আপগ্রেডঃ ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রি.
(পূর্বে প্রবন্ধটির নাম ছিলো মানসিক রোগের উপসর্গ। বর্তমান নাম অনুযায়ী কিছুদিনের মধ্যে প্রবন্ধটির প্রয়োজনীয় অল্প কিছু অংশ এডিট করা হবে।)
১।প্রবন্ধের উদ্দেশ্য:
প্রবন্ধটি আমার নিজ জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে কেন্দ্র করে লিখিত। গবেষণা ও বুঝতে পারার লক্ষ্যে বিরল প্রকৃতির এ মানসিক বৈশিষ্ট্য [ (আপনাদের ভাষায় যাকে রোগ বলা হচ্ছে ) আসলে ইহাকে রোগ বা আমাকে রোগী বলবেন না। যে যাই বুঝেন না কেন, আমি ব্যক্তিগত ভাবে যা বুঝতে পেরেছি, তা হচ্ছে, ইহা আমার রবের পক্ষ থেকে আমার প্রতি একটি বিশেষ অনুগ্রহ ও দয়া।] সম্পর্কে মানুষকে জানানো ও আমার জীবন স্মৃতি স্বারক হিসেবে সংরক্ষণ করাই এর উদ্দেশ্য। যা কিছুতেই কারো সাথে ঝগড়া-ঝাট্টি করার জন্য নয়।
২। রোগের সূচনা:
২০০০ ইং সনে হাইস্কুলে শিক্ষকতা করাকালীন এবং এ সময়ে লজিংয়ে থাকা কালীন প্রথম আমি এ রোগে আক্রান্ত হই। রোগটি তখনকার সময়ে ও বর্তমানে উপস্থিত অন্যান্য সকল মানসিক রোগ থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রকৃতির এবং আমার মনে হয় করোনার মতোই পৃথিবীতে একেবারেই নতুন। এ প্রসঙ্গে আপনাদের জানা উচিৎ, মানসিক রোগ বললেই সাথে সাথে ঐ রোগিকে পাগল মনে কইরেন না। (বুঝতে চেষ্টা করেন, আপনার শিশু সন্তানের অতিরিক্ত বিছানায় পেশাব করা কিংবা আপনাদের সিগারেট খাওয়া এগুলোও কিন্ত মানসিক রোগ।)
আলহামদুলিল্লাহ, আমি কিন্ত এতো যন্ত্রণার মাঝেও অনেকটা ডাক্তারের কথা অমান্য করে গত প্রায় ৮/১০ বছর কোন ঔষধ খাই না। (বাকিরা কিন্ত এভাবে কেউ ঔষধ বন্ধ করবেন না) এটা আমার রবের, আমার প্রতি অশেষ মেহেরবাণী। কারণ আমার এ পরিস্থিতিতে যে কোন সুস্থ লোক সুস্থ থাকতে পারবে বলে আমার মনে হয় না। তাও আবার ঔষধ বিহীন এবং যত সামান্য খাদ্য, বিশ্রাম ও ঘুমের মাধ্যমে!! ইম্পসিবল! ইম্পসিবল!
৩। মানসিক রোগের কারণ:
আমার জানামতে ব্রেনগঠিত ক্রটি, বহিরাগত ফ্রিকশান, সীমাহীন অর্থাভাব, অযুক্তিক উচ্চাভিলাস বা অতি আবেগ, জুলুমের শীকার, ভয়, দীর্ঘ মেয়াদি রোগ, আপনজন কর্তৃক প্রদেয় বিশ্বাস ঘাতকতা, দ্বীর্ঘ দিন নিঘুম কাটানো, ধুমপান বা মাদকাশক্তির ব্যবহার, অত্যধিক মদ্যপান, কোন বিষয় নিয়া দীর্ঘ দিন সীমাহীন টেনশনে থাকা; নিজের শরীর, মন ও ব্রেনে কোন শক্তি অবরুদ্ধ থাকা বা পারিপাশ্বিক কোন পাওয়ারের মাধ্যমে নিজকে চাপা দিয়ে বা বন্ধীর মতো করে রাখা; বংশগত কারণ; জ্বীন রাহু বা বহিরাগত অজানা বা অশরীরী কোন শক্তি কর্তৃক নিজের মন ও ব্রেনের উপর আক্রমণ ইত্যাদি জানা অজানা অনেক গুলো কারণই হচ্ছে মানসিক রোগের কারণ। মানসিক রোগের সবগুলো কারণ এখনো মানুষের অজানা। এ কারণ গুলো থেকে ঠিক আমার ক্ষেত্রে কোনটি ধরা যায়, তা আমি স্পষ্ট করে বলতে পারছি না। আমি এ প্রবন্ধে শুধু আমার এ বিরল প্রকৃতির মানসিক রোগ বা মানসিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোকপাত করবো।
(মানসিক রোগের উপসর্গ এ পোস্টটি সম্ভন্ধে মন্তব্য প্রদান করার জন্য অনুরোধ রইলো)
