিয়ে করতে চাই। (উপরের আলোচনায় উল্লেখিত)। তাকে বা তাদেরকে বিয়ে করা, আমার জন্যে জায়েজ হবে কিনা? পবিত্র কোরআন শরীফ ও হাদীস শরীফে এ বিষয়ে কোন ধরনের নিষেধাজ্ঞা আছে কিনা? থাকলে সেটি কী? পবিত্র কোরআন ও সহীহ্ হাদীসের সূত্র সহ তা উল্লেখ পূর্বক বুঝিয়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ রইলো। অর্থাৎ পবিত্র কোরআন শরীফের কোন্ আয়াতে এবং পবিত্র হাদীস শরীফের কোন্ হাদীসে ইহা লিখা আছে যে, বা প্রমাণ করা যায় যে, মানুষ এবং জ্বীনের মধ্যেকার বিয়ে নাজায়েজ; সে আয়াতে কারীমা ও সংশ্লিষ্ট হাদীস উল্লেখ পূর্বক, তা বুঝিয়ে দেয়ার জন্যই অনুরোধ করছি। যদি কোনরুপ নিষেধাজ্ঞা নাই'ই থাকে, তাহলে এটি নাজায়েয হবে কেন? আর যদি নাজায়েজ হয়ও, তাহলে সেটি কখন হবে (?); এবং এ বিষয়ক রোকনের ও এ নিষেধাজ্ঞার তুল্যমান কী হবে, মানে সেটি কি হারাম হবে (?), না মাকরূহে তাহরীমী হবে, না মাকরূহে তানজীহী হবে এবং কেন হবে? নিম্নে উল্লেখিত বর্ণনা অনুযায়ী এ মাসআলাটির সঠিক প্রতিউত্তর প্রদানের জন্য আবেদন। আপনাদের উত্তর যদি হ্যাঁ-বোধক হয়, মানে আমার পক্ষে বিয়ে করা জায়েজ হয়, তাহলে ইহা আমলে পরিণত করতে আর কোন মাদরাসার বা মুফতি সাহেবদের অনুমতির প্রয়োজন আছে কিনা? অর্থাৎ নূন্যতম কয়টি মাদরাসা বা কয়জন মুফতি/স্কলার থেকে হ্যাঁ বোধক উত্তর পেলে, এ মাসআলাটি ইজমায়ে উম্মত হিসেবে আমল করা যাবে? ইজমায়ে উম্মত না হলে আপনাদের প্রদানকৃত এ উত্তরটি কি আমলে পরিণত করা যাবে না? স্বচ্ছ, ক্লিয়ার কাট ও স্পষ্ট ভাবে এ বিষয় গুলো জানানোর জন্য আবেদন।
২। আমরা জানি বিয়েতে কনের অভিভাবকের সম্মতি প্রয়োজন ও অত্যাবশ্যক। এখন যে নারী অন্য ধর্ম ত্যাগ করে মুসলমান হবে বা হয়েছে, তার অভিভাবকতো তাকে সম্মতি দেয়ার প্রশ্নই উঠেনা এবং কনেও তার কাফের মা-বাবার কাছে বা তাদের কারো কাছে গিয়ে, তার অভিভাবকের সম্মতি আনা বা তাদের কাউকে নিয়ে আসার সুযোগ নেই। এমতাবস্থায় এ নওমুসলিম বা হবু মুসলিমের বিবাহের ক্ষেত্রে অভিভাবকের সম্মতি বিহীন বিবাহ বৈধ হবে কিনা? বা এ ক্ষেত্রে শরয়ী বিধান কী? আবার এ রূপ বিয়ের ক্ষেত্রে কনে যদি জ্বীন হয়, তাহলে তার ক্ষেত্রেও কি একই বিধান প্রযোজ্য হবে?
৩। আমরা জানি, বিয়েতে কমপক্ষে ২ জন পূরুষ বা ১ জন পূরুষ ও ২ জন নারীর স্বাক্ষ্য প্রয়োজন। এক্ষেত্রে বর বা কনে যদি নওমুসলিম বা হবু মুসলিম হয়, তাহলে এ ক্ষেত্রেও, তাদের পক্ষে, সে স্বাক্ষী কোথায় পাবে? তাহলে, যে কোন একপক্ষ থেকে স্বাক্ষী হলে, সে বিয়ে বৈধ হবে কিনা? অথবা এ ক্ষেত্রে ইসলামী বিধান কী? এবং বর বা কনে যদি জ্বীন হয়, যেমনটি আমার সমস্যা, তাহলে শুধু আমার পক্ষীয়, মানে শুধু মানুষের স্বাক্ষ্য হলে, তাহলে এ বিয়ে বৈধ হবে কিনা?
৪। কনে যদি জ্বীন হয় এবং তিনি যদি মুসলিম জ্বীন পরিবারের সন্তান হন, তাহলে, উপরোক্ত দুটি বিষয়ে (কনের অভিভাবকের সম্মতি ও স্বাক্ষী) ইসলামের বিধান কী? অর্থাৎ জ্বীন হলে কোনরূপ পরিবর্তন হবে কিনা?
[উপরোক্ত দু'টি বিষয়ে আমি ব্যক্তিগত ভাবে যা মনে করি, তা হচ্ছে, জ্বীন যদি মুসলিম জ্বীন পরিবারের নারী জ্বীন হয়, তবে অবশ্যই তার অভিভাবকে, এ বিয়েতে সম্মত বা রাজী থাকতে হবে। আবার কনে হিসেবে জ্বীনের অভিভাবক যে রাজী ছিলো, তা প্রমাণে তিনি মানুষ আকারে এসে স্বাক্ষর প্রদান করবে, অথবা তিনি যদি লেখাপড়া না জানেন, তবে সে বিষয়ের প্রত্যক্ষ্য প্রমাণে আরো ২ জন মানব পূরুষের বা ১ জন পূরুষ ও ২ জন মহিলার স্বাক্ষ্য অবশ্যই এ বিয়েতে থাকতে হবে। যেহেতু জ্বীন হাওয়ায়ও মিলিয়ে যেতে পারে।
মনে রাখতে হবে, কনে জ্বীনের অভিভাবক যদি রাজী না থাকে, তবে এ ধরনের বিয়ে শুদ্ধ হবে না।
এছাড়া জরুরী হচ্ছে, জ্বীনের অভিভাবক ও জ্বীন পক্ষীয় স্বাক্ষী এবং মানুষের অভিভাবক ও মানব পক্ষীয় স্বাক্ষীদের উপস্থিতিতে এবং জ্বীন ও মানুষ এ উভয় সমাজের উপস্থিতিতে সবাইকে জানিয়ে প্রকাশ্যে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হওয়া।
তবে বিশেষ কোন কারণে, শুধু ২ জন মানব স্বাক্ষী (অথবা ১ জন পূরুষ ও ২ জন নারী) এবং জ্বীন-কনের অভিভাবক যে রাজী ছিলো, তা প্রমাণে আরো সমপরিমাণ মানব স্বাক্ষীর উপস্থিতিতে বিয়ে সম্পন্ন হলে, তবে তা শুদ্ধ হয়ে যাবে। যদিও নিন্দনীয় হবে।
বরের বাড়িতে বা বরের পক্ষ থেকে প্রকাশ্যে ওলিমা করে এবং স্বাক্ষীদের প্রত্যক্ষ উপস্থিতিতে (অবশ্যই শুধু মানুষদের থেকে, ২ জন পূরুষ ও ১ জন নারী। যেহেতু জ্বীন অন্য আকৃতিতেও থাকতে পারে, তাই জ্বীনের স্বাক্ষ্য এ ক্ষেত্রে আবশ্যক বা ধর্তব্য হবে না। কিন্তু আবশ্যক না হলেও ২ জন মানব স্বাক্ষী ছাড়াও কমপক্ষে আরো ২ জন জ্বীন স্বাক্ষী থাকলে, যেহেতু জ্বীনদেরও সমাজ রয়েছে), বিয়ের অনুষ্ঠান, জ্বীন ও মানুষ, এ উভয় জাতি ও সমাজকে জানিয়ে যদি ঘটা করে বিয়ে সম্পন্ন করানো হয়, তাহলেই কেবল এ বিয়ের আকদ্ সবদিক থেকে উত্তম হবে বলে ধরে নেয়া হবে।]
এ বিষয়ে আমার যে আইডিয়া উপরে বর্ণিত হয়েছে; তা ঠিক আছে কিনা?
৫। উপরোক্ত ২টি বিষয় কি লিখিত হতে হবে? না, মৌখিক সম্মতি ও মৌখিক স্বাক্ষ্য হলেও চলবে? বিশেষ করে, কনে যদি জ্বীন হয় (যেমন হয়তো আমার সমস্যা) এবং তাদের কেউ যদি লিখাপড়া না জানে? আবার বিষয় দু'টি লিখিত না হলে, তখন মানুষ বা জ্বীনদের নিকট আমি, আমাদের এ বিয়ের প্রমাণ কিভাবে উপস্থাপন করবো? এ বিষয়ে আইনি পরামর্শ চাই।
৬। ইতিপূর্বে আপনাদেরকে আমি জানিয়েছি যে, বর্তমানে আমি খুবই গরীব, অর্থ-সম্পদহীন, অসহায়, নিঃস্ব এবং অনেকটা ইয়াতিমের মতো! তার উপর বিষয়টি হচ্ছে, একটি ব্যতিক্রম ও নতুন সমস্যা; আর তা হচ্ছে জ্বীনের সাথে বিয়ে বিষয়ক। তাহলে আমাকে সাহর করা এ জ্বীনটি যদি মহিলা হয়, তবে আমাদের এ বিয়ের মোহরানা কিভাবে নির্ধারণ করবো? এ বিষয়ে আমার নিজের লিখা একটি গুগল কন্টেন্ট-এ আমি নিম্নরূপ লিখেছিলাম-
[(আর তোমরা স্ত্রীদেরকে তাদের মোহর দিয়ে দাও খুশীমনে। তারা যদি খুশি হয়ে তা থেকে অংশ ছেড়ে দেয়, তবে তা তোমরা স্বাচ্ছন্দ্যে ভোগ কর।” [সূরা নিসা : আয়াত ৪)
এ আয়াতে মোহর দিয়ে বিয়ে করাকে আবশ্যক করা হয়েছে, কিন্তু কী দিতে হবে তা নির্দিষ্ট করা হয়নি।
এবং পবিত্র হাদীস শরীফেও বিষয়টি একেবারে নির্দিষ্ট নয়। এমনকি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) জনৈক ব্যক্তিকে মোহরানা বাবদ লোহার আংটি হলেও আনতে বলেন, তাতে অক্ষম হলে শুদ্ধভাবে কোরআন শিক্ষা দেয়ার কথা বলেন। (মিশকাতুল মাসাবীহ ৩২০২)
তবে আবশ্যক এতোটুকু যে, মোহরানা দিতে হবে, বর ও কনের খুশিমনে। আবার বিয়ের সময়ই যে মোহরানা পরিশোধ করতে হবে, শরিয়তে এরও কোন আবশ্যকতা নেই। অপরদিকে বিয়ের সময় মোহর কত দিতে হবে বা কী দিতে হবে, তা নির্দিষ্ট না করে, বিয়ের পর, সুবিধাজনক সময়ে, স্বামী-স্ত্রী উভয়ে একত্রিত হয়ে যদি মোহর কী দিতে হবে বা কী পরিমাণ দিতে হবে, তা ঠিক করে, তবে তাও শুদ্ধ হবে। (বেহেশতী জেওর, ৪র্থ খন্ড, ২য় ভলিউম, এমদাদিয়া লাইব্রেরী, মাসআলা নং ১০)
কিন্তু আলেমগণ মোহরের সর্ব নিম্ন পরিমাণ ১০ দিরহাম বা (প্রায় পৌনে তিন তোলা রুপা) নির্দিষ্ট করেছেন। (বেহেশতী জেওর, ৪র্থ খন্ড, ২য় ভলিউম, এমদাদিয়া লাইব্রেরী, মাসআলা নং ২)
আবার উপরোক্ত আয়াতেই উল্লেখ রয়েছে, স্ত্রী ইচ্ছে করলে মোহরানার সম্পূর্ণ টাকা/অর্থ তিনি মাফও করে দিতে পারেন (বেহেশতী জেওর, ৪র্থ খন্ড, ২য় ভলিউম, এমদাদিয়া লাইব্রেরী, মাসআলা নং ১১)]
তাই উপরে উল্লেখিত আমার লিখা অনুযায়ী যদি জ্বীন রাজী ও খুশি থাকে, তবে নূন্যতম মোহরানা ধরে বিয়ের আকদ সম্পন্ন করি, অথবা এখন মোহরানার পরিমাণ না ধরে, বিয়ের পরে আমরা উভয়ে ঐক্যমতের ভিত্তিতে এর পরিমাণ নির্ধারণ করি, তবে তা করতে পারবো কিনা? অথবা বিয়ের পর উভয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক মোহরানা নির্ধারণ করার পর, আমার কনে জ্বীন মোহরানার সম্পূর্ণ অর্থ আমাকে মাফ করে দিতে পারবেন কিনা? এবং তিনি মাফ করে দিলে, আমি তা গ্রহণ করা, মানে মোহরানার অর্থ বউকে না দিয়ে আমি নিজে ভোগ করা আমার পক্ষে জায়েজ হবে কিনা? অথবা এ বিষয়ে ইসলামী বিধান কী হতে পারে?
