আপগ্রেডঃ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রি.

(এ পোস্টটির পূর্বোক্ত নাম ছিলো হিজরতের ঘোষণা প্রদান। বর্তমান নাম অনুযায়ী পোস্টটি অল্প কিছুদিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় এডিট করা হবে।)

সর্বশেষ আপডেটঃ বুধবার, ১৬ সফর ১৪৪৬ হিজরী, ৬ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১ আগস্ট ২০২৪ খ্রি.

আপনারা অনেকেই জানেন, ২০০১ সনে আমি হঠাৎ মানসিক ভাবে পরিবর্তিত হয়ে যাই।

আজ সুদীর্ঘ প্রায় ২৩বছর পর সংক্ষেপে আমি বলবো, আমার জীবনে এটি কেন ঘটেছিলো বা ঘটার পর আমার সাথে মানুষ গণ কী করেছিলো বা তখন আমার অবস্থাইবা কী হয়েছিলো অথবা কী লক্ষ্য ও গন্তব্য নিয়ে আমি এমনটি করেছিলাম বা আমার এ অবস্থা কেন হয়েছিলো।

পবিত্র কোরআন ও হাদীস শরীফে যে সব গায়েবের কথা উল্লেখ নাই বা মানুষ ও জ্বীন যা দেখতে পায়নি, এসব বিষয়ে মানুষ ও জ্বীন কেউই কিছু বলতে পারে না এবং এ সব বিষয়ে বিশ্বাস করা নিঃসন্দেহে একটি বড় ধরনের কবীরা গুনাহ্। তাই আপনাদেরকে শুধু লক্ষণ বা উপসর্গ দেখে এবং আমার নিয়্যাতের আলোকে অনুমান বা জ্ঞান-বিজ্ঞানের আলোকে বলা ছাড়া কোন উপায় বা এ বিষয়ে আমার নিজেরও কোন যোগ্যতা বা ক্ষমতা নাই। আর ভবিষ্যত নিয়ে আমি আমার নিয়তের যে সব কথা বলবো, তা সত্য হতে পারে, আবার নাও হতে পারে। এ সব বিষয়ে দৃঢ় বিশ্বাস আপনাদের কেউ করতে পারবেন না। আবার যদি আমার নিজকে নিয়ে করা এ সব ভবিষ্যতদ্বানী বা আকার ইঙ্গিতে বুঝানো সমূহ যদি সত্য হয়েও যায়, তবুও এ সব বা এ ধরনের আপনাদের জীবনের কোন কিছুতে বা কোন গণক কর্তৃক কোন ভবিষ্যতদ্ব্যানীতে কখনোই বিশ্বাস স্থাপন করতে পারবেন না; যদি আপনি বা আপনারা মুসলমান হোন।

মনেরাখবেন এগুলো হারুত ও মারুতের মতো আমাকে এবং আপনাদেরকে পরীক্ষা ছাড়া হয়তো আর কিছুই না। বলতে পারেন আমার জীবনে এসব কেন ঘটেছে? ভাই এ উত্তরটাও আপনাদেরকে অনুমান ও গবেষণালব্ধ ভাবেই দিতে হচ্ছে। এ সব বিষয়ে ১০০% একুরেট বা সঠিক উত্তর দেয়া আমার দ্বারা সম্ভব নয় এবং সিওর করে যে, আমার জীবনে এসব ঘটবে, তা আমি বিশ্বাসও করি না। তবে আশা রাখছি ও চেষ্টা করছি। আবার যেহেতু এগুলো গায়েবের বিষয়। আর গায়েবের বিষয় একমাত্র আল্লাহ ব্যতিত আর কেউ জানে না বা জানতে পারে না। তবুও আপনাদের বোধদয় বা আপনাদেরকে আমার নিজের করা এ বিষয়ক গবেষণার উত্তর প্রদানের উদ্দেশ্যে পরিবেশ বিজ্ঞানী বা জ্যোতির্বিজ্ঞানী বা আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের মতো গবেষণা লব্ধ কিছু কথা বলছি।

দেখুন, শিশুকাল থেকেই আল্লাহু তা’য়ালার প্রতি আমার প্রেমাবেগ ছিলো যথেষ্ট পরিমাণে। ইসলামের প্রতি অনেক ঝোঁক ছিলো। নামাজ-কালাম পড়তাম। কিন্তু বাবা আমাকে মাদ্রাসায় পড়ায়নি (এখানে আমি আমার পক্ষ থেকে বাবাকে দোষ দিচ্ছি না)। তাই বলে রবের প্রতি প্রেমাবেগ বা মোবাইল ফোনের যে সীম, এ সীমের মতো রবের বান্দা হিসেবে তাঁর প্রতি নেটওয়ার্ক বা আকর্ষণতো আর কোথাও হারিয়ে যায়নি! আমার বুকে রবের প্রতি অকৃত্তিম ভালোবাসা হয়তো সুপ্ত ছিলো। তাইতো ফেনীতে যখন লজিং ছিলাম, তখন আমার ১০ম শ্রেণীর ছাত্রীটা হঠাৎ করে একদিন বললো, স্যার আপনি কি আল্লাহর টেলিপোন নাম্বার জানেন? আমি বললাম কেন? ও কয়, না এমনি। আবার পলিটেকনিকে পড়া কালীন, আমার একজন ঘনিষ্ঠ প্রেন্ড একদিন আমাকে বলে, তোমার ভিতরে মনে হয় অন্য কোন শক্তি আছে। একই সাথে ফেনী পরশুরাম মাদ্রাসায় নূরানী মুয়াল্লিম হিসেবে চাকুরী করা কালীন, সহকর্মীগণ অনেক সময় বলতেন, লগের টাকে কোথায় রেখে এসেছেন?

যৌবনে যখন শিক্ষকতা করতে গেলাম, একটা হাইস্কুলে সিনিয়র মানে বিএড স্কেলে যখন শিক্ষকতা আরম্ভ করলাম এবং চারদিকে যখন আমার যোগ্যতা, প্রশংসা ও ভালোবাসা টই-টুম্বুর; আর এ অবস্থায় যখন আমি লজিংয়ে একটা মেয়েকে পড়াচ্ছিলাম; তখন মেয়ে ও তাদের পরিবার হয়তো আমাকে তাদের করে পেতে চেয়ে (এর আগেও কিছু কিছু পরিবার আমাকে পেতে চেয়েছিলো; কিন্তু এভাবে হয়তো ব্ল্যাক ম্যাজিক এর শীকার হয়েছিলাম না) বা সামাজিক সম্মান রক্ষায় ও আমাকে না পাওয়ার ব্যর্থ অপকৌশল লুকাতে অথবা আমাকে আয়ত্তে আনার প্রচেষ্টা বা অপ কৌশল হিসেবে অথবা প্রতিহিংসা বশতঃ প্রতিশোধ নেয়ার জন্যে, তারা হয়তো কূফরী কালাম বা ব্ল্যাক মেজিক আমার উপর প্রয়োগ করেছিলো। এবং যার একশান ও আমার ভিতরে সুপ্ত থাকা আল্লাহ প্রেমের সীমের সাথে রিয়েকশানে; আমার এতোদিনের পূঞ্জীভূত বা আল্লাহ প্রেমের সুপ্ত সীম বিস্ফোরিত হয়ে, হয়তো আমার এ পরিণতি হয়েছিলো।

যাক যদি আমার ধারনা সত্যি হয়, তাহলে ব্ল্যাক ম্যাজিশিয়ান আমার জন্য কাজটা খারাপ করেনি। না হয় হয়তো এতো অল্প বয়সে (যেহেতু আমি আলেম হতে পারিনি) আমার বুকে সুপ্ত থাকা আল্লাহ প্রেমের এ সীম বিস্ফোরিতও হতো না; আর আমি জাগ্রতও হতাম না। এ বিষয়ে ফেসবুকে আমার একটি পোস্ট রয়েছে; আপনারা এখানে ক্লিক করে তা পড়ে নিতে পারেন। এ পোস্টটি অনেক বড় হয়ে যাবে বিধায়, তা আমি আর এখানে টেনে আনছি না।

ধন্যবাদ সে পরিবারকে; যারা আমায় পেতে চেয়েছিলো এবং করেছিলো আমার উপর ব্ল্যাকমেজিক! আর তাদের এ কর্মে আমি হয়তো পেয়ে যেতে পারি, আমার রবকে অনেকটাই আপন করে। যেহেতু তাদের কারণেই আমি উত্তেজিত হয়েছিলাম; আর এতে জাগ্রত হয়ে গিয়েছিলো আমার বুকে জমা থাকা আমার রবের প্রেম; রবের আকর্ষণ। তাই অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ তাদেরকে। আসলে আমার ভালোবাসা সবচাইতে বেশি পাওয়া তাদেরই হক। তাই আমাকে এবং প্রত্যেক সাকসেসকৃত মানুষকে বলতেই হবে-

“নিন্দুকেরে মোদের বাসতে হবে ভালো, দ্বীন-দুুনিয়ার আঁধার ঘরে তারা মোদের আলো।”

কারণ নিন্দুক ব্যতিত শতভাগ কমিয়াবি কোন মানুষের দ্বারা কখনোই সম্ভব নয়। তাই নিন্দুকের সাথে শত্রুতা না করে, মানসিক ভাবে তার প্রতি ভালোবাসা রাখুন এবং চেষ্টা করুন, তাকে বা তাদেরকে বিপথ বা জাহান্নাম থেকে ফিরাতে। তাদের চির করুণ পরিণতিতে আপনি ব্যথিত ও দয়াদ্র হোন। তবেই আমার-আপনার কামিয়াবি।

কিন্তু ধারনাতো ধারনাই। এগুলো সত্য হতে পারে; আবার নাও হতে পারে। তাই যে পরিবারের কথাই বলি না কেন; আপনাদের নিকট আমি ক্ষমা চাই; যদি আমার এ কন্টেন্ট আপনাদের নিকট পৌঁছে।

তাহলে আসুন, যারা আমায় ভালোবাসেন বা যারা আমায় ঘৃণা করেন বা যারা জ্ঞান-বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করেন বা যারা কৌতুহলী জনতা বা যারা এমনিতেই গল্প পড়তে ভালোবাসেন, তাদের প্রত্যেককেই অনুরোধ করবো, আমার এ জীবন সংশ্লিষ্ট বাস্তব ও সত্য গল্পটি পড়ার জন্য।

সম্মানীত সুধী, এ গল্পে আপনারা দেখতে পাবেন, অর্থ, সম্পদ ও স্বার্থের জন্য কেমন করে আপনজন আপনজনের পর হয় এবং কেমন করে ঐক্য না থাকলে ও বংশীয় বা পারিবারিক বন্ধন মজবুত না থাকলে বা পরষ্পর ধৈয্য, সহ্য ও ত্যাগের মাধ্যমে প্রত্যেক আপনজন গণ আপনারা নিজেদের মধ্যে এক না থাকলে মানুষ কিভাবে কষ্টে ও সীমাহীন যন্ত্রণায় নিপতিত হয় ও আপনজনদের সহযোগিতা, সমর্থন ছাড়া কোন কাজ আরম্ভ করলে কিভাবে তা আনসাকসেস হয় (আমার কথা স্বতন্ত্র, যেহেতু আমি আমার পক্ষ থেকে আগেই বলেছি যে, আমি তাদের সাথে মিশে যাবো এবং যেহেতু আমি জ্বীনগ্রস্থ; আর আপনারাতো কারো সাথে বৈরীতা রাখলে, তাদের সাথে মিশে যাওয়ার প্রত্যয় বা আন্তরিকতা রাখেন না) এবং আরো জানতে পারবেন কিছু গায়েবী ও অশরীরী বিষয় সম্পর্কে এবং আল্লাহু তা’য়ালাকে মানার ও তিনি কর্তৃক কাউকে ভালোবাসার এক অপূর্ব নিদর্শনও বুঝতে পারবেন এ বাস্তব ও সত্য গল্পের মাঝে।

এ গল্পটি, ও আমার জীবন সংশ্লিষ্ট রিলেটেড অন্যান্য গল্প বা আমার লিখা এ ওয়েবসাইটে পাবলিস্টকৃত এ সম্পর্কিত অন্যান্য গল্প (এ পোস্টের সর্বশেষে লিংকডকৃত) মনোযোগ সহকারে পড়লে বা পড়ার পর এনালাইসিস বা গবেষণা করলে, তখন আপনারা নিশ্চয় বুঝবেন, এ গল্পের নায়ক, মানে আমার সাথে অশরীরী কিছু একটা বা জ্বীন বা একটি জ্বীন সম্প্রদায় অবশ্যই রয়েছে। তা না হলে কোন সাধারণ মানুষের জীবনে এগুলো ঘটতে পারে না বা কোন সাধারণ-স্বাভাবিক মানুষ এভাবে চিন্তা-ভাবনা বা আপন-জনদের সাথে এভাবে ফ্রিকশান বা অস্বাভাবিক এ ধরনের ভবিষ্যত নিয়ত; এ সবের কিছুই করতে পারে না। সুতরাং সবার প্রতি অনুরোধ এ গল্পটি পড়ুন এবং মানুষের মাঝে জ্বীন-জাতির অবস্থান ও তাদের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া এ বিষয়টির বিষয়ে বুঝতে শিখুন বা জ্ঞান অর্জন করুন বা জ্বীন জাতির অবস্থান, ক্রমবিকাশ বা তাদের কর্ম সম্পর্কে একটা সুস্পষ্ট ধারনা অর্জন করুন।

অতএব, সবাইকে অনুরোধ করবো কাউকে ভালোবাসলে জেনেশুনে ভালোবাসেন; আবার কাউকে ঘৃণা করলেও জেনে শুনেই ঘৃণা করুন। শুধু মানুষের কাছে শুনে শুনে বা শুধু নিজ জ্ঞানে অনুমান করে ভালোবাসবেন বা ঘৃণা করবেন; এভাবেতো আপনি মিথ্যাবাদীও হতে পারেন; আবার হাদীস শরীফেও কাউকে বা কারো সম্ভন্ধে শিউরলি না জেনে তার সম্পর্কে খারাপ ধারনা করতে নিষেধ করা হয়েছে। তাই আমার অনুরোধ ও পরামর্শ হচ্ছে এ গল্পটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন; মানুষ ও তাদের সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে কিছুটা হলেও জানুন বা জানার পথ সুগম করুন।

এখন আমার নিজ জীবন সংশ্লিষ্ট গল্পটি নিম্নে বিবৃত করছি-

সময়টি ছিলো ঈসায়ী ২০০১ সন। তখন মাত্র ১ বছর পার হয়েছিলো একটি হাইস্কুলের ভোকেশনাল বিভাগে ট্রেড ইন্সট্রাকটর হিসেবে যোগদান করার। যোগদান করেছিলাম ৮ ফেব্রুয়ারী ২০০০ সনে। আমার ইনডেক্স নাম্বার ছিলো ৮০২২১৮। (কিছু প্রাসঙ্গিক কারণে স্কুলের নাম ও ঠিকানা প্রকাশ করছি না) আর যোগদান করার ১ বছর পর থেকেই শুরু হলো আমার জীবনের মোড় পরিবর্তীত হওয়ার অনেকগুলো অস্বাভাবিক, আচার্যজনক ও অনেকটা গয়েবী ঘটনার। যা অনেকটা বিশ্বাস করার মতো নয়।

(সব ঘটনা এখানে লিখা সম্ভব হয়নি, শুধু মূল বা যে উদ্দেশ্য নিয়ে আমার এ পরিবর্তন, সে বিষয়ের আলোকে সংক্ষেপে কিছু ঘটনা নিম্নে উল্লেখ করলাম)

কিছুদিনের মধ্যেই ঐ হাইস্কুলের শিক্ষকতা ছেড়ে দিয়ে বাড়িতে চলে আসতে বাধ্য হলাম। সেখানে যা ঘটেছিলো তা আর এখানে লিখছি না। আলোচ্য গল্পে শুধু বাড়িতে যা ঘটেছিলো, অর্থাৎ যে উদ্দেশ্য নিয়ে আমার এ পরিবর্তন, এর কিছু মূল ঘটনা নিম্নে উল্লেখ করছি।

যা এমন ছিলো যে, সকালে কোরআন শরীফ পড়া আরম্ভ করছিতো করছিই; বিকেল গড়িয়ে গেলেও আর থামছিনা। দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ সময় নিয়ে নামাজ পড়ছি। শুধু ঘরে নয়, রাস্তায় দুর্বাঘাসের উপর, শীতকালের মাঠে শুকাতে দেয়া খড়ের উপর। মাসনূন দোয়া-দরুদ যা আছে; সবই মুখস্থ করা শুরু করলাম এবং পড়াও শুরু করলাম। আর ভিতর থেকে কোরআন তিলাওয়াত এমনভাবে বের হতো, যেন আমি একজন বড় ক্বারী।

আমার ভায়েরা বা আত্মীয়-স্বজনেরা, যেহেতু এটা স্বাভাবিক নয়, তাই এটাকে মানসিক রোগ মনে করলো। ফলে অনেক সময় আমার হাত থেকে কোরআন শরীফ কেড়ে নেয়া হতো; আমার মিসওয়াক কেড়ে পুকুরে ফেলে দেয়া হয়েছিলো এবং যখন আমি বিভিন্ন দোয়া দরুদ পড়তাম, তখন মাঝে মাঝে ভায়েরা শাসন করে বলতো, এতো কী পড়ছ! ফলে অনেক সময় লুকিয়ে লুকিয়ে ভয়ে ভয়ে পড়েছি।

আমি যদি কোন কথা মিথ্যা বলি, তবে আমার ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন বা পাড়া-প্রতিবেশী থেকে জেনে নিতে পারেন। এখন তাদের অনেকের সাথেই আমার ভালো সম্পর্ক নাই। এইতো ২ দিন আগেও আমার মা আমাকে বললো, তোকে বাড়ির একটা ছোট ছেলেও দেখতে পারে না। মানুষ ছাড়া একাকী তুই বাঁচবি কিভাবে? সুতরাং আত্মীয়-অনাত্মীয় বা পরিচিত যে কারো থেকে জানতে পারেন যে, যাকে আপনারা মানসিক রোগ বলছেন, এর বৈশিষ্ট্য কেমন ছিলো।

যেহেতু এখন আমার টাকা পয়সা নাই, তার উপর আমি কারো নিকট আমার ব্যক্তিত্ব লেস করে মাথা নতও করতে পারিনা। অতএব আমার বিরুদ্ধে এখন তারা কথা বলতেই পারে। অথবা আমার সম্ভন্ধে বা উপরে আমি যা বলেছি, এতে যদি সামান্যও মিথ্যা থেকে থাকে, তবে তারা এ মুহুর্তে আমার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কিছুই হয়তো লুকাবে না, বরং হয়তো বাড়িয়েও বলতে পারে। তাই তাদের সাথে কথা বলে বের করতে পারেন, আমি আমার সম্ভন্ধে বা মানুষ যাকে আমার মানসিক রোগ বলছেন, এর সিনড্রোম সম্ভন্ধে আমি মিথ্যা বলেছি কিনা।

(হিজরতের ঘোষণা প্রদান, এ পোস্ট সম্পর্কে মন্তব্য করা যেতে পারে)

এবার মানসিক রোগের ডাক্তার বা বিজ্ঞানী ভাই গণ এবং যারা জ্ঞান-বিজ্ঞানে বিজ্ঞ, আপনারা বলুন; আমার এ মানসিক রোগটি কোন ধরনের মানসিক রোগ বলে আপনারা মনে করেন? বা আপনারা যারা এ রোগ সম্ভন্ধে অধ্যয়ন করেছেন, আপনারা কি বলতে পারেন, একজন অমুসলিমকে রাতে স্বপ্নের মধ্যে কে ঈমান আনতে বলে এবং আমাকেইবা কে বলেছে হঠাৎ এভাবে পরিবর্তীত হয়ে যেতে?

যদি আপনাদের ডাক্তারী বিদ্যায় এ বিষয়টি থেকে থাকে, তবে বলুন এ মানসিক রোগটি কোন ধরনের মানসিক রোগ, যার প্রভাবে একজন অমুসলিম মুসলিম হয়ে যায় বা একজন পাপী তার পাপ কাজ ছেড়ে দেয় এবং আল্লাহ প্রেমে মাতোয়ারা হয়ে যায়। আর যদি আপনাদের মানসিক রোগ সম্পর্কিত ডাক্তারী বিদ্যা অধ্যয়নে বা এ বিষয়ক গবেষণায়, এ বিষয়টি না থাকে, তবে দয়া করে একে মানসিক রোগ বলবেন না। কারণ মানসিক রোগ; এ শব্দটির কথা শুনলেই মানুষ একে এবং সংশ্লিষ্ট এ মানুষটিকে করে চরম অপমান, অবহেলা ও তাচ্ছিল্য।

এটি হচ্ছে একধরনের আধ্যাত্বিকতা। যা ২০০০ সনে আমি যে স্কুলে শিক্ষকতা করতাম, সে স্কুল পরিচালণা পরিষদের সভাপতি ও বিশিষ্ট শিল্পপতি জনাব এম এ ওহাব সাহেব মিটিংয়ের মধ্যে তখনই বলেছিলেন যে, আমাকে আধ্যাত্বিকতায় পেয়েছে। আমি যেন কোন ধর্মীয় গুরুর নিকট চলে যাই। অবশ্য তিনি আমাকে এক পীরের নিকট পাঠাতেও চেয়েছিলেন এবং বলেছিলেন সেখানে তিনি নিজেও জান। যে কারণেই হোক না কেন আমি তখন রাজি হইনি।

দেখুন উনি ভীনদেশী হয়ে বিষয়টি তখনই বুঝতে পারলেন, অথচ আমার আত্মীয়-স্বজন ও আমার শ্রদ্ধেয় হুজুর এবং আলেম ভায়েরা আপনারা বুঝতে পারলেন না!!? আপনারা করলেন না এর বিন্দুমাত্র মুল্যায়ন। জানিনা রবের কোন্ ইশারায় বা রবের কোন্ কৌশলের কারণে আপনারা কেউই আমাকে গ্রহণ করে নিলেন না। আপনারা প্রায় সকলেই আমাকে দূর দূর করে রাখলেন।

এভাবে অল্প কয়দিন পরেই, অদ্যকার আমার ধারনা অনুযায়ী আমার ভাই বা বাড়ির লোকজন বুঝতে পারলো যে, আমার শরীরে জ্বীন জাতিদের মধ্য থেকে কেউ একজন তার দল-বল নিয়ে উপস্থিত। এতে তারা মনে করলো, আমি তাদের কারো নের্তৃত্ব মেনে, তার বা তাদেরকে অনুস্বরণ করেই বেড়ে উঠা দরকার। তাই তারা আমাকে বাধ্য করতে চাইলো, আমার লীড দিতে চাইলো। অর্থাৎ আমার নেতা হতে চাইলো। তার মানে আমাকে দিয়ে তারা (শুধু আমার বংশীয় সদস্যরা) ফায়দা হাসিল করতে চাইলো। তাও শুধু আমাদের বংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখেই।

কিন্তু বাদ সাধলাম আমি, হয়তো ঐ জ্বীন জাতটাই। আমি তাদের কাউকে মানতে রাজি ছিলাম না। সুস্থ থাকতেও আমি এ রকম ছিলাম যে, আমাকে কয়েকটি রাজনৈতিক দল, তাদের করে নিতে অনেকবারই আহবান জানিয়েছিলো বা চেষ্টা করেছিলো। কিন্তু আমি কোন দলেই অংশগ্রহণ করিনি। এক্ষেত্রেও, তারা তাদের মতো চায়, আর আমার অবচেতন মন তাদের বিরোধিতা করে। তারা একটি শব্দ করলে বা মানুষের সামনে কিছু বললে, আমি এর বিপরীত শব্দ করি বা লোকটিকে বিপরীত ভাবে বুঝায়ে দিই। এতে তারা অপমাণিত হয়।

স্পষ্ট মনে আছে, কত হান্ডি-পাতিলের শব্দ, কাশির শব্দ, ব্যঙ্গার্থক কথা বা দৃষ্টি ভঙ্গি আমার বিরুদ্বে তারা পতিত করেছিলো। এতে আমার বাড়ির সকলে যেন একদল, আর আমি যেন অন্যদল। একপর্যায়ে আমি আমার মরহুম জেঠার পাঞ্জাবী পরে ও তাঁর হাতের লাঠিটি নিয়ে চলাফেরা করতে থাকি। সে সাথে বাড়ির খাদ্যদ্রব্য গুলো যেন আমি খেতে পারিনা, গলায় যেন আঁটকে যায়। তখন আমি জেঠার হাতের লাঠিটি দিয়ে মাটির প্লেট দেখিয়ে বলি, আমাকে পুরোনো মাটির পাত্রে ভাত দাও।

সময় যতই গড়াচ্ছিলো, আমার দুনিয়াবি জ্ঞান, ততোই লোপ পাচ্ছিলো এবং এভাবে করে আমার ভায়েরা এক সময় আমার মাঝে এক মহাশক্তির উদভোধন দেখতে পেলো। যা শুধুই আল্লাহ তা’য়ালাকে বোঝে, আর কিছুই বোঝে না এবং এ শক্তিকে তাদের কেউ কন্ট্রোলও করতে পারছিলো না। এ এবনরমাল অবস্থায় একদিন আমার বড় ভাইকে বললাম, আমাকে রাস্তার পাশে একটি ঘর করে দিতে এবং সে ঘরে আমি একলা থাকবো, আর ছোট একটি ছেলে আমাকে ভাত এনে দিবে, কেউ আমাকে এখানে ডিস্ট্রাব দিতে আসবে না। এতে আমি এমনিতেই ভালো হয়ে যাবো। কোন ধরনের ঔষুধ বা তাবিজ-তুমার বা কোন কিছুই লাগবে না। আমার ভাই রাজী হলো না।

এরপর যখন আমি তাদের কাউকেই মানছিলাম না এবং আমার সাথে যখন বাড়িতে অনেকটা পাটাপাটিই শুরু হলো, তখন আমার বাড়ির লোকজন স্থির সিদ্ধান্ত নিল যে, যেভাবেই হোক এ জ্বীনটাকে তাড়িয়ে দিতে হবে। এ পর্যায়ে তারা শুরু করলো আমার উপর বিভিন্ন গুণিন-বৈদ্য, তাবিজ-তুমার ইত্যাদি দিয়ে নানামুখী নিপীড়ন-নির্যাতন।

একদিনতো এমন হলো যে, আমার ইমিডিয়েট বড় ভাই আমার মাথায় কাঠের পিঁড়ি দিয়ে পিটিয়ে আমার মাথার পিছনের দিকটা ফাটিয়ে রক্ত বের করে ফেলল। এটা এ জন্য করেছিলো যে, আমার ভাবীকে আমি তুই বলে সম্ভোধন করে, আমাকে ভাত দিতে নির্দেশ দিয়েছিলাম। আর এতে আমার ভায়ের মান-সম্মানে আঘাত লাগে। তিনি আমাকে প্রহার করা আরম্ভ করলেন। আমিও তার সাথে ধস্তা-ধস্তি শুরু করলাম এবং তার হাতের বাহুতে মোটামুটি একটি কামড বসিয়ে দিলাম।। যেহেতু শিশুকালের চরিত্র হিসেবে ইমিডিয়িটলি বড় ভাই ছিলেন তিনি। একপর্যায়ে তিনি আরো রেগে গেলেন এবং ঘর থেকে একটি বসার পিঁড়ি নিয়ে আমাকে এলোপাথাড়ি পিটাতে থাকেন। একপর্যায়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লাম। যাক উনার এ বিষয়ে বর্তমানে আমার কোন অভিযোগ নেই। কারণ এ ঘটনার পূর্বে ও পরবর্তী সময়ে উনি আমার চিকিৎসা ও পূনর্বাসনের জন্য অনেক কিছুই করেছেন। তাছাড়া তার অন্তরে কি জমি কেনার আকুতিটাই প্রবল ছিলো (?), না আমার চিকিৎসাটাই তার নিকট মূখ্য ছিলো, তার অন্তর ও নিয়তের খবরতো আর আমি জানি না। মহান আল্লাহই ভালো জানেন, তাই তাঁর নিকটই আমার সমস্ত অভিযোগ। তিনিই আমার এ জীবনের এবং জীবন সংশ্লিষ্ট মানুষদের সুষ্ঠ বিচারের মাধ্যমে দুনিয়া ও আখিরাতে প্রকৃত ফলাফল প্রদান করবেন।

তবে আমি শুধু বলতে চাই, আমি যদি পাগলই হই বা আমি যদি মানসিক রোগিই হই, তাহলে আমিতো বেহুশির মধ্যেই ছিলাম। আর একজন বেহুশ বা পাগল মানুষকে তারা কেনইবা উত্তেজিত করবে, আবার প্রতিপক্ষের মতো কেনইবা তারা আমায় অনেকটা নির্মম ভাবে পিটাবে। আসলে বিষয়টা এ রকম ছিলো না যে, আমি রোগী ছিলাম, আর তারা আমার চিকিৎসা করছে!! তারা মূলত আমার সাথে থাকা এ জ্বীন সদস্যদেরকে তাড়াতে চেয়েছিলো, আর আমার এ ধরনের কাজ গুলোতে (অবশ্য এতো অতিরিক্ত, মানে তাদের কারো বিরুদ্বে ধস্তা-ধস্তি পর্যায়ে আর কোন ঘটনা ঘটেনি) তারা আমার উপর শারীরিক ও মানসিক ভাবে অত্যাচার চালিয়ে ছিলো।

না হয়, একজন রোগীর বেহুশী কাজের বিপরীতে তাকে কী মাথা ফাটিয়ে দিতে হয়? আপনারা বলেন, মানসিক রোগী বা কোন পাগল যদি আপনার বা আপনাদের বিরুদ্বে কিছু করেও; আপনারা কী প্রতিপক্ষের মতো তাকে পিটাতে পারেন (?) বা বৈপরীত অবস্থান নিতে পারেন?