৪। রোগের সিনড্রোম:
এ রোগের উপসর্গ সমূহ নিম্নরুপ (তবে শিক্ষিত ও অশিক্ষিত রোগী ভেধে উপসর্গ গুলো পরিবর্তীত হতে পারে বা আরো অনেক বেশি উপসর্গ পরিলক্ষিত হতে পারে বা অন্যান্য উপসর্গ দৃষ্ট হতে পারে): –
১। শারীরিক ও মানসিক ভাবে প্রকাশিত সাধারণ লক্ষণ। কারো সাথে স্বভাবগত মিল না থাকা। আত্মীয়-স্বজন বিমূখতা।
২। মসজিদের পরিবেশ ও মানুষের ইবাদতে কৃত্তিমতার প্রাদূর্ভাব প্রচন্ড ভাবে লক্ষ্য করা এবং সেই হেতু রোগী সমাজের বাকী ১০ জনের সাথে মেচিং করে চলতে না পারা। আর তাই ধর্মীয় জ্ঞান অনুশীলণ ও গবেষণা করতে মন চাওয়া।
৩। লিখা,গবেষণা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ বা এ ধরনের কোন কথা বা কাজে কারো ইনপুট গ্রহণ করতে না চাওয়া।
৪। দূর্বলতায় বা রোগীর প্রতি বিপরতিমূখী ভাবধারায় রোগীর সাধারণ জ্ঞান লোপ পাওয়া, ভূলে যাওয়া বা বিপরীতমূখী হওয়া এবং বিয়ে করা বা না করা নিয়ে নিজকে শুধু প্রশ্নবিদ্ধ মনে করা।
৫। শিক্ষা, শিক্ষাঙ্গন ও শিক্ষকদের পরিবেশ একিউরেট মনে না হওয়া। রোগীর কেবলই মনে হবে যেন অবৈধ স্বার্থ আর গ্রুপিংই হলো মুখ্য। নৈতিকতা, জ্ঞান চর্চা ও বিদ্যা দান, এসব হলো অনৈতিক স্বার্থসিদ্দির পরে।
৬। বিজ্ঞান ভাবনা বেড়ে যাওয়া ও বিজ্ঞান চর্চা করতে মন চাওয়া। প্রকৃতিতে উৎপন্ন অনেকগুলো শব্দ, কথা ও কাজ যেন অটো ভাবে রোগীর সাথে মিলে যাচ্ছে; রোগীর কাছে মনে হবে মানুষ ও অন্যান্য জীব কর্তৃৃক উৎপন্নকৃত এসব শব্দে রয়েছে পারষ্পরিক একটি অর্থবোধক সম্পর্ক। যেন পুরো দুনিয়াটাই একটি চেইন বা ইকটি সুতোয় গাাঁথা।
৭। রোগী মনে করে যে, সাহিত্যের মাধ্যমে অপরের নিকট যেমন নিজকে প্রকাশ করা যায়; ঠিক তেমনি সমাজের বাস্তব চিত্র গুলো তুলে ধরে সমাজে বসবাসরত মানুষ গুলোকেও একটা নৈতিক ও তাদের জন্য উপকারী কিছু শিক্ষা দিয়ে সাওয়াব হাছিল করা যায়। আর তাই জ্ঞান অনুযায়ী রোগীর সাহিত্য চর্চা করতে মনচাওয়া।
৮। রোগী মনে করে যে, তাকে সাকসেসে পৌঁছাতে মানুষ যেমন একটি বাধা (দূর্বল হলে উপহাস, ঠাট্টা, বিদ্রুপ ইত্যাদি, আর সবল হলে হিংসা, শত্রুতা প্রভৃতি); ঠিক তেমনি তার ভিতর থেকেও কেন যেন একটি বাধা (যখনই তার ডান হাত, বাম হাতের উপর রাখা হয়; তখনই সে যেন ভূলে যায় তার জ্ঞানটুকু। যখনই সমাজের শ্রদ্ধা ভাজন কেউ একজন কিছু একটা জিজ্ঞাসা করেছে, তখনই সে হয়তো ভূলে গেছে। ইত্যাদি। এতে রোগী মনে করে যে , তারই ভিতর থেকে কেউ একজন তাকে ভূলিয়ে দিয়েছে বা ভূলিয়ে দেয়া হয়েছে। এ বিষয় গুলো জ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রেও ঘটে। ভায়েরা বিষয়টি একেবারে উপহাসের নয়, এইতো সেদিন বাজার করে বাড়ি আসছি। পথি মধ্যে এক ভায়ের দোকানে প্রবেশ করলাম। আর বাড়িতে ফিরে আসলাম বাজার গুলো রেখে খালি হাতে। এভাবে কতদিন আমার ছাতা বা অন্যান্য আমার দ্রব্যাদি রেখে চলে আসছি। বিদ্যা-শিক্ষার বিষয়েও ঠিক একই বিষয় ঘটছে। তবে এর একটি কারণ এই হতে পারে যে, পৃথিবীতে কোন মানুষ সকলের আপন হতে পারে না; কিন্তু হয়তো আমার ভিতরে এমন কিছু রয়েছে, যা সকলের কাছেই বিশ্বস্থ ও আপন হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে আমাকেই হয়তো সাময়িক ভাবে এ রকম হতে হচ্ছে।