৭। আমার জানামতে, স্থানীয় প্রশাসনের আইন মেনে চলা মুসলমানদের উপর ইসলাম ওয়াজিব করেছে। আবার বরের বাড়িতে প্রকাশ্যে অলিমা অনুষ্ঠান করে বিয়ে সম্পন্ন করাই ইসলামী আইন অনুযায়ী উত্তম হিসেবে সাব্যস্তকৃত বা বিবেচিত রয়েছে। অপরদিকে স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক এ দেশের অনেক বিয়ে এবং বিয়ের অনুষ্ঠান বাতিল ও গ্রেফতার, জরিমানার ঘটনা এ দেশে অনেক রয়েছে। সব মিলিয়ে যদি জ্বীন এ ধরনের বড় ধরনের অলীমা অনুষ্ঠান করা ব্যতীত বিয়েতে রাজী না হয়, অথবা এ ধরনের সিদ্ধান্ত ব্যতীত সে নাই আসে; তাহলে এ বিষয়ে আমার কী করণীয়? অর্থাৎ জ্বীনের সাথে আমার এ বিয়ে এবং বিয়ের ওলিমা অনুষ্ঠান উদযাপন করতে আমাকে কি ইসলাম অনুযায়ী স্থানীয় প্রশাসনের লিখিত অনুমতি নিতে হবে? যেহেতু স্থানীয় প্রশাসনকে মেনেচলা দেশের নাগরিক হিসেবে আমার উপর ওয়াজিব, তাই এ ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের লিখিত অনুমতি না নিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান বা বিয়ে সম্পন্ন করলে, তবে এতে কি আমার কবীরা গুনাহ হবে? যেহেতু এখানে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে বিয়ে পরবর্তী সন্তানদের টিকা প্রদান, জন্ম নিবন্ধন, এনআইডি কার্ড ইত্যাদি জড়িত। অথবা এ বিষয়ে আপনাদের পরামর্শ কী?
৮। বিয়ের ক্ষেত্রে আরেকটি মোস্ট ইমপরটেন্ট বিষয় হচ্ছে, বিয়ের কাবিননামা বা সরকার কর্তৃক বিয়ে রেজিস্ট্রিকরণ দলীল। আবার এটি এতোই গুরুত্বপূর্ণ যে, কোন দেশে সফরে গিয়ে নিজের বউকেই বউ হিসেবে পেতে হলে, প্রয়োজন হতে পারে, এ কাবিননামা দলীলটি বা এর ফটোকপি। অর্থাৎ বিষয়টা এমন যে, এ কাবিননামা দলীল ব্যতীত পরবর্তীতে হয়তো, নিজের বউকেই বউ হিসেবে পাওয়া যাবে না বা নাও পাওয়া যেতে পারে। জ্বীন ও মানুষের বিয়ের বিষয়ে এবং নরমালি শুধু মানুষের বিষয়ে, এ ব্যাপারে ইসলামী সমাধান কি? ইসলামী আইন অনুযায়ী বরকে অথবা কনেকে অথবা তাদের পক্ষীয় কাউকে (অথবা বরকে না কনেকে?) কি বিয়ে রেজিস্ট্রি করণের জন্য সরকারের প্রতি আবেদন করতে হবে? অথবা যেহেতু জ্বীন ও মানুষের বিয়ের বিষয়টি এ পৃথিবীতে নতুন, তাই আপাতত যারা এ বিয়ে জায়েজ বলে ফতোয়া দিয়েছেন এবং প্রশাসনের যারা বিয়ে ও বিয়ের অনুষ্ঠানের অনুমতি দিয়েছেন এবং যারা এ বিয়ের অলিমা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, তাদের সকলের অথবা তাদের সকলের পক্ষে কমপক্ষে ৪০ জনের স্বাক্ষ্য ও স্বাক্ষর সহ একটি লিখিত প্রমাণ পত্র বর কর্তৃক প্রস্তুত করতে হবে? না আমার জ্বীন বউকে আদালতে হাজীর করে, বিজ্ঞ বিচারক কর্তৃক এফিডেভিট সনদ সংগ্রহ করাটা উচিৎ হবে? নতুবা যখন আমরা সফরে যাবো বা যে কোন প্রয়োজনে যখন আমরা ভিন দেশে যাবো, তখন আমরা যে স্বামী-স্ত্রী (মানুষ ও জ্বীন); মানুষ ও জ্বীনদেরকে এর প্রমাণ স্বরূপ তাদের নিকট আমরা কী প্রমাণপত্র উপস্থাপন করবো? অথবা এ বিষয়ে ইসলামের বিধান ও আপনাদের পরামর্শ কী?
৯। দেখুন, হাদীসের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, জ্বীন ৩ আকৃতিতে থাকতে পারে। (১) তার নিজস্ব অবয়বে (২) মানুষসহ বিভিন্ন জীব ও জড় পদার্থের আকৃতিতে (৩) নিরাকার বা শূন্যের মতো হিসেবে। যা একজন জ্বীনের মৌলিক অধিকার হিসেবেই বিবেচিত। ইসলামে স্বামীর বৈধ হুকুম পালন করা স্ত্রীর উপর ওয়াজিব। কিন্তু জ্বীন যদি স্ত্রী হয় এবং উপরোক্ত বিষয়গুলো যদি জ্বীনের মৌলিক অধিকার হয়, তাহলে এ মহিলা জ্বীনকে কি তার মানব স্বামী এ বিষয়ক হুকুম দিতে পারবে যে, তাকে সব সময় শুধু মানব আকৃতিতে থাকতে হবে, বা শুধু এই এই ভাবে থাকতে হবে, না এ বিষয়টি জ্বীনের মৌলিক অধিকার বিধায়, এ বিষয়ে মানব স্বামীর অধিকার থাকবে না, তার উপর হস্তক্ষেপ করার। এরপরও এ বিষয়ে শরিয়তের বিধান কী হবে? যেহেতু স্ত্রী হাওয়ায় মিলিয়ে থাকবে, অথবা অন্য আকৃতিতে থাকবে, আর মানব স্বামী, স্ত্রীর নিকট তার হক গুলো পাবে না; ইচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায় কিংবা ঝগড়া অথবা ছলনা করে স্বামীকে তার হক থেকে বঞ্চিত করবে, এটাতো হতে পারে না। তাহলে এ বিষয়ে শরিয়তের দিক-নির্দেশনা বা বিধান কী হবে? দয়া করে রোকনের পর্যায় সহ বুঝিয়ে লিখুন। অর্থাৎ কোন আমলটি ওয়াজেব, কোনটি সুন্নাত, কোনটি পালন করা মোবাহ ইত্যাদি সহ।

পরবর্তী প্রশ্নগুলো করতে, আমি ভূমিকায় কিছু কথা বলে নেয়ার প্রয়োজন মনে করছি। দেখুন, আপনাদেরকে আমি উল্লেখ করেছিলাম যে, আমার নিজের শারীরিক উপস্বর্গের মাধ্যমে এবং মানুষের সাথে বিভিন্ন ব্যবহারে, আমি বুঝতে পেরেছিলাম, আমার শরীরে শুধু একজন জ্বীন নয়, পুরো একটি জ্বীন সম্প্রদায় অথবা হয়তো অজস্র সংখ্যক অথবা একদল শুধু মহিলা জ্বীন থাকতে পারে। এবং এমনও হতে পারে যে, হয়তো এদের দ্বারা ইসলামের বড় বড় আন্তর্জাতিক সমস্যা, যেমন ফিলিস্তিন ভূখন্ড পূনরুদ্ধার এবং ইজরাইলিদেরকে বিতাড়ন ও তারা মিসকিনী এবং জিল্লতি, পবিত্র কোরআন শরীফের এ আয়াতের সত্যতা মানুষের সামনে উপস্থাপন, পারমানবিক অস্ত্র নিস্ক্রিয়করণ, পবিত্র কা'বা ঘর বা আরব ভূমি এবং নিজ মাতৃভূমি এবং এগুলোর আকাশ সীমা হেফাজতে, জ্বীন সৈনিক হিসেবে দায়িত্ব পালন ইত্যাদি ছোট বড় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কাজগুলোও সমাধা হতে পারে। আমি বলছি না যে, এ সবকিছু শুধু আমার জীবার্দশাতেই হবে বা হতে পারে। বরং আমি এই বলতে চাচ্ছি যে, একটা আইন বা আইন সমূহ চালু বা এগুলো ইসলাম কর্তৃক অনুমোদিত হিসেবে এর ছিলছিলা জারি হয়ে গেলে, তাহলে আমার ভবিষ্যত উত্তরসূরী এ জ্বীন সম্প্রদায় থেকে (সাহর করে অথবা আল্লাহ চাহেতো সন্তানাদির মাধ্যমে বংশ পরস্পরায় অথবা জ্বীন যেভাবে চায়) ক্রমে ক্রমে এগুলো বাস্তবায়ন হতে পারে বা বাস্তবায়ন হওয়ার পথ সুগম হতে পারে। আপনাদেরকে আরো একটু বোঝাতে চাই যে, ছোট বেলা থেকেই আমি অংক ভালো পারতাম। অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রীকে অংক শিখিয়ে ছিলাম আমি। সে হিসেবে আমি বলতে চাচ্ছি, যেহেতু আমাকে সাহর করা এ জাত, আজ প্রায় ২৫ বছর আমাকে ঘ্রাস করে আছে, এবং আমার সহযোগী হিসেবে, আমাকে ঈমান ও বিভিন্ন ইসলামি আমলে অগ্রগামি করছে এবং তাদের শক্তি থাকা স্বত্ত্বেও আমাকে পাগল, উগ্র বা শয়তানের মতো বানাচ্ছে না, এবং সমাজ ও দেশের কোন মানুষেরও এ পর্যন্ত বিন্দুমাত্রও ক্ষতি করেনি; তাহলে এতে স্পষ্ট প্রমাণিত হয়, আমাকে নিয়ে হয়তো তাদের বড় ধরনের কোন সৎ উদ্দেশ্য রয়েছে। যা হয়তো আল্লাহ কর্তৃক অনুমোদিত। আর তাই আমি মনে করি, রবের একটি সৃষ্টি মানুষ হিসেবে, ঐ একই রবের আরেকটি সৃষ্টির জন্যে আপনাদের সহযোগিতা করা, এটা আপনাদের কাছ থেকে আমি পেতে পারি। সম্মানিত হুজুর, দেখুন, যদি এরা সবাই নারী জ্বীন হয় এবং তারা যদি সবাই পরষ্পর অন্তরঙ্গ বন্ধু হয় এবং যদি এমন হয় যে, তারা সবাই আমার নিকটই ইসলাম গ্রহণ করবে অথবা যদি মুসলিম হয় তাও সবাই আমার সাথেই থাকতে চাইবে এবং এ কারণে তারা যদি একা না আসতে চায়; আসলে সবাই আসবে, নতুবা কেউ আসবে না; বা যদি একা আসেও পরবর্তীতে সবাইকে নিয়ে আসতে চাইবে; তাহলে আমি মনে করি, ইসলামি শরিয়তে তাদের সবাইকে আমার নিকট আসার ও থাকার যদি কোন বৈধ সুযোগ থাকে, তবে এ জ্ঞানগুলো পূর্ব থেকে জেনে রাখা এবং এর একটি লিখিত ফতোয়া আমার কাছে থাকা, এটা আমার একান্তই প্রয়োজন। আবার এমনও হতে পারে আমাকে সাহর করা, এ একজন বা দু'জন মহিলা জ্বীন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এঁর সাহাবী (রাঃ)। আর বাকিরা হয়তো কেউ সাহাবী (রাঃ), কেউ মুসলিম; আবার কেউ কেউ অমুসলিম। এখন হয়তো অমুসলিমগণ আমার নিকটই ইসলাম কবুল করতে চায়। হয়তো আমার নিকটই তারা দ্বীন শিখতে চায়। এবং তাদের সবাই মিলে আমাকে নিয়ে তারা মনূষ্য ও জ্বীন সমাজে দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ এবং মানুষ ও জ্বীনদের উপকার করতে চায়। আর তাই তাদের সবাইকে আমার নিকট আসার ও আমার সাথে একসাথে থাকার লক্ষে, এখন থেকে নিম্নক্রমে যে প্রশ্ন সমূহের সমাধান আপনাদের নিকট আমি চাইবো, তা হয়তো ইসলাম আবির্ভূত হওয়ার পর থেকে, অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এঁর পর থেকে এ পর্যন্ত হয়তো কেউ পৃথিবীর কোন মুফতি সাহেবদের নিকট উত্থাপিত করেনি। তাই আশা করি, নতুন ও জটিল বিষয় হিসেবে এডিয়ে না গিয়ে, গভীর ও সূক্ষ ভাবে গবেষণা করে, আমার সমস্যা সমূহের সমাধান আপনারা ইজমা ও কেয়াসের মাধ্যমে দিবেন। কারণ এ বিষয়ে আমি আমল করতে হলে, ও সমাজ, দেশ ও বিশ্বে আমি মুমেন ও মুসলিম হিসেবে পরিচিত ও গ্রহণযোগ্য থাকতে হলে, তাহলে আমার অবশ্যই একটি লিখিত ডকুমেন্ট বা ফতোয়া আমার নিকট থাকতে হবে।
সম্মানীত হুজুর, দেখুন আলকোরআনে বলা আছে, "যদি তোমরা আশঙ্কা কর যে, (নারী) ইয়াতীমদের প্রতি সুবিচার করতে পারবে না, তবে নারীদের মধ্য হতে নিজেদের পছন্দমত দুই, তিন অথবা চার জনকে বিবাহ কর, কিন্তু যদি তোমরা আশঙ্কা কর যে, তোমরা সুবিচার করতে পারবে না, তাহলে একজনকে কিংবা তোমাদের অধীনস্থ দাসীকে; এটাই হবে অবিচার না করার কাছাকাছি। (সূরা নিসা, আয়াতঃ ০৩) অধীনস্থ দাসীদের সাথে তার মালিক বা মুনিবদের যৌন সম্পর্কের বৈধতা, ইহা সূরা মূমিনুন এর ৬ নং আয়াত অনুযায়ীও অনুমোদিত। সম্মানিত হুজুর, এখানে একটি বিষয় বিশেষ ও খুব সূক্ষভাবে চিন্তা ও গবেষণা করতে অনুরোধ করবো। যৌন সম্পর্ক, এ বিষয়টির কথা মানুষ শুনলেই, এটিকে প্রায় সবাই নেগেটিভ চোখে দেখে। অথচ এ পাওয়ারটি যদি না থাকতো, তাহলে মানুষ সহ দুনিয়ায় কোন প্রাণ টিকে থাকতো না। পৃথিবী ধূ ধূ শূন্য প্রান্তর হয়ে যেত। মহান রব এটি সৃষ্টি করেছেন ও দিয়েছেন এটি ব্যবহারের বৈধতা। তেমনি একটি বৈধতার ক্ষেত্র হচ্ছে, দাসীদের সাথে মালিকের যৌন সম্পর্ক স্থাপনের বৈধতা। যেহেতু এ ক্ষেত্রটির বৈধতা, মহান রব দিয়েছেন, তাই এ ক্ষেত্রটিকে অসম্মানের চোখে দেখার মানে হচ্ছে, আসলে যে সব মানুষ এটিকে অসম্মানের চোখে দেখছে বা এ বিষয়ে নেগেটিভ ভাবছে, তারা মূলত, আল্লাহর সাথেই বেয়াদবী করছে!