অবশেষে দেখা গেলো, গুণীন-বৈধ্যে আর তাবিজ-তুমারে বা আমার উপর অবর্ণনীয় অত্যাচারে কোন কাজ হচ্ছে না। অবশ্য একই সাথে চলছিলো, মানসিক রোগের ডাক্তারী চিকিৎসা। আসলে মানসিক রোগের চিকিৎসা বা গুণীন-বৈদ্য কিছুই না, মূলত চলছিলো জ্বীন তাড়ানো। জ্বীন তাড়াতে গিয়ে আমার মন ও শরীরে যে অত্যাচার করেছিলো, এ জন্যে আমার শারীরীক-মানসিক চিকিৎসারও প্রয়োজন ছিলো বটে।

আবার এ জ্বীন তাড়াতে গিয়েই আরম্ভ হয়েছিলো অনেকগুলো মহা সমস্যা এবং হিংসা ও শত্রুতা। যার অল্প একটু বর্ণনা আপনাদেরকে আমি দিচ্ছি। যেহেতু মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করানো, ঔষুধ খরছ, ডাক্তার, গুণীন-বৈধ্য, তাবিজ-তুমার ইত্যাদিতে টাকার প্রয়োজন ছিলো; তাই বাপ-ভাই সহ সকলের নিকট প্রশ্ন উঠলো এ টাকার যোগান কে দিবে?

আমাকে অবশ্য এ বিষয়টি কেউ বুঝিয়ে দেয়নি। আমি নিজ বুদ্ধিতে ধারনা করেই আপনাদেরকে এ লিখা টুকু লিখছি বা এ কথা গুলো বলছি। তাদের নানামূখী প্রচেষ্টা ও তদবীরে হয়তো বিস্মৃত হয়ে গিয়েছিলাম; কিন্তু মহান রব আমাকে একটু একটু করে আমার এ সব দূর্বিসহ স্মৃতি সমূহ ফিরিয়ে দিচ্ছেন। তো যদি আমার ধারনা মিথ্যা হয়, তবে তাদেরকে কমেন্টস করে আমাকে এবং যারা জানতে চায় তাদের সবাইকে বলতে বলেন। যদি তারা এখানে কোন ধরনের রিকমেন্টস না করে, তাহলে আমার ধারনা সত্য হবে না কেন? আবার এখানে তাদেরকে কমেন্টস না করে, পার্সোনালী আমার ঘরে এসে বা বাড়িতে সন্ত্রাসীর মতো আমার উপর আক্রমণ করতে নিষেধ করেন। যা ইতিপূর্বে করা হয়েছে এবং যা তাদের জন্য শুভকর হবে বলে মনে হয় না। আমাকে পুরো ২৩ বছর পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে দাবিয়ে রাখতে চেয়ে দুনিয়ার সত্য-মিথ্যা মিশিয়ে সামাজিক ও পারিবারিক ভাবে আমার স্ত্রীকে সহযোগী করে যে, অবর্ণনীয় দুঃখ- কষ্ট ও অপমাণ করেছিলো এবং আমার উন্নতিকে যে বাধাগ্রস্থ করে রেখেছিলো, এতে আমি একটুও অপমাণিত হইনি (?), (কতটুকু হয়েছিলাম? এবং এখনও কি এ থেকে উঠতে পেরেছি? আজকে আমার ঘরে চাল নেই, পকেটে টাকা নেই; এ অবস্থায়ও কি তাদের কোন সহযোগিতা পাচ্ছি? বরং আমি নিম্নমূখী হলেইতো তাদের লাভ!!) আর এখন তাদের অপকর্মের সামান্য একটু প্রকাশ করলেই তারা সমাজে মহা অপমাণিত হয়ে যায়!? আমি বেশি করছি বলে, আমাকে বাড়ি থেকে চলে যেতে বা বের হয়ে যেতে বলে!? আমার উপর সন্ত্রাসিদের মতো শক্তি প্রয়োগ করে বা করতে চায়?; আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, তাদেরকে এ সব ছাড়তে বলেন। আমাকে দাবিয়ে রাখতে ইনশা’আল্লাহ তারা পারবে বলে মনে হয় না; তাই সত্যকে স্বীকার করে আমার উন্নতীতে সহযোগিতা করতে বলেন। আমার উন্নতি হলেই, ইনশা’আল্লাহ আমার উপর সকল অত্যাচার আমি হয়তো ভূলে যাব; যেহেতু আমার বৈশিষ্ট্য বাকী দশ জন মানুষ থেকে হয়তো একটু ভিন্ন।

অনেকে বুঝতে পারেন না, আমাকে দাবিয়ে রেখে, নিচু করে রেখে তাদের লাভ কী?

আপনাদেরকে বোঝাতে গিয়ে এ পর্যন্ত আমি যা বুঝতে পেরেছি তা লিখছি, শুনুন, যেহেতু আমি নিজেও তাদেরকে এভাবে চিকিৎসা করতে নিষেধ করেছিলাম, আমাকে তাড়ানোর চেষ্টা বাদ দিয়ে আমাকে মেনে নিয়ে আমার মতো করে (যেমন আমার সাথে বাড়ির সকলে পর্দার বিধান মান্য করা, আমাকে তাদের নেতৃত্ব বা বশ্যতা স্বীকার করতে চেষ্টা না করা এবং সম্মান দিয়ে বরণ করে আমাকেই মান্য করা, কারণ আমিতো পরিপূর্ণ আলকোরআন চেয়েছিলাম, এ বিষয়ে তাদের অর্ধাঙ্গ ইসলাম আমি মানতে নারাজ ছিলাম, তাই তাদের আনুগত্যের বিষয়টি বাদ দিয়ে) আমাকে জীবন-যাপনের ব্যবস্থা করে দেয়া; কিন্তু যেহেতু তারা তা না করে চারদিকে মশহুর ভাবে মানসিক রোগের চিকিৎসা করছি বলে বেড়াচ্ছিলো, অথচ মানসিক রোগ চিকিৎসার অন্তরালে আমাকে তাড়ানোর প্রচেষ্টা স্বরুপ আমার জমিগুলো বিক্রি করে ফেলে এবং আমাকে মানসিক রোগ বলে চারদিকে প্রচার করে, আমার উন্নতির সমস্ত দিকে মানুষকে মিসগাইড মূলক প্রপাগান্ডা ও একটি অদৃশ্য যাদুর/বাধার প্রাচির তৈরী করে; আর আজ আমি যদি বিনা ঔষুধেই বাঁচতে পারি (অথচ ডাক্তারদের সাজেশন অনুযায়ী আমার রোগ ছিলো সিজেফ্রানিয়া, যে রোগটির ঔষুধ আমৃত্যু খেতে হয়) ও জীবনে উন্নতি করে ফেলি; তাহলে তো তাদের অতীতের সমস্ত কর্মকান্ড (আমার জমি বিক্রি ইত্যাদি) মানুষের নিকট ভূল প্রমাণিত হয়ে যাচ্ছে না (?) এবং হয়তোবা উদ্দেশ্য প্রণোদিতও হচ্ছে ও আমার প্রতি এ সমাজে ন্যাক্কারজনক ভাবে যে প্রতিহিংসা ও শত্রুটা দেখিয়েছে এ আমারই ভায়েরা বা আপনজনেরা; এটাতো আসলে কোন ভদ্র লোকের কাজ ছিলো না; আর এভাবে তারা সমাজে অপমাণিত হয়ে যাবে বা যাচ্ছে; তাছাড়া বাকী দশ জন মানুষের মতো আমি স্ট্রং হয়ে গেলে, তাদের এ সব অপকর্মের প্রতিশোধ নিতে পারি, এটাওতো তাদের নিকট একটি মূখ্য বিষয় ছিলো হয়তো, আর এসব কারণেই হয়তোবা তারা সকলে আমায় দাবিয়ে রাখতে চায়; যেহেতু বাড়ির সকলের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সমর্থনেই আমার উপর এ অমানবিক কার্য গুলো তারা অব্যাহত রেখেছিলো এবং এখনো আছে।

না হয় আমিতো আর কোন কারণ দেখতে পাই না যে, আমি যে কাজই ধরবো তারা সকলে শুধু আমায় বাধা প্রদান করবেন বা বিরোধিতা করবেন বা কোনরুপ সহযোগিতা করবেন না। হে প্রিয় আমার প্রতিবেশিবৃন্দ, আপনাদের নলেজে এ বিষয়ে কি কিছু আছে? কেন আমার আত্মীয়-স্বজনেরা আমার যে কোন উন্নয়নমূলক কাজে বাধা প্রদান করেন (?) এবং কেনইবা তাদের অসমর্থন ও বাধার মূখে এবং শুধু আমার আহবানে ও তাদেরকে উপেক্ষা করে আমাদের সমিতিতে আপনারা সমাজের এতোগুলো মানুষ একত্রিত হয়েছিলেন? সাধারণত কোন পরিবার ও বংশের সকলে যদি ঐ বংশের কোন দূর্বল সদস্যের কোন কাজের প্রতি সমর্থন দিতে ও সহযোগিতা করতে আপনাদেরকে নিষেধ করে, তাহলে কি আপনারা সে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তাকে সহযোগিতা করবেন? কিন্তু আমার ক্ষেত্রে কেন করেছিলেন? সহযোগিতা করে আপনারা আজ অনেকে আমার কাছে টাকা পাবেন এবং একটাকা দু’টাকা নয়; কেউ কেউ লক্ষ টাকা আবার কেউবা প্রায় ৫০,০০০ টাকা বা এ রকম পাবেন অথবা এমাউন্ট যাউ হোক পাবেনতো একবার; এবং ১দিন ২দিন নয়, সমিতি বন্ধ করে দিয়েছি আজ প্রায় ৩/৪ বছর। এ জন্যে আপনারা অনেকে আমার উপর একেবারেই ক্ষুদ্ধ। এখনতো আপনারা সত্য বলবেন এবং হয়তো কিছু বাড়িয়েও বলতে পারেন। সে আপনারাই বলুন, আমার ভাইবেরাদরদের বিরোধিতা ও অসমর্থনের মুখে কেন আপনারা আমাকে টাকা দিয়েছিলেন? এবং আমার ভায়েরা ও তাদের ছেলে-মেয়েরা এবং তাদের আত্মীয়, বন্ধু-বান্ধব ও রিলেটেড ব্যক্তিবৃন্দ কি আমার বিরোধিতা, হিংসা ও শত্রুতা করেনি? আমাকে টাকা দেয়ার বিষযে এবং আমার ব্যবসায়িক কাজ সমূহের বিষয়ে ও আমার অনলাইন কাজ সমূহের বিষয়ে আমার আত্মীয়-স্বজনগণ কি পজেটিভ ছিলেন? প্লিজ, আপনারা সম্ভব হলে কমেন্টস বক্সে কিছু লিখুন, সকলে বিষয়টি আরো ভালো ভাবে জানুক।

দেখুন, চিকিৎসা খরচের জন্যে আমার ধারনা অনুযায়ী, আমার ইমিডিয়েট বড় ভাই বললো, বাবা তাদের নিকট জমি বিক্রী করবে, আর সে টাকা দিয়ে আমার চিকিৎসা ও পূনর্বাসনের চেষ্টা করা হবে। কিন্তু এর কঠোর বিরোধিতা করলো আমার বড় ভাই, তিনি বললেন, জায়গা-জমি ভাগ করা হবে, আমার ভাগ থেকে বিক্রি করে, আমার চিকিৎসা করা হবে; না হয় আমার জন্য বাকীরা সবাই বঞ্চিত হবে। আমার মরহুম বাবা বড় ভায়ের যুক্তি না মেনে তাঁর নাম থেকে অর্থাৎ মফস্বল থেকেই বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিলেন। এতে বড় ভাই ক্ষিপ্ত হয়ে গেলো এবং তিনি এ প্রচেসে কোন জমি কিনতে পারলেন না এবং বেশকিছু জমি কিনে ফেললেন আমার ইমিডিয়েট বড় ভাই, মানে মেঝো ভাই। ফলে আমার বড় ভাই আমার প্রতি হিংসা ও অনেকটা শত্রুতায় ফেটে পড়লেন এবং কিভাবে আমার উন্নতি হয়, তা দেখে নেয়ারও হয়তো শপথ করলেন। এছাড়া শুরু থেকেইতো যেহেতু আমি তাদের কাউকে নেতা হিসেবে মানছিনা; এ জন্যেতো এমনিতেই তাদের সকলের হয়তো পণ ছিলো যে, আমি কোন রাস্তা দিয়ে একাকী, কাকে নিয়ে বের হই বা উন্নতী করি, তা তারাও দেখে নেয়ার শপথ করেছিলেন হয়তো।

অর্থ ও সম্পদের জন্য যে, ভাই, ভাইকে এভাবে হিংসা ও তার উন্নতি প্রতিহত করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে পারে, এটা আমার নলেজে আসলে ছিলোই না। আর এর সুফল হিসেবে তখন আমি তাদের বিরুদ্ধে সমাজের কোন মানুষকে, কিছুই বলিনি বা বলতামও না। তাছাড়া মানুষের নিকট এতো লিকচার দেয়া; এটা আমার স্বভাব নয়। আমি বুঝতেও পারতাম না যে, আমার কর্মকান্ডে আমারই আপনজনেরা বাধা প্রদান করছে। আমার ছিলো তাদের প্রতি ভালোবাসা, অথচ তাদের ছিলো আমার প্রতি হিংসা ও বিরোধিতা।

বলা বাহুল্য তাদের অন্যতম দোসর ও আমাকে খর্ব করে রাখার অন্যতম ব্যক্তি ছিলো আমারই স্ত্রী। যাকে বুঝিয়ে-শুনিয়ে বা পরিস্থিতি অবলোকন করে আমাকে দূর্বল করে রাখতে বা আমাকে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে দিতে– এককথায় আমার বিরুদ্ধে তাকে নিয়োগ দিতে সক্ষম হয়েছিলো আমার বাড়ির লোকজনেরাই। যার ফলে তারা তার আপনজন ছিলো, তাদের সাথে আমার স্ত্রী অনেক সুমিষ্ট ব্যবহার করছিলো; যা দেখে দেখে অনেক সময় শুধু দীর্ঘ শ্বাস ফেলতাম; পক্ষান্তরে আমি ছিলাম তার নিকট অবহেলিত ও আমার ঘর ছিলো তার নিকট আমার সাথে তর্কা-তর্কীর ক্ষেত্র। যে অপমান আমি হয়তো কোনদিন ভূলতে পারবো কিনা জানি না। অর্থাৎ আমার ঘর আমার নিকটই যেন একপ্রকারের জাহান্নামের গর্ত।

যেহেতু সে দেখলো, আমারতো কোন সম্ভাবনা নেই, বাড়িতেতো আমার কোন মর্যাদা নেই; তাছাড়া এ জ্বীন যদি একবার জাগ্রত হতে পারে, তাহলে আমার স্বামীতো হয়তো পাগল হয়ে যাবে ইত্যাদি ইত্যাদি। তাই বাঁচতে হলেতো একে দমন করেই রাখতে হবে। তাই যদিও আমি তার স্বামী, আমি তার নেতৃত্ব দিবো; কিন্তু পরোক্ষ ভাবে সেই আমার স্বামী হয়ে দাঁড়ালো।

এসবের বিরুদ্ধে যখনই আমি তাকে প্রেসার ক্রিয়েট করতাম, তখন সে আমার নিকট নমনীয় না হয়ে উল্টো আরো শক্ত হয়ে যেত, বিভিন্ন ধরনের কৌশল অবলম্বন করতো। অনেকটা নির্দয়, নিষ্ঠুর ও নিমক হারামী আচরনের মতো। সে উল্টো আমাকেই শিক্ষা দিতে চাইতো এভাবে যে, খাবার দাবার দেয়ার সময় দরজা-জানালা বন্ধ করে তারপর দিতো, আর এ সময় কোন কিছর প্রয়োজন হলে তখন আমার মেয়েকে পাশের ঘরে পাঠাতো, আর তারা তখন আমার মেয়েকে ফিরিয়ে তো।

তারউপর তার মা বেড়াতে এসে একদিন বললো যে, মেয়ে উপযুক্ত হয়েছে আপনার, বাড়ির লোকদের বিরুদ্ধচারণ বাদ দেন, মোবাইলে লিখা-লিখি বন্ধ করেন। একই সাথে আমার মা একদিন আমায় বলল, বাড়ির একটা ছোট ছেলেও তোকে দেখতে পারে না। মানুষ ছাড়া তুই বাঁচবি কিভাবে?

সবমিলিয়ে আমার এই কাঁচা, প্রেমময় মনটাকে তারা প্রচন্ড কষ্ট দিতে লাগলো; আর আমার স্ত্রীর কাছেতো ভাত-কাপড়ই মুখ্য, তার নিজের বুদ্ধি বা বাড়ির লোকদের সন্তুষ্ট রাখাই সব, স্বামীর হুকুম পালন নয়। তাকে হয়তো আমারই বাড়ির কতগুলো লোক ও তাদের সাথে থাকা কতগুলো জ্বীন এমন ভাবে যাদু করে বা মৌহে ফেলে রেখেছে যে, একজন খাঁটি ঈমানদারের বৈশিষ্ট্য হয়তো তার জানার সুযোগই নাই। আবার এ কালচার তার চরিত্রে বসে যাওয়ায় বা বসে গেলে হয়তো আমুত্যই সে আমাকে বুঝতে পারবে না।

দেখুন, আমি তাদের এ সব কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছি সম্পূর্ণ একক ভবেই। স্ত্রী সন্তানকেও সাথে পাইনি; যেহেতু আমার সন্তানেরা ছিলো তখন একেবারেই ছোট বা তখন আমার সন্তান ছিলোও না।

আপনাদের সকলের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে, যদিও আমার স্ত্রীর কারণে আমার ঘরটিই ছিলো আমার জন্য একটি নরকপুরী, তবুও আমার স্ত্রী হিসেবে ও আমার সন্তানের মা হিসেবে এবং আমার বেঁচে থাকার অনেকগুলো কাজের প্রত্যক্ষ সহযোগী হিসেবে তার বিরুদ্ধে সরাসরি আমার কোন অভিযোগ নেই এবং আমি তার এ সব [শয়তানের প্ররোচনায় মা হাওয়া (আঃ) যেমনটি করেছিলো] কোন ব্যবস্থাও হয়তো আমি নেবো না। তবুও তার জানা উচিৎ, আমি তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিলেও, তার কর্মফল তাকে ভোগ করতেই হবে। কারণ এ পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষের কর্মফল সে ভোগ করবেই। হয়তো এক ভাবে, না হয় অন্য ভাবে। যেহেতু মানুষ কখনো কাউকে কোন কারণে ছেড়ে দিলেও, এ পৃথিবী বা এ প্রকৃতি তথা আল্লাহ, কখনোই কাউকে ছাড়বে না। অর্থাৎ প্রত্যেকের কর্মফল সে পাবেই পাবে। বিষয়টি আপনার আর আমার মাথায় ধরুক আর না ধরুক। সে দৃষ্টিকোন থেকে আমার ভয় হয়, না জানি সে নিজের পায়ে নিজেই কুঠাল মারছে কিনা। আর তখন সহযোগী হিসেবে হয়তো বাড়ির কাউকেই সে পাবে না।

অন্যদিকে অনেকটা দুঃখ ও আফসোসের বিষয় হচ্ছে, তার অতীত কর্ম, আমার সীমাহীন অভাব ও তার দুনিয়া প্রীতি এবং তার অশিক্ষা ও অজ্ঞতা, এসবের কারণে আজও আমাকে সে পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না এবং তার হয়তো এ ভয় যে, কখন আমি আবার একশনে নেমে পড়ি!! তাছাড়া আমার মন বুঝতেতো অনেকেই যুক্থি খুঁজে পায় না!! কারণ বিশ্বাস জিনিসটা মানুষের মাঝে এখন আর খুব একটা নেই; এখন মানুষের যে সব রিলেশান গুলো রয়েছে, তার মূল হচ্ছে, অর্থ, স্বার্থ আর বিনিময়। এর বাহিরে তো আর আমি খুব কিছু একটা দেখতে পাই না। যেহেতু আমার কাছে এসব প্রায় নেই বললেই চলে, তাহলে সেতো আমার সাথে এ রকম আচরণ করবেই। যা ছিলো আসলেই স্বাভাবিক। বরং আমার এ দৈন্যদশায় সে যে, আমাকে ফেলে আরো সুখের জন্য কোন ব্যবস্থা নেয়নি বা আমাকে ফেলে চলে যায়নি এটা ছিলো আমার জন্য সৌভাগ্যের।

কিন্তু সংসার জীবনে আমাকে কী রকম আগুনে জ্বলতে হয়েছে বা হচ্ছে, তা কি আপনারা অনুমান করতে পারবেন?