(বি.দ্র. আলোচ্য প্রবন্ধে শুধুমাত্র উপরে উল্লেখিত ১নং উপসর্গ নিয়েই লিখবো এবং পরবর্তীতে ধাপে ধাপে অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে প্রবন্ধ লিখে এ রোগের স্ব-রূপ ব্যাখা করে যাবো ইনশা’আল্লাহু তা’য়ালা। যাতে অন্য কারো এ রোগ হলে তিনি বা তার গার্জেন গণ বুঝতে পারেন যে, তার কী করণীয় ও কী তার বর্জনীয়। এবং ইনশা’আল্লাহু তায়’লা পরিশেষে গবেষণা কার্য পরিচালনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো যে, এ রোগ কেন হয়েছে বা রোগের মূল কারণ কী? তাই আশা করবো সে পর্যন্ত সম্মানিত ভিউয়ার গণ সাথেই থাকবেন।)
৯। মনুষ্যহীন স্থান রোগীর কাছে বেশি শান্তিপ্রিয় মনে হওয়া।
৫। এ রোগকে বা রোগীকে বা এ রোগের উপসর্গ ভালো ভাবে বুঝতে আমাদের প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত এ পোস্ট ও সম শ্রেণীর পোস্ট সমূহ:
এ ধরনের পোস্ট সমূহের টাইটেল ও প্ল্যাটফর্মের নাম নিম্নে উল্লেখিত হলো:-
ক) বন্ধন ফাউন্ডেশনের অফিস ভবন স্থানান্তর আবেদন বিষয়ক সিদ্ধান্ত প্রদান
পোস্টটি এ ওয়েবসাইটেই প্রকাশ করা হয়েছে। পোস্টটি পড়তে-
খ) বন্ধন ইসলামী সমবায় সমিতির অভিযোগ বক্স
এ পোস্টটিও এ ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। পোস্টটি পড়তে-
গ) বন্ধন ফাউন্ডেশন এর পরিচিতি (পার্ট-২)
এ পোস্টটিও এ ওয়েবসাইটেই প্রকাশ করা হয়েছে। পোস্টটি পড়তে-
ঘ) ভিক্ষাবৃত্তি বনাম ঋণ পরিশোধ
এ পোস্টটিও এ ওয়েবসাইটেই প্রকাশ করা হয়েছে। পোস্টটি পড়তে-
ঙ) আমাকে জবাবদিহীতার আওতায় কেন?
এ পোস্টটিও এ ওয়েবসাইটেই প্রকাশ করা হয়েছে। পোস্টটি পড়তে-
চ) মসজিদে অত্যাচারিত হচ্ছি কেন?
এ পোস্টটিও এ ওয়েবসাইটেই প্রকাশ করা হয়েছে। পোস্টটি পড়তে-
ছ) মসজিদে জ্বীনের আচর।
এ পোস্টটিও এ ওয়েবসাইটেই প্রকাশ করা হয়েছে। পোস্টটি পড়তে-
ঘ) আমাকে আরো বুঝতে ফেসবুকে প্রকাশিত এ ধরনের একটি পোস্ট ও এর একটি কমেন্টস এবং এর জবাব হুবহু নিম্নে প্রকাশ করা হলো:
পোস্টটি নিম্নরুপ-
হেলাল নামীয় জনৈক ব্যক্তি কর্তৃক উপরোক্ত পোস্ট এর বিষয়ে প্রদানকৃত একটি কমেন্টস। যাহুবহু নিম্নে উল্লেখিত হলো:
প্রথমে নিজেকে বিশ্বাস করতে হবে তারপর অন্যকে বিশ্বাস করতে হবে ১০০ তে ১০০ আপনি তো একজন
এ কমেন্টসটি পেসবুক থেকে পড়তে-
এবং তার প্রোপাইল ভিজিট করতে-
উক্ত কমেন্টস এর জবাব কি দিয়েছিলাম তা হুবহু নিম্নে পেশ করা হলো:
উক্ত জবাবটি ফেসবুক থেকে সাইন ইন করে পড়তে –
]
১। উপরে উল্লেখিত ১নং উপসর্গের বিষয়ে প্রয়োজনীয় বিবরণ পেশ:
দেখুন এগুলো কোন অভিনয় নয় বা কল্পলোকের গল্পও নয়। আমার জীবনের সাথে জড়িত এ গল্পটি শতভাগ সত্য। তো আমি আমার যৌবনে প্যান্ট-শার্ট, শ্যূট-স্পেশালিস্ট-টাই, দামী জুতো পরিধান, পারফিউমের ব্যবহার করে অতি মর্ডান বা প্রচলিত আল্ট্রা মর্ডান হিসেবে জীবন-যাপনই পছন্দ করতাম ও সে ভাবেই চলাফেরা করতে চেষ্টা করতাম।