এক্ষণে আপনাদের নিকট আমার জানার বিষয়-
১০। জ্বীন প্রকাশ্য ভাবে পৃথিবীতে তার নিজস্ব শরীরে বা মানব আকৃতিতে বা অন্য যে কোন আকৃতিতে বা নিরাকার ভাবে আসতে পারবে না, এবং মানুষের সাথে সহাবস্থান হিসেবে বসবাস করতে পারবে না, বা এ ধরনের কোন অধিকার জ্বীনের নেই; এ জাতীয় কোন কোরআনের আয়াত বা সহীহ্ হাদীস আছে কিনা? থাকলে এ গুলোর সূত্র কী বা কী কী? আর সহীহ্ সনদে যদি কোন সূত্র না থাকে, তবে কোন্ সনদে বা সূত্রে বা কোন্ অধিকারে নির্ণীত বা নির্ধারিত করা যাবে যে, মানে ফতোয়া দেয়া যাবে যে, জ্বীন বা জ্বীনদের দুনিয়াতে আসা এবং মানুষদের সাথে বা তাদের পাশাপাশি বসবাস করা নাজায়েজ হবে? বা তাদের এ বিষয়ে কোন অধিকার নেই? যেহেতু জায়েজ-নাজায়েজ বা ফতোয়া নির্ধারিত হয়, কোরআন ও হাদীসের ভিত্তিতে; যুক্তি কিংবা জ্ঞান-বিজ্ঞান বা আমাদের ধারনা (যেমন মানুষকে তৈরী করা হয়েছে মাটি দিয়ে, জ্বীনকে তৈরী করা হয়েছে আগুন দিয়ে; দুটির সত্ত্বা ভিন্ন, ইত্যাদি বলা) অনুযায়ী নয়; সেহেতু জ্বীন যদি দুনিয়ায় প্রকাশ্য ভাবে আসতে চায়, তবে জ্বীনের জন্য তা কেন অবৈধ হবে? এবং মানুষগণ তাদেরকে সুযোগ না দেয়ার বা প্রতিবন্ধক করে রাখার বা অসহযোগিতা, হিংসা বা শত্রুতা করার কোন অধিকার, মানুষদের আছে কিনা বা থাকতে পারে কিনা?
১১। জ্বীন জাতির কোন সদস্য শুধু একক ভাবে, বা তাদের কোন সম্প্রদায় বা তাদের যে কেউ বা যে কোন সংখ্যক, যদি দুনিয়াতে মানুষের সাথে প্রকাশ্য ভাবে বসবাস করতে চায়, তাহলে মানুষ হিসেবে, তাদেরকে সহযোগিতা করার বিষয়ে, ইসলামের বিধান কী? অর্থাৎ এতে মুসলমানদের ভূমিকা কী হওয়া উচিৎ বা কী হতে হবে?
১২। জ্বীনগণ আল্লাহু তা'য়ালার আইন ও প্রচলিত আইন-কানুন মেনে প্রকাশ্যে মানুষের মতো, মানুষের আকৃতিতে বা স্থান, কাল, অবস্থা ও পাত্র ভেদে, প্রয়োজন অনুযায়ী, স্বাভাবিক ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে, এবং জ্বীন পরিচয়ে একক ভাবে বা যৌথ ভাবে, মানুষের মতো, জমি ক্রয় করে তাদের নামে বাড়ি-ঘর নির্মাণ, কিংবা অফিস-আদালত বা কল-কারখানা স্থাপন ও পরিচালনা, অথবা ব্যবসা-বাণিজ্য ও ক্রয়-বিক্রয় করা, অথবা লেখাপড়া অথবা চাকুরী-বাকুরি, ইত্যাদি মানুষের যে কোন কাজ, মানুষের সাথে মিলেমিশে ও আলাদা ভাবে, জ্বীন যদি সম্পন্ন করার শক্তি, সামর্থ ও যোগ্যতা রাখে; তবে তা সম্পন্ন করার বা মানুষের সাথে জ্বীনকে অংশীদার করার, জ্বীন বা জ্বীনদের অধিকার থাকবে কিনা? আমি বলছি না যে, দুনিয়াতে মানুষের মতো ঘর-বাড়ি করে, জ্বীনদের থাকার এতো প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বা থাকতে পারে। তবে আমি বলতে চাচ্ছি, যে কারণেই হোক না কেন, যদি জ্বীন জাতি, কিংবা জ্বীন জাতির কোন সদস্য, অথবা জ্বীন জাতির কোন সম্প্রদায় আসতে চায়, মানুষের মতো প্রকাশ্যে, মানুষের পাশাপাশি বসবাস করতে চায়; তবে তাকে বা তাদেরকে, তাদের এ ন্যায্য হক না দেয়ার বা বঞ্চিত করার কোন অধিকার বা অথরিটি পবিত্র কোরআন শরীফ বা হাদীস শরীফের মাধ্যমে রব কর্তৃক মানুষকে বা মানুষদেরকে দেয়া হয়েছে কিনা? যদি মনে করেন যে, হ্যাঁ, দিয়েছে। তবে দয়া করে লিখবেন সেটি কিভাবে এবং পবিত্র কোরআন শরীফের কোন্ আয়াত ও হাদীস শরীফের কোন্ সহীহ্ হাদীস অনুযায়ী মানুষ সেটি পেল? অনুগ্রহ পূর্বক এ সূত্র বা সনদটি জানতে চাই।
যদি জ্বীনদেরকে তাদের এ হক, মানুষ বা মানব জাতি না দিতে চায় এবং  সম্পূর্ণ বেআইনি, দখলদার ও সৈরাচারী ভাবে এ পৃথিবীতে ও সৃষ্টিজগতের মধ্যে তাদেরকে এ ধরনের অধিকার ও দায়িত্ব আপনারা জোর ও জুলুম করে না দেন বা না দেয়ার সিদ্ধান্তে আপনারা অটল থাকেন, বা না দিতে চান; তবে অন্যায়কারী হিসেবে মানুষকে বা মানুষদেরকে বাধ্য করার বা এর সমূচিত জবাব দেয়ার বা অস্ত্র হাতে তুলে নেয়ার এ অধিকার জ্বীন বা জ্বীন জাতির বা জ্বীনের পক্ষে কোন মানুষের বা ন্যায় পরায়ন একদল মানুষের থাকবে কিনা? এবং এ ধরনের জ্বীন বা তাদের পক্ষে ন্যায়পরায়ন মানুষদের কি তখন কোন গুনাহ হবে? এ পৃথিবীর সমস্ত সম্পদের মালিক কি আল্লাহ নয়? আল্লাহ কি মানুষ ও জ্বীন, উভয় জাত সৃজন করেননি? এবং যিনি সব কিছুর প্রকৃত মালিক, তিনি তাঁর কালাম, কোরআন হাদীসের কোথাও যদি শুধু মানুষদেরকে এ অধিকার না দেন এবং এরপরও মানুষেরা বা কিছু মানুষ অন্যায়কারী ও জবরদখলদার হিসেবে,  যদি মনে করে যে, জ্বীনের বা জ্বীন জাতির, এ ধরনের কোন অধিকার নেই; তাহলে এ ধরনের মানুষের সম্পদের মালিকানা ও তাদের উপার্জন কি হালাল ও জায়েজ হবে? হ্যাঁ, সিস্টেম না থাকার কারণে হোক বা যে কারণেই হোক না কেন, এতোদিন হয়তো জ্বীন আসে নাই বা আসতে পারেনাই; এখন যখন আসতে চাইছে বা যেহেতু তাদের আসার বা বসবাসের অধিকার রয়েছে, তাই এখন থেকে ভবিষ্যতের যে কোন সময়ের জন্য, এ পৃথিবীতে বা আল্লাহর এ মহা সৃষ্টির যে কোন স্থানে মানুষের পাশাপাশি, মানুষের সাথে জ্বীন বা জ্বীন জাতি বসবাসের আইন প্রণয়ন বা সংশোধন করে, তাদের এ ন্যায্য হক প্রদান করা বা প্রদান করার ছিলছিলা জারি করা; এটা মানুষের নিকট, তার নৈতিক ও ঈমানী দায়িত্ব হিসেবে জ্বীন জাতি প্রাপ্য কিনা? প্রাপ্য হলে এ ধরনের আইন প্রণয়ন ও সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে কিনা?
১৩। আম ভাবে প্রায় সব মানুষের একটা ধারণা হলো, জ্বীন মানুষের খাদ্যের উচ্ছ্বিষ্ট যেমন, কাঁটা-কুটা, হাঁড়-গোড় খায়, এছাড়া গোবর ও ময়লা খায়। আমি মানলাম এটা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন। কিন্তু তিনি এই বলেননি যে, জ্বীন মানুষের ভালো ভালো খাওয়ার গুলো খেতে পারবেন না। আসলে কি ভালো, ভদ্র ও মুমেন জ্বীন, মানুষ যেসব উচ্চাভিলাশি খাওয়ার খায়, তা খেতে পারে না? না তা খাওয়ার যোগ্যতা রাখে না? এছাড়া জ্বীনের নাম নিলেই মানুষ তাকে শয়তান মনেকরে। আমি বুঝতে পেয়েছি, জ্বীন বলতেই মানুষ একটা খারাপ কিছুকে বুঝতে পায়। এর কারণ কী? মানুষের মধ্যে এ ধারনার উৎস কোথায়? মানব জাতির মধ্যে কী জ্ঞান বা তথ্য রয়েছে যে, জ্বীন মানেই ভয় আর খারাপের প্রতিক? না জেনে, বা না বুঝে কারো বিষয়ে নেগেটিভ জ্ঞান ও নেগেটিভ দৃষ্টিভঙ্গি রাখা; এটা কি মানুষের একটি কবীরা গুনাহ নয়? যার শীকার বা ভূক্তভূগী আমি!! আর আমি হাঁড়ে হাঁড়ে টের পাচ্ছি; মানুষের এ ভাবধারার কারণে আমি কী পরিমাণ মজলুম হয়েছি বা হচ্ছি!? এ ব্যাপারে ইসলামের শিক্ষা কী? ইসলাম কী এ শিখায় যে, কাউকে বা কোন জাতিকে বীনা যুক্তিতে অসম্মানজনক ভাবে বিবেচনা করতে হবে? তাছাড়া যার খাদ্য যা, সে তা খাবে; যার স্বভাব যা, সে তা করবে; এতে অসম্মানের কী আছে; তা তো আমি বুঝিনা! মানুষকে শ্রেষ্ঠ করে সৃষ্টি করা হয়েছে খাটো দেরকে, ছোট দেরকে অসম্মান করে দেখার জন্য নয়, তাদের সাথে ইতর ব্যবহার করার জন্য নয়; বরং তাদেরকে ভালোবেসে, সম্মান করে আন্তরিক ও উদার ব্যবহার করার জন্য! কিন্তু দুঃখ ও আফসোসের বিষয় হচ্ছে, মানুষ এর উল্টো হয়েছে! দয়া করে এ বিষয়ে ইসলামী জ্ঞান কী, তা জানিয়ে আমাকে ও মানুষদেরকে ধন্য করুন।
১৪। পৃথিবীর মানুষদের মধ্যে একদল মানুষ, আরেক দলের উপর জুলুম, নিপীড়ন, হত্যা, অবৈধ দখল ইত্যাদির মাধ্যমে যদি কোন দেশের মুসলিমদের সীমাহীন কষ্ট দেয়; তাহলে ভালো জ্বীনেরা মজলুমের পক্ষে বা কোন মানুষকে নেতা মেনে ও তার নেতৃত্বে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ (যেমন ইসরাইল ও তার দোসরদের উচ্ছেদ); যারা নিরঅপরাধ মুসলমানদের হত্যা করছে, তাদেরকে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান অথবা পৃথিবীতে আল্লাহু তায়া'লার আইনের বাস্তবায়ন; ইত্যাদি জেহাদ ও দাওয়াত মূলক কাজে অংশ গ্রহণ করে সাফল্যের পথে প্রচেষ্টা চালাতে, মানে জেহাদ করতে পারবে কিনা?

