আপগ্রেডঃ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

(এ পোস্টটির পূর্বোক্ত নাম ছিলো তারাবীর নামাজের উত্তম তরীকা। বর্তমান নাম অনুযায়ী পোস্টটি অল্প কিছুদিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় এডিট করা হবে।)

তারাবির নামাজে প্রতি ৪ রাকাত পর পর দোয়া ও মুনাজাত করার বিষয়ে মহান রব, আলেম সমাজ ও দেশবাসীর প্রতি আবেদনঃ

তারাবির নামাজে প্রতি ৪ রাকাত পর পর “সুবহানাঝিল মুলকে….” এই দোয়া পড়ে এবং “আল্লাহুম্মা ইন্না নাস আলুকা…ইয়া মুজিরু, ইয়া মুজিরু….” এই মুনাজাত করে বা যে কোন মুনাজাত করে (সামষ্টিক ভাবে); আমার জানা মতে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ও তাঁর সাহাবী গণ (রাঃ), এভাবে কখনোই তারাবীর নামাজ পড়েন-নি।

হে আমার ভায়েরা আমাকে খারাপ ভাববেন না, সত্যি করে বলেন তো, আপনারাকি জানেন (?), এভাবে কি আল্লাহর রাসূল (সাঃ) ও তাঁর সাহাবী গণ তারাবীর নামাজ পড়েছিলেন? আমিতো জানি পড়েন নাই।

বলেন ভাই, বলেন। কমেন্টস করে বলেন, ওমুক হাদীসে আপনারা পেয়েছেন যে, তাঁরা (রাঃ) এভাবে পড়েছেন। তাহলে আমিও শুদ্ধ আমল করতে পারবো এবং আমারও তারাবীর পরিপূর্ণ সাওয়াব পাওয়ার সুযোগ হবে এবং আপনারা আমার বা আমার মতো লোকদের ভূল ভেঙ্গে দেয়ায় আপনাদেরও সাওয়াব হবে।

এভাবে প্রতি বছর রমজানে মুখ বুঝে বসে থাকলে; আর বাপ-দাদাদের মতো আমল করতে থাকলে, সাওয়াব বুঝি পরিপূর্ণ হবে, ভাই? আমার মুরুব্বিরাতো আলিফ, বে, তে, এভাবে পড়েছেন; তাহলে আপনারা কেন এখন,আলিফ, বা, তা এভাবে পড়েন? একটুও কি চিন্তা করবেন না?

আসলে আপনাদের এ বিষয়ে হয়তো কিছু জানাও নেই যে, অথবা হয়তো কিছু জানতে চানওনা যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ও তাঁর সাহাবীগণ (রাঃ) এ নামাজটি কিভাবে পড়েছিলেন? শুধু সকলে করে যাচ্ছে বা হুজুরেরাও করছে; আর তাই আপনি বা আপনারাও করছেন। এভাবে জানতে না চাওয়া, আর বাপ-দাদাদেরকে যেভাবে দেখেছেন, সেভাবে আমল করা, এটা কোন মুমিনের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না।

(তারাবির নামাজের উত্তম তরীকা, এ পোস্টটি শেয়ার করা যেতে পারে)

শুনেন আমার মুসলিম ভায়েরা, ইসলামের যে কোন বিষয়ে যদি আপনি শুধু অপরকে দেখে দেখে আমল করেন (হোক তিনি বা তাঁরা কোন বড় আলেম); মূলগতভাবে বা কিতাবীগত ভাবে প্রকৃত কোন শিক্ষা অর্জন করার কোন চেষ্টা আপনার না থাকে এবং এভাবে ইলেম শিখার কোন মানসিকতাই যদি আপনার না থাকে, তাহলে আপনার আমল সমূহের পরিপূর্ণ সাওয়াব হয়তো আপনি পাবেন না এবং এভাবে কৃত আমল সমূহে ভূল হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ। আর এভাবে আমলকারীদের ঈমান কখনোই কামেল হবে বলে আমি মনে করি না।