আর আমি আমার মুক্তির সংগ্রামে নেমেছি, এইতো মাত্র ২০২২ খ্রি. এর রমজান মাসের পর থেকে মনে হয়।

দেখুন, আমার বড় ভাই ও তার ছেলে-মেয়েরা এবং আত্মীয় স্বজনেরা সমাজে অনেকটাই প্রতিষ্ঠিত। ফলে আমাদের এ নিষ্ঠুর সমাজ আমার বড় ভাইকে গ্রহণ করলো; আর আমি যেহেতু সমাজের প্রয়োজনীয় কোন উপাদান না বা মানুষের বোঝা স্বরুপ, তাই মানুষ বুঝে হোক না বুঝে হোক আমাকে ফেলে দিলো।

ফলে আত্মীয়তা ছিন্নের সমস্ত দায়ভার আমার উপরই বর্তিল; কিন্তু আমি নিয়মিত নামাজ পড়ি, ইসলামের অন্যান্য হুকুম গুলো বাকিদের তুলনায় একটু বেশিই আমল করি। যার জন্যে আমাকে সরাসরি দোষী সাব্যস্ত্য না করে, পাগল বলেই আখ্যায়িত করতে থাকলো।

কিন্তু প্রভলেমটা হলো যখন আমি সমিতি প্রতিষ্ঠার জন্য আহবান করি, তখন সমাজের প্রায় ২০০ জন লোকের মতো এ সমিতির সদস্য হিসেবে আমার আহবানে সাড়া দিলেন ও এক পর্যায়ে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার মতো ইনভেস্টও হলো।

বিপাকে পড়লেন আমার ভায়েরা; যাকে কিনা তারা হয়তো পাগল বা অযোগ্য হিসেবে পরিচয় দিচ্ছিলেন; সে কিনা একটা গ্রুপ অব কোম্পানি গঠন করে ফেলবেন!? তাহলে তাদের অতীতের সমস্ত কাজ-কর্ম মানুষের নিকট ভূল প্রমাণিত হয়ে যাচ্ছে না!? হয়তো এ জন্য তাদের কেউ আমাকে সহযোগিতা করেনি; বরং বাধার কারণ হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো সকলে।

এর পরবর্তীতে ইউটিউবে আমি কোরআন তিলাওয়াত শিক্ষা নামে, একটি কোর্স পরিচালনা করতেছিলাম ও স্যোসাল মিডিয়াতে অন্যান্য কন্টেন্ট পাবলিস্ট শুরু করলাম। যদিও পারিবারিক এ সব বৈরীতার কারণে ও এরই জের ধরে তা প্রচন্ডভাবে বাধাগ্রস্থ ও বিঘ্নিত হচ্ছিলো। তবুও এগুলোতে এ পর্যন্ত কেউ ভূল ধরতে না পারায়, আমি যে পাগল নই বা পাগল ছিলাম না, মানুষের নিকট তা পরিষ্কার বা প্রমাণিত হতে শুরু করল। প্রকৃত পক্ষে আমার এ রোগটি যে আসলে কোন রোগ ছিলো না, বরং আধ্যাতিকতা বা জ্বীন যাতের কর্মকান্ড ছিলো, তা মানুষের নিকট স্পষ্ট হতে শুরু করলো।

এখন আমার কথা হচ্ছে কেন আমি শুধু অনুমান আর ধারনা করে করে আমার এ রোগটি আসলে রোগ নয়; এ হচ্ছে আধ্ম্যাত্বিকতা, যার পিছনে মূল কারণ হচ্ছে আমার শরীর ও মনের উপর জ্বীন জাতির সক্রীয় উপস্থিতি; বা আমি সচরাচর অন্যান্য রোগীর মতো কোন মানসিক রোগী নই; আমি আসলে একটি জ্বীন মানব, মানে আমার সাথে জ্বীন আছে বা জ্বীন থাকে; আর মূলত এ জ্বীনের কারণেই আমাদের এ বংশের এ ইতিহাস; এ বিষয় গুলো বলে বেড়াবো ও আমার ভাইদেরকে দোষী সাব্যস্ত্য করতে থাকবো।

আমার সাথে জ্বীন রয়েছে; মূলত এ কারণেই আমার ভায়েরা আজ দোষী সাব্যস্ত হয়ে গেছে এবং আমি বা আমরা কেউই আত্মীয়তা ছিন্নকারী নই। এ বিষয় গুলো প্রমাণে বা আমার বিষয়ে আমার ভাইদের অবস্থান বা মানসিক অবস্থা কী? বা আমার সাথে আদৌ কি জ্বীন ছিলো কিনা বা এখনো আছে কিনা; এ বিষয় গুলো বুঝতে বা এ বিষয়ক গবেষণা পরিচালনা করতে আমার ভাই বা বাড়ির লোকজনদের নিজস্ব বিবৃতি আমার এবং বিজ্ঞজনদের একান্ত প্রয়োজন। শুধু একপক্ষ থেকে জ্বীন জ্বীন বললেতো বিষয়টি ১০০% সত্য বলে প্রমাণিত হবে বলে আমার মনে হয় না। তাছাড়া তাদের এ বিবৃতি বের হলে পরে বা আমাকে নিয়ে আমাদের বংশের চলমান এ পরিস্থিতিতে তারা যদি নিজ হাত দিয়ে এ বিষয়ে মানুষদেরকে জানানোর জন্য, তারা যা বুঝতে পেরেছে ও এ বিষয়ে তাদের অবস্থান যদি নিজের স্বাক্ষর সহ লিখে ও প্রকাশ করে এবং এ বিষয়টি মানুষদেরকে জানায়, বা তাদের বিরুদ্ধে করা আমার এ সব অভিযোগের বিরুদ্বে যদি কোন প্রতিবাদ জানায় বা অন্তত যদি তারা এ বিষয়টি কোন লিখিত বিবৃতি প্রদানের মাধ্যমে পজিটিভ এক্সপ্লেইন করে, তাহলেই বুঝা যাবে সত্যিই আমার সাথে কোন জ্বীন আছে কিনা এবং তখন হয়তো এ বিশ্বের বিজ্ঞজনেরা বের করতে পারবে; জ্বীন জাতি দ্বারা মানুষের বা আমার কী উপকার হতে পারে বা কী অপকার হতে পারে? অথবা আমি নির্দোষ ছিলাম। ইত্যাদি। অন্তত প্রকৃত সত্য বিষয়টিতো মানুষ বুঝতে পারবে এবং বিশ্বের গবেষকবৃন্দ পরবর্তিতে জ্বীন নিয়ে যদি কোন গবেষণা পরিচালনা করে, তাহলে এ বিষয়ে তাদের নিজেদের প্রদান করা এ সব বিবৃতি সমূহ একটি পাথেয়, মানে গবেষণার উপকরণ হবে বলে আমার বিশ্বাস।

তাই আমি আমার পরবর্তী পোস্টে আমার ভাই ও বাড়ির লোকজনদেরকে উদ্দেশ্য করে কিছু প্রশ্ন করবো; আশা করি আপনারা (আমার ভায়েরা ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবৃন্দ) আমায় আমার এ সব প্রশ্নের সঠিক উত্তর প্রদান করবেন। দেখুন আমি আপনাদেরকে খুব বেশি প্রশ্ন করবো না এবং আমজনতা ভূল বুঝে যাবে বা আপনাদের অসম্মান হবে, এ জাতীয় এক্সপ্লেইনও আমি খুব একটা করবো না। আপনাদের প্রতি আমার এ সব প্রশ্নের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, আমার সাথে বিরাজমান এটি আসলে জ্বীন কিনা, এ বিষয়টি পরিষ্কার করা এবং পুরো ঘটনাকে বুঝতে বা এ বিশ্ববাসীকে তা বুঝাতে চেষ্টা করা। ইহা কিছুতেই কারো প্রতি হিংসা বা শত্রুতার জন্যে নয়। এবং আরো জানতে বা জানাতে চেষ্টা করা যে, কেন আমি আমার আত্মীয়-স্বজন থেকে একটু বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলাম, এটা আমার দোষ নয়; অথবা এখানে আমার বা আমার আত্মীয়দের বা ভাইদের দোষ কী; না আমরা সবাই আসলে কোন পরিস্থিতির শীকার। এছাড়া আমি সহ আমাদের বংশীয় সকল সদস্য যাতে অন্তরিক ভাবে মিলেমিশে থাকতে পারি, আপনাদেরকে এ প্রশ্নগুলো করার পিছনে এটাও একটি কারণ (পূনঃ ঐক্য গঠন)। তাই আপনাদেরকে (আমার নিজ রক্ত ও বংশকে) আবারো আহবান করবো, সত্যকে চাপা দিয়ে বা গোপন করে রাখবেন না; যা আলকোরআনের নির্দেশ।

আমার প্রতিবেশী ভাইদেরকে অনুরোধ করবো আমাদের উভয়কে আপনারা সকলে যেন সহযোগিতা করেন ও বিষয়টি যেন সকলে নলেজে রাখেন।

অন্যদিকে সকলকেই বলে রাখি, মাদ্রাসা শিক্ষা নেই বলে, সার্টিফিকেট নেই বলে কারো জ্ঞান অশুদ্ধ বা তার ইসলামি শিক্ষা নেই বা তার সঠিক তরীকার আমল নেই; এ কথা বলা যায়? দেখিয়েন, আমার ও আপনাদের রব আপনাদেরকে উদ্দেশ্য করে পবিত্র কোরআনে বলেছেন, তোমরা পরষ্পর পরষ্পরকে সৎ কাজে সহযোগিতা করবে এবং তিনি আরো বলেছেন, তোমরা ভালো কাজে আদেশ দাও এবং অসৎ কাজে নিষেধ কর।

(হিজরতের ঘোষণা প্রদান, এ পোস্টটি শেয়ার করা যেতে পারে)

যেহেতু এ নির্দেশটি আপনাদের প্রতি ওয়াজিব ছিলো; তাই কাল কেয়ামতে হলেও আপনাদেরকে বলতে হবে কেন আমি আপনাদের কাছ থেকে কোনরুপ সহযোগিতা পাইনি? বরং কেন বাধাগ্রস্থতা পেয়েছি? অথবা আপনাদেরকে প্রমাণ করতে হবে, আমার ওয়েবসাইট, ইউটিউব ও অন্যান্য সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত আমার কোরআন তিলাওয়াত শিক্ষার কোর্স এবং লোকালী ভাবে আরম্ভকৃত ইসলামি অর্থনীতিতে সমিতি প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম এবং আমার ব্যবসায়িক কার্যক্রম ইত্যাদি কাজগুলো ভালো কাজ ছিলো না। আলেম-উলামা ও বাঙ্গাল, আত্মীয়-অনাত্মীয়, পাড়া-প্রতিবেশি, যাদের সাথেই আমার পরিচয় ছিলো, তাদের সকলের প্রতিই আমার এ প্রশ্ন কয়েকটি থাকলো।

যাক, আমার আধ্যাত্বিকতা বা মানসিক রোগ নামক এ বিষয়টি, এটি আমি মনে করি, ইহা আমার প্রতি আমার রবের তাঁর নিজের প্রতি আহবান ছাড়া আর কিছু না। যেমন করে একজন হিন্দু বা বোদ্ধকে ঘুমের মধ্যে কতগুলো হুজুর এসে বলল যে, তুমি কালিমা পড়। আর যার প্রভাবে সে তার সম্প্রদায়ের কমন আচরণ থেকে ব্যতিক্রম আচরণ শুরু করলো। এবং তাকেও তার সম্প্রদায়ের লোকজন হয়তো মানসিক রোগিই মনে করতে থাকলো।

আর আমার বিষয়টাও হয়তো অনেকটা সে রকমই ছিলো। তাহলে আমার এবং তার মধ্যে মৌলিক তপাৎ কতটুকু বলুনতো?

আর এভাবেই আমাকে আমার রব তাঁর প্রতি চাইলেও আমি কিন্তু সে রকম সাড়া দিতে পারিনি। যার কারণ দ্বীনের পথে আমি আমার আত্মীয়-স্বজন বা কারো কাছ থেকেই কোনরুপ সহযোগিতা পাইনি। বরং কেউ আমাকে, আমি যে অন্তত সূরা ফাতিহা পারি, এটাও আমার কাছ থেকে শুনতে চাইতো না। যা আমি আগেও বলেছি, এমনকি হুজুরেরাও না; আর সে পরিস্থিতি একটু উন্নত হলেও তবুও এখনও তা চলমান আছে।

ইউটিউবে প্রায় ৩০০ ধর্মীয় ভিডিও দিয়েছি; কেউ একফোঁটা ভূল ধরতে পারেনি; তবুও আমাকে মানতে রাজি না; বরং আমার ভিড়িও দেখতে বা শুনতেও এদের কারো পছন্দ না। যেহেতু আমার সার্টিফিকেট নাই এবং যেহেতু আমার ধর্মীয় জ্ঞানের সূচনা হচ্ছে রবের প্রতি আমার প্রেম বা পাগলামি থেকে। আবার যেহেতু মানুষের খেদমত করার ইচ্ছায় প্রতিষ্ঠান করতে গিয়ে আজ আমি ঋণী; যার পরিপ্রেক্ষিতে মানুষ আজ আমার কাছে টাকা পাবে সে জন্যেও আমায় অনেকে দেখতে পারে না। তাছাড়া এভাবে ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ করতে মানুষ রাজী না; যারা এ ধরনের ধর্মীয় ভিডিও দেখে; তাদের কাছে তা শুধু দেখতে ভালো লাগে, শুধু এ জন্য দেখে; নিয়মিত

যেহেতু এতোগুলো ভিড়িও পাবলিস্ট করার পরও এ এলাকার মানুষদের কাছ থেকে কোনরুপ রেসপন্স বা অনার বা সাপোর্ট পাইনি এবং সমিতির মতোই আমার বাড়ি ও এলাকার মানুষগুলো চায় না যে, কোরআন তিলাওয়াত শিক্ষার মতো একটি মহামুল্যবান প্রোগ্রাম এখান থেকে রান করুক; আর তাই আমারও এ প্লেসে থেকে বা এ প্লেস থেকে এ ভিডিও গুলো করতে বা পাবলিস্ট করতে আর ইচ্ছে করে না। এটাও আমার বিরুদ্ধে এ বাড়ির বা এ এলাকার মানুষ কর্তৃক একধরনের কুফরী তাবিজ বা যাদুর মতোই। তবুও অন্য প্লেসে যাওয়ার আগ পর্যন্ত মাঝে মাঝে দু’একটি ভিড়িও করবো হয়তো; না হয় আমার ছেলে বা আমার এ ভিডিও গুলোর অল্প কয়েকজন ছাত্র ও যদি থেকে থাকে, তারা হয়তোও একেবারেই ভূলে যেতে পারে বা টেনশনে পড়তে পারে।

এক্ষণে আমার পরিবার, বাড়ির লোকজন, আত্মীয়, প্রতিবেশি, পরিচিতব্যক্তিবর্গ ও এলাকাবাসিগণ আপনারা ভালো করে শুনুন, আপনাদের সহযোগিতা, সমর্থন, সাপোর্ট, রেসপন্স বা অনারের অভাবে এবং আপনাদের অনেকের বিরোধিতা বা বাধার কারণে, (যেমন আমার নিজ বাড়ির লোকজনদের…) আপনাদের এ গ্রামে ও আমার নিজের (জন্মস্থানের) এ বাড়ির সামনে পারিনি আমি আমার এ ফাউন্ডেশন, সমিতি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কুরআন তিলাওয়াত শিক্ষা এবং ইসলাম শিক্ষা ও ইসলাম প্রচার বিষয়ক কোন কিছুই প্রতিষ্ঠা করতে বা চালিয়ে যেতে। বিশেষকরে আমার বাড়ির লোকজনেরা, আপনারা আমার এ কথাটি খুব ভালো করে স্বরণ রাখবেন যে, আমার দুঃখের বা আমার দীর্ঘ শ্বাসের মূল কারণ গুলোর মধ্যে এটিই বা আপনারাই ছিলেন প্রধান কারণ। কথাটা ভলো করে মনে রাখবেন।

আবার যদি আমার নিয়ত সমূহ বাস্তবায়িত হয় বা আমি অন্যত্র গিয়ে যদি কোন ভালো কাজ করতে পারি, তাহলে আপনারা মানে দেশ-বিদেশের সকলে নিজ নিজ পরিবার ও সমাজের জন্য সিরিয়াসলি ভাবে শিক্ষা ও সতর্কতা নিবেন যে, “যে দেশে গুণিজনের ক্বদর নেই বা গুণীজন কে, তা চেনার যোগ্যতা নেই বা ভালোকাজের মূল্যায়ন নেই; সে দেশে গুণীজন জন্মাতে পারে না বা জন্মায় না।”

তাছাড়া যেহেতু আমার ধর্মীয় অবয়বের সূচনা ছিলো অনেকটা প্রাকৃতিক ভাবে অটোমেটিক্যালি। যেমনকরে একজন অমুসলিমকে স্বপ্নের মধ্যে বা অন্যান্য ভাবে আহবান বা প্রলুব্ধ বা জাগ্রত করা হয়, সে রকম ভাবে। অবশ্য পরবর্তিতে আমি প্রচুুর ধর্মীয় কিতাবাদি পড়েছি (আগেও পড়তাম)। নূরানী প্রশিক্ষণ দিয়েছি। নূরানী মাদ্রাসায় মুয়াল্লিম হিসেবে শিক্ষকতা করেছি। তবুও মানুষ অজ্ঞতাবশত বা ইসলামকে জানতে বা মানতে হলে বা ইসলামি শিক্ষা প্রদান করতে হলে মুয়াল্লিমকে শুধু মাদ্রাসায় পড়তে হবে এ মসহুর ধ্যান-ধারনার কারণে অথবা মানুষ সমাজবদ্ধ জীব হওয়ার কারণে বা চারদিকে অপশিক্ষার সয়লাভ অর্থাৎ পরিবেশগত কারণে অথবা স্বার্থ, লোভ, অহংকার বা গীবত বা চোগলখুরী বা সম্মানী হওয়ার বা সম্মানী থাকার ব্যর্থ কৌশল অবলম্বনের কারণেও আমি আমার বাড়ির লোকজনদের এবং এ এলাকার প্রায় সকলের অসহযোগিতা বা বাধার সম্মুখিন হয়েছিলাম।

(হিজরতের ঘোষণা প্রদান, এ পোস্টটি শেয়ার করা যেতে পারে)

আর রব কর্তৃক আমাকে তাঁর প্রতি আহবানের মূল কারণ একমাত্র তিনি আল্লাহ ছাড়া আমার মনে হয় আর কারোরই জানার কথা নয়।

এছাড়া আমার মুসলিম ভায়েরা এবং আত্মীয়-স্বজনেরা মনে হয় জানেন না, শুধু আল্লাহর প্রতি এ ধরনের প্রেমের টানেই একজন অমুসলিম, মুসলিম হতে পারে। এমনকি আমার মনে হয় সাহাবায়ে কেরামের (রাঃ) ইসলামে দীক্ষিত হওয়ার পিছনে ছিলো এ ধরনেরই প্রেমাবেগ। মাদ্রাসায় পড়ে বা কোন ধরনের সার্টিফিকেট অর্জন করে, তারপর তাঁরা সাহাবী হয়েছে বা একজন অমুসলিম মুসলিম হযেছে, এ ধরনের নজির কিন্তু খুবই কম এবং একেবারেই নগন্য।

হ্যাঁ, তাদের সবাইকেই জেহাদ করতে হয়েছে, আপন বংশ বা পরিচিত জনদের সাথেই। এমনকি তাদের অনেককেই হিজরত করতে হয়েছে।

আর হ্যাঁ, আমার পরিস্থিতি যদিও একেবারে সে রকম নয়, তবুও আমাকেও প্রতিনিয়তই জেহাদ করতে হচ্ছে।

এইতো অল্প কয়দিন আগেও আমি চাঁদপুর জেলাধীন ফরিদগঞ্জ উপজেলার কড়ইতলী গ্রামের বায়তুন নূর মাদ্রাসা ও এতিমখানার জেনারেল শিক্ষক হিসেবে ছিলাম। অল্প দিনেই সেখানকার মানুষ আমাকে আল্লাহর অলী হিসেবে আখ্যায়িত করলো। অনেক ভালো ছিলাম। মানুষের নিকট অনেক সম্মানী ছিলাম।

অথচ আমার নিজ বাড়িতেই আমাকে যেন কেউ দেখতেই পারে না। আর মানব সেবা করবো বলে, বাড়ির সকলের বিপরীতে গিয়ে ইসলামি সমিতি গড়ার কারণে, সমাজের যারা আমাকে ভালো মনে করেছিলো, আমার পরিবার ও বংশীয় সকলকে উপক্ষো করে যারা আমাকে প্রায় ৩০ লক্ষাধিক টাকা দিয়েছিলো, তারাও আজ আমার কাছে টাকা পাবে বিধায়, তাদের কাছেও আজ যেন আমি চক্ষুশূল হয়ে আছি।

(হিজরতের ঘোষণা প্রদান, এ পোস্ট সম্পর্কে মন্তব্য করা যেতে পারে)

ফলে ঘরে বাহিরে আমি যেন পুরাই একা।

তবে আমি আবার কাজ করতে বা চাকুরিতে যখন নিজ শহরে বা নিজ শহরের বাইরে দূরে কোথাও মাদ্রাসায় পড়াতে যাই বা চাকুরী করতে যাই, তখন তারা আমার চাইতে ভালো মানুষ আর হয়তো খুঁজে পান না।

এ অবস্থায় হে আমার ভাইবেরাদর, আত্মীয়-স্বজন; আপনারা বলেন (?), আমি কি আপনাদের সাথে এখন মিলে-মিশে চলতে পারছি? আমি কি আপনাদের সাথে ভালো আছি? এর এক কথায় উত্তর হচ্ছে ‘না’। আবার এর মূল কারণ হচ্ছে, আপনাদের কাছে অর্থ আছে; আর আমার কাছে নেই। অথবা আমি আল্লাহর প্রেমে পড়েছি, আর আপনারা আমায় এ বিষয়ে কোন ধরনের সহযোগিতা করেননি, এমনকি সামান্য সম্মান টুকুও আপনারা আমায় করেনেনি। আমার লম্বা নামাজ আর লম্বা ক্বেরাত বা আল্লাহর প্রেমে ও তাঁর ভয়ে ক্রন্দন, যা আপনাদের চোখে ছিলো শুধুই পাগলামি। যে পাগলামি ভালো করতে গিয়ে আপনারা আমার অর্থনৈতিক ভিত্তি দিয়েছেন একেবারেই শেষ করে; কেউ আমার চিকিৎসা খরচ বা অন্যান্য প্রয়োজন মিটাতে গিয়ে বাবার কাছ থেকে কিনে নিয়েছেন জমি এবং যেখান থেকে শুরু হয়েছিলো অন্যান্যদের সাথে হিংসার সূত্রপাত অথবা যারা স্বচ্ছল এবং যারা গরীব, এ দুয়ের মাঝে সমাজে চলছে এখন অসম্মানজনক একটি সম্পর্ক (নিজ আত্মীয় হলেও); আর সমাজের এ নিয়মটিকে আমি কখনোই মানতে রাজি ছিলাম না; এবং এ কারণেও হয়তো আপনাদের সাথে আমার ব্যবধানের প্রারম্ভিকতা ও এর ব্যপ্তি হতে পারে।

সম্মানীত ভিউয়ার, পাড়া-প্রতিবেশী, দেশবাসী ও আমার পরিচিতজন; আপনারা হয়তো মনে করতে পারেন, যেহেতু আমি আমার নিজ ভাই ও বাড়ির লোক বা বংশীয় পরিজনদের মান-ইজ্জত ক্ষুন্ন করে ফেসবুক সহ বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়ায়, তাদের সম্পদের মোহ নিয়ে বা আমার প্রতি তাদের অবহেলা বা তাচ্ছিল্যের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে উদ্ধব আমার একান্তই আপন আত্মীয়দের অনেকগুলো বেড় বৈশিষ্ট্য ও ক্রিয়াকলাপ প্রকাশ করেছি; তাহলে নিচ্ছয়ই তাদের প্রতি আমার মনে হিংসা বা শত্রুতা ছিলো বা রয়েছে, না হয় এমন পোস্ট সকলের সামনে কেন প্রকাশ করলাম অথবা অন্তত এটাতো আপনারা সমাজ ও দেশের বাকি দশ জনের মতো আমাকে ভাবতেই পারেন যে, যেহেতু আমি তাদেরকে হেয় করে সোস্যাল মিড়িয়ায় পোস্ট প্রকাশ করেছি এবং এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে বা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে তারা আমার উপর অনেক খারাপ ব্যবহার করেছে; যার প্রতিফল বা রি-এ্যানসার হিসেবে নিচ্ছয়ই আমিও তাদের প্রতি হিংসুক বা শত্রু হয়ে গেছি (?) বা আমার মনে তাদের প্রতি তাদের মতো বৈরীতা সৃষ্টি হয়ে গেছে?