এবারের প্রশ্নগুলো করতেও আমি আবারো প্রথমে একটু বুঝিয়ে লিখার প্রয়োজন মনে করছি। দেখুন, আল কোরআন, এটি সর্বকালের ও সর্বযুগের জন্য। এর একটি আয়াত বা সামান্য একটি হুকুমকে ব্লক বা রহিত বা অকার্যকর করার ক্ষমতা বা অধিকার কেয়ামত পর্যন্ত কারো নেই। কিন্তু আপনি যদি বলেন, কোরআনের অমুক হুকুমটি আমলে নেয়ার কোন পরিস্থিতি বর্তমানে নেই; তাহলে উদাহরণ স্বরুপ আমি বলতে চাই যে, এভাবে যদি দশটি আয়াতের হুকুম, ভবিষ্যতের কোন এক কালে, পরিস্থিতি না থাকার কারণে, বা কূ-বুদ্ধিমান মানুষগুলো নিজেদের পছন্দমাফিক পরিস্থতি পরিবর্তনের দোহাই দিয়ে, বা অজুহাতে, কোরআনের এ শাশ্বত আইনকে অকার্যকর করে এবং এ কৌশলে অকার্যকর করার বৈধতা পায়, তবে এমন একটি মহিমাহ্নিত কিতাবের কার্যকারিতা বা কিতাবটির ক্রিয়েটিভিটি বা গ্র্যাভিটি বা এর তুল্যমান তখন কমে যায় বা কমে যাবে। অর্থাৎ কথার কথা আগে যদি এ কিতাবের দাম ১০০০ ডলার হতো, এখন হবে ৯০০ ডলার। এবং আগে যদি এটি প্রেস হতো, কথার কথা এখন হবে এটি ধূলাবালি ওয়ালা। আর এর জন্য বেশি দায়ী, আপনারা, মানে আলেমেরাই। তাই কোরআনের একটি আয়াতের হুকুম, বাস্তবায়নের পরিস্থিতি না থাকার মানে হচ্ছে, আয়াতটি শুধু নির্দিষ্ট কাল বা যুগের জন্য নাজিল হয়েছিলো। যা সামগ্রিক ভাবে আসলে মানুষের জন্য মন্দ ছিলো এবং এটি সর্বকালের, সর্বযুগের ও শ্বাশত নয়। কিন্তু কোরআনের কোন হুকুম শুধু নির্দিষ্ট কালের জন্য, এ কথা আপনি বলতে পারেন না; যদি না মানুষগুলো যুক্তিকরে ও মনগড়া ভাবে কোরআনে প্রদত্ত বিধানের চাইতে উত্তম কোন পরিস্থিতি সৃষ্টির বা প্রাকৃতিক ভাবেই সৃষ্ট পরিস্থিতির দোহাই দেয়, আর এ কৌশলী কারণ দেখিয়ে, কোরআনে প্রদত্ত বিধানকে তারা না মানে বা না মানতে হয় বা মানার কোন সুযোগ থাকে না। আর এর মাধ্যমে কোরআনের শুধু শ্রেষ্ঠত্বই খর্ব হয় না; কোরআনের কিছু আইন মূর্দাও হয়ে যায় বা যাচ্ছে। মনে রাখতে হবে, পৃথিবীর প্রাকৃতিক পরিবেশ ও পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে পারে, কিন্তু কোরআনের কোন হুকুম বা বিধান নিষ্ক্রীয় হওয়ার নয়। এবং নিস্ক্রীয় হতে দেয়া যাবে না। বা হতে চাইলেও, নিষ্ক্রীয় যাতে না হয়, সে প্রচেষ্টা মুসলমানদেরকেই অব্যাহত রাখতে হবে। যেমন বৃষ্টি এলেও আমাদেরকে মসজিদে নামাজ চালু রাখতে হয় এবং মুসল্লিদেরকে ছাতা নিয়ে হলেও মসজিদে যেতে হয়! অর্থাৎ এঁর সমস্ত বিধান, কেয়ামত পর্যন্ত সর্বকালের জন্য সক্রীয় থাকবে এবং মানুষের জন্য কোরআনে উল্লেখিত বিধান গুলিই সর্বোত্তম হবে। এমনটি বলা যাবে না যে, আল কুরআনের এ বিধানটি এ কালের জন্য শ্রেষ্ঠ, কিন্তু পরবর্তী ঐ কালের জন্য শ্রেষ্ঠ নয় বা হতে পারে না। আর তাই কোরআনের সমস্ত আইন সর্ব কালের জন্য সক্রীয় রাখার এ দায়িত্ব আমাদের, মানে মুসলমানদের!
দাসীদের সাথে মালিকের যৌন সম্পর্ক স্থাপন এমনই একটি কোরআনের আইন। প্রথম বারে শুনতেই আমাদের কাছে মনে হয়, হ্যা-রে কত খারাপ! মানুষ বেচা-বিক্রী! এ তো স্পষ্ট বর্বরতা!!
প্রিয় ভায়েরা আসলে কিন্তু তা নয়! বরং আমাদের বুঝের ভূল! ও নৈতিক এবং ঈমানের অবক্ষয়ের কারণেই হয়তো আমাদের কাছে এমনটি মনে হচ্ছে! এখনকার সময়ে যেমন, কেউ একজন কোন ব্যবসায়িক বা কৃষিজ খামার বা যে কোন প্রতিষ্ঠান দিলে প্রয়োজন হয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর, ঠিক তেমনি তখনকার সময়ে কেউ একজন এ ধরনের প্রতিষ্ঠান দিলে প্রয়োজন হতো শ্রমিকের; মানে দাস-দাসীর। যেহেতু তখনকার সময়ে হয়তো বর্তমানকার চাকুরীর এ নিয়ম ছিলো না। তাই তখনকার মালিকগণ হয়তো কাজ-কাম করাতোই এভাবে। আসলে, তারা যেহেতু সারা জীবনের জন্য কোন মালিকের কাজের লোক ছিলো; তাই সমাজ ও দেশে তাদেরকে এমন ভাবে হেয় করা হতো যে, তাদের সম্মান বলতে কিছু থাকতো না। আর তাই আজ আমরা দাস-দাসী, এ দু'টি শব্দ শুনলেই অপমানবোধ করি।
দাস-দাসী ক্রয়-বিক্রয় কি আসলে মানুষ ক্রয়-বিক্রয়? মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ও তাঁর সাহাবীগণ কি দাস-দাসীদেরকে এতোই কষ্ট দিয়েছিলেন? মোটেই না। তাহলে, পরবর্তীকালে এ বিষয়ে, মানুষ ক্রয়-বিক্রয়ের প্রশ্ন আসবে কেন? এটা হচ্ছে মানুষের কর্মের বিনিময়ে অর্থ প্রদান; মানে মানুষের কর্মকে ক্রয়। অনেকটা বর্তমানে যারা ডেইলি বা মাসিক বেতনে কাজ করে তাদের মতো। তবে দাস-দাসীদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত যোগ হয়, দাস-দাসীদের জীবনের সর্ব বিষয়ের আমরণ দায়িত্ব নেয় তাদের মালিকেরা। আর তাই আমি ব্যক্তিগত ভাবে আমার পরিবার ও প্রতিষ্ঠান সমূহে তাদের সার্ভিস বা কর্মকে চাকুরী হিসেবেই উল্লেখ করবো এবং যে চাকুরীর প্রকৃতিগত অবস্থা হবে দাস-দাসী বা লাইফ ওয়ার্কার বা প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী বা কর্মী। অবশ্য আমি বর্তমান নিয়ম অনুযায়ীও কর্মী নিয়োগ দিবো। যার প্রকৃতিগত অবস্থা হবে, 'দায়হীন'। আমার এ প্রশ্নপত্রে এবং আমার ব্যক্তিগত ও কর্মজীবনের প্রয়োজনে নিয়োগকৃত দাস-দাসীদেরকে উভয় লিঙ্গ হিসেবে এর আধুনিক পরিভাষায় মাঝে মাঝে তাদেরকে আমি "লাইফ ওয়ার্কার" এ নামে উল্লেখ করবো। আমার মতে এ আইনের মাধ্যমে আজো পৃথিবী জুড়ে বিলিয়ন বিলিয়ন মহিলা উপকৃত হতে পারে।
 আসলে আমায় আসর বা সাহর করা এ জ্বীন বা জ্বীন সম্প্রদায় আমাকে তরল ধন রত্ন দিয়ে অথবা রোগী দেখা, অথবা অন্য যে কোন উপায়ে, হয়তো আমাকে অনেক অনেক ধনী করে ফেলতে পারে; এবং আমার সাথে থাকা এ জ্বীন বা পরী সম্প্রদায়কে আমার সাথে রাখার কৌশল এবং সমাজ, দেশ ও আন্তর্জাতিক ভাবে মজলুম মানুষ ও মুসলমানদের জন্য কল্যাণমূলক কিছু করার উদ্দেশ্যে ও এ বিষয়ক প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে আপনাদের নিকট আমার এতো কিছু জানতে চাওয়া।
ভেবে দেখা দরকার, দাসীদেরকে কর্ম দেয়ার সাথে সাথে তাদের জীবনের দায়িত্ব নেয়া; এটাতো উত্তম হওয়ার কথা, এটা মন্দ হবে কেন? কোন অসহায় লোককে বা ইনকামের বা কর্মের প্রয়োজন, এ রকম ব্যক্তিকে কর্ম দেয়ার পর তার থাকা, খাওয়া, পোশাক পরিচ্ছেদ, রোগ জীবানু, তার যে কোন সমস্যায় তার সারা জীবনের অভিভাবকত্ব করা; এটা কেন খারাপ হবে? আসলে খারাপির বিষয়টি এ প্রথার মধ্যে নয়; এটি হচ্ছে মালিকদের শয়তানি কারেকটারের মধ্যে। মালিকগণ দাস-দাসীদের সাথে একদিকে যেমন অমানবিক আচরণ করা শুরু করলেন, ঠিক তেমনি তাদের জীবনের দায়িত্ব নিতেও চাইলেন না। তাহলে কারো কারেক্টার খারাপ হওয়ার কারণে, প্রথা বা নিয়মটি কেন খারাপ হবে? দাস-দাসীদের উপর অত্যাচারের কারণে মানুষগুলো বুঝে নিয়েছে বা হয়তো অত্যচার ও নিপিড়ন, অথবা অসম্মান এতোই মশহুর হয়েছিলো যে, যা অনেকটা ন্যাচারালি হয়েগিয়েছিলো। যেমন ধরুন, শিশু দাসদের তখন, পুরুষাঙ্গ কেটে খোজা করে ফেলা হতো। এতে অনেকেই মারা যেতো। ২/১ জন বেঁচে থাকলে, তার আর বিয়ে সাদীর প্রয়োজন হতো না। এবং এভাবে এদেরকে দিয়ে সারাজীবন অমানষিক কাজ আদায় করে নিতো। ফলে মানুষেরা অটো ভাবে বোজা শুরু করলো এ প্রথাটি খারাপ। যেহেতু দাস-দাসী বা বাঁদী, সমাজের এ চরিত্রগুলো অত্যচারিত, অমর্যাদাকর ও অসম্মানিত বা অবহেলিত কারো নাম; তাই কালক্রমে, দাস-দাসী, এ শব্দ দু'টি শুনতেই মানুষ নিজকে ঘৃণিত বা অপমাণিতবোধ মনে করা আরম্ভ করলো। না হয়, আপনারা একটু চিন্তা করুন; কর্মের দিক থেকে একজন পূরুষের ঘর-দোর সামলে দিয়ে ও অন্যান্য পারিবারিক কাজ করে; তার স্ত্রী এতো সম্মানিত হতে পারে বা অধিকার ভোগ করতে পারে; আর দাস-দাসীগণ ঐ পুরুষেরই প্রাতিষ্ঠানিক ও কর্মক্ষেত্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বপালন করে কেন এতো এতো অসম্মানিত হবে? হয়তো বলতে পারেন, স্ত্রী গণ পুরুষের জীবন সঙ্গী, উচ্চ বংশের, ভদ্র, শিক্ষিত ইত্যাদি। তা আমি মানলাম; কিন্তু লাইফ ওয়ার্কারগণ পুরুষদের ব্যক্তিগত, প্রাতিষ্ঠানিক ও কর্মক্ষেত্রে পুরুষদের জীবন চালিকা শক্তি মূলক প্রয়োজনীয় কাজ করে দিয়ে এতো পঁচে যাবেন কেন? উইকিপেডিয়াতে স্পষ্ট লিখা আছে ভদ্র ও শিক্ষিত দাস-দাসীদেরকে দিয়ে সাহাবীগণ নিম্নোক্ত কাজ করাতেন-
[শিক্ষকতা ও তত্ত্বাবধান:
কিছু ক্ষেত্রে, দাস-দাসীদের শিক্ষিত করে অন্যদের শিক্ষকতা বা তত্ত্বাবধানের কাজে লাগানো হতো।
সামরিক প্রশিক্ষণ:
কিছু দাস-দাসী সামরিক প্রশিক্ষণও পেতেন এবং প্রয়োজনে যুদ্ধে অংশ নিতেন।
সম্মানজনক কাজ সাধারণত তাদেরকেই দেওয়া হতো যারা বিশ্বস্ত, শিক্ষিত বা বিশেষ কোনো দক্ষতাসম্পন্ন ছিলেন। যেমন:
শিক্ষকতা:
যারা ইসলামী জ্ঞান এবং অন্যান্য বিষয়ে পারদর্শী ছিলেন, তাদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হতো।]
তাহলে সাহাবীগণ দাস-দাসীদেরকে এতো খারাপ চোখে দেখেছেন বা কষ্ট দিয়েছেন এর প্রমাণ কোথাও নেই। কিন্তু দিন যত যেতে থাকলো; দাস-দাসীদেরকে মালিকেরা শুধু ভোগ্যপণ্য হিসেবে ব্যবহার করা আরম্ভ করলো; তাদের জীবনের দায়িত্ব নিতে চাইলো না এবং বাধ্য হয়েই মানুষেরা আরম্ভ করলো বর্তমান চাকুরীর সিস্টেম।