অন্যদিকে শুনতে আপনাদের হয়তো খারাপ লাগবে, বাপ-দাদা করছে বা চারদিকের সকলে করছে, তাই আপনি বা আপনারাও করছেন, এটা আইয়্যামে জাহিলিয়াত অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যখন মানুষদেরকে ইসলামের দাওয়াত দেয়া আরম্ভ করছিলেন, সে সময়কার কাফেরদের বৈশিষ্ট্য ছিলো (অন্ধকার যুগের মানুষদের) এবং বর্তমানেও বেশির ভাগ বিধর্মীদের মাঝেই এ রীতি দেখতে পাওয়া যায়। (সংগত কারণে আমি কথাটি বলেছি, না হয় বিধর্মীদেরকে নিয়ে সমালোচনা করা আমার উদ্দেশ্য ছিলো না; তাই বিনীত ভাবে আমি তাদের নিকট ক্ষমা চাচ্ছি)

প্রিয় ভায়েরা আমার আজকের এ লিখা, আপনাদের সাথে তর্ক করার উদ্দেশ্যে নয়।

আমার মনে হচ্ছিলো, আল্লাহর রাসূল (সাঃ) ও তাঁর সাহাবীগণ (রাঃ), যদি তারাবীর নামাজের এ সময় কিছু নাই পড়েন; তাহলে তাঁদের মতো আমরাও কিছু না পড়াটাইতো হবে উত্তম ও সহীহ্ তরীকা, তাই না? আর আমি যদি এ বিষয়ে কিছু নাই বলি, আপনাদের সাথে শেয়ার নাই করি, পেটের কথা পেটেই রেখে দিই সারা জীবন, তাহলে আমিওতো রমজানের পূর্ণ সাওয়াব হয়তো পেলাম না বা পাবো না? এ বোধদয় থেকে আপনাদের সাথে আজকে কথা বলা বা এ প্রবন্ধ লিখা।

প্লিজ ভায়েরা, এ বিষয়ে আপনার অভিমত প্রকাশ করুন; কমেন্টস করে বলুন, আপনি কোন রীতির পক্ষে এবং কেন?

দয়া করে বলুন, আপনি কেন ৪ রাকাত পর মুনাজাত করার বিষয়ে এতো দৃঢ় আবস্থান নিয়েছেন (?)

অথবা পড়লেও সমস্যা নেই, মুনাজাত করতে বা এ দোয়াটি বা এ মুনাজাতটি বা যে কোন মুনাজাত হাফেজ সাহেব সহ একযোগে পড়তে আল্লাহর রাসূল (সাঃ) কি নিষেধ করেছেননি (?); এ সব কথা বলে আল্লাহর রাসূল (সাঃ) ও তাঁর সাহাবীদের তারাবীর নামাজের যে পরিবেশ বিরাজমান ছিলো; তা থেকে আমাদেরকে মাহরুম করা বা তাঁদের থেকে ভিন্ন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করা; এটা আপনার বা আপনাদের কোন যুক্তি অনুযায়ী এপ্রোপিয়েট হবে; তা অবশই এ পোস্টের কমেন্টস সেকশনে লিখবেন।

সকলে বলুন, ইবাদত কি শুধু, উঠোক-বৈঠক বা আচার-অনুষ্ঠানের নাম? ইবাদত যেখানে করবেন, সে স্থানের বা সে ইবাদতের পরিবেশ কি ইবাদতের অংশ নয়?

তা না হলে আল্লাহর রাসূল (সাঃ) কি নিষেধ করেছেন নি, এ কথা বলে কেন আল্লাহর রাসূল (সাঃ) ও তাঁর সাহাবীদের (রাঃ) দেখানো ইবাদতের স্বরুপ বা অবস্থা বা পরিবেশ পরিবর্তন করলেন আপনারা?

আসুন, এখন আমরা বুঝতে চেষ্টা করবো, ইবাদত কাকে বলে এবং কোন তরীকায় (উত্থাপিত বিষয় ২টির ক্ষেত্রে) তারাবীর নামাজ পড়লে, এ নামাজের পরিপূর্ণ সাওয়াব পাওয়া যাবে?