কিন্তু হঠাৎ আমি প্যান্ট-শার্ট আর পরিনা।[একজন মডার্ণ শিক্ষক মানুষ, চারদিকে যার সুনাম, ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক-এলাকাবাসী সবাই আমার উপর খুশি। প্রয়োজন মনে করলে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন, বন্দর, নারায়নগঞ্জ, এ স্কুল বা এর আশ-পাশের মানুষ গুলো থেকে তথ্য নিতে পারেন। এখানেই আমি শিক্ষকতা করতাম। যদি এখন কেউ আমাকে চিনে। যেহেতু আমি এ স্কুলে মাত্র দুই বছর শিক্ষকতা করেছিলাম। আর আমার বাড়ি ঐ এলাকা থেকে প্রায় দেড়শ কি.মি. দূরে ফেনী জিলায় অবস্থিত।]
পায়জামা-পাঞ্জাবী পরা শুরু করি। দাঁড়ি-টুপি রাখি। ইসলামি বই, আলেম-উলামা এদের সাথে সম্পর্ক আগের তুলনায় যেন বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। লম্বা নামাজ পড়া, দীর্ঘ কুরআন তিলাওয়াত করা এবং এগুলেতে কান্না জুডিয়ে দেয়া, বড় বড় নিশ্বাস ফেলা, লাওহে মাহফুজ, আরশে আজিম, রুহ্, আল্লাহু আকবার, জীবরাইল, ওমর এ জাতীয় কথায় জ্ঞাত বা অজ্ঞাতসারে যেন অস্বাভাবিক কান্না, আবেগ বা অতি আবেগঘন পজিটিভ আচরণ অনেকটা অটো ভাবে প্রকাশিত হয় আমার নিকট থেকে।
মানুষ গুলো চিন্তা করলো কী হলো লোকটির। অনেক বড় বড় বুজর্গ বা মানসিক রোগি দেখেছি; কিন্তু এ রকমতো দেখিনি! তাছাড়া মাথায়ওতো ধরেনা, ইসলামী আমল করতে হলে এরকম বা ওরকম করতে বা এই ভাবে চলতে হবে কেন? আবার রোগী হলে, তাহলে এভাবে ইসলামকে নিয়ে উঠে পড়ে লাগলো কেন? এবং ইসলামের এ মূল বিষয়গুলোর বিষয় তার এ নিয়ন্ত্রণহীন অস্বাভাবিক বহি:প্রকাশ কেন?
(মানসিক রোগের উপসর্গ এ পোস্টটি সম্ভন্ধে মন্তব্য প্রদান করার জন্য অনুরোধ রইলো)
সুভাগ্যক্রমে কিছুটা হলেও ইসলামী জ্ঞান অর্জন করেছিলাম এবং মহান রবের অশেষ মেহেরবাণীতে এ অবস্থা সমূহ ট্রেগাল দিতে পেরেছিলাম। সবকিছুর মূল কেন্দ্র হিসেবে আমার একটিই পুঁজি ছিলো, আর তা হলো, যে কোন পরিস্থিতিতে সত্যকে সত্য বলা এবং আল্লাহু তা’য়ালাকে মেনে নেয়া ও মিথ্যা পরিহার করা। শয়তান যতই ধোকা দিয়েছিলো, তবুও মন ও ব্রেনের গহীনে অবস্থিত এ মানসিক অবস্থা ও এর বহি:প্রকাশ থেকে আলহামদুলিল্লাহ আমি কখনো বিচ্যুত হইনি। তবে আল্লাহর রহমতে ইসলামের মূল বিষয় গুলোর বিষয়ে মোটামুটি ভালো একটা স্বচ্ছ জ্ঞান ছিলো। শয়তানের যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দিতে পেরেছিলাম (মানসিক ভাবে)।
[কিছু কারণে এবং প্রবন্ধটিকে সংক্ষেপ করতে গিয়ে আমি বিস্তারিত ভাবে হয়তো এ প্রবন্ধটি লিখতে পারবো না। আপনাদেরকে তা বুঝে নিতে হবে।]
দেখুন প্রকৃত ইসলাম অনুযায়ী পরিবার, সমাজ কিংবা রাজ্য শাসন বর্তমানে কোথাও নেই। অন্তত আমার সমাজেতো নেইই। যেহেতু এ সমাজে মানুষের এ কারেকটার বা এ পরিবেশ বা এ রকম ইসলামী শাসন নেই; সেহেতু যদিও মানুষ গুলো ধর্ম প্রেমি, ধর্মান্ধ বা ধর্ম ব্যবসায়ি; আর তাই পরিপূর্ণ ইসলাম অনুযায়ী এখানে চলাটা সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। অটোমেটিক্যালি ফ্রিকশান বাধবেই। যেহেতু পরিবেশ কভারেজ দিচ্ছে না, আর তাই আমাদের এ সমাজে ১০০% ইসলাম অনুযায়ী চলতে পারাটা পাগল সাব্যস্ত হওয়া ছাড়া, স্বাভাবিক জীবন-যাপনের মাধ্যমে হয়তো সম্ভব নয়। দেখুন বৈজ্ঞানিক সূত্রেই কিন্ত বিষয়টি প্রমাণিত হবে।