হ্যাঁ, আমার প্রিয় দেশবাসি ও বিশ্ববাসী, যদি আপনাদের কেউ আমার বিষয়ে এমনটি ভেবে থাকেন (ভাবাটাই স্বাভাবিক); তাহলে নিশ্চয়ই আপনারা ভূল করছেন, আমাকে না বুঝেই আমার বিষয়ে হয়তো খারাপ ধারনা করছেন; শুনুন, যাদের বিষয়ে ইতিমধ্যে বা ইতিপূর্বে আমি লিখেছি ও আমার পরিবার কিংবা বংশের যাদের বিরুদ্ধে আমি কিছুই লিখিনি, তাদের সকলের প্রতি রয়েছে আমার সমান সমান ও ১০০% আন্তরিকতা এবং পারিবারিক বা বংশীয় বন্ধন। এবং তাদের প্রতি আমার মনে অবহেলা বা হিংসা বা শত্রুতার উপস্থিতি বিন্দুমাত্র অথবা লেশমাত্রও নেই।

(হিজরতের ঘোষণা প্রদান, এ পোস্টটি শেয়ার করা যেতে পারে)

তাহলে বলতে পারেন তাদের মান-সম্মান ক্ষুন্ন করে তবে আমি লিখি কেন? আগেও বলেছি, এ জীবনে আমি শতভাগ ব্যক্তিত্ব ও উন্নত চরিত্র নিয়ে চলতে চাই; এ মুহুর্তে আমার কাছে বর্তমান মানুষদের কাছে দৃশ্যমান সম্মানের তেমন কোন উপকরণ আমার কাছে নেই; নেই আমার কোন অর্থ-বিত্ত এবং নেই আমার কোন গ্রুপিং। ফলে আমি যখন অত্যাচারিত বা অপমানিত হই; তখন পাইনা এর কোন প্রতিকারের ব্যবস্থা; আমার পক্ষে কেউ যে একটু কথা বলবে, এ রকম লোক আমার নিকট এখন নেই বললেই চলে; আর আমার অতীত অবস্থা তো আরো অনেক বেশিই নাজুক ছিলো। ফলে উপায়-অন্তর না দেখে আমি একটু শান্তি ও সম্মানের আশায় এবং প্রকৃত অবস্থা দশজনের সামনে তুলে ধরার প্রয়াসে ও তাদেরও শিক্ষার লক্ষে, এ বিষয় গুলো লিখি। যেহেতু আমরা প্রায় সকলেই দশ জনের সামনে একরকম, আর একাকী আমরা আরেক রকম।

কিন্তু লিখলেই যে, আমি তাদের শত্রু হয়ে যাবো বা তাদের বিরুদ্ধে আমি হিংসাত্মক হয়ে গেলাম, এটাতো কোন মুসলিমের হতে পারে না। তাহলে আমার বা আমার ভাই-ভাতিজাদের কেন হবে? আমরা কি মুসলিম না? দেখুন, দুনিয়াতে এটা দৃশ্যমান যে, আমার মনে হয় মুমিনদেরকেই আল্লাহু তা’য়ালা সবচাইতে বেশি কষ্ট দেন। তাহলে বলেন আল্লাহু তা’য়ালা কি মুমিনদের প্রতি দয়াদ্র নন? তিনি আল্লাহ কি মুসলমানদের শত্রু ও হিংসুক হয়ে গেলেন? নাউজুবিল্লাহ! তাহলে তাদের প্রতি সামান্য একটু লিখে, আমি তাদের প্রতি দয়া-মায়া ও আন্তরিকতা হারাবো, এটা আপনারা ভাবতে পারেন কী করে? আমরা কি মহান রবের গুনে গুণান্মিত হতে চেষ্টা করবো না? (মনুষ্য এখতিয়ার অনুযায়ী) আবার দেখুন, আপনারা নিশ্চয়ই আমাকে মুসলিম ভাবেন। তাহলে আত্মীয়তা ছিন্নকারী বেহেশতে যাবে না। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এঁর এ হাদীস কি আমার ও আপনাদের নিকট পৌঁছেনি? একজন মুসলিম নামাজও পড়বে, আবার আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নও করবে, মুসলমানদের এ কেমন মানসিকতা হতে পারে বলুনতো? হ্যাঁ, আপনাদের অনেকের এ রকম মানসিকতা হওয়ার কারণেই আজ আমি অনেক বেশি কষ্ট পাচ্ছি। এবং আমি বুঝতে পারিনা, আমার মূল্যবান সময় ব্যয় করে এভাবে লিখে লিখে আপনাদেরকে কেন বুঝাতে হয়।

এবার নিশ্চয়ই আপনাদের অনেকে, আমার চোখে আঙুল দিয়ে বলবেন, সমাজেতো তাদের মধ্যে ও তোমার মধ্যে অনেক ব্যবধানই দেখতে পাচ্ছি আমরা।

হ্যাঁ, সেটাও আমি বুঝায়ে দিচ্ছি আপনাদেরকে। দেখুন তাদের ক্রিয়া-কলাপ, মনোভাব, দৃষ্টিভঙ্গি বা আমার প্রতি তাদের অপমানের কথা যখন আমি দশজনের সামনে প্রকাশ করেছি বা বাধ্য হয়েই বলেছি; তখন কিন্তু সমাজে তারা অপমানিত হয়ে গেছে। এ অবস্থায় তারা সংশোধিত না হয়ে বা পরিস্থিতির বিষয়ে চিন্তা না করে বা ভাবষ্যতের ভাবনা না ভেবে অথবা তখন এ অপমানবোধ থেকে তারাই আমাকে দূরে সরিয়ে রাখছে (আপনারা কি এ মহাবিশ্বে খুব একটা দেখতে পাবেন, বহিঃশক্তি পয়োগ না করলে, তাহলে নিজকে নিজে কাউকে সংশোধিত হতে; কারণ মানুষ যে প্রত্যেকেই বড়, প্রত্যেকেই সম্মানী!! তাদের অপরাধ বোধ না হয় বাদই দিলাম) এবং মানুষদেরকে আমার বিষয়ে নেগেটিভ ভাবেই উপস্থাপন করছে বা করেছিলো অথবা আমার দূর্বলতার সুযোগে তাদের এমন কিছু ক্রিয়া-কলাপ আমার বিরুদ্ধে হয়েছে, যার জন্যে আমাকে বশ করতে পারবে না মনে করেও, আমার সাথে মিশার সে মানসিকতার সৎ সাহস হয়তো তাদের সৃষ্টি হচ্ছে না এ সমাজে। অথবা অর্থনৈতিক ব্যবধানের কারণেও সমাজে আপনারা আমাদের পারষ্পরিক এ দূরত্ব দেখতে পাচ্ছেন।

(হিজরতের ঘোষণা প্রদান, এ পোস্ট সম্পর্কে মন্তব্য করা যেতে পারে)

তবে এটা সুস্পষ্ট যে, আমার সাথে আমার পরিজনদের ২/১ জনের যে ব্যবধান আপনারা লক্ষ্য করছেন, এবং যেহেতু তারা স্বচ্ছল তাই গ্রুপিং এর কারণে অন্যদের সাথেও আমার সাথে তাদের যে ব্যবধি এটা কখনোই আমার থেকে সৃষ্ট নয়; এ ব্যবধান, এটা শতভাগ তাদের থেকেই সৃষ্ট। তারাই আমার বিষয়ে মানুষদেরকে, তাদের আত্মীয়, পরিবার পরিজন ও বন্ধু-বান্ধবদেরকে আমি ভালো নয়, পাগল, তাদেরকে দেখতে পারি না ইত্যাদি বলে হয়তো প্রচার করে ছিলো; কিন্তু সময়ের ব্যবধানে বা সোস্যাল মিড়িয়ায় আমি লিখা আরম্ভ করার কারণে মানুষ যখন প্রকৃত অবস্থাটি বুঝতে পারলো, তখন তাদের আর আমার মাঝে সৃষ্টি হতে থাকলো দূরত্ব। ইনশা’আল্লাহ আমার এ সমাজের একটি লোকও বলতে পারবেন না যে, আমি আমার পরিবার বা বংশের কারো বিরুদ্ধে আগ থেকে কখনো কিছু বলেছি বা ইশারা ইঙ্গিত দিয়েছি। অসম্মানিত হতে হতে যখন শেষ সীমায় পৌঁছে ছিলাম মূলত, তখন থেকেই শুরু করেছিলাম, তাদের ও আমার প্রকৃত অবস্থা সমূহের বিষয়ে লিখালিখি।

তবুও আমার মনে এখনো তাদের জন্য রয়েছে শতভাগ আন্তরিকতা। যা হয়তো পরিস্থিতির কারণে আপনারা দেখতে পারছেন না। আমার এ পরিস্থির যদি উত্তরণ হয় (অর্থনৈতিক), তাহলে ইনশা’আল্লাহ, আল্লাহর রহমতে আপনারা আমাদেরকে আবার একই দেখতে পাবেন।

এক্ষণে আপনাদেরকে একটু উপদেশ দেই; আজ যদি আপনাদের কারো পরিবারে বা বাড়িতে এমনটি ঘটতো, তাহলে আপনাদের কী অবস্থা হতো!? খুব ঈমানদারী আর মহানুভভতার পরিচয় দিতেন, এইতো!? সম্পদের মোহ এবং সম্ভাবনাহীন নির্ভরশীলের বিষয়ে বুঝি খুবই নিঃস্বার্থ ও যত্নশীল হতেন!?

এর বেশি কিছু আপনাদেরকে আমি বলতে চাই না। শুধু বলতে চাই, আপনাদের সকলে আপন আপন কর্মে মনোনিবেশ করুন ও আমি এবং আমাদের বংশীয় সকলের জন্য দোয়া করুন; যাতে পরিবার ও নিজ বংশ নিয়ে আমাকে আর না লিখতে হয় এবং আমরা যেন সকলে মিলেমিশে থাকতে পারি। ইতিপূর্বে আমি অবশ্য আপনাদেরকে আমার অন্য একটি পোস্টে লিখেছিলাম যে, নিজ পরিবার ও বংশ নিয়ে আমি আর লিখবো না। কিন্তু হিজরতের ঘোষণা, এটা আমার জীবনের একটি স্পেশাল টাস্ক হওয়ায় আমি আজকে আবার লিখলাম। এভাবে স্পেশাল কোন ইস্যু না হলে নিজ পরিবার কিংবা বংশীয় বিষয়ে ইনশা’আল্লাহ আমি আর লিখবো না বলে আমি সবাইকে আবারো কথা দিলাম। আর আমি যেন আমার মায়ের পক্ষীয় সৈয়দ বংশের বৈধ ও প্রকাশ্য এবং সম্মানজনক উত্তরসূরী হতে পারি। এছাড়া বর্তমানে আমি যাতে হিজরত করে একটু সম্মানজনক জীবন-যাপন করতে পারি; আপনাদের সকলের নিকট, এ রকম দোয়া করার জন্যই আমি অনুরোধ করছি।

যাক, যে কারণেই হোক, মহান রবের সৃষ্টিতত্বের বন্ধন সে শিশুকাল থেকেই আমার ভিতর ছিলো শতভাগ। যার কারণে ছোট বেলা থেকেই বাড়ির বাহিরে গিয়ে আপনাদের টানে, মাতৃভূমির টানে, পরিচিত মানুষদের টানে কোথাও থাকতে পারতাম না। আর মহান রব ইচ্ছে করেই যেন আমার ভিতর সৃষ্টিতত্বের বাঁধন শতভাগ দিয়ে, এবং এর উপর আঘাতের পর আঘাত করে, আমায় করছেন পরীক্ষা। কারণ যার কাছে আছে পরীক্ষার পাথেয় বা যে পরীক্ষার যোগ্য, তাকেইতো করবেন পরীক্ষা, তাই না? যার কাছে কোটি টাকার মন আছে, আর তাকে যদি মহান রব কোটি টাকার ধনও দিয়ে দেন, তাহলে পরীক্ষাটা হবে কিভাবে বলেন আপনারা?

অতএব, এ পর্যায়ে এসে সার্বিক দিক বিবেচনা করে, আমি সীদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি যে এবং বুঝতে সক্ষম হয়েছি যে, যদি আমাকে মান-সম্মান নিয়ে এ দুনিয়ায় বাঁচতে হয় এবং মুমিন-মুসলমান হিসেবে পরলোকগত হতে হয়, তবে আমাকে অবশ্যই হিজরত করতে হবে। ইতিমধ্যে একবার মাদ্রাসায় শিক্ষকতা নিয়ে, চাঁদপুর জেলাধীন ফরিদগঞ্জ উপজেলায় চলেও গিয়ে ছিলাম; আমার ভাই, আপনি আহবান করলেন ফেনী শহরে চাকুরি করতে; আর অমনি আমি; রাত ১২টায়, অচেনা গ্রাম্য জায়গার মধ্য দিয়ে অনেক কষ্ট স্বীকার করে, এ মহানীশী রাত্রে অনেকটা অন্ধের মতো ছুটে চলে এসেছি আপনাদের নিকট।

(হিজরতের ঘোষণা প্রদান, এ পোস্ট সম্পর্কে মন্তব্য করা যেতে পারে)

আমি আবারো বলছি, আমাকে যদি সম্মানজনক কিছু করতে হয়, তবে আমার মনে হয় সৃষ্টিতত্ত্বের এ বন্ধন আমাকে ছিন্ন করতেই হবে। শুধু আমাকে নয়, যে কোন মানুষ যদি সে এ বন্ধন ছিন্ন করতে না পারে, তবে তার পাপাময় গ্রুপ থেকে কখনো বেরিযে আসতে সে পারবে না; ফলে অমুসলিম কখনো মুসলিম হতে পারবে না এবং ভিলেন কখনো তার গ্যাংকে ছেড়ে আসতে পারবে না।

তাই এ অবস্থায়, আমি যদি কোথাও সম্মানজনক ভাবে হিজরত করতে পারি; তাহলে আপনাদের কারো উচিৎ হবে না যে, আমাকে ফিরিয়ে আনার জন্যে কোনরুপ কৌশল করার এবং আমি মনে করি এ পর্যন্ত অনেকগুলো স্বাভাবিক অবস্থার প্রেক্ষিতে আমি সে পরিবেশ বা অবস্থা সৃষ্টি করতে সমর্থও হয়েছি যে, আপনারা কেউ আমায় ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করবেন না। যেহেতু আপনাদের কেউ এখন আমায় দেখতে পারেন না। ইচ্ছে বা অভিনয় করে নয়, অনেকটা প্রাকৃতিক ভাবেই আপনাদের সাথে আমার এ বিরোধ সৃষ্টি হয়ে গেছে।

আর আমি কোথাও গিয়ে যদি সফল হয়েও যাই বা যদি হতে পারি, তাহলেও আপনাদের

এরপরও আমি আশা করবো না যে, আমি কোথাও যেতে সক্ষম হলে; এরপর আবার আপনারা আমায় ফিরে আসার কোন ধরনের আহবান করে, আমার সৃষ্টিতত্ত্বের বন্ধনকে আবার জাগ্রত করে দিবেন এবং আমি ছুটে আসবো। প্লিজ, আপনাদের কেউ আমাকে আবার জন্মভূমির প্রতি আহবান করে, আমাকে জন্মভূমির মানুষদের প্রতি, আমার প্রেম, ভালোবাসা, আদর, সোহাগ, স্নেহ, শ্রদ্ধা ইত্যাদিকে আবার জাগ্রত করে দিবেন না। বরং আপনারা আমায় কাছে টানতে নয়, কোথাও প্রত্বাবর্তিত হতেই সহযোগিতা করুন। যেহেতু আপনারা জানেন, ছোট বেলা থেকেই আমি ছিলাম অনেকটা নরম তবীয়তের এবং আপনাদেরকে বা পরিজনদেরকে ছেড়ে দূরে কোথাও গিয়ে আমি থাকতে পারতাম না। আর বর্তমান অবস্থায় আমি আপনাদের কারো কারেক্টার বিশ্লেষণ করতে চাই না, তবে অনুরোধ করবো পারলে আমার স্ত্রীকে বুঝাবেন, যেহেতু আমি দূরে যাই এটা সে চায় না। আমার মনে হয় আমার জন্যে এ অবস্থা ও পরিস্থিতি সৃজন হওয়া, এটা আমার হিজরতের জন্য প্রয়োজন ছিলো। না হয় জন্মভূমির মাটি ও মানুষের ভালোবাসায় হয়তো আমি হিজরত করতে পারবোওনা হয়তো।

আবার সকলে মনে রাখবেন, সৃষ্টিতত্ত্বের বন্ধন ছেদন করার মানে ঈমান বা ইসলামের বন্ধন ছেদন করা নয়। সৃষ্টিতত্ত্বের বন্ধন বলতে আমি এখানে বুঝাচ্ছি আল্লাহর এ দুনিয়ায়, প্রত্যেক জাতি বা গোত্রকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে বা তাদের নিজেদের মাঝে ভালোবাসা অটুট রাখতে সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক সৃষ্ট এক অদৃশ্য বাঁধনকে। যে বাঁধনের কারণে একটা মুরগী ঝড়-বৃষ্টির মধ্যেও তার ছোট ছোট বাচ্চাদেরকে তার দু’ ড়ানার মধ্যে আগলে রাখে বা হিন্দুর হয় হিন্দুর প্রতি মায়া আর মুসলিমের হয় মুসলিমের প্রতি এবং মহিষের হয় মহিষের প্রতি আর নেকড়ে বাঘের হয় তার স্ব-জাতি বা গোত্র বা বংশের প্রতি, ইত্যাদি।

দেখুন ভায়েরা, যদিও আমি আমার মায়ের সৈয়দ বংশের উত্তরসূরী হতে চাই এবং এ কাজটি আমার এ দৈন্যদশায় সো এন্ড সো, এন্ড ভেরী ভেরী টাপ; তবুও আমি যদি কোথাও হিজরত করে সম্মানজনক অবস্থান গড়তে পারি, তবে আপনাদের সাথে বিরাজমান এ দূরত্ব বা বিপরীত মূখীতার এ পরিস্থিতি, সম্পূর্ণই আমি ভূলে যাবো। বরং এর আগেই হয়তো আমার দীল আপনাদের জন্য হাহাকার শুরু করে কিনা আমি জানি না। যেহেতু আমার দীলে আসলে আপনাদের জন্য কোন ধরনের বৈরীতা নেই; বরং রয়েছে প্রছন্ডতম আন্তরিকতা। আবার অর্থের যদি একটা সমতা হয়, তবে ইনশা’আল্লাহ এখনও আমি আপনাদের সাথে এমন ভাবে মিশে যাবো, যেন আপনাদের আর আমার মাঝে, বন্ধুত্ব ছাড়া দূরত্ব কখনো ছিলো না। কিন্তু অর্থের সমতা না হলে, আমার পক্ষ থেকে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা, এখন এটা হবে হয়তো আমার জন্য আরেক অপমানের বিষয়।

(হিজরতের ঘোষণা প্রদান, এ পোস্ট সম্পর্কে মন্তব্য করা যেতে পারে)

যেহেতু আপনারা কী করবেন, সমাজ-সংসার এখন যে তালে চলছে, আপনারাতো এর বিপরীত চলতে পারেন না, তাই না? তাই যেহেতু আমি ঘোষনা দিয়েই হিজরতের প্রস্তুতি নেয়ার বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা বা নিয়্যাত করছি; তাই আশা করি, সামাজিক ভাবে আপনারা এ বিষয়ে কোন ধরনের অপমান বা অবমূল্যায়নের স্বীকার হবেন না। এবং আমি মনে করি এ বিষয়ে আমি অবস্থা ও পরিবেশও সৃষ্টি করতে সমর্থ হয়েছি যে, আমার হিজরতে আপনারা দায়ী নয়। বরং বর্তমানে স্বচ্ছলতা ও অসচ্ছলতা এবং সম্পদের মোহের মাঝে মানুষদের দেশব্যাপি যে কমন আচরণ চলছে; আমার সাথে আপনাদের বিরোধের মূল কারণ চারদিকে বিরাজমান এ স্বাভাবিক অবস্থাটিই। তবুও এ বিষয়ে আপনাদের সাথে ঘটে যাওয়া, আমার পারিবারিক, বংশীয় ও একান্তই ব্যক্তিগত বিষয়ে অনেকগুলো ঘটনা ফেসবুক, ইউটিউব বা আমার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে, আমি আপনাদের এবং আমার বংশের মান-সম্মান ক্ষুন্ন করেছি। আর তাই আমি হিজরত করলেও বা করতে পারলেও আপনারা ঐভাবে আর দায়ী থাকবেন না।

যাক, সবকথার মূল কথা হচ্ছে, আমার হিজরতের একটা উপলক্ষ সৃষ্টি হয়েছে।

দেখুন, মসজিদে যখন নামাজ পড়তে দাঁড়াবো, তখন পাশের ব্যক্তি টাকা পাবে। ১ টাকা ২ টাকা নয়। ধরুন কেউ ১৮ হাজার কেউবা ৩/৪ হাজার; আবার কেউ ৫০/৫৫ হাজার। সব মিলিয়ে আমার কাছে এখনো মানুষেরা প্রায় ৬/৭ লক্ষ টাকা পাবে। তাও ১ দিন, ২দিন নয়; তারা টাকা পাবে, আজ প্রায় ৩/৪ বছর হয়ে গেছে। আপনারাই বলুন, এ অবস্থায় আমি স্বাভাবিক ভাবে কেমন করে নামাজ পড়তে পারি (?); আর কেমন করেইবা একজন প্রকৃত ঈমানদার হিসেবে মসজিদে যেতে পারি (?)! যেহেতু যাওয়ার পথেও রয়েছে পাওনাদারদের কটাক্ষ মূলক দৃষ্টিভঙ্গি।

আগে যেখানে মুয়াজ্জিন সাহেবের সাথে দাঁড়াতাম। যেখানে ঈমাম-মুয়াজ্জিন ছুটিতে গেলে তাদের দায়িত্ব আমাকে পালন করতে হতো। এমনকি উত্তর চাঁদপুর মসজিদে ঈমাম থাকলেও মাঝে-মধ্যে আমাকেই আহবান করা হতো নামাজ পড়াতে। এ মসজিদে যে বছর এতেক্বাফ করি, সে বছর আসরের নামাজের পর, মুসল্লিদেরকে বিভিন্ন সুরা ক্বেরাত মাসক্ব করাতাম। আর আমার মুখে মুখে ঐ এলাকার প্রায় সবাই মাসক্ব করতো।

আমিতো সেই আমি নাকি!?

আর এখন চোরের মতো কাতারের সর্বশেষে নামাজ পড়তে দাঁড়াই। তাও সেখান দিয়ে আমার কোন পাওনাদার থাকলে চিন্তা করি এবার কোনখান দিয়ে দাঁড়াবো? হয়তো তখন দেখা যায়, ঐ পাশদিয়েও আমার ২/১ জন পাওনাদার! এভাবে চোরের মতো নামাজ পড়ার মাঝে, আমি কি আসলে শান্তি পাচ্ছি? না নামাজ আমার ঠিকমতো হচ্ছে? এভাবে কষ্টকরে আর কতদিন বলুন? মানুষের টাকার জন্যে তাদের কাছে আমি ছোট ও হেয় থাকবোই, তারা বিভিন্ন সময়ে আমাকে এটা-সেটা বলবেই, ইটা তাদের হক ও অধিকার; অপরদিকে আল্লাহু তা’য়ালার প্রেমিক হিসেবে মসজিদও ছাড়তে আমি পারবো না। এ পরিস্থিতিতে আমার উপায় কী তাহলে?

(হিজরতের ঘোষণা প্রদান, এ পোস্ট সম্পর্কে মন্তব্য করা যেতে পারে)

আমার একান্ত প্রয়োজনে কারো কাছে যে ৫০০ টাকা ধার চাইবো এ সৎ সাহস এখন আমার নাই। অনেকটা নিশ্চিত যে এখন আমাকে কেউ টাকা ধার দেবে না। দোকানে শ দু’এক টাকার সদাই যে বকেয়া এনে ছেলে মেয়েদের জীবন বাঁচাবো বা এ ধরনের মৌলিক কোন কাজ করে সম্মান ও প্রাণ বাঁচাবো; মনে হয় এ ধরনের দোকানদার আমার কাছে নাই। তাছাড়া একজন আমার কাছে টাকা পাবে, এ অবস্থায় আমি আরেক জনের কাছে যাবো কেন? যার কাছে যাই সে তো প্রায় ৩০০০ টাকা পাবে, এখনতো আর সে আমাকে বকেয়া দেবে না। যেহেতু যোগ্যতা থাকার পরেও আমার যা ইনকাম!! এলাকার রিক্সাওয়ালা গণ অনেক সময়ই আমাকে তুলতে চায় না। তাদের নিয়মিত পেসেঞ্জার থাকে, এ জন্য কযেক দিনই তারা আমাকে তুলতে অপরাগতা প্রকাশ করেছে।

আবার দেখুন, আমার ঘরে এখন বৃষ্টি হলে পানি পড়ে, টাকার অভাবে ঠিক করতে পারছি না। বাড়ির সকলের কাছে গ্যাসের চুলা (লাইনের), সকলেই মোটামুটি উচ্চ শিক্ষিত এবং সকলেই প্রায় সরকারি চাকুরে প্রাপ্ত। অথচ আমি তাদের মতো শিক্ষিত হওয়ার পরেও আমার ভালো কোন চাকুরি নেই। (আমি অযোগ্য নই; তবে কেন ভালো চাকুরী নেই, তা বুঝতে এ ওয়েবসাইটে লিখিত আমার স্মৃতিময় পোস্ট গুলো ফলো করুন) অন্যদিকে আমার ঠিকমতো একটি রান্না ঘরও নেই; ছেলে-মেয়েদের মাদ্রাসার বেতন দিতে পারি না; মাছ-গোস্ত, সৃজনাল ফল ইত্যাদি ভালো একটু খাওয়াতে পারিনা। এ অবস্থায় এবং বর্তমানকার মানুষদের কমন দৃষ্টিভঙ্গিতে দেশ-বাসি আপনারা বলেন, আমার ভাই, বাড়ির অন্য সকল এবং আমার স্ত্রী, এরা যতই ভালোমানুষ হোকনা কেন, আমার প্রতি এদের দৃষ্টি ভঙ্গি কেমন হতে পারে?

(হিজরতের ঘোষণা প্রদান, এ পোস্টটি শেয়ার করা যেতে পারে)

তাছাড়া মনোগত দিক থেকে আমি তাদের চাইতে এবং এ দেশের কোটিপতির চাইতেও কোটিপতি বলেই আমি নিজকে দেখতে পাই (প্রাকৃতিক ভাবে, এটা কোন অহংকার থেকে কৃত্তিম সৃষ্ট নয়) এবং আমি ৫ ওয়াক্ত নামাজি ও সুন্নাতের পাবন্দি একজন ঈমানদার মানুষ। সুতরাং আমাকে অপমান করে কিছু বলবে ও তাদের নিকট মাথা নত করে গোলামীর ভেসে আমাকে চলতে হবে; এটা আমি মানতে পারি না। এবং সমাজের নিম্নমানের জীবন-যাত্রায় মানুষের সাথে মিলামেশা করবো বা দৈনন্দিন কাজ-কর্ম সম্পন্ন করবো, এটাও আমার স্বভাবে ধরে না।

অথচ স্বাভাবিক ভাবেই আমার একান্ত ব্যক্তিগত প্রাইভেচির কথাও; আমার স্ত্রীর সাথে যাদের আন্তরিকতা সবচাইতে বেশি রয়েছে, হয়তো তাদের নলেজেও আমাকে সম্মান দেয়ার বিষয়টি থাকে না (চারদিকে বিরাজমান পরিবেশ-পরিস্থিতির কারণে)।

ফলে বিভিন্ন সময়ে নিজকে প্রভোদ দিতে, একটু শান্তনা খুঁজতে ও সমাজের বাকি দশজনের শিক্ষার উদ্দেশ্যে বা তাদের সংশোধনের উদ্দেশ্যে, সোস্যাল মিডিয়ায় দিয়েছিলাম কিছু পোস্ট।

(হিজরতের ঘোষণা প্রদান, এ পোস্ট সম্পর্কে মন্তব্য করা যেতে পারে)

এতে আমার বাড়ির লোকজন আমার উপর অনেকটাই ক্ষিপ্ত এবং ইতিমধ্যে আমার উপর মারমূখী ভূমিকাও দেখিয়েছেন তাদের ২/১ জন ২/১ বার। আজ আমি আবার এসব টেনে এনে, তাদেরকে আর খাটো করতে চাইনা।

তবুও একটু বলি, মানবসেবা করবো বলে প্রায় সাড়ে ৮ লক্ষ টাকা ব্যয় করে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলাম আমাদের কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত একটি মান সম্মত ইসলামিক ও আধুনিক সমিতির অফিস। বিভিন্ন কারণে পারিনি সমিতিটি প্রতিষ্ঠা করতে বা অব্যাহত রাখতে (কেন পারিনি তা বুঝতে হলে আপনাদেরকে এ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত অন্য পোস্ট পড়তে হবে)। আর এনজিও বা অফিসের আদলে তৈরী আমার এতো টাকার ঘর পড়ে আছে আজ বিনা কাজে। আবাসিক সিস্টেমেও করিনি যে, ঘরটি আবাসিক ভাবে ভাড়া দিতে পারি। ঘর দেয়ার সময়ও আমার কোন দূর্ভিসন্ধি ছিলো না যে, এ ঘর দিযে আমি ব্যক্তিগত ভাবে লাভবান হবো। যদিও ইতিমধ্যে এ সমাজের যে সব মুরুব্বিকে সবচাইতে বেশি শ্রদ্ধা ও মুহাব্বত করতাম, তারাই আমাকে এ অভিযোগ করেছে যে, তারা স্বপ্নেও ভাবেনি আমার মতো লোক মানুষের টাকা খাওয়ার বুদ্ধি করবে, মানে তিনি বুঝাতে চাচ্ছেন এ ঘর আমি আমার ব্যক্তি উন্নয়নে দিয়েছি, সমিতির জন্যে নয়।

আর এ ঘরে এখন আমার সন্তান গুলাও আসে না। বাড়ির লোকজনতো এ সমিতির ও এ ঘরের শুরু থেকেই বিরোধিতা করে আসছে। যে ভাতিজাকে ছোট বেলায় কোলে পিঠে নিয়েছি, সেও আমার কথা শুনলে কাশে এবং আমাকে অপমান বা উত্তেজিত করে ও আমার এ ঘরের পাশে এসে থু থু ফেলে। যেহেতু আমি সরল, সহজ ও ছোটদের প্রতি স্নেহশীল বিধায় বা তাকেও ভূলতে পারবো না বিধায় আমাকে সহজে উত্তেজিত করা যাবে, এটা সে বুঝে। এছাড়া ভাইয়ের অসহযোগিতা ও বিরোধিতার কথাতো এ ওয়েবসাইটের অন্য পোস্টে লিখা আছে।

(হিজরতের ঘোষণা প্রদান, এ পোস্ট সম্পর্কে মন্তব্য করা যেতে পারে)

তাছাড়া বাড়ির অন্য ফ্যামিলির সাথে, যাদের সাথে আমার স্ত্রীর কিছুটা সখ্যতা ছিলো, আমার স্ত্রী তার বাবার বাড়ি গেলে আমাদের হাঁসমুরগি গুলো তারা দেখতো, আবার তারা বাপের বাড়ি গেলেও তাদের হাঁসমুরগী গুলা আমার স্ত্রী দেখতো। কিন্তু এরপরও স্বচ্ছল ও অস্বচ্ছলের মাঝে দৃষ্টিভঙ্গি ও মনোভাব কী রকম থাকে তা বুঝাতে এবং অনেকটা অসহ্য ও অপমাণিত হয়ে ফেসবুকে প্রকাশ করেছিলাম এ পোস্টটি, যাতে একবিন্দুও মিথ্যা লিখিনি।

আর এরপর আমার সে ভাতিজাও চাচার ..(এ রকম)..কথা শুনতে আমাকে এ পর্যন্ত ২ বার কমেন্টস করেছে, আমি যেন তাকে আমার পার্সোনাল গল্পের আরো কিছু শুনাই। তাহলে ভাতিজা কি, রাসূলের হাদিস অনুযায়ী (চাচা বাপের মতো) আছে ? নেই।

কারণ সে চাচার পার্সোনাল গল্প শুনতে চায়।

আমি পারিবারিক ও বংশীয় অমর্যাদা হোক এটা চাচ্ছি না বিধায়, এখনো তাকে রিকমেন্টস করি নাই।

কিন্তু আপনারা চিন্তা করুন, একটা মানুষ কী পরিমাণ অপমানিত হলে বা অপমাণবোধ মনে করলে, এসব বিষয়ে ফেসবুকে লিখতে পারে। এরপর আবার আমাকে প্রলুব্ধ করা হচ্ছে, আমি যাতে এ বিষয়ে আরো লিখি।

এমনিতেই এটি সোস্যাল মিড়িয়া। এখানে কোন কমেন্টস এর রিকমেন্টস না করলে, তাহলেতো অটো ভাবেই আমি দোষী হয়ে যেতে পারি, তাই না? তাহলে কী করবো?