(তারাবির নামাজের উত্তম তরীকা, এ পোস্টটি শেয়ার করা যেতে পারে)

ভাই, এ বিষয়ে আমি অনেকগুলো কোরআনের আয়াত ও হাদিসের বাণী শুনাতে চাই না। যেখানে আল্লাহর রাসূল (সাঃ) ও তাঁর সাহাবীদের ইবাদতের বাস্তব উদাহরণ উপস্থিত, সেখানে আমি মনে করি বাড়তি আর কোন কোরআন হাদিসের এখানে প্রয়োজন নাই।

আমি প্র্যাকটিক্যালি বলতে চাই, যেভাবে আল্লাহর রাসূল (সাঃ) ও তাঁর সাহাবীগণ ইবাদত করেছেন, সেভাবে ইবাদত করাকেই সর্বোত্তম ইবাদত বলা হবে। আমার অতি পন্ডিত ভায়েরা আবার অযথা প্রশ্ন তুইলেন না, তাহলে বিমানে কি আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বা তাঁর সাহাবীগণ (রাঃ) নামাজ পড়েছেন (?), তাঁরা কি মাইক ব্যবহার করেছেন (?) ইত্যাদি। আসলে তারাবীর নামাজের ক্ষেতে এ ধরনের প্রশ্নের কোন সুযোগ নেই।

আমার প্রাণ প্রিয় ভাই, বোন ও বন্ধুগণ আপনাদের পক্ষীয় সমস্ত আলেমগণকে নিয়ে আগে আমার একটি প্রশ্নের উত্তর দেন।

আল্লাহর রাসূল (সাঃ) ও তাঁর সাহাবীদের পুরা নূরানী হায়াতে জিন্দিগিতে, যে বিষয়টি তাঁদের মাথায় ধরেনি; অর্থাৎ তারাবীর নামাজে প্রতি ৪ রাকাত পর পর দোয়া পড়া এবং মুনাজাত করা; এটা তাঁদের সারা জীবনেও উদয় হয়নি যে, এ দোয়া পড়তে তো আল্লাহর রাসূল (সাঃ) নিষেধ করেননি, তাহলে আমরা পড়লে সমস্যা কোথায়; আল্লাহ রাসূল (সাঃ) দুনিয়া থেকে যাওয়ার পর তাঁর একজন সাহাবীর (রাঃ) মগজেও যেখানে এ বিষয়টি উত্থাপিত হয়নি; আজ তাঁদের সকলে গত হওয়ার অনেক পরে, আপনারা বিষয়টি বুঝতে পারলেন এবং তাঁদের ইবাদতের সে পরিবেশকে আপনারা বিকৃত করলেন-

তাহলে স্পষ্টই বোঝা যায়, আপনারা আল্লাহর রাসূল (সাঃ) ও তাঁর সাহাবীদের (রাঃ) চাইতে, আল্লাহর নিকট বেশি নৈকট্য হাছিল করতে পেরেছেন (?) (নাউজুবিল্লাহ!), তাঁদের (রা:) থেকে আপনারা আল্লাহর নিকট বেশি প্রিয় পাত্র? তা না হলে তাঁদের মাথায়, তাঁদের সারা জীবনে মিলে যেটা ধরেনি, আপনাদের মাথায় সেটা কী করে ধরলো? এবং এভাবে আমল করে আপনারা তাঁদেরকে কি এই ম্যাসেজ দিচ্ছেন না যে, আপনারা তাঁদের থেকে বেশি জ্ঞানী?

তা না হলে, তাঁরা যা করেনি (অথচ করলে করতে পারতো। তাঁদের হাত-মুখ ছিলো, মন-মগজ ছিলো); কিন্তু আপনারা আজ তা করছেন কোন্ যুক্তিতে?