তো আমার এ অবস্থাটি আমি মনে করি প্রকৃত ইসলামেরই বীজ। এরপর পরীক্ষার ছলে চলতে থাকে আমার উপর বিভিন্ন মানুষের অমানসিক নির্যাতন।
(মানসিক রোগের উপসর্গ এ পোস্টটি নিকট জনদের মধ্যে শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি)
চাকুরি ছেড়ে দিয়ে বাড়িতে আসার পর, আমার ভাইগণ যখন দেখলো, ফিউর ইসলাম এবং কুরআন-কিতাব ও এতো আমল ইবাদত কি আমার জন্য সাজে? আমি কি আলেম? আলেম না হয়ে, আলেমের ব্যবহার বা আলেমের মতো জীবন-যাপন করে আমি ভাত খাবো কোথা থেকে? ঘর-সংসার করবো কিভাবে? আমার প্রতি (কিন্ত রবের প্রতি নয়, যার মূলে ছিলো ব্যক্তি ও পারিবারিক স্বার্থ) দয়াদ্র হয়েই শুরু করলো চিকিৎসা নামীয় আমার উপর স্ট্রিম রোলারের প্রয়োগ।
আর তাই তাদের থিউরি হলো, আমার উপর ছলনা, বিভিন্ন মানসিক যন্ত্রণা ইত্যাদি চালিয়ে আমাকে এতো ইবাদত থেকে বা এতো ফিউরিটি থেকে ফিরাতে হবে। কারণ দুনিয়াতে আমাকে খেয়ে পরে বাঁচতে হবে। শুরু করা হলো আমার উপর অমানসিক নির্যাতন। ছলনা, যন্ত্রণা, আমাকে দীর্ঘ কুরআন তিলাওয়াত, নামাজ, রোজা, যিকির, মিসওয়াক এসবে বাধা প্রদান করে ইত্যাদির মাধ্যমে যখন ব্রেন একেবারেই যায় যায় অবস্থা হতো, তখন মানুষের কাছে পাগল সাব্যস্থ করে নিয়ে যেত হাসপাতালে।
হাসপাতালের চিকিৎসা ও অন্যান্য খরচ মিটাতে বাবাকে বুঝিয়ে চিকিৎসার কথা বলে একভাই শুরু করে বাবার কাছ থেকে বাবার নামীয় জমি গুলো ক্রয় করা (এবং এতিমের ভূমি দখল করার মতো বাবার কাছ থেকে নিজের ইচ্ছে মতো দামে জমি ক্রয় করা যা কখনো বৈধ হতে পারে না)। আরেক ভাই শুরু করে এর বিরোধিতা।
তার কথা হলো বাবার কাছ থেকে আমি কী পরিমাণ পাই, তা পৃথক করে বিক্রি করতে হবে এবং তখন তিনিও কিনবেন।
কিন্তু বাবা তা না শুনে আগে বর্ণিত শুধু ঐ ভায়ের নিকট জমিগুলো বিক্রি করেন।
শুরু হয় হিংসা, প্রতিহিংসা এবং হিংশ্রতা। তাদের মাঝে পশুমনোবৃত্তির বহি:প্রকাশ ঘটে।
এ সময় বা এর একটু আগ থেকেই আমার আত্মীয় স্বজনের কাছ থেকে সমাজের ও অন্যান্য মানুষের নিকট আমার বিষয়ে শুরু হলো অনেকটা অভিনয় আর ছলনা মূলক ব্যবহার। কখনোই তারা আমার প্রকৃত অবস্থাটি কারো নিকট তুলে ধরেনি। মানুষ জানতে চাইলে বা না জানতে চাইলেও আমাকে সকলের নিকট পাগল বা বোকা বা সরল হিসেবে পরিচয় দিয়ে আসছিলো তারা।
যার জন্য এ দেশ কি বিদেশ, সর্ব স্থানে, ঘরে কি বাইরে, অসম্মান নিয়েই জীবন চলতে বা জীবনে বাঁচতে শুরু করলাম।
আর আমি স্বভাবতই ইকটু বেশি আত্মীয় প্রেমিক, ভাই- বোনদেরকে অতি সম্মান, মানুষের প্রতি অতি দয়াদ্র, ক্ষমাশীলতা, আলেমদের ও বড়দের প্রতি অতি ভক্তি পরায়ন; এ রকম ছিলাম বিধায় তাদের মনের দুর্ভিসন্ধি বা আমার বিষয়ে তাদের নীল নকশা সমূহ আমি বুঝতে পারতাম না।