দেখুন, একজন পূরুষের দু'টি সাইড থাকে। একটি ঘর বা একান্তই ব্যক্তিগত মহল। এবং অন্যটি হচ্ছে তার বাণিজ্যিক মহল বা কর্মক্ষেত্র। পূরুষের ঘরের পরিসর ছোট থাকবে এবং কর্মক্ষেত্র বিস্তৃত থাকবে, এটিই স্বাভাবিক। আর এ জন্যেই হয়তোবা আল্লাহু তা'য়ালা একজন পুরুষের জন্য সর্বোচ্চ ৪ বিয়ে জায়েজ করেছেন; কিন্ত দাসী কতজন রাখতে পারবেন তার কোন নির্দিষ্ট সংখ্যা দেননি। অর্থাৎ মালিকের প্রয়োজন ও সাধ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ যে কোন সংখ্যক রাখতে পারবে।  পূরুষ যখন বিয়ে করে, তখন তার বউকে সে সারা জীবনের জন্য নিয়ে আসে এবং পূরুষ যখন একজন লাইফ ওয়ার্কার নিয়ে আসে তখন তাকেও সারা জীবনের জন্যই নিয়ে আসে। পূরুষ যখন পিতা হতে চায় বা যৌনক্ষুদা মিটাতে চায়, তখন সে যে কোন একজনের কাছে, মানে, হয় স্ত্রীর কাছে, না হয় লাইফ ওয়ার্কারেরর কাছে, যে কোন একজনের কাছে গেলেই উদ্দেশ্য সাধিত হয়। তেমনি ভাবে একজন স্ত্রী মা হতে চেয়ে বা যৌন চাহিদা মেটাতে যে পুরুষটির কাছে যায়, ঐ একই কাজে একজন দাসীও ঠিক ঐ পুরুষটির কাছেই যায়। একজন মহিলার বিয়ে হলে যেমন সারা জীবনের জন্য বাবার বাড়ি ছেড়ে দিতে হয়; তেমনি একজন দাসীকেও তার কর্মের প্রয়োজনে সারা জীবনের জন্য তার পূর্বাবস্থা ছেড়ে দিতে হয়। তাহলে স্ত্রী বললে, আপনারা শুধু সম্মান বুঝবেন, আর দাসী বললে শুধু দুনিয়া ভর, ঘৃণা আর অসম্মান বুঝবেন; এমনটি কেন? অন্যদিকে এর যুক্তি থাকলেও, এদিক দিয়েতো দাসী প্রায় স্ত্রীর মতোই! আমিতো দেখছি, মাইন্ড করবেন না, স্ত্রীর সামনে যেমন একজন পুরুষকে কাপড় খুলতে হয়, ঠিক ব্যক্তিত্ব লেস করে দাসীর সাথেও ঠিক তেমনটিই করতে হয়! স্ত্রীকে তার শান্তি, নিরাপত্তা, জীবনের সকল ব্যবস্থা এবং মাতৃত্বের মর্যাদা প্রদান করে যে পূরুষটি; ঐ পূরুষটি দাসীদেরকেওতো ঠিক একই ব্যবস্থা দিতে বাধ্য। এমনটি নয় যে, শরিয়ত অনুযায়ি স্ত্রীকে সুখ দেয়ার জন্য আনা হয়; আর দাসীকে দুঃখ দেয়ার জন্য আনা হয়! আবার এমনও নয় যে, স্ত্রীদেরকে তাদের বাবার বাড়ি বা অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি যেতে দেয়া হয় বা পূর্ণ স্বাধীনতা (শরিয়তের মধ্যে থেকে) দেয়া হয়; আর দাসীদেরকে একেবারেই পরাধীন করে রাখা হয় বা তার আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে যাওয়া একেবারেই নিষেধ থাকে! এমনটিও নয় যে, স্ত্রীর বাপের বাড়ি বা অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি পূরুষ মানুষটি যায়, কিন্তু দাসীর কোন আত্মীয় বাড়ি থাকলে ঐ পূরুষটির সেখানে যাওয়া নিষেধ থাকে। দাসীর সাথে তার মালিকের সম্পর্ক কর্মের সাথে হওয়ায় হয়তো বিষয়গুলো সীমিত থাকে। আপনি চিন্তা করুন একটা লোয়ার রেংকের শিশু বা মহিলা, যার হয়তো তেমন কিছুই নেই, বা একজন কর্মী, শুধু দাসী হওয়ার সুবাধে সে প্রায় স্ত্রীর মতো সুবিধাদি ভোগ করছে এবং তার কর্মের রেংক অনুযায়ী সম্মানও পাচ্ছে! যৌন চাহিদা বা বাবা হওয়ার ইচ্ছা কি শুধু পুরুষের থাকে (?), মহিলা বা দাসীর থাকে না? একজন মহিলা বা দাসী কি মা হতে চায় না? দুনিয়াতে তার তেমন কেউ বা কিছু নাই; অথবা তার কর্মের প্রয়োজন বিধায়তো সে দাসী; অথচ একজন পুরুষ তার গার্ডিয়ান হয়ে এতো কিছু দিচ্ছে? তাকে ২/৪টি সন্তান উপহার দিয়ে তাকে সাবলম্বী করার চেষ্টা করছে (বেড় মাইন্ড না করলে বিষয়টি বুঝবেন)। তাহলে আপনারা দাসীদের সাথে যৌন সম্পর্কের এ বিষয়টিকে এতো খারাপ চোখে দেখবেন কেন? একটা অসহায় মানুষকে এতো কিছু দেয়ার প্রথা বা নিয়মটি খারাপ হবে কেন? একজন দাসী কাজ করবে মালিকের, কিন্তু মা হবে কোথায়? যৌনক্ষুদা মিটাবে কোথায়? ঠিক তেমনি একজন পুরুষের সামনে, কোন মহিলা তার কর্মচারী ও লাইফ ওয়ার্কার হিসেবে পর্দা বিহীন দিন রাত কাজ করবে, এটা কিভাবে? এ অবস্থায় যৌন সম্পর্কের বৈধতা না থাকলে, এ ধরনের মহিলাদেরকে আশ্রয় দেয়া বা তার জীবনের দায়িত্ব নেয়া; এটা কি কোন পুরুষ কিংবা মহিলার, কারো দ্বারা সম্ভব হতে পারে? 
আবার দেখুন, একজন পূরুষ, মৃত্যুর পর যা পায়, তার অন্যতম হচ্ছে, নেক সন্তান। সুতরাং মৃত্যুকালে যার বেশি নেক সন্তান থাকবে, সেতো কামিয়াব হওয়ার কথা! সে মানুষের কাছ থেকে সাধুবাদ পাওয়ার কথা! কিন্ত সে রবের কাছ থেকে এ পুরষ্কারটি পাওয়ার জন্য এবং কোরআনের একটি মুর্দা আইনকে (দাসীদের সাথে যৌন সম্পর্কের বৈধতা) জিন্দা করার প্রসেস করে, মানুষের নিকট নিন্দনীয় হবে কেন? আবার রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, হাশরের ময়দানে, তাঁর উম্মতের সংখ্যা বেশি হবে (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৫৪১), তাহলে বুঝতে পারা যায়, যার বেশি সন্তান রয়েছে, তার উপর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) খুশি থাকবেন এবং তিনি (সাঃ) নিজেও একাধিক বিয়ে করেছিলেন। তাহলে বেশি সন্তান সন্ততির জন্য ফিকির করা, এটা দোষণীয় হবে কেন?
এবার চিন্তা করা যাক একজন পূরুষ কেন দাসীদের দায়িত্ব বহন করে। যৌন সম্পর্ক এবং মার্তৃত্ব ও পির্তৃত্বের সম্পর্কের বিষয়টি বাদ দিলে, দাসীদের সাথে তার মালিকের সম্পর্ক থাকে শুধু কর্মের। পৃথিবীতে বর্তমানে মহিলাদের যে কর্মক্ষেত্র, এতে কি মহিলারা নিরাপদ!? অনেকটাই না। কিন্তু একজন পুরুষ তার দাসীদের দায়িত্ব নিয়ে তাদের মাধ্যমে যখন কোন ইন্ডাষ্ট্রি বা ফার্ম পরিচালনা করে; তখন যেহেতু সকল দাসীর সমস্ত দায়-দায়িত্ব তাদের মালিকের; এখানে তারা একজন অভিভাবক বা আপনজন পাবে; সুতরাং তারা অনিরাপদ হবে কিভাবে? এবং যার ফলে মহিলাদের জন্য আলাদা করে কোন বিভাগ চালানো, অনেকটাই সহজ হবে ঐ পুরুষটির জন্য। আসুন কর্মক্ষেত্রে আমরা একজন চাকুরীজীবী মহিলা এবং একজন দাসী মহিলার তুলনা করি। এতে প্রথমেই আপনাকে বুঝতে হবে সমাজ ও দেশে যে সব মহিলার কর্মের প্রয়োজন অথবা যারা অবহেলিত, যারা ঠিক মতো খাওয়া পরা পাচ্ছে না, যাদের কোন অভিভাবক নেই, মাথার উপর কোন ছায়া বা ছাতা নেই; তারাই সাধারণত কোন মালিকের কর্ম নেয় এবং ঐ মালিকের দাসী বা বাঁদী হয়। অতএব স্ত্রীর মতো, তার মালিক বা বস যে তার সম্পূর্ণ জীবনের দায়িত্ব নিয়েছে; এটিইতো তার জন্য সৌভাগ্য।
দাসীগণ মূলত মালিকের পারমেন্যান্ট ওয়ার্কার। কর্মক্ষেত্রে একজন কর্মজীবী মহিলার যদি কোন জটিল ও কঠিন রোগ জীবানু বা কোন সমস্যা হয়, তাহলে সে ক্ষেত্রে একজন কর্মজীবী মহিলা এর পূর্ণ প্রিভেন্টিং তার কর্তৃপক্ষ বহন করে না; শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট বা রুলস অনুযায়ী কিছু প্রিভেন্টিং সে পেতে পারে। পক্ষান্তরে একজন পারম্যানেন্ট ওয়ার্কার বা দাসীর কর্মস্থানের যে কোন সমস্যার সমাধান তার মালিক বা মুনিব, তাকে দিতে বাধ্য। আবার কর্মস্থানের বাহিরে বাসা-বাড়িতে বা অন্য যে কোথাও উদ্ভূত সমস্যার কোন সমাধান, একজন চাকুরীজীবী মহিলার চাকুরে কর্তৃপক্ষ দেয় না; যেখানে একজন দাসীর যে কোন সময়ের যে কোন সমাধান তার মালিককে দিতে হয়। আবার একজন চাকুরেজীবী মহিলা যা বেতন পায়, এ দিয়ে হয়তো তার জীবন ঠিক মতো চলে না; এদের মুখে অনেক সময়ই শুনতে পাওয়া যায়; যা বেতন পাই, তা দিয়ে সংসার চালাতে পারি না ঠিক মতো। চাল আনিতো মাছ আনতে পারি না; মাছ আনতে গেলে চালের টাকা থাকে না, ইত্যাদি। অথচ একজন পারম্যানেন্ট দাসীর এসবের চিন্তা করার প্রয়োজন পড়ে না। হাদীস অনুযায়ী মালিক যা খায়; দাসীকেও ঠিক তাই খাওয়াতে হয়। অথবা অন্তত একটা ভদ্র থাকা খাওয়াতো দাসীদেরকে দিতে হয়। অন্যদিকে ৬০ বা ৭০ বছর পর যখন একজন চাকুরীজীবী মহিলা চাকুরী হতে অব্যাহতি নেয়; তখন তার বৃদ্ধ বয়সের দায়িত্ব কোন চাকুরীদাতাই বহন করে না; কিন্তু একজন মালিককে তার স্ত্রীর মতো দাসীদের আমরণ দায়িত্ব নিতে হয়। তাহলে কোন দিক দিয়ে দাসী প্রথাটি খারাপ? এখনো কোন মুসলমান যদি মুসলমানের মতো হয়, তাহলে তিনি অনেকগুলো শিশু ও মহিলাদেরকে দাসী হিসেবে দায়িত্ব নিলে, তবে তা ঐ শিশু ও মহিলাদের জন্য অবশ্যই অনেক উত্তম হবে। এবং তা দেশ ও বিশ্বের জন্য মঙ্গলও হতে পারে। কারণ এমনও হতে পারে যে, পৃথিবীর ভবিষ্যত প্রজন্মে মহিলার সংখ্যা পুরুষের চাইতে বেশি হতে পারে এবং তারা দূর্বল শ্রেণী হওয়ায়, তাদেরকে পূরুষদের অধীনে বা তাদের নিকট আশ্রয় বা বেঁচে থাকার অবস্থান দেয়ার প্রয়োজনও হতে পারে। 
মূলত মানুষ ও মুসলমানদের মধ্যে যখন চারিত্রিক দূর্বলতা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় বা হয়েছিলো, তখনই আমার মনে হয়, মানুষ গুলো, পরিস্থিতি পরিবর্তনের ধ্বজা তুলে বা মিথ্যা যুক্তি তুলে, পবিত্র কোরআনের এ আইনকে অকার্যকর বা অপ্রয়োজনীয় করে। কিন্ত কোরআন সর্বকালের। এ কিতাবে কোন কাল বা যুগের জন্য যদি অপ্রয়োজনীয় আইনই থাকে, তবে এটি সর্ব কালের কিতাব কিভাবে হলো!? তাহলেতো এটি অকার্যকর ও পঁচা আইনের কিতাব!