(তারাবির নামাজের উত্তম তরীকা, এ পোস্টটি শেয়ার করা যেতে পারে)

এই (?), আপনাদের কি লজ্জ্যা করে না, তাঁদের থেকে নিজেদেরকে বেশি জ্ঞানী বলে পরিচয় দিতে? তাঁরা যা করেনি, আপনারা আজ তা করছেন তো করছেন; আবার এতে পরিপূর্ণ সাওয়াবেরও আশা করছেন (?), তাহলে কোন্ যুক্তিতে, তারা যা করেনি, যেভাবে তাঁদের পুরো জীবদ্দশায় এ নামাজটি পড়েনি, আপনারা আজ আপনাদের বুদ্ধি মতো বিকৃত ভাবে এ নামাজটি পড়ছেন।

দয়া করে কেন এভাবে এ নামাজটি পড়া হচ্ছে (?) এবং আমাদের মতো মানুষদেরকেও বাধ্য করা হচ্ছে (?) বা আগত প্রজন্মকে একটি বিকৃত ইবাদত শিখানো হচ্ছে? বা বর্তমান সাধারণ মুসলমানদেরকে একটি ভূল ইবাদত শিক্ষা দেয়া হচ্ছে অথবা কেন এ রীতির বিরোধিতা করা হচ্ছে না এবং কেন কিছু কিছু হাফেজ সাহেবানেরা মুনাজাত না করতে চাইলে, তাদেরকে মসজিদ থেকে বের করে দেয়া হচ্ছে, অথবা এ সময়ে তাঁরা কেন হ্নদয়বিহীন কিছু কোরআনের বুলি আওড়াচ্ছে বা আওড়াতে হচ্ছে , এর একটা বৈধ কারণ, উপযুক্ত যুক্তি, আজকের এ পোস্টের কমেন্টস সেকশনে, আপনাদেরকে লিখতে হবে।

প্রকৃত সিস্টেমে আমাদেরকে আমল করতে না দিয়ে বা বাধা দিয়ে বা সর্বসাধারণের নিকট আমাদেরকে এ বিষয়ে অপমানিত করে, আপনারা আমাদের উপর জুলুম করেছেন এবং করে চলেছেন।

আপনাদের বিরুদ্ধে আমাদের এ দাবী যদি অযুক্তিক বা অগ্রাহ্য প্রমাণ করতে চান বা আমাদের প্রতি জুলুম করছেন না, আপনাদের এ দাবী যদি প্রতিষ্ঠিত করতে চান, তাহলে কেন তারাবীর নামাজে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ও তাঁর সাহাবীদের বিপরীত প্রতি ৪ রাকাত পর পর দোয়া ও মুনাজাত করলে বেশী সাওয়াব হবে বা নিয়তের কারণে গুনাহ্ হবে না অথবা হাফেজ সাহেবানসহ এটাকে একটা প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিয়ে ওয়াজিবের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন এবং যুগ যুগ ধরে আপনাদের এ অপকর্ম অব্যাহত রেখেছেন, এর একটা যৌক্তিক কারণ আপনাদেরকে দর্শাতে হবে।

আমি কিন্তু আমার এ দাবী, আলেম বাঙ্গাল সবার প্রতিই করেছি। আসলে মূলত আলেমেরাই এ বিষয়ে বেশি দায়ী। কারণ একটু চিন্তা করলেই বুঝতে পারবেন যে, এ বেদআত গুলো, কখনো বাঙ্গাল কর্তৃক ছড়ানো হয়নি। এর মূল কিন্তু আলেমগণ। আর যে কারণেই তারা ছড়াক বা ছড়াতে দিক না কেন, এগুলো অবশ্যই বড় মাপের আলেম কর্তৃক ছড়ানো হয়েছে বা বাঙালগণ তাঁদেরকে মর্যাদার আতিসহ্যে এগুলো ছড়িয়েছে।

যাক আমি তাঁদেরকে নিয়ে সমালোচনা করতে চাই না; কারণ তাঁদের ভালো কাজের ওজন যে রকম হবে, ঠিক তাঁদের মন্দ কাজের ওজনও সে রকমই হবে এবং বিষয়টি স্বাভাবিক। যেহেতু তারা সম্মানী ব্যক্তিত্ব এবং আমি তাঁদের ভালো কাজের সমকক্ষ নই ও তাঁদের সাথে থাকা ইবলিশকে মোকাবেলার সামর্থ্যও রাখিনা; তাই তাঁদেরকে নিয়ে এতো বেশি লিখতে চাই না।