মানে পরিস্থিতি বাধ্য করবে বা প্রলুব্ধ করবে বলতে; আর বললে আমি, আমার পরিবার ও বংশ হয়ে যাবে অপমানিত এবং এর দোষ হয়তো সব আমার ঘাড়েই বর্তাবে। আর সাধারণ মানুষতো এসবের কিছু বুঝবেই না হয়তো তাদের সকলে আমাকেই দোষী সাব্যস্ত করবে এবং আমাকেই ত্যাজ্য করতে থাকবে।

(হিজরতের ঘোষণা প্রদান, এ পোস্ট সম্পর্কে মন্তব্য করা যেতে পারে)

অর্থাৎ বিষয়টা এমন যে, বর্তমানকার মজলুম গণ অত্যাচার, অপমান সইতে থাকবে, কিন্তু কিছু বলা যাবে না বা বলতে পারবে না; সাহস করে অথবা লাজ-লজ্জ্যা ভুলে যদিও কোন কোন মজলুম কিছু বলে বা বলতে চায় বা বলে ফেলে, তখন অপরাধ বা অপমান মজলুমেরই হবে; জালেমের নয়। তখন জালেমের সাথে ও তার পক্ষে সমাজ, নমাজ; দল-বল সবই থাকবে। মজলুমের সাথে কেউ থাকবে না। তখন সে দু’বেলা দু’মুঠো ভাত খেতেই হিমশিম খাবে; হয়তো উপোষও থাকতে হবে তাকে। আর জালেমের হয়ত টাকা-কড়ি, খাওয়া-দাওয়া, মান্যবর মানুষের মজলিস ও সাধারণ মানুষের আন্তরিকতা বা সাপোর্ট সবই উন্নতমানের থাকবে এবং যার পরিপ্রেক্ষিতে সে সমাজের সম্মানীত বা পূজনীয়ও থাকতে পারে।

কি ভাই, বর্তমান পরিস্থিতির বিষয়টি কি একটু বাড়িয়ে লিখেছি আমি?

দেখতেই পাচ্ছেন ছেলেটা আমাকে প্রলুব্ধ করছে। অথচ ফেসবুকের পোস্টে আমি আমাদের পরিচয় গোপন রেখেছিলাম। কিন্তু এতোবেশি লিখালিখি করলে মান-ইজ্জত কি আর থাকবে? আপনারা এখানে ক্লিক করে অথবা আমার Arif Ullah Chowdhury এ প্রোফাইল থেকে ও ফেসবুকে লগইন করে পোস্টটি পড়তে পারেন এবং আমার সে ভাতিজার কমেন্টস গুলো দেখতে পারেন। আমি আর অপমানিত হতে বা অপমানিত করতে চাইনা বিধায়, তা এখানে আর টেনে আনছি না।

যদিও আগে বলেছিলাম টেনে আনবো না, তবুও এ পোস্ট ও পোস্ট সংশ্লিস্ট কমেন্টস এবং রিকমেন্টস সমূহ স্মৃতিবন্ধী করতে নিম্নে ফেসবুকে আমার প্রোফাইলের ঐ পোস্ট থেকে তা হুবহু তুলে ধরলাম-

সংশ্লিষ্ট পোস্টাট ছিলো নিম্নরুপ:
ঘটনা-২:
রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের সময় এক গরীব ফ্যামিলির স্বামী-স্ত্রী যখন বিছানায় তাদের প্রাইভেট সময় অতিক্রম করছে, তখন দেখিলাম বাড়ির আরেক মোটামুটি স্বচ্ছল ফ্যামিলির মহিলা তার কী এক প্রয়োজনে গরীব এ ফ্যামিলিটিকে ডাকার জন্য ঐ মুহুর্তে তাদের জানালায় শব্দ করছেতো করছেই। তার বোঝার দরকার নাই যে, কেন ভিতর থেকে শব্দ আসছে না। হয়তো বিষয়টা বুঝতেও পেরেছে, তবুও তার পয়সার গরমে, অথবা গরীবকে অবহেলার কারণে, অথবা বেপর্দানশীল নির্লজ্য জীবন-যাপনের কারণে হয়তো সে বিষয়টা বুঝতে পারছে না এবং এবার সে তাদের বড় মেয়ের নামধরে শুরু করেছে ডাকাডাকি। বড় মেয়েও কোন প্রতি উত্তর দিচ্ছে না। তার মানে বড় মেয়েও বিষয়টা হয়তো এতক্ষণে অবগত হয়েগেছে। এরপর পরদিন সকালে এ স্বচ্ছল ফ্যামিলির ছোট ছেলেদের হাব-ভাব দেখে মনে হয়, এরাও এ আপত্তিকর অপমানের বিষয়টি বুঝে, কারণ তাদের মুখে টিতকারীর হাসি এবং তাদের ফ্যামিলি প্রধানের মুখে দেখা যায় তাচ্ছিল্ল্যের হাসি।
(হিজরতের ঘোষণা প্রদান, এ পোস্ট সম্পর্কে মন্তব্য করা যেতে পারে)
এই যে ভদ্র মহিলা, তুমি কি বুঝতে পারছ না (?), তোমার এ কর্মটি একটি বড় ধরনের কবীরা গুনাহ ছিলো? যেহেতু রাত ১১টা ৫০ মিনিটে অন্য ঘরে ৩টি স্বল্প আওয়াজে বা অনুচ্ছ শব্দে সালাম প্রদানের পর যদি ভিতর থেকে কোন প্রতি উত্তর না আসে, তাহলে তোমাকে অবশ্যই তখন ফিরে আসতে হবে। এই ছিলো তোমাদের ইসলামি শিক্ষা; যা অবশ্যই ওয়াজিব তুল্য। কিন্তু কোথায় গেলো তোমাদের সে মাদ্রাসা শিক্ষার প্রতিফল!? কোন ধনী ফ্যামিলির ঘরে এ সময়ে কি এ রকম করতে? কী (?) আমি এ পোস্ট লিখাতে খুব খারাপ লাগছে এখন? চিন্তা কর না, যাদেরকে অপমাণ করেছ, তারা যদি নির্লজ্জ্য না হয়, তাহলে তাদের মানসিক অবস্থা কী রকম হতে পারে? অথবা তাদেরকে পাগল বলে চালিয়ে দাও কেমন?
অথবা এ পোস্টের কমেন্টস এ লিখ, তোমার তখন এমন কী প্রয়োজন ছিলো যে, ওয়াজিবকে ছাড়িয়ে কোন্ ফরজ পালনের তাড়নায় তুমি তখন এমনটি করেছিলে!?
নিচ্ছয়ই বুঝতে পেরেছ; অর্থের কূ-প্রভাব মানুষকে কেমন করে অন্ধ করে। যেহেতু তোমরা স্বামী-স্ত্রী দুজনই মাদ্রাসার সার্টিফিকেট প্রাপ্ত ছিলে।
আর এ অবস্থায় ঐ গরীব ফ্যামিলির মানুষ গুলো বা তাদের ফ্যামিলি প্রধান যদি ব্যক্তিত্ববান, চরিত্রবান ও আত্মীয়তার সম্পর্ক বা দান-খয়রাত প্রাপ্তির সম্পর্কে আবদ্ব থাকে তখন তার বা তাদের মানসিক অবস্থা কী হয়!!
অন্য দিকে সামান্য স্বচ্ছল এ ফ্যামিলির মানসিকতা যদি এ রকম হয়, তাহলে আমাদের আজকের এ সমাজের যারা সত্যিকার অর্থেই বড় লোক, তাদের মানসিকতা কী রকমরে ভাই!!??
এইযে বড় লোকেরা!! মুছির সামনে জুতা রং করতে, যখন তার দিকে ‘পা’ টা বাড়িয়ে দাও; গরীবকে যাকাত-ফেতরা আর দান-খয়রাত করেও কি, তাদের থেকে এ ধরনের বিনিময়ই আশা কর? অথবা তাদের প্রতি তোমাদের মানসিকতা কি সত্যিই এ রকম? দুনিয়াবী বিনিময়ের সূত্রেই শুধু দানখয়রাত কর?
আর যে গরীব ব্যক্তিত্ব বজিয়ে চলে, তোমাদের সাথে মুছির সম্পর্ক রাখে না; তাকেতো দান-খয়রাত কর না এবং উল্টো বরং তাকে অহংকারী মনেকর, তাই না?
আজ তোমরা হয়তো বলতে পার; আমি তৃতীয় পক্ষ হয়ে এসব কেন লিখছি।
আরে ভাই সমাজকে না জানালে অসহায়, অবুজ এবং দূর্বল মানুষকেতো তোমরা ব্যাপক ক্ষতি করে দিবে!! ১৪ হাত বা তারও বেশি!! শুধু বুঝদার ও স্বার্থ আছে এ রকম বা স্বচ্ছল মানুষদের কাছেইতো অথবা মানুষের সামনেইতো শুধু তোমরা ভদ্দর!! কী (?), আমি কি বাড়িয়ে লিখেছি?
(হিজরতের ঘোষণা প্রদান, এ পোস্ট সম্পর্কে মন্তব্য করা যেতে পারে)
সাবধান!! ন্যায়-অন্যায়ের ক্ষেত্রে আমি কিন্তু আপন-পর বুঝিনা। পরে অপমানিত হয়ে গেলে তখন আমার দোষ নেই ভাই!! যেহেতু এর আগেও বলেছি, আমাকে সহজ-সরল মনেকরে বালক ছেলের মতো বা সমাজের বাকি দশ জনের মতো যা ইচ্ছা তা বলবে না বা কোনরুপ বাজে কৌশলী ব্যবহার করবে না; যেহেতু এর আগেও আমি আমার অন্য পোস্টে লিখে তোমাদেরকে সতর্ক করেছিলাম যে, সমাজের বাকি দশ জনের শিক্ষার উদ্দেশ্যে ও তোমাদের সংশোধনের নিমিত্তে আমি কিন্তু সময় সুযোগ ও অবস্থার প্রেক্ষিতে তোমাদের এ সব বাজে কথা, কাজ ও ব্যবহার গুলো আমি কিন্তু বিভিন্ন সোস্যাল মিড়িয়ায় মানুষদের নিকট শেয়ার করি।
আমার মনে হয় আমি বাড়িয়ে লিখিনি।
আর বড় লোক ভায়েরা গরীবের প্রতি তোমাদের মানসিকতা যদি এ রকম হয়, তাহলে তোমাদের দান-খয়রাতের ফজিলত তোমরা কতটুকু পাবেরে ভাই!?
আজকে সময় নাই বিধায়, আজ আর লিখতে পারছি না বলে দুঃখিত। আরেকটি সত্য ঘটনা অন্য একদিন লিখবো।
এখন আস সবাই মিলে চিন্তা করি, আমাদের সকলের মানসিকতা (২/১ জন ছাড়া) যদি আজ এমন হয়, তাহলে আমাদের উন্নতি কিভাবে হবে?
মহান আল্লাহ আমাদেরকে হেদায়েত দান করুক। আমিন। ধন্যবাদ সকলে ভালো থাকুন।
ফেসবুক থেকে পোস্টটি পড়তে –

এখানে ক্লিক করুন

এ পোস্ট পাবলিস্টের পর পরই, পোস্ট সংশ্লিষ্ট আমার এ জেঠাতো ভাইটি তার ছেলে minhaj-কে নিয়ে সরাসরি আমার ঘরে আসে এবং অনেকটা মারমুখী ও আক্রমণাত্মক ব্যবহার করে আমার বিরুদ্ধে। আমি একবারেই নিশ্চুপ ছিলাম। কিছুই বলিনি। যদি বলতাম বা শব্দ করতাম, তাহলে হয়তো আমি তখন কয়েকটি কিল-ঘুষি খেযেও ফেলতাম বা হয়তো বেদম প্রহারেরও শীকার হতাম।
এরপর তাদের বড়ছেলে ‘রাকিব’ উপরে উল্লেখিত পোস্টের নিচে ২ টি এবং হিজরতের ঘোষণা সম্বলিত এ পোস্টের নিচে ১ টি ও আমার গ্রুপে এ পোস্ট পাবলিস্টের নিচে ১টি, মোট ৪ টি কমেন্টস করে। তার এ ৪টি পোস্টই ছিলো আমাকে ব্যাঙ্গার্থ ও বিদ্রুপার্থক । কমেন্টস গুলো হুবহু নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ
১। “সেই দিন তো সময় ছিলোনা তাই বাকি কথা বলতে পারেননাই।
এখন সময় করে এই গল্পের পার্ট ২ আপলোড করেন ” কমেন্টসটি ফেসবুক থেকে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

২। “কাগা এই গল্পের পার্ট ২ আপলোড করবেননা?
অপেক্ষায় আছি তো পার্ট ২ এর। ” কমেন্টসটি ফেসবুক থেকে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

৩। “এত কষ্ট করে পড়লাম তা হলে এটা ট্রেইলার ছিলো, না? আসল কাহিনি তা হলে লিংক এর ভিতর ” কমেন্টসটি ফেসবুক থেকে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

৪। “এত বড় ইতিহাস কেমনে টাইপিং করলেন?
নাকি কয়েকটা জ্বীন কে নিয়োগ দিয়েছেন টাইপিং করার জন্য? ” কমেন্টসটি ফেসবুক থেকে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

তার এ ব্যাঙ্গার্থক কমেন্টস সমূহের প্রতিউত্তরে আমি তাকে যে উত্তর সমূহ দিয়েছি তা ধারাবাহিক ভাবে নিম্নে তুলে ধরা হলো-

১। ও ২। এর রিকমেন্টস- “আপনি আমার এ পোস্টে ২ বার কমেন্টস করেছেন এবং এ রিলেটেড আরো একটি পোস্ট দিয়েছি সেখানেও আপনি কমেন্টস করেছেন। এ পোস্টে আমি বলেছিলাম ৩টি সত্য ঘটনা বলবো। এরমধ্যে ২টি সত্য ঘটনা বলেছি; মানে বাকি যে সত্য ঘটনাটি রয়েছে; সেটি আরেকটি সত্য ঘটনা। যা এগুলোর সাথে মিল থাকবে কেন? এগুলোর সাথে মিল থাকলেতো তা আরেকটি সত্য ঘটনা হতো না। আর আপনি বলছেন এ গল্পের বাকি অংশ আমি যেন বলি। প্রথমে বলুন এ সত্যটি আপনি বুঝতে পারেননি কেন? আমিতো বলেছিই সেটি আরেকটি সত্য ঘটনা।
২য়’ত এ পোস্টের ২য় কমেন্টস-এ আপনি আমাকে ‘কাগা’ বলে সম্ভোধন করেছেন। বলেন, আমার ও আপনার কি পরিচয় ওপেন করতে চান? আপনার সবগুলো কমেন্টস এনালাইসিস করলে বোঝা যায়, আমার উপর আপনার ভীষণ মনে কষ্ট। আপনি কি দয়া করে বুঝিয়ে বলবেন আমার উপর আপনার এতো মনেকষ্টের মূল কারণ কি। দেখুন আমি কিন্তু আপনার ৩টি কমেন্টস এর পর আপনাকে এ উত্তর দিচ্ছি। আপনাকে বলতে হবে আপনার এবং আমার বা আমাদের পরস্পরের পরিবারের সাথে পূর্বে কোনরুপ হিংসা বা শত্রুতা ছিলো কিনা? তাহলে কেন আপনি বার বার ব্যাঙ্গার্থক ও বিদ্রুপজনিত কমেন্টস করে চলেছেন। আপনি নিশ্চয় জানেন, আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের এখন ঠিকমতো খাওয়ারের ব্যবস্থা নেই। তাহলে এ মুহুর্তে বার বার আপনার কমেন্টস এর উত্তর দিতে আমাকে বাধ্য করাটা কি আপনার উচিত হচ্ছে? আপনাকে বলতে হবে, আমি যে উপরে সত্য ঘটনা লিখেছি বা গতকাল আমার হিজরতের সিদ্ধান্ত জানিয়ে যে পোস্ট দিয়েছি, যাতে আপনি ব্যাঙ্গার্থক কমেন্টস করলেন এগুলোর কোথাও কি মিথ্যা আছে? বা আমি হিংসা বশত: আপনাদেরকে অপমান করতে চেয়েছি কি? আপনার কী মনেহয় আমি অপমানিত না হলে, এ ধরনের পোস্ট দিয়েছি? অথবা আমাকে কি আপনারা পাগল মনে করেন? আপনার মন্তব্য লিখুন। আমার ইচ্ছে ছিলো না আপনার কমেন্টস এর উত্তর দিতে। কারণ আপনার সাথে আমার সম্পর্ক সে রকম নয়। তবুও আপনি বার বার কমেন্টস করে চলেছেন। এই, পরাস্থ হওয়ার পরে বা মানুষ বুঝতে পারলে তারপর থামবেন!? অথবা আমার সাথে শত্রুতা আরম্ভ করবেন (?) বা শক্তি প্রয়োগ করবেন? পুরো বিষয়টা প্রকাশ হলে যদি আপনি সম্মানিই না থাকতে পারেন বা আপনার বংশীয় সদস্যদেরকে সম্মানীই না রাখতে পারেন, তবে চুপ থাকেন না কেন? কেন আমাকে আমার মূল্যবান সময় নষ্ট করতে হচ্ছে? দয়া করে চিন্তা করুন, বিদ্রুপার্থক কমেন্টস না করে চুপ থাকা যায় কিনা (?)। ধন্যবাদ আপনাকে।” রিকমেন্টসটি ফেসবুক থেকে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

এরপর এ প্ল্যটফর্মে তাকে আমি আরো একটি রিকমেন্টস করি। যা নিম্নরুপ-

“সম্মানীত ভিউয়ার পূর্বোক্ত কমেন্টসকারীর (Rakib Uddin) সাথে আমার যে সম্পর্ক, এতে বার বার প্রত্যেক প্ল্যাটফর্মে তার সাথে রিকমেন্টস করাকে আমি অসম্মানবোধ মনে করছি। তার উপর তার বয়সও কম। তাই সীমাছাড়া না হলে তার প্রতিবার কমেন্টস এর প্রতি উত্তর আমি দেবো না। ধন্যবাদ। সকলে ভালো থাকুন।” রিকমেন্টসটি ফেসবুক থেকে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

৩। “উপরের কমেন্টসকারীর (Rakib Uddin) সাথে আমার যে সম্পর্ক এতে বার বার প্রত্যেক স্থানে তার সাথে কথা বলা আমার জন্য অসম্মানজনক। আমার এ প্রোফাইলে পাবলিস্ট করা অন্য একটি পোস্ট, যার শিরোনাম ছিলো “তিনটি সত্য ঘটনা….”। সেখানে তাকে প্রতি উত্তর দেয়া হয়েছে। ধন্যবাদ সবাইকে।” রিকমেন্টসটি ফেসবুক থেকে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

৪। “উপরের কমেন্টসকারীর (Rakib Uddin) সাথে আমার যে সম্পর্ক, এতে বার বার তার সাথে রিকমেন্টস করাকে আমি অসম্মানবোধ মনে করছি। এ পোস্ট ও এ রিলেটেড পোস্ট আমি আমার প্রোফাইলেও পাবলিস্ট করেছিলাম। সেখানে তার কমেন্টস এর প্রতি উত্তর দেয়া হয়েছে। এবং সীমা ছাড়িয়ে গেলে সেখানেই এর প্রতিউত্তর দেবো এখানে নয়। ধন্যবাদ সবাইকে।” রিকমেন্টসটি ফেসবুক থেকে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

এরপর উপরে যে পোস্টটি পাবলিস্ট করা হয়েছে, তার নিচে রাকিবের ছোট ভাই মিনহাজ ১টি কমেন্টস করে। কমেন্টসটি ফেসবুক থেকে হুবহু উল্লেখ করা হলো। যা নিম্নরুপ-
“২৫ ধারায়,
আক্রমণাত্মক, মিথ্যা ও ভীতি প্রদর্শন, তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ, প্রকাশ, ইত্যাদি বিষয়ে (ক) উপধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে, এমন কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ করেন, যাহা আক্রমণাত্মক বা ভীতি প্রদর্শক অথবা মিথ্যা বলিয়া জ্ঞাত থাকা সত্ত্বেও, কোনো ব্যক্তিকে বিরক্ত, অপমান, অপদস্ত বা হেয়প্রতিপন্ন করিবার অভিপ্রায়ে কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ, প্রকাশ বা প্রচার করেন, , তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির কার্য হইবে একটি অপরাধ।
[ এই অপরাধের শাস্তি অনধিক ৩ বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৩ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। দ্বিতীয়বার বা পুনঃপুনঃ অপরাধের জন্য ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। ]
আপনি জানেন নিশ্চয়ই ” কমেন্টসটি ফেসবুক থেকে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