আসলে মুসলমানদের কেন মাথায় ধরে না যে, আল কোরআন এটি কোন সাধারণ কিতাব নয়। এটি মহান রবের পক্ষ থেকে মানুষের জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় বিধানাবলীর কিতাব। এতে কোন সন্দেহ নেই যে, এ কিতাবে যে আইন সমূহ স্থান পেয়েছে, এর সবগুলো আইনই মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় এবং এগুলো বাদ দিয়ে মানুষের জীবন পরিপূর্ণ হওয়ার বা মানুষ পরিপূর্ণ শান্তিতে থাকার কোন যুক্তিই নেই। তাহলে নিঃসন্দেহে দাসীদের সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন, এটি একটি উত্তম আইন। যদিও আপনারা অনেকে বলবেন, প্রথাটি তৎকালীন যুগে ছিলো, তাই এটি এ কিতাবে স্থান পেয়েছে; প্রথাটি আসলে মন্দ।  তাহলে আমি বলবো, সর্বকালের জন্য উত্তম একটি কিতাবে মন্দ একটি বিধান সংযোজিত হলে, তাহলে কিতাবটি সর্বকালের জন্য এবং কিতাবটি মানুষের জন্য উত্তম আইনের কিতাব হতে পারে না। এবার হয়তো আপনি বলবেন, কোরআন শরীফের এক একটি আয়াতে লিখিত আইন, অন্য আয়াত দ্বারা এর কার্যকারিতা রহিত করা হয়েছে। এবার আমি বলবো, আপনি সত্যি করে জানেন কি, দাসীদের সাথে যৌন সম্পর্কের বৈধতা বিষয়ক এ আইনটি, কোরআনের কোন্ আয়াত দ্বারা রহিতকরণ করা হয়েছে? আমি নিশ্চিত জানি, এ বিষয়ে আপনি পবিত্র কোরআনের এমন কোন আয়াত উপস্থাপন করতে পারবেন না। অতএব এটি সুস্পষ্ট ভাবে প্রমাণিত যে, দাসীদের সাথে যৌন সম্পর্কের বৈধতা বিষয়ক পবিত্র কোরআনের এ আইনটি আগেও ওকে ছিলো, এখনো ওকে আছে এবং কেয়ামত পর্যন্ত ওকে থাকবে। যেহেতু এটি কোরআনের আইন, তাই যে কোন কালে একে সক্রীয় রাখার, মানে বাস্তবায়িত রাখার এ গুরু দায়িত্ব মুসলমানদের। না হয় কোরআনের একটি আইন যে, নিষ্ক্রীয় হয়ে কোরআনের তুল্যমান যে মানুষের নিকট কমে যাচ্ছে বলে মনে হয়!!
 আমার মতে বর্তমানেও মুসলমান গণ, পবিত্র কোরআনের এ আইনকে জিন্দা করার সংগ্রামে ব্রত হলে; তাদের অশেষ এবং অশেষ নেকী হাসিল হবে ইনশা'আল্লাহ! এবং সমাজ, দেশ ও বিশ্বের কিছু মজলুম মা বোন, তাদের উপর নিপীড়িত করা অবর্ণনীয় জুলুম থেকে নিষ্কৃতি পাবে! তারা পাবে একটি শান্তিময় ঠিকানা। তারা পাবে একজন অভিভাবক। মুসলমানদেরকে এখানে আরো বুঝতে হবে যে, কেয়ামতের আগে দিন দিন মানুষের চরিত্র ও বৈশিষ্ট্য খারাপ হবে এবং এ অবস্থায় ঈমানদার হবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দূর্বলেরা। যুক্তি অনুযায়ী আমরা বুঝতে পারি দিন দিন ভালো মুসলিম পূরুষের সংখ্যাও একেবারেই কম হবে। কিন্তু ২/১ জন মুসলিম ভালো পুরুষ যদি থাকে, তবে তাদেরকে যদি অসহায়, অত্যাচারিত ও মজলুম মানুষদেরকে আগলে রাখার, আশ্রয় দেয়ার, অভিভাবকত্ব করার অথবা কোরআনের আইনকে এক্টিভ রাখার, কোন সুযোগ দেয়া না হয়, তবে এ ধরনের শিশু ও নারীদেরকে কেউ হেফাজত করার থাকবে না বা কোরআনের আইনকে সমুন্নত রাখার সুযোগ থাকবে না। তাহলে আজকের আলোচনা থেকে স্পষ্ট বোঝা গেল দাস-দাসী প্রথা; পবিত্র কোরআনে উল্লেখিত এ প্রথাটি অবশ্যই উত্তম ও ধনী মুসলিমদের জন্য একটি উত্তম প্রথা (যেহেতু এ সংশ্লিষ্ট বিধানটি, এ প্রথা থেকে এসেছে ও বিধানটি উন্নত হওয়ায়, সে হিসেবে অবশ্যই প্রথাটিও উন্নত হয়েছে) এবং এটি কোনক্রমেই শুধু কোন এক কালের বিধান নয়। যেহেতু দূর্বল, অসহায়, ইয়াতিম, মিসকিন ও মজলুম মানুষ সর্বকালেই থাকতে পারে; তাই এটি কেয়ামত পর্যন্ত সর্বকালেই সকলের জন্য রক্ষা কবস হিসেবেই থাকবে। সুতরাং ধনী ও ভালো মুসলিমদের এ প্রথায় আমল করা উচিৎ এবং নিজেদের চরিত্র সমুন্নত রেখে প্রথাটিকে সদা সক্রীয় রাখা উচিৎ। আবার আমি এও বলছি না যে, বর্তমানে প্রচলিত চাকুরীর নিয়ম অনুযায়ী জীবনের দায়িত্ব না নিয়ে, শুধু প্রতিদিন ৮/১২ ঘন্টা শ্রমের চুক্তিতে চাকুরী দেয়া নাজায়েজ। তবে মহিলা বিভাগে, যেহেতু ঐ ভাবে একজন নারীকে চাকুরী দিলে মালিকের সাথে তাদেরকে পর্দা করতে হয় এবং প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মালিকের সাথে অনৈতিক ও অশালীন সম্পর্কের একটা নাজায়েজ অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে। তাই অন্তত নারী বিভাগে আমরা ইসলামের প্রাথমিক এ দাসী প্রথার প্রচলন রাখতে চেষ্টা করবো ইনশা'আল্লাহ! এছাড়া নারীরা এমনিতেই বাবার বাড়ি ছেড়ে স্বামীর বাড়িকে বরন করতে হয়। তাহলে এখানে মালিকের বাড়ি বরন করবে এবং এটি তাদের জন্য সহজ হবে! কারণ কর্মের সাথে বিয়ের মতোও হয়ে গেল! পুরুষেরতো আর এ ধরনের সমস্যা নেই। তবুও কারো যদি থেকে থাকে, তবে দাস হিসেবে তারও জীবনের দায়িত্ব নেবো ইনশা'আল্লাহ!
নিম্নে ব্যক্তিগত ভাবে আমার, বা আমাদের প্রতিষ্ঠানের পারম্যানেন্ট কর্মী হিসেবে দাসীদের জন্য তৈরী করা সংক্ষিপ্ত সার্ভিস রুলস ও রেজুলেশন উল্লেখ করা হলোঃ
যেহেতু লাইফ ওয়ার্কার হিসেবে এ স্থায়ী কর্মটি অনেকটা বিয়ের অনুরুপ, তাই বিয়ের কাবিন নামা রেজিস্ট্রেশনের মতো; প্রার্থীর লিখিত, মৌখিক ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর; প্রার্থীর অভিভাবকের না-দাবী বা প্রার্থীর উপর তার স্বত্ত্ব ত্যাগ করে মালিককে অভিভাবকত্ব প্রদানের অধিকার ও প্রার্থীর আমরণ তার জীবন পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ সম্বলিত আদালত কর্তৃক এফিডেভিট করা ব্যতিত কোন প্রার্থীকেই লাইফ ওয়ার্কার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হবে না। এ এফিডেভিট সনদটি বিয়ের কাবিননামার অনুরূপ বিবেচিত হবে। যেহেতু পর্দা মান্য করা ইসলামে ফরজ এবং নারী জাতির সম্মান ও নিরাপত্তার হাতিয়ার, তাই দাসীগণ, বিশেষ প্রয়োজনে তাদের ঘর বা কর্ম এরিয়ার বাইরে দোকান, বাজার, মার্কেট  ইত্যাদিতে যেতে অবশ্যই ইসলামের পর্দার বিধান পরিপূর্ণ ভাবে মান্য করে, যেমন হাতে পায়ে মৌজা, চোখে চশমা এবং গায়ে বোরখা, এভাবে আপাদ মস্তক ঢেকে বের হতে হবে। এবং ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক কাজে যদি একান্তই দূরে কোথাও যাওয়ার দরকার হয়; তাহলে মাহরাম কোন পুরুষের সাথে মালিকের অনুমতিক্রমে অথবা মালিকের সাথে বাইরে যেতে পারবে। আমার নিকট বা আমার প্রতিষ্ঠানে দাসী হিসেবে কোন নারীর নিয়োগ প্রাপ্তির পর, তার অন্য কোথাও বিয়ে হওয়া এবং মালিক ব্যতিত অন্য কোন ছেলের সাথে প্রেমের বা বন্ধুত্বের সম্পর্ক রাখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। ইনশা'আল্লাহ আমাদের সবগুলো প্রতিষ্ঠানের মহিলা বিভাগ থাকবে সুরক্ষিত। যেখানে পুরুষদের প্রবেশাধীকার নিষিদ্ধ থাকবে।  এবং যাদের সাথে বিয়ে নিষিদ্ধ, এ রকম কেউ পূর্ব থেকেই মালিকের লাইফ ওয়ার্কার হিসেবে কর্মরত থাকলে, তাহলে এ সম্পর্কগুলোর মধ্যে কোন মহিলা দাসী হিসেবে চাকুরীর আবেদন করতে পারবেন না। (এখানে মালিককে স্বামীর সাথে তুলনা করতে হবে) প্রত্যেক দাসীকে তাদের নির্দিষ্ট কর্মের বিষয়ে দৈনিক ৬ ঘন্টা করে সিপ্টিং ডিউটি করতে হবে। কমপক্ষে সপ্তাহে ১ দিন ফুলডে সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে এবং তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী মাসে ৩ দিন সি এল ছুটি ভোগ করবে। প্রতি ২ বছরে একবার ৩০ দিনের জন্য উৎসব ছুটি ভোগ করবে। যা দাসীগণ সিপ্টিং ভাবে প্রাপ্ত হবে। এছাড়া শরীরিক অসুস্থতার কারণে তার উপরস্থ দাসীর নিকট থেকে বা মালিকের নিকট থেকে ছুটি নিতে পারবে। সন্তান জন্ম দেয়াকে প্রত্যেক দাসীর জন্য অতি উচ্চ মর্যাদাকর ও সংশ্লিষ্ট দাসীর জন্য এটি অতি সম্মান হিসেবে বিবেচনা করা হবে। আর তাই সন্তান জন্ম দেয়ার উদ্দেশ্যে মালিকের ইচ্ছা ও আগ্রহ এবং তার স্বক্ষমতা থাকা স্বাপেক্ষে, প্রতিবার ঐ দাসীর স্ব-আগ্রহ, স্বতস্ফূর্ত ও খুশিময় মিলনের জন্য, মালিক তাকে তার শ্রম মুজুরীর বাহিরে, মালিকের নিজ থেকে ২০০০ টাকা করে পুরষ্কার প্রদান করবে। তবে চাকুরী নেয়ার পর পরবর্তী ১২ মাসে মালিকের সাথে সর্বোচ্চ ৫২ বার মিলনের জন্য এ পুরষ্কার দেয়া হবে। ১ম সন্তানের পর, পরবর্তী সন্তানদের ক্ষেত্রে দাসীগণ এ ধরনের কোন উপহার পাবেন না। তবে পরবর্তী সকল সন্তানের ক্ষেত্রে সন্তান ভূমিস্ট হওয়ার পর উপহার হিসেবে ১ মাসের সম পরিমাণ বেতন পাওয়ার নিয়মটি অব্যাহত থাকবে।  