শুধু তাঁদের নিকট বলতে চাই, কেন আমি আল্লাহর রাসূল (সাঃ) ও তাঁর সাহাবীদের (সাঃ) মতো তারাবীর নামাজ পড়তে পারবো না, এর একটা জবাব চাই।

এতক্ষণে হয়তো একদল মানুষ আমার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। দেখিয়েন, আমি কিন্তু তারাবীর নামাজের রাকাত সংখ্যা নিয়ে বা অন্য কোন বিষয় নিয়ে কোন কথা বলিনি। প্লিজ, বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করবেন না এবং বৃথা আমাকে নিয়ে বাঝে ধারনা কইরেন না।

আমার এ লিখা যেসব আলেম ভাইদের নিকট পৌঁছেচে তাঁদের নিকট বিনীত ভাবে ২টি প্রশ্ন করতে চাই। তা হচ্ছে-

১। “হযরত মুহাম্মদ (সা:) ও তাঁর সাহাবিগন তারাবির নামাজে প্রতি ৪ রাকাত পর পর উপরে উল্লেখিত এ দোয়া ও মুনাজাত করতেন কিনা?”

২। বর্তমান সৌদি আরবে এ দোয়া ও এ মুনাজাতের প্রচলন আছে কিনা? না থাকলে তাঁরা কি আপনাদের চাইতে কম জ্ঞানী? কেন আমাদের দেশে এ বেদআতের প্রচলন করে রেখেছেন? এবং কেন এর বিরোধিতা করছেন না?

(তারাবির নামাজের উত্তম তরীকা, এ পোস্টটি শেয়ার করা যেতে পারে)

দয়া করে আমার এ প্রশ্নের উত্তর যদি দিতে চান, তবে অনুগ্রহ পূর্বক শুধু হ্যাঁ অথবা না অথবা সংক্ষেপে দিন। প্লিজ অপ্রয়োজনীয় ভাবে বা অতিরিক্ত কোরআন-হাদিস বলা থেকে বিরত থাকুন। প্রয়োজন বিহীন কেন এতো কোরআন হাদিস ও বিভিন্ন কিতাব পত্র থেকে উদৃতি দিবেন। বিষয়টি বোঝার জন্য আমি মনে করি এতো কোরআন হাদিস বা এতো কিতাব পত্র থেকে উদৃতির কোনই প্রয়োজন নাই।

প্রিয় পাঠক, উনারা যদি বলেন যে বা কোন কমেন্টস না করেও আমাদেরকে বুঝতে শেখান যে, হ্যাঁ, রাসূলুল্লাহ (সা:) ও তাঁর সাহাবিগন (রাঃ) উপরোক্ত এ দোয়া পড়েননি, তাহলে সুন্নাত মোতাবেক এ নামাজ আদায় করাটাই কি সঠিক ভাবে তারাবি নামাজের তরীকা হবে না?

আর যদি আলেমগণ কমেন্টস এর মাধ্যমে আমার এ প্রশ্ন দ্বয়ের কোনই উত্তর না দেন; তাহলে মহান রবের প্রতি আমার আবেদন থাকবে, যদিও আমি পাপী (হয়তো হে আমার রব আপনি আমায় মাফ করে দেয়ারও ব্যবস্থা করতে পারেন, ইয়া আল্লাহ আমায় মাফ করে দিন।); তবুও কাল কেয়ামতে এঁনাদের থেকে আমার এ প্রশ্নের উত্তরটুকু তাঁদের মুখে সামনাসামনি বলার ব্যবস্থা করবেন। কারণ তাঁদেরকে আলেম হওয়ার তাওফিক আপনি দিয়েছিলেন এবং তাঁদের দায়িত্ব ছিলো আমাদেরকে শিখানোর; অথচ তাঁদেরকে প্রশ্ন করার পরও তাঁরা তা এড়িযে গিয়েছে অথবা শুধু সাত-পাঁচ বলে বা দায়সারা গোছের উত্তর দেয়ার (বা কিছু না বলে, বিষয়টা স্পষ্ট না করেই) চেষ্টা করেছে।

(তারাবির নামাজের উত্তম তরীকা, এ পোস্টটি শেয়ার করা যেতে পারে)