মিনহাজের এ কমেন্টস এর পর আমি তাকে যে রিকমেন্টসটি করি, দয়া করে তা পড়ার জন্য অনুরোধ রইলো। রিকমেন্টসটি নিম্নরুপ-
“এ পোস্টটি প্রকাশের আগে তোমাদের সাথে (minhaj) আমাদের মানে আমার স্ত্রী ও সন্তানদের সাথে তোমাদের পরিবারের সখ্যতা কি অন্যদের চাইতে একটু বেশি ছিলো না?
সত্য বলবে।
তাহলে এ পোস্টটি কি আমি মজলুম হিসেবে জাতীয় শিক্ষার জন্য ও আমিও একটু শান্তনা খুঁজতে দিয়েছিলাম না?
এবার বল এ গল্পে মিথ্যা কী কী রয়েছে এবং এ গল্পটি কি তোমাদেরকে অপমান করার জন্য কোন সাজানো গল্প ছিলো? এটা কি আমার মানে মজলুমের ভাষা ছিলো না?
আচ্ছা তোমরাকি আমায় মগা মনে কর?
বেশি টাকা ইনকাম কর বা গ্রুপিং আছে মনেকরে অথবা আমার সরকারি বেসরকারি ভালো কোন পদবী অর্থ-বিত্ত নাই মনেকরে, সমাজের বোকা লোকদের মতো আমাকে অযোগ্য বা দূর্বল মনে কর?
তাহলে চুপ না থেকে কেন আমাকে আইন দেখিয়েছ?
এই, আমার জীবনে কী কী ফলস্ আছে, তা এখানে বল আগে।
তাহলে আইন দেখালে কেন? এ গল্প লিখে আমি কি অপরাধ করেছি (?), না মনের অব্যক্ত আর্তনাদ ব্যক্ত করেছি?
তাও জাতীর শিক্ষার উদ্দেশ্যে; না হয় হয়তো আমি এ গল্প লিখতাম না।
তোমাদেরকে একটা কথা বলতে চাই, এ সামান্য গল্প টুকু পাবলিস্ট করায়, তোমরা নিজেদেরকে এভাবে অপমাণিত বোধ মনে করলে; অথচ তোমাদের সকলের ব্যবহারে আমি অশান্তির পর অশান্তি ভোগ করছি। তা কি তোমরা বুঝ?
সমিতি আরম্ভ করলাম, তোমরা আমার আপনজনেরা কেউ দিলে না সাড়া, করলে সবাই বিরোধিতা; পরবর্তীতে আমি ব্যবসা আরম্ভ করলাম, এতেও আমার পরিবার বা বংশ থেকে কেউ আমায় সহযোগিতা করনি; আমি মসলা বানিয়ে বিক্রি করতে অনেকদূর এগিয়ে গেলাম।
সেম্বল আকারে কিছু মসলা তৈরীও করেছিলাম; কিন্তু আমার ভিতর থেকে তোমরাই করলে বিরোধিতা। কেউ আমাকে উৎসাহ যোগাওনি। কেও স্বানন্দে আমার মসলা বা ব্যবসায়িক মাল কিনতে চাওনি।
এখনতো তোমারা আমায় প্রকাশ্যে দোষী সাব্যস্ত করলে; এখন বল, আমার ব্যাপারে তোমাদের আইডিয়া কী ছিলো বা এখন কেমন আছে।
(হিজরতের ঘোষণা প্রদান, এ পোস্ট সম্পর্কে মন্তব্য করা যেতে পারে)
আমি ব্যবসা করলে কি কোনরুপ ডুবলি-মিসি করতাম বা আমার মসলার ভিতর এ সব দেখছিলে কিনা? তোমাদের চোখের সামনেইতো মসলা তৈরী করেছিলাম।
কোন মানুষের তার নিজের থেকে যদি বিরোধিতা বা অসহযোগিতা আসে, তাহলে এ ব্যাথা ও অপমানের মাত্রাটি কেমন হয় জানো?
প্রত্যেক মানুষ তার বেঁচে থাকার জন্য বা সাকসেসের জন্য একটা না একটা বিশ্বস্থ স্থান বা কেউ না কেউ তার থাকতে হয় এবং এটা প্রায় সবগুলো মানুষের ক্ষেত্রেই সত্য।
আমার বিশ্বস্থ স্থান ছিলো নিজ বাড়ি ও বাড়ির মানুষ গুলো।
কিন্তু আমি কেন আমার কোন সম্মানজনক কাজে তোমাদেরকে পেলাম না? দয়া করে একটু বল, আমি তোমাদের মাধ্যমে তা বুঝতে চাই। আসলে আমি আজো জানি না, কেন আমার কোন কাজে তোমাদেরকে পাই না? তোমরাতো অপমাণিত হয়েছ; আর আমিতো তোমাদেরকে না পেয়ে চির অশান্তিতে ভূগছি। আর এ অশান্তি বা এ ব্যথার ওজন কতো, মাপতে পারবে?
যাক তোমাদের মাধ্যমে এখন আমি শুনতে চাই, তোমাদের কেউ, মানে আমার নিজেদের কেউ কেন সম্মানজনক কোন কাজে সহযোগিতা করনি আমায়।
তাহলে কোনরুপ প্রতিক বা কৌশল ব্যবহার না করে সত্য কথাটি বলো।
এতে হয়তো আমি কিছুটা হলেও শান্তি পাবো এবং কিছু লোক হলেও সত্য বিষয়টি বুঝতে পারবে। যদিও গ্রামের বোকা লোকেরা বা তোমাদের গ্রুপিং লোকেরা হয়তো যন্ত্রণা দিয়েই যাবে।
আর যদি ভালো মনে কর, তাহলে কোন কমেন্টসই করবে না। শুধুমাত্র নিজকে বা নিজেদেরকে নির্দোশ প্রমাণ করে আমাকে দোষী সাব্যস্থ করে রাখতে চাইলে, তাহলে উপরের প্রশ্নগুলোর যথাযথ ও সত্য উত্তর দিবে। তাহলে আমিও যেমন বুঝতে পারবো, আমাদের চারপাশের মানুষ গুলাও জানতে ও বুঝতে পারবে। অন্তত এ উপকারটি কর আমার।
ধন্যবাদ। ভালো থেকো।” রিকমেন্টসটি ফেসবুক থেকে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

পুনরায় মিনহাজ আমাকে যে কমেন্টসটি করে, তা ছিলো নিম্নরুপ-
“আপনি যেহেতু আপনার পথ থেকে পিছপা হবেন না(২৫ ধারা লঙ্ঘন করবেন)
এর মানে তো এই যে আপনি আইনের মুখোমুখি হতে ইচ্ছুক সমস্যা নাই আইনি,ই সত্য মিথ্যা দেখবে।
ধন্যবাদ। ” কমেন্টসটি ফেসবুক থেকে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

তাদের এ কমেন্টস গুলোর প্রতিউত্তরে আমি ভদ্রতা ও সংযমের সহিত প্রতিবার যে সত্য প্রতিউত্তর দিয়েছি, প্রত্যেকবার তারা এ রিকমেন্টস গুলোর প্রতিউত্তর হিসেবে আমাকে ব্যাঙ্গার্থক প্রতিক দিয়ে বিদ্রুপ করেছে।

তাহলে এবার আপনারা বলুন, এ বাড়িতে এবং এ সমাজে এখন ব্যক্ত্বিত্ব ও সম্মান নিয়ে কিভাবে জীবন-যাপন করা যায়!! যেহেতু ইনশা’আল্লাহ আমি এখনো কোন ২ নং পথ অবলম্বন করিনি। এখনো আমি ইনশা’আল্লাহ ১০০% ব্যক্তিত্ব ও চরিত্র নিয়ে চলি; আল্লাহর অশেষ রহমতে এ অবস্থাও আমি কোন সিটারী পথ অবলম্বন করিনি এবং মসজিদে যাওয়াও ছাড়িনি।

প্রিয় ভিউয়ার, এ অবস্থা ও পরিস্থিতিতে আমার সততা ও সম্মানকে টিকিয়ে রাখতে এ সমাজে আমার কী পরিমান কষ্ট হচ্ছে, তা কি একটু আঁচ করতে পারেন?

(হিজরতের ঘোষণা প্রদান, এ পোস্ট সম্পর্কে মন্তব্য করা যেতে পারে)

এক্ষণে আপনারাই বিবেচনা করুন, এ সময়ে এ সমাজ থেকে হিজরত করা আমার প্রয়োজন ও জরুরী কিনা?

যেহেতু এ সমাজে বিভিন্ন পরিস্থিতির কারণে আমার প্রতিভা প্রায় শেষের পথে! এবং আমার কারণে আমার পরিবার ও বংশের লোকেরাও সমাজের কাছে আজ অপমানিত!

তাছাড়া এ এলাকায় থেকেতো আমার পাওনাদারদের টাকা শোধ করারও কোন উপায়-বুদ্ধি আমি দেখছি না। অতএব হিজরত করাটা কি আমার জন্য এখন একান্ত প্রয়োজনীয় নয়?

আবার দেখুন, আমি হিজরত করবো, মানে বাকি ১০ জনের মতো পাওনাদারদের থেকে আমি পালিয়ে যাবো না। এখানে থেকে তাদের টাকা না দিতে পেরেইে এবং তাদের টাকা দিয়ে আমার মহান রব আল্লাহু তা’য়ালাকে আপন করে পাওয়ার জন্যেই মূলত আমি হিজরত করবো।

তাই আমার পাওনাদারদের প্রতি আমি বলতে চাই, ইনকাম ও ব্যক্তিত্ব নিয়ে জীবন-যাপনের উদ্দেশ্যে আমি কোথাও যেতে পারলেও, আপনাদের সাথে সবসময়ই আমার যোগাযোগ থাকবে।

তাছাড়া সোস্যাল মিডিয়াতে আমার রয়েছে সদা বিচরণ, তাই ইচ্ছে করলেও আমি কারো কাছ থেকে পালাতে পারবো না।

এছাড়া আপনাদের সবাইকে আমার মনের আরো একটি সাইড় জানিয়ে দিতে চাই। দেখুন যতদূর মনেপড়ে মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত করতে, সকলে করেছে গোপনীয় ভাবে; একমাত্র তিনিই ছিলেন একজন, যিনি করেছিলেন প্রকাশ্যে। তাঁর নাম হযরত উমর ফারুক (রাঃ)।

আমিও তাঁর মতোই প্রকাশ্যে হিজরত করার ঘোষণা দিয়েছি। আমার দেশের বাকি ১০ জন দেনাদারের মতো বা আমার পরিবার থেকে পালিয়ে হিজরত করার মানসিকতা প্রকাশ করিনি।

ইনশা’আল্লাহ আমি তাঁরই শিষ্য। আর যেহেতু আমি ইতিহাসের এ ধরনের সৎ ও বীরপূরুষদের নাম উল্লেখ করে হিজরতের ঘোষণা দিয়েছি; তাই হে আমার পাওনাদার ও পরিজন গণ আপনারা ইনশা’আল্লাহ আমার উপর আশ্বস্থ ও বিশ্বস্থ থাকতে পারেন যে, আল্লাহর রহমতে আমি কখনো আপনাদেরকে নিরাশ বা অপমান করবো না এবং আপনাদের হক সমূহ ইনশা’আল্লাহ আমি যথাযথ ভাবে প্রদান করবো। অতএব আপনাদের প্রতি আমি আবেদন করবো, আমার এ কাজে আমার জন্য দোয়া করবেন (ভালো একটা কর্ম নিয়ে যাতে শান্তিময় কোন স্থানে যেতে পারি); প্লিজ এতে কখনো বাধা দিবেন না।

(হিজরতের ঘোষণা প্রদান, এ পোস্ট সম্পর্কে মন্তব্য করা যেতে পারে)

কিন্তু আমার এখন হাজারো ক্ষত এবং যার জন্যে আমি অনেকটা সহায়-সম্বল, অর্থ-বিত্ত ও লোকবলহীন সম্পূর্ণ একা। অনেকটা অন্ধ, মনমরা ও বেহুশ মানুষের মতো। তাহলে আমি আমার এ অবস্থায়, যেখানে আমার এখন প্রাণ বাঁচানো ও নিজের অস্তিত্ব টিকানো হচ্ছে দায়, সেখানে এখন আমি কেমন করে আমার লক্ষ্যে ও গন্তব্যে পৌঁছাবো বলুন?

এ পর্যায়ে হে আমার ভাই, বোন, বন্ধুরা এবং দেশী-বিদেশী যে কোন মানুষ, আপনাদের সবাইকে স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমার মূল লক্ষ্য ও গন্তব্য কী, অর্থাৎ আমার লক্ষ্য ও গন্তব্য বলতে আসলে আমি কী পেতে চাই?

এখন আমি বলছি, আপনারা সকলে ভালো করে শুনুন, আমার মূল লক্ষ্য হচ্ছে, আমার মহান রব আল্লাহু তা’য়ালাকে আমার প্রেমিক হিসেবে পাওয়া। অর্থাৎ আমি আল্লাহর ভালোবাসা চাই। আল্লাহর প্রেম চাই। এবং আমিও আল্লাহু তা’য়ালার প্রেমিক হতে চাই। ভালোবাসার মতো ভালোবাসতে চাই আমার রবকে। ভয়ের মতো ভয় করতে চাই আমার রবকে।

আর দুনিয়াতে আমার মূল গন্ত্যব্য হচ্ছে মক্কার মসজিদ, মানে মসজিদে হারাম শরীফ। যেখানে জীবনের শেষ অবধি আমি থাকতে চাই। মানে দিন ও রাতের প্রত্যেকটি নামাজ (সকল ফরজ ও কিছু নফল সহ) তাকবীরে উলার সহিত মক্কার এ মসজিদে নিয়মিত আদায় করতে চাই। দুনিয়াতে এটিই আমার লক্ষ্য ও গন্তব্য। এবং আমার আরেকটি দৃঢ় নিয়ত ও প্রচেষ্টা হচ্ছে, যাতে হযরত ইমাম মাহাদী (আঃ) এঁঁর কর্মের সহযোগী হিসেবে (সদকায়ে জারিয়া দ্বারা) আমিও কিছু সাওয়াব পেতে পারি, সে লক্ষ্যে কাজ করা ও ত্যাগ স্বীকার করা। এ বিষয়ে যদি উপলক্ষ বা অবস্থা সৃষ্টি হয় বা যদি আল্লাহু তা’য়ালা তাওফিক দেয়, তাহলে এ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে আমার কী কী নিয়ত রয়েছে তা পরবর্তীতে অন্য কোন কন্টেন্ট পাবলিস্ট করে বা এ কন্টেন্টটি আপডেট করে পরে জানাবো।

(হিজরতের ঘোষণা প্রদান, এ পোস্টটি শেয়ার করা যেতে পারে)

এবার আপনারা আমাকে যতই অযোগ্য, বা আমি ও আমার স্ত্রী-সন্তান ছেলে-মেয়েদেরকে যতই অযোগ্য বা আমাদের সবাইকে যতই পাপী বা আমাকে যতই উম্মাদ বা পাগল বা মানসিক রোগি মনে করেন; করতে থাকেন। প্রয়োজনে আমার স্ত্রী, সন্তান, আলেম সমাজ বা যাদেরকে শ্রদ্ধা বা স্নেহ করি বা ভালোবাসি অথবা যারা আমাকে শ্রদ্ধা বা স্নেহ করে বা ভালোবাসে ও যারা আমায় চাকুরী দেয় এবং আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের জবিন বাঁচানোর কাজে সহযোগিতা করে বা যারা আমায় একটুও ভালো মনে করে অথবা আপনাদের যাদের যাদের সাথে রিলেশান রয়েছে, বা আপনাদের সকল আত্মীয় বা আপনাদের যে সব গ্রুপিং রয়েছে, তাদের সকলকে বলে বেড়ান বা পাবলিসিটি করেন; আমি পাগল, আমি পাগল হয়েগেছি, আমি পাগল (লোভ, সম্মান, সম্পদ, অহংকার, স্বার্থ, অজ্ঞতা বা মূর্খতা বা বিভিন্ন কারণে হয়তো বলতেই পারেন)। এতে আমার কোন আপত্তি নাই। আর এতে হাজারো বাধা-বিপত্তি পড়লেও ইনশা’আল্লাহ তবুও এ পথে আমার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে প্রাণপণ ভাবে এবং আমার এ নিয়ত জীবনের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত, মানে প্রাণ ওষ্ঠাগত হওয়ার আগ পর্যন্ত কখনোই বিলুপ্ত হবে না।

(হিজরতের ঘোষণা প্রদান, এ পোস্ট সম্পর্কে মন্তব্য করা যেতে পারে)

এ পর্যায়ে তাহলে আমার ভাই, বোন, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী; আপনারা আমার কত হিতাকাঙ্খী ও ভালো মানুষ বা পরোপকারী হয়েছেন; ২০০১ সনেতো আল্রাহ-প্রেমের এ উল্কাপিন্ড বা আকাশের বিজলী (রুপক অর্থে) হঠাৎ করে আমার উপর পড়ায় আমি আপনাদের এ ক্রিটিক্যাল মনূষ্য সমাজে অনেকটা এলোমেলো বা লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিলাম (যা স্বাভাবিক ছিলো, যেহেতু আল্লাহ প্রেমের এ আকর্ষণ সইবার ক্ষমতা হয়তো সকলের নেই)।

কিন্তু এবার আমাকে ঠেকান। এখন আমি সম্পূর্ণ সুস্থ মস্তিষ্কে ও স্বজ্ঞানে আল্লাহ প্রেমের এ পাগলামি শুরু করার ঘোষণা দিয়েছি এবং করেও চলেছি (আমার যোগ্যতা, সম্পর্কের সীমাবদ্ধতা ও আমার পাপ পঙ্কিলতা অনুযায়ী)।

আর শুনুন, ভূমিকা না রেখে স্পষ্ট করেই বলি, এবার আমি যে চাকুরীটা করছি, এটা অনেকটাই শান্তির চাকরি; এরপরও এ চাকুরিটাও আমি ছেড়ে দেবো। যদি ফ্রিল্যান্সিং ও আমলের সুবিধাসহ কোন প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসায় ভালো বেতনে শিক্ষকতা পাই তাহলে। নতুবা নয়। যে বিষয়ে আমি আগাম ঘোষণা দিয়ে দিলাম।

আপনারা ভ্রু-কুঁচকিয়ে আমাকে বলতে পারেন, তাহলে আমি কেন ধরেছি। এর উত্তর হচ্ছে, আমি আপনাদের প্রতি একটু বেশি অনুগত ছিলাম, বেশি শ্রদ্ধা করতাম; তাই আপনাদের সাথে আমি একটি অদৃশ্য বাঁধনে আবদ্ধ থেকেছি; এবং এখনো আছি। যে কারণে আমার বিষয়ে আপনারা যা চান বা আমার আপনজনদের যেখানে সন্তুষ্টি, সে আমলটুকু, সে প্রদক্ষেপটি অনেক সময় নিজ জ্ঞানে এবং অনেক সময় আমাকে ভূলিয়ে দিয়ে বা বুঝতে না দিয়ে রব কর্তৃক অটো ভাবে সম্পন্ন করি। এবং যে বাঁধনের কানা-কড়িও হয়তো আপনাদের কাছে নাই। না হয় আপনাদের সাথে সমাজে আমার এতো দুরত্ব সৃষ্টি হতো না।

শুনুন, আমাকে তাকবীরে উলার সহিত জামাতে নামাজ (মসজিদে) আদায় করতে হবে নিয়মিত; দিনের পর দিন; মাসের পর মাস, বছরের পর বছর এবং যুগের পর যুগ। মানে ইন্তেকালের আগ পর্যন্ত। এক ওয়াক্তও যাতে মিস না হয় সেভাবে। এবং আমাকে নিয়মিত তাহাজ্জুদ পড়তে হবে। আমাকে নিজকেও মানুষ হতে হবে এবং মাদ্রাসায় পড়িয়ে (পর্দার বিধান বলবৎ আছে এ রকম মাদ্রাসায়) কিছু ছাত্রকেও মানুষ হিসেবে গড়তে হবে (আমার সাধ্য ও সক্ষমতা অনুযায়ী)।

আমার এ সিদ্ধান্ত কেন, এর সব এডভান্টেজ সমূহতো এতো স্বল্প পরিসরে, শুধু ছোট্ট একটা প্রবন্ধের মাধ্যমে হয়তো বুঝানো যাবে না এবং হযতো বুঝানোর প্রয়েজনও নাই। তবুও একটি বিষয়ে আপনাদেরকে বোঝানোর প্রয়োজন মনে করছি।

দেখুন বর্তমানে আমি অনেকটা ঋণী। ঋণশোধ করার কোন ওয়ে আমি এখনো পাইনি (আমার ঋণ প্রায় ৬/৭ লক্ষ টাকা)। হয়তো আপনারা সাপোর্ট দিলে এর আগেও পেতাম। আপনারা প্রায় সকলেই বলেছিলেন টাকার জন্যে, মাদ্রাসার চাকুরী ছেড়ে দিয়ে ম্যানাজারী চাকুরী ধরতে। আমি পালন করেছি। যেহেতু আপনারা আমার আপনজন; তাই আপনাদের কথাতো আমাকে রাখতে হবে। কিন্তু কোথায় টাকা? আমার স্ত্রীকে আমি এতোকরে বুঝালাম যে, যার কারেকটার যেমন সে, সে অনুযাযী চাকুরী করবে, কাজ-কর্ম বা দায়িত্ব পালন করবে; নতুবা সাময়িক উন্নতি লক্ষ করলেও, তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের বিপরীত পথে সে পরাস্থ হবেই। তাই এ ম্যানাজারী চাকুরী-বাকুরী এগুলো আমার কারেকটারের সাথে মিলে না বিধায়, আমার যোগ্যতা থাকলেও এসর আমার দ্বারা সম্ভব হবে না বা এ চাকুনি গুলো অব্যাহত ভাবে আমি চালিযে যেতে হয়তো পারবো না। কিন্তু কে বুঝে কার কথা; যেহেতু প্রত্যেক ব্যক্তিই তার নিজের মতোই বুঝে; যা প্রাকৃতিক নিয়ম। এবং পরিশেষে কী ঘটেছে ভায়েরা আমার? ফেনী উপশম হাসপাতালের ম্যানেজার হিসেবে, তারাই আমাকে নিষেধ করেছে। কিন্তু তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন (?), ম্যানেজার হিসেবে কাজের যোগ্যতার আমার কোন অংশেই কমতি ছিলো কিনা? শুধু কারেকটার মেচিং না হওয়ায়, তারা আমাকে নিষেধ করেছে এবং আমিও খুশি মনেই সেখান থেকে চলে এসেছি। যেহেতু মূলত আমি এ ধরনের চাকুরি চাই না। তবুও আমার পরিবার ও হিতাকাঙ্খীদের বুঝাতে গিয়ে এবং অনেকটা বাধ্য হয়ে এ চাকরি গুলো ধরি আমি।

এখন মাদ্রাসায় টাকা আছে কিনা বা মাদ্রাসায় টাকার সূত্রপাত হতে পারে কিনা; আসুন আপনাদেরকে সে অংকের বিষয়ে বলবো।

আসলে আজ আমার এবং আপনাদের বিশ্বাসের প্রতিই রয়েছে সীমাহীন গলদ (হাদীস শরীফের বিষয়েও যা সত্য। আরে ভাই এগুলো আমার এবং আপনাদের ধর্মবিশ্বাস, ধর্মান্ধতা বা আবেগ ছাড়া আর কিছুই না। যেহেতু যে হাদীসটি আপনি জানেন বা মানেন এবং যে হাদীসটির জন্যে আপনি জীবন দিতে রাজি; অথচ সে হাদীসটির মর্মার্থ বা হাদীসটিতে মূলত কী বলা হয়েছে, তা হয়তো আপনি নিজেই জানেন না বা বোঝেন না অথবা মানেন না এবং হয়তো সে হাদীসটির বিষয়ে ১০০% বিশ্বাস আপনার নাই। আমার নিজের বেলাতেও কথাটি অনেকক্ষেত্রে সত্য।

মানুষের এ অবস্থাটি শুধু যে বাঙ্গালের বিষয়ে সত্য তা কিন্তু নয়; এটা আলেমের ক্ষেত্রেও সত্য (কিছু কিছু হাদীসের বিষয়ে এবং লক্ষাধিক আলেমের ক্ষেত্রে হয়তো ২/১ জন ছাড়া। কিন্তু বুঝতে চেষ্টা কইরেন, আমার উদ্দেশ্য ছিলো মানুষের মানসিক অবস্থা ব্যক্ত করা। যে মানসিক অবস্থাটাই আসলে কামিয়াবির জন্য মুখ্য, হাজারো হাদীস কিংবা কোরআন মুখস্থ করা, সেটি আসলে মূখ্য নয়।) ।

দেখুন ভায়েরা সার্টিফিকেট অর্জন করেছেন বলে আমার দিকে টেড়ে আসিয়েন না। বুঝতে চেষ্টা করুন, ধর্মবিশ্বাস বা আবেগ কখনো, একটা হাদীস শরীফের সঠিক ও পরিপূর্ণ ফলাফল বা বাস্তবতা বয়ে আনতে পারে না, যতক্ষণ না ঐ হাদীসের অন্তর্নিহীত তাৎপর্যে পৌঁছে, জেনে-বুঝে তা আমলে পরিণত করা না না যায়।

আসুন এখন আমরা অংকটা করবো।

দেখুন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, চল্লিশ দিন একাধারে তাকবীরে উলার সহিত জামাতে নামাজ পড়লে, ঐ ব্যক্তিকে মহান রব জাহান্নামের আগুন থেকে চিরতরে মুক্তি দিবেন (অর্থাৎ এন্তেকালের পরপরই সে জান্নাতের আয়েশ ভোগ করতে থাকবে)।

এ হাদিসটিকে কি আপনি বা আপনারা শতভাগ বিশ্বাস করেন? বা এর মর্মে পৌঁছাতে পেরেছেন? চেষ্টা করুন মর্মে পৌঁছাতে; না হয় মাদ্রাসা থেকে কিভাবে টাকার সূত্রপাত হতে পারে, তা হয়তো আমিও আপনাদেরকে বোঝাতে পারবো না।

বুঝতে শিখুন, জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেয়ার বিষয়েতো কোন ধরনের শর্ত জুড়ানো হয়নি এখানে? তাহলে যারা ঋণী, তারা তাদের ঋণশোধ করা ছাড়া কি কখনো জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেতে পারে? পারে না। সুতরাং তাকবীরে উলার সহিত জামাতে নামাজ পড়লে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেয়ার মানে হচ্ছে, যে এ আমলটি করতে পেরেছে বা যার এ আমল সহীহ্ হয়েছে বা যার এ আমল কবুল হয়েছে এবং পরবর্তী জীবনে ইন্তেকালের আগ পর্যন্ত যে হকের উপর দায়েম ও কায়েম থাকতে পেরেছে; মহান রব সংশ্লিষ্ট ঐ ব্যক্তিকে তাঁর নিজ জিম্মায় আগে ঋণ শোধ করাবেন অর্থাৎ তাওফিক দিবেন এবং তারপর এ ব্যক্তিকে তিনি জান্নাত প্রদান করবেন ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিবেন।

তবে এ বিষয়ে আমার মনে হয়, সংশ্লিষ্ট এ আমলটির সাওয়াব পেতে হলে; আমলটি এমন এক পরিবেশে হওয়া চাই; যেখানকার নামাজী গুলোর বেশির ভাগ নামাজীরই নামাজ সহীহ্ হচ্ছে, যেখানে কোন বেদআত বা নামাজী বা নামাজের মাঝে মৌলিক কোন ত্রুটি নেই। আর যেখানকার মানুষ গুলো উপরোক্ত হাদিসটি শতভাগ বিশ্বাস করে ও এর অন্তর্নিহিত তাৎপর্য ‍বুঝে বা এ আমলটি করার জন্য চেষ্টা করে। এবং যে এ আমলটি করবে, তাকে ও তার এ নামাজকে মানুষ সম্মানের সহিত দেখে।

আমার মনে হয় এ রকম প্লেসে আমলটি করতে পারলেই কেবল, সংশ্লিষ্ট ঐ ব্যক্তিটি তার নির্ধারিত এ সাওয়াবটি পেতে পারবে।

মানুষ সমাজবদ্ধ জীব হওয়ায়, মানুষের বিভিন্ন কর্ম ও স্বভাব একজন অপরজনকে প্রভাবিত করে বিধায়, হয়তো অন্য কোন আমল বা অন্যদের মন-মানসিকতা দ্বারা, তার এ কর্মের সাওয়াবটি হয়তো বিদূরিতও হয়ে যেতে পারে; তাই এ বিষয়ে আমার এ ধারনা। তবে কেউবা দশজনের মাঝে থাকলেও, সে যদি একলা জীবন-যাপন করতে পারে, মানে সহীহ্ থাকতে পারে, তাহলে তার কথা স্বতন্ত্র।

কিন্তু এমন স্থান, পরিবেশ ও মানুষ কি পাওয়া যাবে এ দেশে। আমার মনে হয় অনেক হাদিসের কার্যকারিতা না পাওয়ার বিষয়ে, মানুষ সমাজবদ্ধ জীব হওয়ার এ কাইটেরিয়াটাই দায়ী।