যেহেতু এটিই তাদের অন্যতম প্রধান কর্ম, তাই এ উদ্দেশ্যে প্রতিবার সেক্স করার সময়; প্রেম-প্রীতি, ভালোবাসা ও নিজ আগ্রহের বিষয়ে যদি কোন ধরনের মানসিক দূর্বলতা, অনিচ্ছা, ছলনা পরিলক্ষিত হয় বা সন্তান জন্মদানের মূল প্রয়োজনীয়তার বিষয়েও যদি এ ধরনের কোন প্রকার মানসিক দূর্ভিসন্ধী বা অনাগ্রহ দেখা যায়; তবে তাকে এ উপহার দেয়া হবে না। এবং এ অপরাধে ঐ দাসীকে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করা হবে; যেহেতু বাবা হওয়ার মূল উদ্দেশ্য নিয়েই মালিক তাদেরকে চাকুরী দিয়েছিলো। মালিক যদি যৌন সম্পর্ক স্থাপনে অক্ষম হন, তাহলে দাসী হিসেবে কাউকে তিনি এ ধরনের চাকুরীতে নিয়োগ দিতে পারবেন না। তেমনি ভাবে দাসীদেরও যাদের সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা নেই এবং যে সব দাসী মা হিসেবে সন্তানকে ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত করার যোগ্যতা রাখেন না, তাদেরকে অত্র প্রতিষ্ঠানে এ মালিকের অধীনে চাকুরী দেয়া হবে না। এ ধরনের কোন প্রার্থীকে এ প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর আবেদনের প্রয়োজন নাই। সন্তান ছেলে হোক, কিংবা মেয়ে হোক; উভয়কেই সমান গুরুত্ব দেয়া হবে বা মূল্যায়ন করা হবে। ১৮ বছরের নিচে কোন মেয়ে বা স্বাস্থ্যহীনা কোন নারী বা যারা ইসলামী জ্ঞান রাখেন না ও ইসলাম অনুযায়ী জীবন-যাপন করতে অভ্যস্ত নন, তারা এ প্রতিষ্ঠানে দাসী হিসেবে মনোনিত হবেন না। প্রার্থী নিয়োগ বাছাই পরীক্ষার সময়, পরীক্ষা কেন্দ্র পর্যন্ত প্রার্থীগণকে বোরখা পরিধান করে, শরিয়ত অনুযায়ী পূর্ণ পর্দার বিধান মেনে আসতে হবে; কিন্তু পরীক্ষা হলে আসার পর, বোরখা, মৌজা ও ঘোমট খুলে নিজ ব্যাগে রাখতে হবে এবং তখন নিজের পারফরমেন্স ও সৌন্দর্য প্রদর্শন করে প্রাথমিক বাছাই, লিখিত, মৌখিক ও স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা দিতে হবে। পরীক্ষা শেষে পুনরায় বোরখা, মৌজা ও ঘোমট পরিধান করে বাসায় যেতে হবে। পরীক্ষা এবং চাকুরীর ক্ষেত্রে যেসব বিষয়কে মূল্যায়ন করা হবে, তা হচ্ছে, ১। পরহেজগারিতা ২। ধর্মীয় জ্ঞান কী রকম রয়েছে ৩। স্বাস্থ্যগত স্ট্যাকচার ও রূপ-সৌন্দর্য কী রকম ৪। মালিকের প্রতি আনুগত্য ও বিনয় কী রকম হতে পারে ৫। মানুষ, জ্বীন ও সৃষ্টিকূলের প্রতি প্রার্থীর প্রেম, ভালোবাসা, ক্ষমা, দয়া, মায়া; এ গুণগুলো তার কী রকম বা কত বেশি আছে বা থাকতে পারে  ৬। মানুষ, জ্বীন ও সৃষ্টিকূলের প্রতি প্রার্থীর হক, না হক বিষয়ে তার মন-মানসিকতা ও বুঝ ব্যবস্থা কী রকম হতে পারে ৭। কাজের প্রতি আগ্রহ কী রকম বা কত বেশি রয়েছে ৮। তার অভাব কী রকম বা কত বেশি রয়েছে ৯। প্রার্থী অত্যচারিত বা মজলুম কিনা ১০। প্রার্থীর যোগ্যতা কী এবং ১১। বিভাগীয় বা পেশাগত জ্ঞান কী রকম রয়েছে। ইত্যাদি। যেহেতু নির্দিষ্ট কাজের পাশাপাশি মালিকের প্রয়োজন যথাযোগ্য, উপযুক্ত ও নেককার ছেলেমেয়ে। তাই ডাক্তার কর্তৃক গর্ভবতী হওয়া নিশ্চিত হলে তিনি আর মালিকের সাথে সেক্স করা বিষয়ক, কোন ধরনের বখশিস পাবেন না। কিন্তু গর্ভবতী হওয়ার ৬ মাস পর প্রীতি উপহার হিসেবে তাকে ৫০০০ টাকা দেয়া হবে। (শুধুমাত্র ১ম সন্তানের ক্ষেত্রে) তবে সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার পর, একমাসে যা বেতন পেতেন, এর সমপরিমাণ টাকা মালিকের সম্পূর্ণ নিজ থেকে উপহার হিসেবে পাবেন। দাসী পদের নিয়োগ পরীক্ষার পর মনোনীত বা উত্তীর্ণ প্রার্থীদের কর্ম সংস্থানে আসার এবং প্রতি ২ বছর পর ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার ও পুনরায় কর্ম সংস্থানে আসার সম্পূর্ণ ভাড়ার টাকা মালিক বহন করবে (প্রত্যেক বার); আবার কর্ম সংস্থান থেকে তাদের বাড়ি যদি ভিন্ন দেশে হয়; তবে কর্ম সংস্থানে আসার ও প্রতি ২ বছরে একবার ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার, ও পুনরায় কর্মসংস্থানে যাওয়ার (প্রতিবার) ভিসা, পাসপোর্ট, ও বিমান টিকেট সহ যাবতীয় ভাড়ার টাকা মালিক বহন করবে। যেহেতু নির্দিষ্ট কর্মের পর, দাসীদের প্রতি মালিকের মূল প্রয়োজন উপযুক্ত ও যোগ্য সন্তান উপহার দেয়া; আর উপযুক্ত ও যোগ্য সন্তানের মূল হচ্ছে একজন যথাযোগ্য মা; তাই দাসী পোস্টে আবেদন করতে হলে, অবশ্যই দাসীকে ১৮ থেকে ২০ বছর বয়সের মধ্যে হতে হবে (যেহেতু তাকে সন্তান মানুষ করতে হবে); এবং তাদের উচ্চতা হতে হবে কমপক্ষে ৫ ফুট। গায়ের রং অবশ্যই সুন্দর হতে হবে। যার একবার বিয়ে হয়ে ছাড়াছাড়ি হয়েগেছে, এ ধরনের কেউ দাসী পোস্টে আবেদন করতে পারবেন না। দাসী পোস্টে আবেদন করতে হলে অবশ্যই প্রার্থীকে অবিবাহিতা হতে হবে এবং আবেদন পত্রে অবশ্যই তাদের পিতা ও মাতা, উভয়ের সম্মতি সূচক স্বাক্ষর লাগবে। চাকুরী প্রদানের পর কারো যদি মিথ্যা তথ্য প্রদান প্রমাণিত হয়, তাহলে তাকে চাকুরী হতে সাসপেন্ড করা হবে। প্রত্যেক দাসীকে ফরহেজগার, আল্লাহ্ ওয়ালা, মেধাবী, সুন্দর সাস্থের অধীকারী ও রুপবতী এবং অবশ্যই সুন্দরী হতে হবে। দাসীদের সর্ব নিম্ন শিক্ষকতা যোগ্যতা হতে হবে উচ্চ মাধ্যমিক বা এর সমপরিমাণ। এছাড়া পদ অনুযায়ী শিক্ষকতা যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা চাকুরীর বিজ্ঞাপনে অথবা আমাদের হিউম্যান রিসোর্স বিভাগ হতে জানা যাবে। প্রত্যেক দাসীর মাতৃত্বকালীন ছুটি হিসেবে ডেলিভারীর আনুমানিক ডেইটের ১ মাস আগ থেকে ডেলিভারীর ২ মাস পর পর্যন্ত মোট ৩ মাস পূর্ণ বেতনে ছুটি থাকবে। এছাড়া দেয়া হবে সন্তান প্রতি পালনের বিশেষ সুবিধাদি। আবার মার্তৃত্বকালীন যদি সিজারিয়ান অপারেশনের প্রয়োজন হয়, তবে এর পূর্ণ খরচ, বাচ্চার বাবা হিসেবে, মালিক বহন করবে। যা ঐ দাসীর শ্রমক্রয় মূল্য থেকে কর্তন করা হবে না। দুই সন্তানের মাঝে স্বাস্থ্যগত কোন রোগ না থাকলে, তবে ৩ বছরের বেশি জন্ম বিরতি করণ ব্যবস্থা নেয়া যাবে না এবং এ সব বিষয়ে মালিকের সিন্ধান্তই দাসীকে মেনে নিতে হবে। যেহেতু মহান রবের নিকট মালিকের একটি প্রার্থনা হচ্ছে যে, হযরত ঈমাম মাহদী (আঃ), তার বংশে আগত হবেন। আর হযরত ঈমাম মাহদী (আঃ) আগত হতে পারেন, সৈয়দ বংশে। মানে হযরত ফাতেমা (রাঃ) এঁর বংশে। তাই দাসী পোস্টে আবেদন করতে হলে, অবশ্যই প্রার্থীর নামের পূর্বে সৈয়দ এ শব্দটি থাকতে হবে, মানে দাসীকে সৈয়দ বংশের হতে হবে। আবার যেহেতু এ বংশের মানুষগণ মক্কা বা মদীনা বা পুরো সৌদি আরবেই বেশি থাকতে পারে; তাই মক্কা কিংবা মদীনা বা সৌদি আরবের যে কোন স্থানের, যদি কোন প্রার্থীর আবেদন আসে, তবে তাকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। এছাড়া হযরত ঈমাম মাহদী (আঃ) খোরাসান এলাকা থেকেও আসতে পারেন। তাই ইরান, আফগানিস্তান, তাজেকিস্তান এবং ইরাক; এ সকল দেশের প্রার্থীদেরকেও অগ্রাধিকার দেয়া হবে। আবার দাসী প্রার্থীদেরকে অবশ্যই সুন্নী মুসলিম হতে হবে। এছাড়া দাসী হিসেবে নিয়োগ দেয়ার পর কোন মালিক, শুধু শুধু, কোন লাইফ ওয়ার্কারের, চাকুরী নট করতে পারবেন না। দাসীগণকে, যেদিন তাদেরকে বরখাস্তের খবর জানানো হবে, এর পরবর্তী ১২০ দিনের মধ্যে (ইদ্দত পালনকালীন সময়ে) তারা ইচ্ছে করলে, আদালতে কেইস করতে পারবেন এবং এ ব্যাপারে তার স্বাধীনতা থাকবে। আবার কোন অবস্থাতেই দাসীগণ তার ছেলে-মেয়েকে রেখে বা ছেলে মেয়ে না থাকলেও, নিজ থেকে পদত্যাগ করতে পারবেন না। কোন দাসীকে চাকুরীতে যোগদানের ১ বছরের মধ্যে গর্ভবতী না হলে, তাহলে তাকে পদত্যাগ করে চাকুরী ছেড়ে দিতে হবে। প্রয়োজনে মালিক যদি কোন অবিচার করে, তাহলে সংশ্লিষ্ট দাসী তার উপর জুলুমের বিচার চেয়ে; কেবলমাত্র আদালতের মাধ্যমে পদত্যাগ করতে পারবে। দাসীদেরকে অবশ্যই তার সন্তানদের লালন-পালন করে মানুষ করে তোলার জন্য প্রচেষ্টা চালাতে হবে এবং সম্তানদের পরিচয় ও মালিকানা থাকবে বাবা হিসেবে মালিকের।  দাসীগণ তাঁর সন্তানের মা হবে। ছেলেমেয়েদের ভরণ পোষণ, খাওয়া-দাওয়া, ঔষুধ-পথ্য সহ সম্পূর্ণ দায়ভার থাকবে তাদের বাবা হিসেবে ঐ মালিকের। ছেলে-মেয়ে গণ মালিকের স্ত্রীর সন্তানের অনুরূপ বাবার সম্পত্তিতে অংশ পাবে; অর্থাৎ মীরাস পাবে। এ বিষয়টি বুঝে না ধরলে, এ বিষয়ক একটি হাদীস এ দরখাস্তের শেষে উল্লেখ করা আছে। হাদীসটি পড়তে পারেন। প্রত্যেক ছেলেমেয়েকে কোরআনে হাফেজ ও আলেম বানানো মূলক মাদরাসায় লেখাপড়ার বিষয়ে প্রত্যেক দাসীকে আগ্রহ ভরে রাজী থাকতে হবে এবং দূর্ভাগ্যক্রমে এ লেখাপড়া করতে অক্ষম হলে অন্য লেখাপড়ার বিষয়েও মালিকের সিদ্ধান্তের বাইরে দাসীগণ মালিককে অতিরিক্ত প্রেসার ক্রিয়েট করতে পারবে না। স্ত্রীগণকে যাদের সাথে যেভাবে পর্দার বিধান মেনে চলতে হয়, দাসীদেরকেও ঠিক সেভাবেই মেনে চলতে হবে। মালিকের অনুমতি বিহীন কোন দাসী বড় ধরনের কোন কিছুই করতে পারবেন না। দাসীদের পিতামাতা যদি থাকে, তারা যে কোন সময় দাসীদেরকে দেখতে আসতে পারবে ও তাদের সাথে থাকতে পারবে। কিন্তু অন্যান্য নিকট আত্মীয়গণ বছরে সর্বোচ্চ ৩ বার দেখতে আসতে পারবে এবং প্রতিবারে ১ দিনের বেশি থাকতে পারবে না। দাসীগণ বাৎসরিক উৎসব বিষয়ক ছুটির সময় শুধুমাত্র বছরে ১ বার, কর্মক্ষেত্রের বাহিরে মালিকের সাথে, অথবা মালিকের অনুমতিতে কোন মাহরাম পূরুষের সাথে, তাদের কোন আত্মীয় বাড়িতে যেতে পারবেন। এছাড়া আর কখনো রাত্রি যাপনের উদ্দেশ্যে কর্মক্ষেত্রের বাহিরে যেতে পারবেন না। এছাড়া ছেলে মেয়েদের এবং দাসী নিজের বড় ধরনের কোন রোগ হলে এর খরচও মালিক বহন করবে। এ খরচ সমূহও মালিক নিজ থেকে বহন করবে। দাসীদের থাকা ফ্রি থাকবে; কিন্তু খাওয়ার খরচ তার বেতন বা শ্রমমূল্য থেকে তাকে নিজকে বহন করতে হবে।  দাসীদের শ্রমমজুরি প্রতিঘন্টায় কমপক্ষে ২০০ টাকা করে দেয়া হবে। তাদের সার্ভিস এইজ হবে কমপক্ষে ২০ বছর এবং শরীর সুস্থ থাকা স্বাপেক্ষে সর্বোচ্চ তাদের বয়স  ৪০ বছর হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে কর্ম করতে হবে। এ হিসেবে একজন দাসীর সর্বনিম্ন শ্রম ক্রয়মূল্য হবে ৪,০৩,২০,০০০ টাকা মাত্র।  