কিন্ত ঘটনাটা ঘটেছে ২০২১ সনের রমজানের শেষ দশকে মসজিদে যখন ইতেকাফ করতে যাই তখন থেকে। এখানে বার বারই আমার ইবাদতকে অবমূল্যায়ন করা হচ্ছিলো, আমাকে করা হচ্ছিলো তুচ্ছ-তাচ্ছিলো। আর বাহিরে প্রকাশ করা হয়েছিলো আমি আবার পাগল হয়ে গেছি। আর অশ্চার্যের কারণ ছিলো, আমাকে অপমান করার এ অবস্থাটির নের্তৃত্ব দিচ্ছিলেন মসজিদেরই ইমাম সাহেব। পরে বুঝতে পারলাম তিনি অন্য সময়েও মুসল্লিদেরকে এবং বালকশ্রেণী, অন্ধ হুজুর প্রেমী ও অজ্ঞ দেরকে আমার বিষয়ে মিস গাইড করতেছিলেন সমাজে। যেহেতু হুজুরের বন্ধুত্ব আমার ভাইয়ের সাথে ও বেতন-ভাতা-সম্মানি এবং সুবিধাদি মসজিদের সেক্রেটারি হিসেবে আমার ভাইয়ের হাতে।
আলেম সমাজকে এমনিতেই আমি অতি ভক্তি করি। এটা আমার একটা নেচার ছিলো। আর মসজিদের সেক্রেটারী ছিলো আমার ভাই।
বুঝে উঠতে পারছিলাম না, আমার কোরআন তিলাওয়াত, আমার লম্বা নামাজ, আমার যিকির আজকার কেনো মর্যাদা পায় না? কেন আমি সকলের হাসি-ঠাট্টা আর অবমূল্যায়নের পাত্র হয়ে আছি।
আর স্বাভাবিক ভাবেই যখন আপনি আপনার রিয়েল কর্মের মূল্যায়ন পাবেন না, বরং আপনার ক্রিয়েটিভ একটিভিটিকে বন্দী করে রাখা হবে এবং ২৪ ঘন্টা আপনাকে পরীক্ষা ও অপমানের মধ্যে রাখা হবে ও দিনের পর দিন দেয়া হবে বিভিন্নমুখী নানা বিধ মানসিক যন্ত্রণা, তখন মানুষের চোখে আপনাকে মানসিক রোগি বা অস্বাভাবিক দেখাবে; ইহা স্বাস্থ্য বিজ্ঞান অনুযায়ীই একটি সহজ রুল। তাছাড়া আমার আত্মীয় স্বজন থেকে মানুষকে অযথাই বোঝানো হচ্ছিলো যে, আমি তাদেরকে অমান্য করছি।
তবে এবার মসজিদের মধ্যে অতি সম্মানের তুড়ি ভেঙ্গে আমার ব্রেনে শর্ট-সার্কিট ঘটলো। আমার ভাই মসজিদের মধ্যে (সম্ভবত ২৭ রমজানে) আমাকে জাকাতের টাকা দিচ্ছিলেন। উনি পাশাপাশি অবস্থানরত আমার ঘরে না দিয়ে মসজিদে কেন দিতে চাচ্ছিলেন, তা উনিই ভালো জানেন।
কিন্ত আমার ব্রেনে অনেকটা অটোমেটেড রিয়াকটিভ পাওয়ার নেচারিলি জেনারেট হয়েছে তখন, যখন ঈমাম সাহেব আমাকে চোখ রাঙ্গাচ্ছিলেন, জাকাতের টাকা গুলো রিসিভ করার জন্য। তিনিও আমার ভাইয়ের সাথেই অবস্থান করছিলেন। বুঝতে চেষ্টা কইরেন আমি একজন শিক্ষিত মানুষ। আমল ইবাদত করি। নিজকে ভদ্র হিসেবেই প্রকাশ করছি। এখন আবার আমার দু’ই হাত থাকা সত্ত্বেও জাকাতের টাকা খাচ্ছি। যা অপমানের। অতএব হুজুর কেন, যে কোন লোক নেচারেলি আমাকে তিরষ্কৃত করতে পারেন।
ইত্যাবসরে হঠাৎ অটোমেটিক্যালি আমার সে সম্মানিত ঈমাম সাহেবকে তাড়া করলাম এবং বললাম আপনার এখানে কী? কেন আমার ভায়ের তোষামদ করতে গিয়ে আপনি এবং আপনার বালক মুসল্লি ও আপনার অনুগত মুর্খ, অশিক্ষিত, ধর্মান্ধ আর হুজুর পূজারী এদেরকে দিয়ে আমাকে অপমান করাচ্ছেন? জাকাত দিচ্ছেন আমার ভাই, আপনি কেন তিবষ্কারের ছলে আমাকে বাধ্য করতে চাইবেন?
চোখের ফলকে হুজুর মসজিদের বাহিরে চলে গেলেন। আমার ভাই আমাকে জাকাতের টাকা দিলেন। ভাই বলে কথা! তাই জাকাতের টাকা গ্রহণ করলাম।
মসজিদের মধ্যে টাকা দিয়ে আমি কী করবো সেখানে? তিনি ঘরেওতো দিতে পারতেন। আমার স্বপ্ন ভঙ্গ হলো। ভাবলাম, এভাবে ধুঁকে ধুঁকে মরার চাইতে প্রতিবাদ করতে হবে?