এখানে একটা কথা না বলে আর পারছি না। অনেকেই এ বিষয়টিকে বলা বা ওপেন এর বিরোধিতা করা এগুলোকে ফেৎনা মনে করে এ বিষয়ে একেবারে কথাই বলতে চান না এবং প্রকারন্তরে ও জেনে শুনে এগুলো চালিয়ে নেয়ার বিষয়েই সমর্থন যোগাচ্ছেন।

দেখুন সত্য প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে আপনাকে জেহাদ করতে হবে বা কৌশলগত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতেই হবে। আমি মনে করি ইহাই ইসলামের শিক্ষা। আপনাকে বা আপনাদেরকেতো আমি বলছিনা যে, একটা হট্টগোল বাজিয়ে দিয়ে মসজিদের পরিবেশটাকেই নষ্ট করতে। কিন্তু আপনারাতো এ বিষয়ে কথাই বলেন না এবং আলেম সমাজকে এ বিষয় গুলোতে খুব একটা বয়ান করতেও শুনিনা।

আপনারা যদি আলেম সমাজ ও সচেতন মহল মানসিক ভাবে প্রস্তুতি নেন যে, সমাজ থেকে এ সব বেদআত উচ্ছেদ করবেন, এবং এরই পরিপেক্ষিতে বিভিন্ন কৌশলগত প্রচেষ্টা চালান, তাহলে আমার মনে হয় এতে আপনারা সফল হবেন।

কিন্তু কোনই প্রচেষ্টা না করলে, তাহলে তারাবির নামাজের সঠিক নিয়ম কখনো কি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ থাকবে আর? বলেন আপনারা (?), সঠিক নিয়ম কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে তাহলে?

যার ফলশ্রুতিতে এর অর্থ এই দাঁড়াবে যে, (আপনাদের কথিত ফেৎনার ভয়ে মুখ বুঝে বসে থাকার কারণে) ভবিষ্যত জীবনে আনপিউরটিই ইসলামের পিউর ইবাদত হবে; আর পিউর ইবাদত হবে মানুষের দৃষ্টিতে আনপিউর; এই না?

এখন কথা হলো, তারাবির নামাজে এ দোয়া এবং মুনাজাততো অবশ্যই বেদআত; তাহলে করণীয় কী?

হ্যাঁ, মানুষগুলো যদি একেবারেই না বুঝতে চায়, তাহলে হঠাৎ করে একেবারে কট্টর অবস্থান নিয়েন না। তবে ২/১ বার বুঝিয়ে বলুন। প্রচেষ্টা চালান। ওয়াজ নছিহতে বলুন। শুক্রবারের বয়ানে বলুন, সচেতন মহল পরস্পর পরস্পরকে বলুন, প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখুন। সবাই মিলে কট্টর পন্থা অবলম্বন না করে কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে বা অন্যান্য নমনীয় সিস্টেমে কৌশলগত প্রচেষ্টা চালিয়ে যান।

এতে আমি আশাকরি আগামী ২/৩ বছরের মধ্যে অন্তত সৌদি আরবের মতোই (রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ও তাঁর সাহাবিদের (রাঃ) মতোই), আমরাও অনুরূপ তারাবির নামাজ পড়তে পারবো।

এখন দেশবাসীর প্রতি আমার জিজ্ঞাস্য, যদি সাহাবিদের (রাঃ) দেখানো তরীকাই সহীহ্ হয়, তাহলে এবারের রমজানে আপনি বা আপনারা কোন তরীকায় বা কিভাবে তারাবির নামাজ আদায় করবেন?