প্রতিমাসে ৭২০ ঘন্টা হিসেবে একজন দাসী প্রতি মাসে সর্বনিম্ন বেতন পাবেন, ১,৪৪,০০০ টাকা। দুই ঈদে বেতনের সমপরিমাণ ২টি ঈদ বোনাস পাবেন। মাসিক বেতনের এ টাকা সমূহ তার টোটাল শ্রম ক্রয়মূল্য থেকে বিয়োগ করা হবে। মাসিক বেতন ও ঈদ বোনাস ব্যতীত একজন দাসীকে, তার টোটাল শ্রম ক্রয়মূল্যের আর কোন টাকা অগ্রীম দেয়া হবে না। শ্রেণী, পেশা, যোগ্যতা, বংশ ও পদবী অনুযায়ী একজন দাসীর শ্রম ঘন্টার হিসাবে তার ক্রয়মূল্য আরো অনেক অনেক বেশি হতে পারে। তবে এর চাইতে কম হবে না। আবার কোন দাসী ইচ্ছে করলে, মালিকের প্রতি সন্তুষ্ট ও খুশি হয়ে, তার শ্রম মূল্যের সম্পূর্ণ টাকা, মালিকের পরিবার ভূক্ত দাসী হিসেবে আপনজনের মতো, মালিককে মাফও করে দিতে পারেন। তবে এতে মালিককে রাজী থাকতে হবে। তখন এ ধরনের দাসীদের থাকা-খাওয়া সহ তার মৃত্যু পর্যন্ত জীবনের সকল কিছু বা সকল দায়-দায়িত্ব মালিক বহন করবে। সফল ভাবে দাসীদের কর্ম জীবন শেষ করার পর, প্রত্যেক দাসীর থাকা খাওয়া সহ জীবনের সকল দায়-দায়িত্ব মালিক বহন করবে। তখন তাদেরকে তেমন কোন কাজ দেয়া হবে না। এবং তখন তাদেরকে কোন বেতনও দেয়া হবে না; কিন্তু মালিকের সন্তানের মা হিসেবে, তার সুখময় জীবনের ব্যবস্থা করা মালিকের দায়িত্বে থাকবে। (আমৃত্যু) আসলে দাসীদের মালিক, তাদের শুধু একজন মালিক নয়; তাদের একজন, বিশ্বস্থ, উদার, অন্তরঙ্গ ও প্রকৃত বন্ধু এবং তাদের একজন অভিভাবক। যিনি তাদের স্বামীরই স্থালাভিসিক্ত। তবুও প্রতিষ্ঠানের নিয়ম শৃঙ্খলা ও কর্মের স্বার্থে দাসীদের অসদাচরণ বা কর্মে ফাঁকি অথবা মালিককে অমান্য বা অবমূল্যায়নের কারণে বা যে কোন অন্যায়মূলক কারণে তার উপরস্থ দাসী অথবা মালিক, তাদের কর্ম ঘন্টা অনুযায়ী তার শ্রমমূল্য কর্তন করবে। দাসীগণ নিজেরা অন্যকোন দাসী তাদের ঘরে রাখতে পারবেন না। নিজের রান্না বান্না নিজকেই করে খেতে হবে। কোন দাসীকে যদি পদত্যাগ করতে হয় বা তাকে যদি বরখাস্ত করা হয়, তবে তা ঐ দাসীকে জানাতে হবে এবং তখন সে গর্ভবতী হলে (পদত্যাগ করতে চাইলেও; গর্ভাবস্থায় পদত্যাগ করা যাবে না), তবে ডেলিভারী পরবর্তী কমপক্ষে ৬ মাস  তার এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা যাবে না। আবার গর্ভবতী না হলে, সিদ্ধান্ত কার্যকরের আগে  নিকটতম ১২০ দিন ঐ দাসীর সাথে সহবাস করা যাবে না। যখন কোন দাসীকে সাসপেন্ড করা হবে বা যখন কোন দাসী পদত্যাগ করবে,  তখন সে, তার বিক্রয়কৃত শ্রম অর্থের বাকী টাকা সে পাবে না। 
জ্বীনদের থেকে যদি কাউকে দাসী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়, তবে তার বা তাদের বয়স এবং সন্তান জন্মদান, এ দুটি শর্ত বিবেচিত হবে না। বিশেষ করে তাদের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র মজলুম মুসলিমদেরকে জালেমের জুলুম থেকে উদ্ধার, ইসলামী রাজ্যের সীমানা পাহারা; স্থল, জল ও আকাশ প্রতিরক্ষায় সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর দায়িত্ব পালন করা, পৃথিবীতে শান্তি আনয়ন, মালিকের মনোরঞ্জন, চিত্ত বিনোদন, পৃথিবীতে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা, চিকিৎসা সেবা, গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার ইত্যাদি বিষয়ে তাদেরকে দায়িত্ব ও গুরুত্ব দেয়া হবে। এবং অন্যান্য শর্তের মধ্যেও কোনটি সংশ্লিষ্ট ঐ জ্বীনের থাকতে হবে, আর কোনটি থাকতে হবে না; তা শুধুমাত্র মালিক বিবেচনা করবে।
দাসীকে প্রধানত ২ শ্রেণীতে বিভক্ত করা হবে। ১। অমুসলিম বন্ধী দাসী ২। ক্রয়কৃত দাসী। আমার বিষয় হচ্ছে, ক্রয়কৃত দাসীদেরকে নিয়ে। তাই অমুসলিম বন্ধী দাসীর বিষয়ে আলোচনা না করে আমি শুধু আমার ঘরোয়া ও প্রাতিষ্ঠানিক তথা কর্মক্ষেত্র ও মানসিক প্রশান্তির প্রয়োজনে ক্রয়কৃত দাসীদের বিষয়ে আলোচনা করছি। নিম্নে ক্রয়কৃত দাসীদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় বিবরণ পেশ করছিঃ
এ ধরনের দাসীদেরকে বর্তমানে যেভাবে চাকুরীদাতা প্রতিষ্ঠান সমূহ, চাকুরীর বিজ্ঞাপন দিয়ে তাদের কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানের জন্য, কর্মী সংগ্রহ করে, ঠিক সেভাবে, শুধুমাত্র আমার ব্যক্তিগত বা আমার প্রতিষ্ঠানের জন্য যখন কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রয়োজন হবে, তখন পত্রিকায় ও অন্যান্য মিডিয়ার মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে; অথবা আমার প্রতিষ্ঠানের হিউম্যান রিসোর্স ডিভিশনের মাধ্যমে, কর্মীর প্রয়োজন থাকা স্বাপেক্ষে, সারা বছরের যে কোন সময় পরীক্ষা নিয়ে, সবাইকে জানিয়ে এবং পরীক্ষা থেকে নিয়োগ পর্যন্ত সবকিছু ওপেন ও স্বচ্ছ ভাবে সম্পন্ন করার পর তাদেরকে নিয়োগ দেয়া হবে এবং অনেকটা হার্ড কম্পিটিশনের মাধ্যমেই প্রার্থী বাছাই করা হবে। এ ধরনের দাসীগণ থেকে যে, সব সময় শ্রম ক্রয় করা হবে, তা কিন্তু না। আল্লাহু তায়ালা হয়ত কাউকে এতো সুন্দর করে সৃষ্টি করেছেন যে, যাকে দেখলেই হয়তো প্রাণ জুড়িয়ে যায়। সারাক্ষণ শুধু তার কথা ও ব্যবহার পেতে মন চায়। সে কাছে থাকলে হয়তো মালিকের মানসিক উন্নতি হয়। এছাড়া হয়তো কখনো মালিকের সেবার প্রয়োজন। তখন শুধু সেবা-শশ্রুসার প্রয়োজনে হয়তো মালিক এ ধরনের কাউকে পেতে চায়। তাই একদিকে যেমন কাজের প্রয়োজনে এদেরকে ক্রয় করা হবে; ঠিক তেমনি রুপ-সৌন্দর্য তথা চিত্ত বিনোদন বা সেবার প্রয়োজনেও এদের সার্ভিসকে ক্রয় করা হবে। মানুষ ও জ্বীন, উভয় জাতি থেকেই এদেরকে নিয়োগ দেয়া হবে।
১৫। দাসীদের বিষয়ে উপরে যেভাবে লিখা আছে, সেভাবে আমার ব্যক্তিগত ও কর্মক্ষেত্রের প্রয়োজনে, তাদেরকে দাসী হিসেবে নিয়োগ দেয়া যাবে কিনা? না গেলে কেন দেয়া যাবে না? আপনারা যদি বলেন, দাসীদের প্রচলন বর্তমানে নাই; তাহলে আমি বলবো, আমিতো প্রচলন করতে চাচ্ছি; কিন্তু পারবো না কেন? আর যদি বলেন, আইনটি বাতিল হয়ে গেছে, তাহলে দয়া করে বলবেন, কোন আয়াতের আইন দ্বারা, বা অন্য কোন্ সূত্রে আইনটি বাতিল করা হলো? দয়া করে আয়াতটি বা সহীহ্ হাদীস থাকলে সেটি উল্লেখ করবেন।  অথবা কার আইন দ্বারা আইনটিকে নিষ্ক্রিয় করা হলো, তা জানাবেন? আর যদি বলেন, আইনটি এখনো বলবৎ রয়েছে; তাহলে দয়া করে আমি যেভাবে দাসীদের জন্য, রুলস এন্ড রেজুলেশন তৈরী করেছি, তা কি সঠিক হয়েছে কিনা, মনোযোগ সহকারে পড়ে আমায় পরামর্শ দিবেন? এ রুলস এন্ড রেজুলেশনের মাধ্যমে, এ আইনটিকে যে, মানুষ মানব জাতির জন্য কলঙ্ক মনে করে, অপমানের মনে করে, তা কি কিছুটা হলেও ঘুচবে? এবং পবিত্র কোরআনের শান ও মান, অক্ষুন্ন রাখতে এবং অসহায় ও দূর্বল, কিন্তু সমাজ ও দেশের জন্য সম্পদ; এ জাতীয় নারীদের জন্যে, বা সাধারণ নারীদের জন্যেও আইনটি কি কোন উপকারে আসবে না?
১৬। দাসীদেরকে তথা তাদের শ্রমকে ক্রয় করতে; মানুষের বিষয়ে আমি আদালত কর্তৃক এফিডেভিটের নিয়ম উল্লেখ করেছি। এখন যদি দাসী জ্বীন হয়, তবে তাকে, মানে তার টোটাল সার্ভিস মূল্য ক্রয় করতে কী নিয়ম বলবৎ করা যেতে পারে? তাদের ক্ষেত্রেও কি মনূষ্য আদালত কর্তৃক এফিডেবিটের নিয়মটিই বহাল থাকবে(?), না তার বা তাদের পিতা মাতা সহ মৌখিক বা লিখিত স্বাক্ষ্য হলেই হবে? অথবা এ ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেয়া উপযুক্ত ও উত্তম হতে পারে? দয়া করে পরামর্শ দিয়ে ধন্য করবেন। 
আর বিশেষ ভাবে মনে রাখবেন, এ দরখাস্তের মূল প্রয়োজন হচ্ছে, কীভাবে আমার শরীরে সাহর বা ভর করা, এ জ্বীন বা জ্বীন সম্প্রদায়কে তাদের স্ব-শরীরে অথবা মানব আকৃতিতে; বিশেষ করে মানব আকৃতিতেই আমার পাশাপাশি, আমার নিকট আলাদা ভাবে আনয়ন করা যায়! ও এ প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি জানা। আশা করি আমার এ মূল লক্ষ্যকে সামনে রেখে এবং দ্রুততম সময়ে উত্তর প্রদান করবেন। কারণ আপনারা জানেন, আমি অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং ধর্মীয় ভাবে অনেক অনেক এবং সীমাহীন কষ্টের মধ্যে দিয়ে জীবন-যাপন করছি। ইনশা'আল্লাহ এটি সত্য যে, আমি আপনাদেরকে উপযুক্ত সম্মানে সম্মানীত করবো এবং আপনাদের মাদরাসাকে একটি বড় ধরনের অর্থনৈতিক ডোনেশন প্রদান করবো (যদি পরীকে বা তাদের দল বা সম্প্রদায়কে আনা সম্ভব হয়)। ও আমার সারা জীবন আপনাদের মাদরাসার সহিত একটি অর্থনৈতিক ও বন্ধুত্বের সম্পর্ক বহাল রাখবো ইনশা'আল্লাহ। অতএব এদিকে খেয়াল করে উত্তর প্রদান করার জন্য অথবা প্রয়োজনে এ বিষয়ে সহযোগিতা করার জন্য, মানে কিভাবে এদেরকে ওপেন করা যায়, সে উপায় খুঁজে বের করার বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করতে বিশেষ অনুরোধ করছি।

নিবেদক,
আরিফ উল্যাহ চৌধুরী(সৈয়দ আরিফ উল্যাহ)
গোবিন্দপুর, হাজীর বাজার, ফেনী।
মোবাইলঃ ০১৭১৮৯৮১৩৪৪, ০১৮২২৮৫৯৯৯১.
 

হাদীসঃ বিছানা যার, সন্তান তার। স্ত্রীলোকটি আযাদ হোক আর দাসীই হোক।

৬৭৪৯. ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, ’উত্বাহ তার ভাই সা’দকে ওসীয়্যত করল যে, যামাআ নামক বাঁদীর গর্ভের সন্তানটি আমার। তাই তুমি তাকে তোমার অধিকারে নিয়ে নাও। মক্কা বিজয়ের বছর সা’দ তাকে নিজের অধিকারে নিলেন এবং বললেন যে, এ আমার ভাতিজা। আমার ভাই এর সম্পর্কে ওসীয়্যত করে গিয়েছিলেন। তখন আবদ ইবনু যাম’আহ উত্থান করল এবং বললো, এ তো আমার ভাই। কারণ, এ হল আমার পিতার দাসীর পুত্র। এবং আমার পিতার বিছানায় তার জন্ম হয়েছে। উভয়েই তাঁদের বিবাদ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে উত্থাপন করলেন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হে আবদ ইবনু যা’মআ, এ ছেলে তুমিই পাবে। কেননা, শয্যা যার, সন্তান তার। আর ব্যভিচারীর জন্য হল পাথর। এরপর তিনি সাওদা বিন্ত যাম’আহকে বললেনঃ এ ছেলে থেকে তুমি পর্দা পালন করবে। কারণ, তিনি ছেলেটির মাঝে উতবার সাদৃশ্য দেখতে পেয়েছিলেন। কাজেই সে মৃত্যু পর্যন্ত সাওদা (রাঃ)-কে দেখতে পায়নি। [২০৫৩] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬২৮১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬২৯৩)। সহীহ বুখারী ৬৭৪৯, তাওহীদ পাবলিকেশন্স।

এছাড়া এ কিতাবের ৬৭৫০ নং হাদীসে উল্লেখ রয়েছে, আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ সন্তান হল শয্যাধিপতির।[৬৮১৮; মুসলিম ১৭/১০, হাঃ ১৪৫৮, আহমাদ 

                -সমাপ্ত-






ধপফপনদনপ ষপপধধ পফঠটটঁড

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