তাই ঋণশোধ করার বিষয়ে, এ আমলের চাইতে অন্যকোন ঔষুধ আছে কিনা, তা আমার জানা নাই। আবার শুধু চল্লিশ দিন এ আমল করলেই হবে না; এ আমল পরবর্তী ইন্তেকালের আগ পর্যন্ত তাকে দ্বীনের উপর অটল থাকতে হবে।

কী, আমার আপনজন ও দেশবাসি ভাই-বন্ধুরা, আপনারা আমার সাথে, আমার যুক্তিতে কি একমত? যদি একমত না হন; তবে কেন নয়, তা এ পোস্টের নিচে কমেন্টস বক্সে লিখে তা বুঝায়ে দিতে হবে; নতুবা আপনার এ বিষয়ে কথা বলা ঠিক হবে না।

দেখুন, আমি মাদ্রাসাতে ছিলাম, আপনারা আমাকে ম্যানাজারি চাকরিতে আহবান করলেন। আমি আপনাদের দোষ ধরছি না; কিন্তু আপনাদের মগজের প্রতি প্রশ্ন করছি। আমি ফেনীর উপশম হাসপাতালের ম্যানাজারি চাকরিতে যোগদানের আগের দিন, একটি মাদ্রাসায় যোগদানের জন্য ফেনী শহর পর্যন্ত চলে গিয়েছিলাম। কিন্তু আবার ফিরে এসেছি। যেতে আর পারিনি। ফেনীতে আসার আগে চাঁদপুর জেলায় একটা মাদ্রাসায় ছিলাম। কিন্তু আপনারা আহবান করায়, হুমড়ি খেয়ে ফেনীর ম্যানাজারি চাকরিতে চলে এসেছি। আবার মাদ্রাসায় চাকরি করবো, না ম্যানাজারি চাকরি করবো; এ বিষয়ে আমার পরিচিত আনেকের কাছেই পরামর্শ চেয়েছিলাম; সকলেই বলেছিলেন, হাসপাতালে ম্যানেজার হিসেবে যোগদান করতে। ফলে আমার মা এবং স্ত্রী-সন্তানেরা আপনাদের কথাকেই সহীহ্ মনে করলো।

(হিজরতের ঘোষণা প্রদান, এ পোস্ট সম্পর্কে মন্তব্য করা যেতে পারে)

আর আমার স্ত্রী এবং মা; তাদেরতো এমনিতেই জ্ঞানবুদ্ধি খুবই নগন্য। তাদের কারো কাছে একটি মোবাইলও নেই। ঠিকমতো মোবাইল চালাতেও পারে না তাদের কেউ। আমি কী করছি না করছি; মানুষদেরকে কী বলছি না বলছি; সমাজে কার সাথে কী প্রকারের জেহাদ হচ্ছে এর কিছুই জানেনা তারা; শুধু পাছে যেভাবে শুনে ও দেখে, সেভাবেই আমাকে মূল্যায়ন বা অবমূল্যায়ন করে। এতে তাদের নিকট, মানে আমার দাম্পত্য জীবনের আজ প্রায় গত ১৬ বছর, আমি অবমূল্যাতি আর অপমাণিতই হয়ে আসতেছি এ পর্যন্ত; এখন পর্যন্ত আমি আমার কোন বিষয়ে তাদের নিকট সম্মানী হতে পারিনি।

অন্যদিকে আমার বিষয়ে কিভাবে তারা বুঝবে বলেন (?), যদি শুধু আমার এ পোস্টটিই আমার স্ত্রী-সন্তান বা আমার মাকে পড়তে বলি বা বুঝতে বলি, তাদের কেউ কি তখন শুধু এ পোস্টের আগ-পর ব্যালেন্স ঠিক রেখে তা কয়দিনে পড়ে শেষ করতে পারবে বা কয়দিনে তা বুঝতে পারবে (?); তা কি আপনারা জানেন? শুনেন, তাদের দ্বারা এসব সম্ভব নয়, অন্তত এ পোস্টটি পড়ে বুঝাও তাদের দ্বারা সম্ভব নয়।। ভাই আমাকে যে এসব বিষয়ে বা চলমান সামাজিক এসব ঘাত-প্রতিঘাতে আমাকে যে একটু সহযোগিতা বা শান্তনা দিবে, এ ধরনের কোন যোগ্যতা আমার পরিবারের কারো নেই।

তারউপর স্ত্রীটাকে বিয়ে করার সময় নিয়েছিলাম যৌতুক। আর এর প্রতিফল হিসেবে এখন সাংসারিক অবনতি ও অশান্তি আমাকে সহ্যের পর সহ্য করতে হচ্ছে বা হয়েছে দিনের পর দিন; রাতের পর রাত। তাছাড়া আমার স্ত্রী যখন বুঝতে পারলো এ বাড়িতে আমার তেমন কোন সম্মান নেই এবং ভবিষ্যতেও আমার তেমন কোন সম্ভাবনা নেই এবং সেও আর তার ২য় বিয়ে হোক এটা চায় না, তখন সেওতো আমাকে বাদ দিয়ে অনেকটা বেঁচে থাকার তাগিদে বা তার জ্ঞান ও ঈমান অনুযায়ী বাড়ির লোকদের সাথে গ্রুপিং করবে ও করেছে এবং যা ছিলো এ যুগের মোটামুটি ভালো মানুষদেরই একটি স্বাভাবিক কর্ম। এবং হয়তো এ যৌতুকের বিষক্রিয়ায় আমার একটা ছেলে-মেয়ে মানুষ হওয়ার কোন পথ এখনো সৃষ্টি হয়নি। জানিনা, কখন আল্লাহ আমার তাওবা কবুল করবেন!

বন্ধুরা, যে পরিবারের স্বামী তার সংসার জীবনে, তার স্ত্রীর সাথে প্রেম করতে পারলো না অথবা প্রেম করতে চাইলেও, ভালোবাসতে চাইলেও, স্ত্রী তার সে প্রেম রিসিভ করলো না বা কোন প্রকারের মূল্যায়ন করলো না অথবা যে পরিবারের স্ত্রী তার স্বামীর সাথে প্রেম করতে পারলো না বা মন উজাড় করে ভালোবাসতে পারলো না বা স্বামী স্ত্রীকে অবহেলা করলো, ভয় ও শ্রদ্ধা মিশ্রিত ভালোবাসতে পারলো না তার স্বামীকে; এ ধরনের দম্পতিদের জীবন বা তাদের সংসার জীবন অনেকটাই ব্যর্থ। তাই জীবনকে সফল বা সাকসেস করতে হলে স্বামী, স্ত্রীকে এবং স্ত্রী, স্বামীকে প্রেম করতে হবে, ভালোবাসতে হবে। মনেরাখবেন সংসার জীবন উন্নত করতে, এর চাইতে মহৌঔষুধ, মহা কাইটেরিয়া আর নেই।

যেহেতু আমি যৌতুক নিয়ে বিয়ে করেছি, তাই হাজারো চেষ্টা করেও পারিনি আমি এ রকম একটি অবস্থা ও পরিবেশ সৃষ্টি করতে। আমার মনে হয় পাপেরও কিছু অদৃশ্য অবয়ব আছে; যা আমাকে আপনাকে ভালো কিছু করতে সবসময়ই বাধা দিবে। আর আমিও আমার স্ত্রী ও গায়েবী পাপের বায়বীয় দানব দ্বারা সাংসারিক এ সুখ থেকে বাধাগ্রস্থ ও বঞ্চিত ছিলাম।

অপরদিকে আমার বাড়ির সকলে স্কুল, কলেজ, ভার্সিটির মোটামুটি উচ্চ শিক্ষিত এবং সরকারি-বেসরকারি মোটামুটি সম্মানজনক বেতনে চাকুরে রত। আর তাই আমার স্ত্রী ও মা, তাদেরকেই প্রাধান্য দেয়, আমাকে নয়। এদের নিকট তারাই যোগ্য ও সম্মানী, আমি নই। তাহলে আমি ব্যক্তিত্ববান মানুষ হিসেবে নিজ বাসভূমেই কেমন অপমাণিত, বুঝতে চেষ্টা করুনতো ভায়েরা আমার?

আমার স্ত্রীটাও অনেকটাই দুনিয়াদার এবং প্রায় অশিক্ষিত ও অপরের জ্ঞান দিয়ে তাকে চলতে হয়; যেহেতু নিজের জ্ঞানের আলো প্রায় শূন্যের কোঠায়। আজ আমি সব সত্য বলবোই; কারণ অতিষ্ট হয়ে গেছি এদের সকলের যন্ত্রণায়।

এক্ষণে ছোট্ট করে মুসলিম যুবকদেরকে বলতে চাই; ঘূর্ণাক্ষরেও যৌতুক নিয়ে বিয়ে করবে না! তোমার আপনজন বা তোমার মান্যবর হুজুরেরাও যদি তোমার প্রতি দয়াদ্র হয়ে হোক বা যে কারণেই হোক, যদি কোন মানতেকী কথা-বার্তা বলে তোমাকে যৌতুক নিতে সাপোর্ট দেয়, তবুও কিছুই শুনবেনা।

আমি বলি শুন, নিজ জ্ঞানে হোক বা কোন আলেমের কথায় হোক আগুনে পা দিয়ে যদি কোটিবারও তাওবা কর, আগুন কিন্তু তোমার পা’কে রক্ষা করবে না, সে তোমার পা পুড়েবেই। তেমনি যৌতুকের কূফল তোমাকে ভোগ করতেই হবে সারা জীবন ভর; কোন মুক্তি পাবে না এতে। মনে রাখবে এ পৃথিবীর এবং মানুষের প্রত্যেকটি ক্রিয়ারই একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। যদি তুমি কোন কর্ম করো, তবে তোমার দ্বারা সৃষ্ট এ কর্মের বিপরীত ফল তোমাকে ভোগ করতেই হবে। প্রকৃতি তোমাকে কখনোই ছাড়বে না। হয়তো কিছুদিন আগে অথবা কিছুদিন পরে। হয়তো ইহকালে, নতুবা পরকালে। হয়তোবা তোমার এসব অপকর্মের ফল তোমার বংশদরদেরকেও সইতে হতে পারে। এটা পুরোপুরি বিজ্ঞানের মতো। হ্যাঁ, তাওবা এস্তেগফার যদি তুমি কবুল হও’ও, তবুও এক ভাবে না একভাবে তোমাকে তোমার কর্মটির বিপরীত ফল ভোগ করতেই হবে। হয়তো অন্তর পুড়বে, নতুবা শরীর পুড়বে। একটা না একটা পুড়বে, এটা কিন্তু চিরসত্য। এ দুনিয়া কারো জন্য আপন, আর কারো জন্য পর; এভাবে কিন্তু মহান রব এ প্রকৃতি সৃষ্টি করেননি; এ দুনিয়া রামমোহনের জন্য যেমন, সলিমুল্লার জন্যও তেমন। আমার রব সকলের জন্য সমান। এতে যদি তোমার প্রয়োজন হয় (দ্বীন বা দুনিয়ার প্রয়োজনে) হিজরত করার, তবে তোমাকেই সে উদ্যোগ নিতে হবে; আমার মনে হয় এখানে মহান রব আল্লাহু তা’য়ালার কিছু করার নেই। কারণ সকলকেই তিনি সৃষ্টি করেছেন, এবং তিনি শতভাগ সমতা বা ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করেন তাঁর সকল সৃষ্টির মাঝে।

যাক প্রসঙ্গ অন্যদিকে চলে যাচ্ছে। তো এক্ষণে আমি আমার ভাই-বোন, শুভাকাঙ্খী গণ, যারা বলেছিলেন, মাদ্রাসা থেকে ম্যানাজারি উত্তম হবে; আপনারাতো আমার চাইতে শিক্ষিত এবং দামি লোক; আপনাদের আহবানে দশ জন দৌঁড়িয়ে আসে, আর আমাকেতো কেউ মূল্যায়নই করে না। আপনাদের ম্যানাজারির প্রতি ও জীবনের বিভিন্ন দিকে আপনাদের মতো করে আমার মা ও স্ত্রী সন্তানদেরকে যখন আপনাদের স্ত্রী, কন্যা বা বাড়ির বা সমাজের অন্যান্য মহিলা বা পর পুরুষদের মারফত আপনাদের মগজগুলা যখন এদের কাছে পৌঁছে, তখন আমার কী অবস্থা হয় (?); এরা কী তখন আমাকে মানে? সম্মান করে? আমি স্বামী হয়েও বা সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকলেও সম্মান আমি না পেয়ে, পান আপনারা। আর আমাকে করে অমান্য এবং আমি হই তাদের কাছে চরম বোকা আর অপমানিত।

(হিজরতের ঘোষণা প্রদান, এ পোস্ট সম্পর্কে মন্তব্য করা যেতে পারে)

ঠিক আছে ধরেনিলাম, আপনারাই ঠিক; আমি আপনাদেরকে অপমাণ করছি শুধু শুধু; তাহলে আপনাদের শিক্ষা, পদবী, টাকা, কৌশল, চাপাবাজি আর চাটুকারিতায় নয়, আমাকে আপনারা সকলে মিলে বুঝাবেন যে-

পাঁছ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ তাকবীরে উলার সহিত পড়ার সুবিধা এবং মানুষ গড়ার দায়িত্ব নিয়ে ১০,০০০/১২,০০০ কিংবা ১৫,০০০ টাকা বেতনে আবাসিক ভাবে মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করা ভালো ও উত্তম হবে (?), না ৫০,০০০/- টাকা বেতনে (কথার কথা) হাসপাতালে কিংবা অন্যকোন প্রতিষ্ঠানে ম্যানাজারি বা এ রিলেটেড চাকুরী উত্তম হবে?

এতোদিন মানুষদেরকে কোনটিকে সাপোর্ট দিয়ে আমাকে প্রায় বেদিশার মধ্যে রেখেছিলেন (?) এখন কিন্তু সেটির বিষয়েই লিখতে হবে। নতুবা মুনাফেকি আচরণ হয়ে গেলো না আপনাদের? দয়াকরে একজন মুসলমান হিসেবে আমাকে বুঝান?? প্লিজ এখন চুপ থাকবেন না।

আসলে আমার মনে হয় আপনাদের চাকুরি বা দায়িত্ব গুলোকে আপনারা মনে করেন, শুধু টাকা ইনকামের বিষয় ছাড়া আর কিছু না। হয়তো ইবাদতও নয়, আর মানুষের প্রতি সেবাও নয়। তা নাহলে আপনাদের মনোভাব ও দৃষ্টিভঙ্গি এরকম হতো না।

(হিজরতের ঘোষণা প্রদান, এ পোস্টটি শেয়ার করা যেতে পারে)

প্লিজ নিশ্চুপ থাকবেন না, কেউ না কেউ উত্তর দেন; আমি বুঝতে চাই, আমার ধ্যান-ধারনার চাইতে আপনার ধ্যান-ধারনা কিভাবে উত্তম হয়? যদি সাহস থাকে মুসলিম হিসেবে এখানে প্রমাণ করুন যে, উপরোক্ত সুবিধা প্রাপ্তির প্রেক্ষিতে মাদ্রাসার চাকুরির চাইতে ম্যানাজারি চাকুরি বা এ রিলেটেড চাকুরি উত্তম? আর যদি না পারেন, তাহলে আমি যা বুঝি, ঠিক তাই বুঝি; আর কিছু বুঝি না; আমার বিষয়ে মানুষদেরকে এ ধরনের নেগেটিভ ধারনা প্রদান বন্ধ করুন; দয়াকরে মানুষদেরকে আমার বিষয়ে আর মিসগাইড করবেন না বা এভাবে আর বলে বেড়াবেন না।

আমার মা ও স্ত্রী বিভিন্ন সময়ে আপনাদের মন-মোগজ ও কৌশলের কারণে অনেক সময়ই আমাকে প্রচন্ড মনে কষ্ট দিয়েছে আপনাদের কারো না কারো থেকে জ্ঞান পেয়ে আমাকে বিভিন্ন প্রশ্ন করে এবং এতে হয়তো ধরে রাখতেও সমর্থ হয়েছে আমাকে তাদের সাথে থাকতে। কিন্তু এ বিষয়ে আপনাদেরকে উপেক্ষা বা অবজ্ঞা না করে আমার উপায় কি, যেহেতু দিন দিন আমি আপনাদের এ পরিবেশের কারণে বা আপনাদের সাথে জীবন-যাপন করার কারণে, আমি পাপী থেকে আরো মহা পাপী হয়ে যাচ্ছি? তাই আপনারা এখন যতই বাধা দেন বা কৌশল করেন ইনশা’ল্লাহ সুযোগ পেলে বা সামর্থ হলে, এবার আমি হিজরত করবোই। কারো কথা শুনবো না।

আপনাদের শিক্ষা, যোগ্যতা ও মনোভাবতো জগতের কাছে অনেক বড়!! তাহলে এখানে চুপ থাকবেন কেন?? চাপাবাজি আর মাতবরী, কাগজে-কলমে হয় না? শুধু বুজি গায়ের জোর, বাহুবল আর শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে হয়?

দেখুন, শুধু আমার মা ও স্ত্রী নয়, আপনাদের ও আপনাদের মতো মানুষদের প্রপাগান্ডা ও অপপ্রচারের কারণে এলাকার অনেক আলেম ভাইগণের কাছ থেকেও আমি পেয়েছি, অনেক সময়ই অনেক অবহেলা আর অপমান। অনেক আলেমকে সালাম দিয়ে পাইনি এর উত্তর। মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন আমার কাছ থেকে। যেন আমি কতই খারাপ লোক! নবীর (সাঃ) এঁর ওয়ারিশ হিসেবে তাদেরকে করতাম শ্রদ্ধা, কিন্তু তারা আমার সে ভালোবাসা ও অন্তরিকতার প্রতিদান দিয়েছে ধিক্কার ও অপমান দিয়ে। আলেমদেরকে অতিশ্রদ্ধা করার কারণে বা একটু বেশি ভালোবাসার কারণে তাঁদের অবহেলায় হয়তো কখনো মনেকষ্ট পেয়েছি; কিন্তু যেমন করে আমি তাদেরকে শ্রদ্ধা করেছি, ভালোবেসেছি; ঠিক তেমন করে আমার প্রতি তাদের আন্তরিকতা বা ভালোবাসা না থাকায় অনেক সময়, অনেক আলেম আমাকে বুঝতেও পারেনি। তিনি আমাকে তার প্রতিপক্ষ ভেবে আমাকে বাজে লোক মনে করেছে অনেক সময়।

এমনিতেই এ দেশের আলেম সমাজের সাথে, অর্থাৎ অনেকগুলো বেদআতি আমলের সাথে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ও তাঁর সাহাবী (রাঃ) এবং এমনকি বর্তমান আরবের সাথেও নেই কোন মিল। সবকিছু সহ্য করে এরপরও যখন তাদেরকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা নিবেদন করতে যাই, তখন পাইনি তাদের কাছ থেকেও সম্মানজনক প্রতি উত্তর বা আমার প্রতি ভালো ধারনা।

তারউপর কিছু কিছু আলেমকে ও তাবলিগের কিছু সাথী বা মুরুব্বীকে দেখতে পেয়েছি, তারা যেন আমার চাইতে অনেক বড় (!!), বেশি ইবাদত গুজার (!!); আর আমি তার বা তাদের দৃষ্টিতে হয়তো কিছুই না বা পাগল-ছাগল; এ যেন অনেকটা সম্মানের প্রতিযোগিতা বা আমি যেন তাদের সম্মানের প্রতিই আঘাত স্বরুপ; যার জন্য সে বা তারা আমাকে এডিয়ে চলেছে। আমি তাদের সাথে কথা বলতে চাইলেও, তাদেরকে সম্মান করতে চাইলেও, তারা আমাকে তাদের কাছে ভিড়তে দেয়নি, এডিয়ে চলেছে। এতে অনেক সময়ই আমি কষ্ট পেয়েছিলাম।

(হিজরতের ঘোষণা প্রদান, এ পোস্ট সম্পর্কে মন্তব্য করা যেতে পারে)

সম্মানীত ভিউয়ার আমার দৈন্যদশার আর কতো শুনবেন? তাই, বাকি বিষয় গুলো আমার এ পরিস্থিতির আলোকে বুঝে নিবেন আশাকরি।

আমার ভালো একটি মোবাইল নেই। নেই ভালো কম্পিউটার। মোবাইল থেকে ইউএসবি কেবল দিয়ে দিচ্ছি নেট। এতে মোবাইল করছে ডিসটাব। বার বার ডিসকানেকটেড হচ্ছে। চারদিক থেকে ঋণ পরিশোধের জন্য পাওনাদারগণ করছেন তাড়না। পরিবারের ৬ সদস্য এবং মা সহ (প্রতি ২মাস পর) ৭ সদস্যকে বাঁচিয়ে রাখতে ব্যয় করতে হচ্ছে দিনের প্রায় সবটুকু সময়। অভাবের তাড়নায় স্ত্রী-সন্তানদের সাথে করা যায় না ভালো ব্যবহার। এদিকে আমি আবার উচ্চ ব্যক্তিত্বের মানুষ ও অসাধারণ ভালো মানুষ!! অথচ সম্মানজনক কোন চাকুরীতো পাই না। টাকা না থাকলে এবং ঋণী হলে, তাহলে এ দুনিয়ার কেউ সম্মান দেয়!? মাথায় কি এ রিয়েকশান গুলা করে না আমার?? আমি কি মানুষ না? আমি তো আপনাদের মতো অন্য দশ জনের মতো মানুষ ছাড়া আর কিছু না!!

সুতরাং সবমিলিয়ে সংসার জীবন ও সমাজ জীবন হয় আমার দূর্সিহ। এখনো দেখতে পাই না সন্তানদের কোন ভালো ভবিষ্যত। পাই না পরিবার ও সমাজ থেকে তেমন কোন সম্মান। খেতে ও খাওয়াতে পারি না দশ জনের মতো ভালো কিছু!! তবুও আমিই ভালো মানুষ! আমিই সৈয়দ বংশীয়! আপনাদের কারো কারো চোখে আমিই উত্তম আখলাকের!?

অভাব ও মানুষের বিদ্রুপার্থক ব্যবহারে এবং মানুষ হিসেবে সহ্য করতে করতে, মনে বিরাজ করে চরম অশান্তি। যা অনেকের চোখে রোগও বটে!!

প্রিয় ভিউয়ার, আপনাদেরকে কি আরো বুঝাতে হবে! চোখে আঙ্গুল না দিলে, একটা বুক না লিখতে পারলে, তাহলে বুঝি বুঝবেন না!? যদি বুঝতেই পারেন, তাহলে চিন্তা করুন না (!) কিভাবে এবং কোন্ সময়ে আপনাদেরকে অন্তত লিখে বুঝাই!? কারণ না বুঝাতে পারলেতো আবার হয়তো মানুষের কাছে শুনে শুনে বা নিজ জ্ঞানে আমাকে ভূল বুঝতে থাকবেন চির জীবন ভরে!! তাহলে গবেষণা করুন, মনোনিবেশ করুন, বুঝতে চেষ্টা করুন আমার পরিস্থিতি বা প্রকৃত অবস্থা কি বা কী পরিস্থিতির শীকার হয়ে আমি আসলে নিজ বংশ ও নিজ পরিবারের বিরোধিতা করেছি (?) এবং আপনি বা আপনারা কি মনে করেন আমার সাথে ঘটে যাওয়া এ অবস্থা ও আমার আপনজন ও অন্যান্যদের এ ব্যবহার গুলো কি সাজানো নাটক ছিলো!? হে আমার বিজ্ঞানী ভায়েরা, আসলে এগুলো কোন সাজানো নাটক ছিলো না। এগুলো প্রকৃতই বাস্তব ছিলো। এগুলো দুনিয়ার অন্যসব স্বাভাবিক কর্মের মতোই একটি স্বাভাবিক পরিস্থিতি ছিলো। আমার আপনজনেরা আমার সাথে এ বিরুপ ব্যবহার গুলো আমাকে ঘৃণা করে, বাস্তব ও প্রকৃত ভাবেই করেছে। কোন ধরনের অভিনয় করে বা আমার প্রতি আন্তরিকতা রেখে করেনি।

এ পর্যায়ে আমি সবার প্রতি জানাতে চাই যে, উপরে উল্লেখিত আমলের আশায় এবং ফ্রিল্যান্সিং করার সুযোগ সহ আমি আবার স্বাধীন ও সম্মানী কর্ম হিসেবে ইনশা’আল্লাহ দেশের যে কোন প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসায় যোগদান করতে চেষ্টা করবো। আমার ধারণা আমার কারেকটারের প্রেক্ষিতে এ পথে শুধু আমল নয়, আমার জন্য রয়েছে টাকাও। সুতরাং এ কাজে আমাকে আর বাধা দিবেন না এবং কোন ধরনের অপপ্রচার বা অপযুক্তি দিয়ে আমার স্ত্রী ও মাকে আমার বিরুদ্ধে উত্তেজিত করে দিবেন না। যদি দেন, তবে আমাকে যেমন হয়তো অরো কট্টর হতে হবে; ঠিক আপনাদেরকেও হয়তো আরো পস্থাতে হবে। এমনিতেই আমাকে দ্বীনের কোন দিকে সহযোগিতা না করে এবং দাবিয়ে রাখতে চেয়ে, সমাজে কি একটুও অপদস্থ হননি এখন? তাই পারলে এখন থেকে এদেরকে এবং সমাজের মানুষদেরকে আমার পক্ষে বুঝান।

এবং আমার কাজে বিরোধিতা, অপপ্রচার ও বাধা দেয়া থেকে বিরত থাকুন। আমি স্পষ্ট করে শুনিয়ে দিতে চাই, আমি কিন্তু হযরত ইব্রাহিম (আঃ), হজরত মুসা (আঃ) ও হযরত (মুহাম্মদ (সাঃ) এঁদেরই অনুসারি। এঁদের তিন’জনকেই করতে হয়েছিলো হিজরত। আর আমিও তাই হজরত উমর ফারুক (রাঃ) এঁর মতো প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছি হিজরতের।

(হিজরতের ঘোষণা প্রদান, এ পোস্টটি শেয়ার করা যেতে পারে)

কী ভায়েরা (?), এবার আসবেন না, আমার উপকার করতে? সকলে মিলে গরু জবাইর মতো চেপে ধরতে? মসজিদে যেতে না দিয়ে রশি দিয়ে বেঁধে রাখতে (আগের মতো) বা রুমে আবদ্ধ করে রাখতে (?) অথবা দাবিয়ে দাবিয়ে আপনাদের পদতলে রেখে দিতে? এবং বাধ্যকরে আমাকে হাসপাতালে পাঠাতে? আর আমার অর্থনৈতিক ভীত একধম শেষ করে দিতে? (যা এতো দিন ধরে আমার সাথে ঘটেছিলো বা এখনো ঘটছে)

আর তখনও কি আপনারা একেবারে কিছুই বুঝেননি (?) যে, ইহা আল্লাহর প্রতি এক বিরল প্রেমের আকর্ষণ ছাড়া আর কিছুই ছিলো না? আমার মনে হয় বুঝতে পেরেছিলেন; কিন্তু নিজেদের মন-মোগজ অনুযায়ী মনে করলেন এটি রোগ। এ জন্যে দূর করতে বা দাবিয়ে রাখতে চাইলেন আমার আল্লাহ ভক্তি বা আল্লাহ প্রেমের এ প্রবল আকর্ষণকে।

এবং বাবার নামীয় জমি বিক্রি করে করতে লাগলেন আমার চিকিৎসা এবং করলেন ফেতনার উৎপত্তি।

আরে ভাই (?), আপনি কিংবা আপনারা কেন; এ জগতের কোন্ ভাই, তার ভায়ের চিকিৎসার জন্য তার নিজ পকেট থেকে টাকা খরচ করবে? এ নজির কি দুনিয়াতে দু’একটা দেখাতে পারবে কেউ? তাহলে ফাও আপনাদেরকে দোষ দিয়ে লাভ কী?