(তারাবির নামাজের উত্তম তরীকা, এ পোস্টটি শেয়ার করা যেতে পারে)

এ প্রবন্ধ পড়ার পরে যদি আপনার মনে হয়, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ও তাঁর সাহাবিদের (রাঃ) মতোই অর্থাৎ প্রতি ৪ রাকাত পর কিছুক্ষণ জিরাবেন বা আরাম করবেন (যা বাধ্যতামূলক নয়); তবে সবাই মিলে হাফেজ সাহেবগণ সহ উচ্চ স্বরে কিছু পড়বেন না [ব্যক্তিগত ভাবে অনুচ্চ শব্দে প্রয়োজন মনে করলে মাঝে মধ্যে পড়বেন এবং কথিত ভাবে তারাবির নামাজের জন্য নির্ধারিত করা এ দোয়া ও মুনাজাতও পড়বেন; কারণ এগুলোর অর্থ অনেকটাই যুক্তিযুক্ত ও মর্মস্পর্শী। সে সাথে বিতির সহ সব নামাজ শেষ করে (২০ রাকাত তারাবির নামাজ শেষ করার পরেও হাফেজ সাহেব সহ সবাই মিলে উচ্চস্বরে মুনাজাত না করে) , যেহেতু আমাদের দেশের মানুষ গুলো মুনাজাতই করতে পারে না, তাই একটু দেরি করে মাঝে মধ্যে ইমাম সাহেব মুসল্লিদেরকে নিয়ে উচ্চ শব্দে মুনাজাত করতে পারেন। তবে নামাজ শেষ হওয়ার পর জমিনে ছড়িয়ে পড়ার নির্দেশ যেহেতু কুরআনের। তাই যাদের কাজ আছে বা যারা ক্লান্ত তাদের প্রতি কোন মন্তব্য না করে তাদেরকে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিতে হবে ] এবং এ রমজানে এভাবে তারাবির নামাজ আদায় করার জন্যই দেশবাসীর প্রতি আমি আহবান জানাবো।

এ নীতির বিপরীত ভাবে যদি আপনাদের অবস্থান হয়-

তবে হে আমার প্রাণপ্রিয় দেশবাসী, দয়া করে আপনারা বলুন, কেন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ও তাঁর সাহাবিদের (রাঃ) অনুরূপ তারাবির নামাজ উত্তম হবে না(?)

আর যদি উত্তমই হয়, তাহলে কেন আপনারা এ নামাজের ভিন্ন রূপ প্রতিফলন করবেন বা নিজেদের থেকে কিছু বাড়িয়ে এ নামাজ আদায় করাকে বেশি সাওয়াবের মনে করবেন?

অথবা কেন এসব পরিহার করবেন না?

কমেন্টস করে বিষয়টি জানাবেন। আপনাদের প্রতি এ আন্তরিক আবেদন আমার থাকলো।

ধন্যবাদ সকলকে। সবাই ভালো থাকুন।

(তারাবির নামাজের উত্তম তরীকা, এ পোস্টটি শেয়ার করা যেতে পারে)

এ পোস্টের ট্যাগ সমূহঃ তারাবির নামাজের উত্তম তরীকা, তারাবীর নামাজ, tarabir namaz, sistem of tarabir namaj, তারাবির নামাজ

চাকুরী প্রার্থী ভাই ও বোন গণ দেশে বিরাজমান চাকরির খবর জানতে নিম্নে ক্লিক করতে পারেন। এখানকার এক পেজে না এক পেজে আপনার চাকুরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি পেয়ে যাবেন ইনশা’আল্লাহ।-

১। এখানে ক্লিক করুন

এবং

২। এখানে ক্লিক করুন

এবং

৩। এখানে ক্লিক করুন

এবং

৪। এখানে ক্লিক করুন

এবং

৫। এখানে ক্লিক করুন

এবং

৬। এখানে ক্লিক করুন

এবং

৭। এখানে ক্লিক করুন

এবং

৮। এখানে ক্লিক করুন

এবং

৯। এখানে ক্লিক করুন

এবং

১০। এখানে ক্লিক করুন

এবং

১১। এখানে ক্লিক করুন

এবং

১২। এখানে ক্লিক করুন

এবং

১৩। এখানে ক্লিক করুন

এবং

১৪। এখানে ক্লিক করুন

এবং

১৫। এখানে ক্লিক করুন

এবং

১৬। এখানে ক্লিক করুন

এবং

১৭। এখানে ক্লিক করুন

এবং

১৮। এখানে ক্লিক করুন

এছাড়া শুদ্ধরুপে কোরআন তিলাওয়াত শিখতে চাইলে-

এখানে ক্লিক করুন