কিন্ত কয় জনের সাথে প্রতিবাদ করবো? তবুও খান্ত থাকলাম না। মসজিদ কমিটির সভাপতি বরাবর ইমাম সাহেব এবং আমার ভাইয়ের অপসারণের দাবি জানিয়ে দরখাস্ত পেশ করলাম। অনেক চেষ্টা করলাম, প্রধানত যাদের অর্থায়নে মসজিদ চলে তাদেরকে অন্তত এ দরখাস্তের একটি সফট কপি শেয়ার করার জন্য। কিন্ত কেউ আমাকে তাদের একটি ইমো বা হোয়াটস এপস নাম্বার দিতে চায়নি। আর এ দিকে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাহেব জানতেও চাননি কেন আমি এ দরখাস্তটি দিলাম।
সাথে সাথে হ্নদয় দ্বারে তালা মেরে আত্মীয়-স্বজন থেকে বিমুখ হতে শরু করলাম। এলাকার বিজ্ঞ কিছু বয়ো বৃদ্ধ লোক বিষয়টি বুঝতো। যার জন্যে তারা আমার প্রতিষ্ঠানের সদস্যও হয়েছিলো।
বাকিরা মনে করতে থাকলো, এ আসলেই পাগল। এখান দিয়ে কোরআন-কিতাব-নামাজ, যিকির আজকার এসব করে; আর অন্যদিকে নিজ আত্মীয় থেকে এবং নিজ রক্ত থেকে বিমুখ থাকে।
তাদের কথা হলো, সুস্থ জ্ঞান সম্পন্ন মানুষ কোনদিন নিজ রক্ত সম্পর্কিত আত্মীয় থেকে বিমুখ থাকে নাকি?
আর আমার আত্মীয়-স্বজন আমার বিষয়ে অপপ্রচার চালচ্ছেতো, চালাচ্ছেই এবং বাহির দিয়ে যদিও বোঝা যাচ্ছিলো না, ভিতর দিয়ে কিন্ত অনেকটাই হিংস্র রূপ ধারন করেছিলো তারা। তাদের সে মানসিক অবস্থাটি আমার প্রতি তাদের দৃষ্টি ভঙ্গি ও তাদের ব্যবহারিক দিক বিবেচনা করে বুঝতে পারছিলাম।এবং যেহেতু এখন তাদের এ নীল নকশা গুলো আমি মানুষের নিকট ব্যক্ত করছি, তাই আমার বিষয়ে হয়তো তারা আরো হিংস্ররূপ ধারন করতে পারে বলেই আমার ধারনা।
আর আমি যদিও আত্মীয়-স্বজন বিমুখ থাকি বা থাকতে বাধ্য হচ্ছি, তথাপি মূলত বা মানসিক ভাবে কখনোই আমি আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করি নাই এবং তাদের সাথে হিংসা বা শত্রতা আমার নেই বা থাকতে পারে না বা থাকবে না।
আমার চরিত্রগত এ দূর্বলতম দিকের কারণে তাদের দ্বারা কখনো আরো জটিল পরিস্থিতির শীকার হই কিনা বর্তমানে অনেক সময়ই এ ভয় করছি।
যেহেতু সমাজের প্রায় সবাই আমাকে পাগল মনে করছে, কারণ আমি নিজ রক্ত সম্পর্কিত আত্মীয় স্বজন থেকে বিমুখ থাকছি, আর আমার আত্মীযরাতো অনেকটা বিরোধিতাই করছে; ফলে অনেকেই বলছেন, আমি নামাজ-কোরআন তিলাওয়াতে চোখের পানিতে বুক ভিজাচ্ছি, অথচ কোরআন ও হাদীস শরীফে যেখানে আত্মীয় স্বজনের সম্পর্ক ছিন্নকারীকে দোযখের অধিবাসি বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে; আর এ বিষয়ে আমার ব্যবহার বা তাদের অপপ্রচার দেখে, অনেকেই মনে করছেন, পাগর ছাড়া আর কেউ এ রকম করতে পারে না? আর অনেকে মূল বিষয়টি বুঝে উঠতে পারছিলেন না।
এছাড়া এদের বদ্ধমূল ধারনা জন্ম হলো যে, আমার নিকট তাদের প্রাপ্তি বা সম্ভাবনা বলতে আর কিছু নেই এবং এদের দূর্ভিসন্ধি গুলো এ জীবনে হয়তো আমি কখনো বুঝতে পারবো না, কারণ আমি আর দুনিয়া বুঝবো না হয়তো এবং এরা এটাই মনে করেছিলো।
নতুবা যে ভাইটি বাবার কাছ থেকে জমি ক্রয় করে আমার চিকিৎসা করলো, বর্তমানে আমার জীবন পরিচালনায় তিনি আর কোন সহযোগিতা করেন না কেন? এবং তখন যে সিটিউশন গুলো হয়েছিলো, এখনোতো সে সিটিউশন গুলো অনেক সময়ই হচ্ছে, তারাই বিভিন্ন ভাবে আমাকে কষ্ট দিয়ে এ অবস্থা গুলো সৃষ্টি করছে। কই আলহামদুলিল্লাহ এখনতো আর আমি হাসপাতালেও যাই না এবং ঔষধও খাই না। বরং আমি যে কাজটিই ধরি এরা সহযোগিতা না করে উল্টো এর বিরোধিতা করে। যেন আমাকে উঠতেই দেবে না। পায়ের তলায় তলায় রাখবে। আমার বিষয়ে এ রকমই যেন তারা সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছে।