এ জগতের মানুষ গুলোকেতো আল্লাহর প্রতিনিধি হিসেবে খুব একটা দেখতে পাই না; এদের প্রায় সবাই তাদের বাপ-দাদা বা তাদের পরিবার বা বংশ বা তাদের দল বা গ্রুপের প্রতিনিধি হিসেবেই দেখতে পাই। কাউকেতো খুব একটা মানব সেবা করতে দেখি না; যা দেখি তা নিতান্তই শুধু স্বজন বা বংশ বা স্বার্থ প্রীতি। এর বেশীতো কিছু নয়। তাহলে আপনারা দোষী হবেন কেন?

(হিজরতের ঘোষণা প্রদান, এ পোস্ট সম্পর্কে মন্তব্য করা যেতে পারে)

হ্যাঁ, যদি দোষী হন, তাহলে আসুননা, আমায় হাসপাতালে পাঠাতে এবার? আমিতো হয়তো আপনাদেরকে ছেড়ে চলে যাবো; হয়তো আর কখনো আসবোও না (অের্থাৎ আমি চাই, আমার কবর সৌদি আরবে হবে। মহান রবের প্রতি ইহা আমার প্রার্থনা)। এবার পারলে ঠেকান আমাকে? পারবেন? সকলে মিলে চেষ্টা করুন।

এই আমার আত্মীয়-স্বজনেরা; যখন ২০০১ সনে প্রথম আমার মহান রবের প্রতি এ বাঁধভাঙ্গা প্রেমাবেগ উঠলো, তখন কি আপনারা আল্লাহর প্রতি এ পাগলামি থামাতে কুফরি-কালামের স্বরণাপন্ন হননি? হয়েছেন। লক্ষ টাকার তাবিজ ও ঔষুধ আমাকে খাবাননি? খাবায়াছেন। গণক বা গুণিন গণকি বলেনি, এ আল্লাহর (মানে আমি) ওলি পর্যায়ের মানুষ; ওকে কুফরিতে জড়ানো সম্ভব হবে না। আমি যতটুকু জানি, যেভাবেই বলুক, গুণিনগণ বলেছে। তবুও আপনারা শুনেননি; কিন্তু লাভ কি হয়েছে এবং গুণিনের কাছে যাওয়াটাই হয়েছিলো আপনাদের অপরাধ? আর এতে শুধু দাবিয়ে রাখতেই যা পেরে ছিলেন; এবং এখনো আপনাদের প্রচেষ্টা হচ্ছে, আমাকে কীভাবে দাবিয়ে রাখা যায়? বলতে পারেন আপনারা ও আপনাদের এ সমাজের মানুষ গুলোর এতো স্বজনপ্রীতি কেন?

আমি উত্তরটা দেবো? মনেকষ্ট নিবেন না তো? প্রায় ১০০% লোকের ক্ষেত্রেই আপনাদের এ স্বজন-প্রীতির মূলে হলো, আপনাদের নিজেদের দুনিয়াবি স্বার্থ এবং দুনিয়াবী সম্মান। এমনকি যে মা তার সন্তানের জন্য চোখের পানিতে বুক ভাষায়, তার মনের গহীনেও, তার সন্তানকে নিয়ে লুকিয়ে থাকে তার দুনিয়াবি স্বার্থ।

আর এ স্বার্থপ্রীতির জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত আমি নিজেও। আমার মাঝে যখন আপনারা কোন সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছিলেন না, তখন আমি কী পরিমাণ অবহেলা, অসম্মান ও লাঞ্চনার শীকার হয়েছি আপনাদের মাঝে? এর কোন সীমা-পরিসীমা কি আছে? সম্পূর্ণ একা হয়ে গিয়েছি আমি। এবং আমি আপনাদের সকলের অসহযোগিতার পাত্র হয়ে গিয়েছিলাম। আর এখন সবাই সাধু হয়ে যাচ্ছেন আস্তে আস্তে, এইতো?

(হিজরতের ঘোষণা প্রদান, এ পোস্ট সম্পর্কে মন্তব্য করা যেতে পারে)

হে ভায়েরা, আমার প্রকৃত রুপ কী, তা কি আপনারা কেউ আসলে দেখেছেন? দেখার কোন অবস্থা বা সুযোগ নেই এবং এখন আর এর প্রয়োজনও নেই। পরিবেশ না থাকলে কিভাবে দেখবেন? সে ছিলো এক উদারতা আর মহানুভবতার প্রতীক; ইনশা’আল্লাহ মানুষকে ভালোবাসার এক অপূর্ব নিদর্শন ও এ বিষয়ে ইতিহাস ছিলাম আমি।

যাক এখন আর আমার এসবের প্রয়োজন নাই এবং বয়সও এখন আর আমার নেই বলেই মনে হয়। কারণ এর চাইতে বেশি বয়স হয়ে গেলে আমি কিভাবে আমার প্রাণের দেশ সৌদি আরব যাবো? আর কেমন করেইবা আমার প্রাণের নবীর (সাঃ), যাঁর জন্য আমার জীবন উৎস্বর্গীকৃত, তাঁর স্মৃতিময় নিদর্শন সমূহ দেখবো? এই, কেয়ামত হয়ে গেলে বা আমার মৃত্যু হয়ে গেলে, তাহলে আর এসব দেখার সুযোগ থাকবে?

(হিজরতের ঘোষণা প্রদান, এ পোস্ট সম্পর্কে মন্তব্য করা যেতে পারে)

তাই এ দেশে আমার অবস্থানের আর কোন সুযোগ নাই। শুধুমাত্র রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এঁর প্রেমে এ দেশে আমার সকল সেবামূলক কর্মের ইতি টানলাম। অর্থাৎ এ দেশে থাকতে হবে, এ রকম কোন কাজে আমি আর জড়াবো না। তবে সে দেশে যদি যেতে পারি, তাহলে সে দেশে থেকে মাতৃভূমির জন্য স্বাধ্যমত কিছু করার চেষ্টা করবো।

কী, আমাকে পাগল বলছেন, সকলে? বলুন। আপত্তি নেই। আমার ভাইদের মতো সবাই মিলে আমাকে ঠেকান। তাতেও আমার আপত্তি নাই।

যেহেতু আমার কাজ হচ্ছে শুধু চেষ্টা করে যাওয়া; আর সহীহ্ নিয়ত রাখা। এর বেশি কিছু নয়। তবে দেখিয়েন, আমাকে অস্বাভাবিক কিছু ভাবিয়েন না। ইনশা’আল্লাহ আমার প্রত্যেকটি কাজ হবে স্বাভাবিক।

(হিজরতের ঘোষণা প্রদান, এ পোস্টটি শেয়ার করা যেতে পারে)

অন্যদিকে দেখুন, আমার হিজরতের বিষয়ে সকলকে বলতে চাই, এখনো কোন দিকেই কোন কিছু ঠিক হয়নি। কোথায় যাবো বা কোথায় যেতে হবে এখনো এ বিষয়ে কিছুই ঠিক করা হয়নি বা যাওয়ার বিষয়টি ঠিক করে তারপর আপনাদেরকে এ পোস্ট দিইনি এবং এ বিষয়ে আমি জানিও না যে আমি কোন্ স্থানে যাবো। শুধু আমার মন বলছে যে, আমাকে হিজরত করতে হবে। আমার দীলে অনেকটা জানা হয়ে গিয়েছে যে, আমার জীবনের সাথে মনে হয় হিজরত অতোপ্রতো ভাবে জড়িত; এটা হয়তো রব কর্তৃকও নির্দিষ্ট।

তাই আমার পরিজন, আত্মীয় ও পাওনাদারদের প্রতি আমি আবারো আহবান জানাবো; আমি যদি কোথাও হিজরত করতে চেষ্টা করি বা সমর্থ হই; তবে আপনারা আর আমায় ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করবেন না; যেমনটি ইতিপূর্বে চলে এসেছি। এবং আপনাদের সকলের প্রতি আশা করবো, আমার হিজরতের চেষ্টায় আপনারা কেউ বাধা প্রদান করবেন না। আর আমি যেদিকেই যাই মূলত কাজ নিয়েই বা বেনিপেশিয়ালি ভাবেই যাবো। এমনি এমনি কোন দিকে যাবো না। বরং যাবোতো যাবো, লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে এবং এর সম্ভাবনা দেখেই যাবো।

পরিশেষে আমার রবের প্রতি আমি প্রার্থনা করছি এই বলে যে, (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইয়া আল্লাহ! হে আমার প্রতিপালক!-

এ দেশে আমল করতে গিয়ে ও আপনার ইবাদত করতে গিয়ে, আমার মনমতো ইবাদত করতে পারি না। বা সহীহ্ ভাবে করতে পারি না। অনেক সময় বাধ্য হয়েই এদের মতো করতে হয়। শ্রেষ্ঠ ইবাদত নামাজ। আর এ নামাজের মাঝেও এ দেশে রয়েছে বিদআত। ইত্যাদি অনেক সামাজিক ও ধর্মীয় ইবাদতের সাথেই এ দেশে জুড়ে আছে বিদআত। আর যা আরম্ভ করেছে এবং এ পর্যন্ত যা দায়েম ও কায়েম রেখেছে খোদ আপনার নবীর (সাঃ) এঁঁর ওয়ারিশবৃন্দ। তাছাড়া শুধু স্বার্থের জন্যে এ দেশের মানুষদের রয়েছে হাজারো অপকৌশল। এ দেশের মানুষ পরষ্পর পরষ্পরকে খুব একটা বিশ্বাস করে না এবং টাকাই এদের মুখ্য ও মনেহয় মূলকেন্দ্র; আর মিথ্যা বলাটা যেন এদের স্বভাব। এদের কাছে ভালো মানুষ বলতে শুধু অর্থ বা ক্ষমতার রিলেশান রয়েছে; শুধু এটিকেই বুঝায়। যার কূফল আপনার মসজিদ গুলোতেও পড়েছে অনেক বেশি করে। নামাজ পড়ার সময়ও দেখি একজন মুসল্লি পার্শ্ববর্তী মুসল্লি দ্বারা প্রভাবিত বা তাড়িত হচ্ছে। অথবা জিম্মি হয়ে আছে কারো না কারো দ্বারা (কোন ব্যক্তি বা কোন ভালো কর্মের বিষয়ে)। এখানকার অফিস আদালাতের কর্মচারী বা ব্যবসায়ী ও ভোক্তা সাধারণ গণকে অনেক সময় নিরেট সত্য বললে, তখন তাদেরকে পড়তে হয় বাড়তি বিপদে; হয়তো মান-সম্মান বা আর্থিক ভাবে সে ক্ষতিগ্রস্থ হয়, নতুবা বেশি কাজের বোঝা তারউপর চাপে অথবা সে বোকা বলে পরিচিতি পায় ইত্যাদি ইত্যাদি আরো কত কি!! যে কোন কিছু প্রাপ্তির ক্ষেত্রে এরা শুধু নিজেদের বাহুবলকেই প্রাধান্য দেয় এবং অনেক সময় একমাত্র অবলম্বনও মনে করে।

আর যেহেতু আমার কাছে টাকা নেই এবং তারাও মানুষকে সহজে বিশ্বাস করে না; অতএব আমাকে তাদের মাঝে পরিচয় দিতে হলে অনেক সময়ই তাদেরকে করতে হয় অতিশ্রদ্ধা বা অতি প্রেম। এতে অতি শ্রদ্ধা দেখালে অনেক সময়ই আমার জ্ঞান লোপ পায়, ফলে তারা আমায় ভূল বুঝে এবং অতি প্রেম, ভালোবাসা দেখালে আমাকে আঘাত সইতে হয়, যাদেরকে ভালোবাসলাম, যাদের জন্য ত্যাগ স্বীকার করলাম তাদের কাছ থেকেই। যা আমার ভালো লাগে না, ইয়া রব!!

হে আমার রব, আমি একজন নগন্য বান্দা হয়ে এ দেশের আলেমদের এ সব বিদআতের বিরোধিতা করতে পারি না বা যা করার সাহস বা সক্ষমতা আমার নেই; যেহেতু আমি আলেম নই।

এবং হে আল্লাহ! যদিও তুমি আমায় এ বঙ্গে সৃজন করেছ; তবুও এখন আমি এদের কৃষ্টি-কালসারের সাথে ভালাভাবে মিশতে পারছি না। (হে প্রিয় বঙ্গবাসী আমি আপনাদের প্রতি বিন্দুমাত্রও অসুন্তুষ্ট নই। এদেশ আমার মাতৃভূমি। এদেশকে আমি ভালোবাসি। কিন্তু আমার মনের চাহিদা পূরণের জন্য বা আরো ভালো কিছু পাওয়ার জন্য রবের নিকট শুধু প্রার্থনার সময়ই, তাঁর প্রতি আবেদন ও আবেগময় এ কথাগুলো বলেছি বা আমার স্বদেশের এ দোষকীর্তন করেছি। আবার ইনশা’আল্লাহ আলেম সমাজের প্রতি আমি সব সময়ই থাকবো শ্রদ্ধাশীল ও আন্তরিকতা পূর্ণ। আশাকরি আপনারা সহজেই বিষয় গুলো বুঝতে পারবেন।)

হে আল্লাহ, আমার মনে হয়, সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা ভূমিতে ইবাদতের যে নিয়ম-কানুন বা কালচার বা মানুষের শারীরিক-মানসিক যে সব অভ্যাস বা তাদের জীবন-যাপনের যে স্বভাব বিরাজমান আছে, তা আমার সাথে সামঞ্জস্যশীল হবে।

তাই আমার জন্য যদি আপনি, ভালো মনে করেন, তাহলে আমাকে ও আমার পরিবার বর্গকে পবিত্র মক্কা নগরীতে, মসজিদে হারাম শরীফের নিকটে চলে যাওয়ার ও আমাদের সকলকে সেখানে নিয়মিত নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য (বেশি সাওয়াব প্রাপ্তির আশায়) ও চিরতরে আমার বংশকে সে দেশে থেকে যাওয়ার অনুমোদন দিয়ে দেয়ার জন্য, মানে সৌদি আরবের নাগরিকত্ব প্রদানের জন্য, আপনার অনুগত গোলাম হিসেবে আপনার নিকট বিনীত প্রার্থনা করছি।

ইয়া রব! আপনি কি আমায় শাস্তি দিবেন, আমার আর্জির বিষয়ে অনুমোদন না দিয়ে!! আপনি কি আমায় পরীক্ষা করবেন; আমার দুনিয়াবি সহায়-সম্বলহীন এক করুন ও দূর্বল পরিস্থিতির মাঝে!! আপনি না (মুমিনের মানে ইনশা’আল্লাহ) আমার অভিভাবক!! তাহলে আমার ছেলেমেয়েদের অভিভাকত্ব পালন করতে গিয়ে আমি তাদেরকে নিজ থেকে, তাদের উপদ্রব শয্য করার পরও, তাদেরকে ভালো কিছু দেয়ার চেষ্টা করি। তাহলে আপনি আমার অভিভাবক হিসেবে কেন আমায় ভালো কিছু দেয়ার চেষ্টা করবেন না!! আপনিই বলুন, বঙ্গভূমি থেকে মক্কার ভূমি কি পবিত্র ও উন্নত নয়!! তাহলে আপনাকেতো আমি অভিভাবক মানি, আমাকে যদি আপনি কয়েক কোটিবার জীবীত করেন, তাহলেও ইনশা’আল্লাহ, আমি সে কয়েক কোটিবারই (যত বেশিই হোক) আপনি ও আপনার রাসূল (সাঃ) এঁর জন্যই শহীদ হতেই প্রস্তুত। ইনশা’আল্লাহ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাকে আপনি, আপনার অনুগত গোলাম হিসেবেই পাবেন (আমার যোগ্যতা ও সম্পর্কের সীমাবদ্ধতা অনুযায়ী)।

[প্রিয় ভিউয়ার! উপরোক্ত বিষয়গুলোতে আমি আমার রবকে প্রশ্ন করিনি। আস্তাগফিরুল্লাহ, আল্লাহু তা’য়ালা আমায় মাফ করুক। এ বিষয়ে আমি তাঁর নিকট মাফ চাচ্ছি। আমি নগণ্য বান্দা হিসেবে আমার এতো সাহস ও অধিকার কোথা থেকে আসবে? এখানে আমি শুধু তাঁর প্রতি আমার প্রেমাবেগ ব্যক্ত করেছি ও তাঁর প্রতি আমার কিছু আবেদন মঞ্জুরের বিষয়ে আবেগময় চেষ্টা করেছি। আশাকরি আমার প্রিয় রব (ও মানুষ গণ), আমার অন্তরের এ বিষয়টি বুঝবেন।]

ইয়া আল্লাহ! জানি এ উচ্চ বিষয় গুলো পাওয়ার আমার কোন যোগ্যতা নেই। তবুও শুধু আপনাকে ভালোবাসি, আপনার নবী রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে ভালোবাসি এবং শুধু আপনাদের জন্যই আমার এ জীবন উৎস্বর্গীকৃত। আর শুধু এ ভালোবাসার টানেই আমি আমার প্রাণপ্রিয় নবী রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এঁর রাওজা মুবারকের পাশে চলে যেতে চাই।

আর এরই অংশ ও এর ১ম প্রদক্ষেপ হিসেবে, ইয়া আল্লাহহু তা’য়ালা!! আমাকে এ দেশের জেলা শহরে প্রতিষ্ঠিত যে কোন কাওমি মাদ্রাসায় অথবা ইসলামের পর্দার বিধান শতভাগ বলবৎ আছে, দেশী-বিদেশী এ রকম যে কোন ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (গুড় কমিউনিকেশনেবল) মোটামুটি সম্মানজনক বেতনে এবং আমার জন্য ফ্রিল্যান্সিং শিক্ষার ও ফ্রিল্যান্সিং করার সুবিধা, সাপোর্ট ও সহযোগিতা সহ জেনারেল ও নূরানী শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা পেশায় একটি চাকুরি প্রদান করুন, যাতে কিছু মানব শিশুকে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ার এ মহান দায়িত্বে আত্মনিয়োগ করতে পারি!! এবং যেহেতু এখানে অর্থাৎ আমার বর্তমান প্লেসে বা আমার নিজ বাড়িতে থেকে আমি যতই চেষ্টা করি না কেন, আমি তাকবীরে উলার সহিত মসজিদে জামাতে নামাজ পড়াতো গিয়ে দূরে থাক অনেক সময় ঠিকমতো নামাজই পড়তে পারি না। অথচ আমিতো চাই যে, তাকবীরে উলা ব্যতিত আমি কোন নামাজই পড়বো না। অতএব, ইয়া রব!! দয়া করে আমার এ আর্জিটি পূরণ করুন, আমার হিজরতের বিষয়টি আপনি কবুল করুন ইয়া আল্লাহ্!! আমি কোথায় হিজরত করবো এবং কিভাবে করবো, তা আপনি ঠিক করে দিন ইয়া আল্লাহ! এবং গায়েবী ভাবে আপনি আমার সাথে থেকে ও আপনার নিজ জিম্মায় আমাকে সেখানে নিয়ে চলুন!! আমার হিজরতের সহযোগী ও সহসাথী হন ইয়া আল্লাহ্! আমার হিজরত অনুমোদন করুন, ইয়া আল্লাহু তা’য়ালা!! ভীনদেশে আপনি সবসময় আমার সাথে থাকবেন ইয়া আল্লাহু তা’য়ালা!

আবার আমার আরেকটি অন্যতম প্রার্থনা এই যে, হযরত ঈমাম মাহাদী (আঃ) আমার বংশেই জন্ম গ্রহণ করবেন, এটা আমার আন্তরিক আর্জি। যেহেতু আপনি জানেন, আমার এ রোগ বা এ আধ্যাত্মিকতার প্রারম্ভিক দূর্বলতর অবস্থায় শয়তান বার বার আমাকে হযরত ঈমাম মাহাদী (আঃ) দাবী করতে জোর প্রচেষ্টা চালিয়েছিলো এবং যা অটো ভাবে আমার মুখ দিয়ে বেরও করে ফেলতে চেয়েছিলো সে। ইয়া রব! আপনি জানেন, তখন আমি নিজকে কন্ট্রোল করতে গিয়ে এবং নিজের মুখকে নিজেই বন্ধ রাখতে গিয়ে ভীষণ কষ্ট করেছিলাম ও শয়তানের সাথে যুক্তি-তর্কের সময় এবং এ সময়ে আপনার রহমতের ছায়াতলে টিকে থাকতে আমার যারপরনাই কষ্ট করেছিলাম। যা আজো আমার মনে হলে আমি শিউরিত হয়ে উঠি এবং এ বিষয়টি এখন পর্যন্ত কোন মানুষ জানেনা এবং মানুষ গণ এও জানেনা যে, কেন আমি আমার প্রচেষ্টাকৃত এ সমিতি ও এর অফিস এবং আমার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত করতে চেষ্টা করা এ ফাউন্ডেশন হযরত ঈমাম মাহাদী (আঃ) এঁর জন্য ওয়াকফ করে যেতে চেয়েছিলাম। তাঁর জন্য ওয়াকফ করতে গিয়ে এবং সমিতির সমাজ সেবা বিভাগে তাঁর জন্য ফান্ড গঠন করতে গিয়ে অনেক গুলো নিয়ম-কানুনও আমি সাজিয়েছিলাম। এতে আমার অনেক কষ্ট হয়েছিলো। তাই এ বিষয়টি চাওয়া ও এ বিষয়টি পাওয়া, ইয়া অল্লাহ, আমি মনেকরি ইহা আমার হক। তাছাড়া আমার মনে সাজিয়ে রেখেছি, এ বিষয়ক পরবর্তী নিয়ত বা পরবর্তী প্রদক্ষেপ গুলো। যা আপনি জানেন ইয়া রব! যে গুলো এখন বলার উপলক্ষ বা পরিস্থিতি বা আমার সামর্থ সৃষ্টি হয়নি বিধায় এখন বলতে পারছি না।

আবার যেহেতু আমার মা সৈয়দ বংশীয়, আর সে সূত্রে আমিও সৈয়দ বংশীয়। তাই আমার এ প্রার্থনা অমূলকও নয় ইয়া রব!

ইয়া পরওয়ারদেগার! ইনশা’আল্লাহ, আপনাকে ভয় করার মতো ভয় করি। ভালোবাসার মতো ভালোবাসি।

হে আল্লাহ!! আমাকে, প্রয়োজনীয় অর্থ ইনকাম করে আমার ঋণশোধ করার ও এফিডেভিট করে আমার পরিবারের সকলের নামের আগে সৈয়দ শব্দটি জুড়ে দেয়ার ও চৌধুরী শব্দটি বিলুপ্ত করে দেয়ার তাওফিক দিন।

আমাকে এখন বেশি বেশি হালাল ইনকাম করার তাওফিক দিন। আপনি নিজ থেকে আমার সাথে থেকে ও স্পেশাল সহযোগিতা দিয়ে আমাকে বেশি বেশি ইনকাম করান। যাতে সবগুলো ঋণ আগে শোধ করতে পারি!!

আমার প্রাণ প্রিয় নবী ও রাসূল (সাঃ), জনাবে মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এঁর উছিলায় দয়াকরে আমার এ দরখাস্তটি, আমার এ আকুল আবেদন সমূহ কবূল ও মঞ্জুর করুন, ইয়া আল্লাহ। আমিন। (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)

(হিজরতের ঘোষণা প্রদান, এ পোস্ট সম্পর্কে মন্তব্য করা যেতে পারে)

আমার বিষয়ে সঠিক ও সম্পূর্ণ ভাবে বুঝতে হলে এ রিলেটেড নিম্নলিখিত পোস্ট সমূহ পড়ার প্রয়োজন হবে এবং পড়তে ও বুঝতে চাইলে নিম্নে ক্লিক করুন-

১ নং কন্টেন্ট পড়তে এখানে ক্লিক করুন

২ নং কন্টেন্ট পড়তে এখানে ক্লিক করুন

৩ নং কন্টেন্ট পড়তে এখানে ক্লিক করুন

৪ নং কন্টেন্ট পড়তে এখানে ক্লিক করুন

৫ নং কন্টেন্ট পড়তে এখানে ক্লিক করুন

৬ নং কন্টেন্ট পড়তে এখানে ক্লিক করুন

৭ নং কন্টেন্ট পড়তে এখানে ক্লিক করুন

৮ নং কন্টেন্ট পড়তে এখানে ক্লিক করুন

৯ নং কন্টেন্ট পড়তে এখানে ক্লিক করুন

১০ নং কন্টেন্ট পড়তে এখানে ক্লিক করুন

১১ নং কন্টেন্ট পড়তে এখানে ক্লিক করুন

১২ নং কন্টেন্ট পড়তে এখানে ক্লিক করুন

১৩ নং কন্টেন্ট পড়তে এখানে ক্লিক করুন

১৪ নং কন্টেন্ট পড়তে এখানে ক্লিক করুন

১৫ নং কন্টেন্ট পড়তে এখানে ক্লিক করুন

১৬ নং কন্টেন্ট পড়তে এখানে ক্লিক করুন

প্রিয় ভিউয়ার, আপনাদের সকলের দোয়া ও আন্তরিকতা এবং মুহাব্বত কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি। ধন্যবাদ; সকলে ভালো থাকুন।