অতএব আপনাদেরকে আমার বিষয়ে সঠিক অবস্থা ও এর কারণ জানাতে আজ আমি কলম ধরেছি; না হয় আপনাদের নিকট এবং আমার ছেলে সন্তানের নিকটতো আমি আজিবনই পাগল হয়ে থাকবো। এবং যেহেতু আমার এ অবস্থাটি একাট প্রাকৃতিক কারণ থেকে সৃষ্ট, তাই এ প্রাকৃতিক কারণ সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে একটা ম্যাসেজ প্রদান করা, তাদেরকে এ বিষয়ে একটা জ্ঞান প্রদান করা এটা মানুষ হিসেবে আমার কর্তব্য। এ উভয় উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই আজকে আমার এ কলম পরিচালনা।
জীবনে যেখানে সবচাইতে বেশি কষ্ট পেয়েছি এবং এখনো সে আগুনেই জ্বলছি; এবার সে সম্পর্কে একটু শুনাই। তা হলো আমার স্ত্রী, অর্থাৎ পারিবারিক জীবন নিয়ে।
(মানসিক রোগের উপসর্গ এ পোস্টটি সম্ভন্ধে মন্তব্য প্রদান করার জন্য অনুরোধ রইলো)
বিয়ের পর আমার স্ত্রীকে এরা বোঝাতে সক্ষম হলো যে, আমার ভিতর এমন একটা কিছু আছে, যাকে জাগ্রত করতে দেয়া যাবে না। সব সময় ঔষধ খাইয়ে যেতে হবে এবং চাপিয়ে রাখতে হবে।
আমার স্ত্রীও দেখলো বাড়িতে কোনই আমার মূল্যায়ন নাই। আমার টাকা পয়সাও নাই। এমনকি আমার ইবাদতকেও তারা মূল্যায়ন করে না।
(মানসিক রোগের উপসর্গ এ পোস্টটি সম্ভন্ধে মন্তব্য প্রদান করার জন্য অনুরোধ রইলো)
তখন সে ভাবলো আমার পুজা করেতো তার জীবন যাবে না!! তাছাড়া কখন আবার আমার পাগলামী জাগ্রত হয়ে যায়। আরতো জমিও নাই যে, বিক্রি করে চিকিৎসা করবে?
তাই অবশ্যই তাকে দাবিয়ে রাখতে হবে। অপরদিকে আমার আত্মীয় বা ভাই গণের ভয় হচ্ছে, যদি একবার আমি সামর্থবান হই, তাহলে আমি তো আর নিজ স্বার্থের জন্য কারোরই কালো মুখগুলো গোপন রাখবো না। মিথ্যার সাথে আপোষ বা সত্য গোপন করে রাখা, এ সব আমি পারবো না। যেহেতু আমার মৌলিক বৈশিষ্ট্যটাই এ রকম। অতএব তাদের সিদ্ধান্ত, যে কোন ভাবেই হোক আমাকে দাবিয়ে রাখতেই হবে।
এ পারপাসে আমার স্ত্রী আমাকে বিভিন্ন ভাবে এবং কখনো কখনো সীমাহীন অপমান, অবহেলা করতো; আর এরা তা শুধু চেয়ে চেয়ে দেখতো।
আমার স্ত্রী ঘর-সংসার করতো আমার, কিন্ত কথা শুনতো তাদের।
তার ব্যবহার গুলো তারা যে ভাবে ইঙ্গিত প্রদান করতো ঠিক সে ভাবেই হতো।
একই সংসারে দু’জনের দু’-মুখী অবস্থান!! এটা কতটুকু যন্ত্রণার তা ভুক্তভূগী ছাড়া অন্য কেহ অনুধাবন করতে পারবেন কিনা আমি জানি না।
তাদের এ রকম পূর্ব সিদ্ধান্তের কারণে আমি যে কাজই ধরি না কেন, তখন এরা মানুষের নিকট আমার অযোগ্যতা প্রমাণেই শুধু ব্যস্ত থাকে। আমার কাজে এরা অংশগ্রহণ করে না। না হয় গতবার মসলার প্রডাক্ট করতে চাইলাম, এ ৪০ টাকার মসলার প্রডাক্টও তারা আমার কাছ থেকে কিনতো না। বলতো টাউন থেকে তারা কিনে আনে। অথচ আমার কাজে বা কথায় কোন মিথ্যা আছে কিনা বা আমার এ মসলায় কোন ধরনের ফাঁকির কিছু ছিলো কিনা, তা তাদেরকেই বলতে বলেন। আলহামদুলিল্লাহ! তারা না শুধু, কেউই বলতে পারবে না ইনশা’আল্লাহ।
অবশ্য বর্তমানে আমার কাছে অনেকে টাকা পাবে। কিন্ত এখন আমি অসহায়। যেহেতু প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দিতে হয়েছে, তাই এ ঋণ গুলো ভুক্তভূগী পক্ষ সহ একটি সেবামূলক ও অর্থলগ্নী প্রতিষ্ঠান করতে গিয়ে সিস্টেমেটিক্যালি হয়ে গেছে। এমন নয় যে, মানুষের টাকা মেরে খাওয়ার অভিপ্রায়ে আমি তাদেরকে এ টাকা গুলো পরিশোধ করছি না। বা এমনও নয় যে, এ টাকা গুলো দেয়ার ক্ষেত্রে আমার কোন দূর্ভিসন্ধি রয়েছে বা আমার দেয়ার কোন ইচ্ছা নেই বা আমি দেবো না।
(মানসিক রোগের উপসর্গ এ পোস্টটি নিকট জনদের মধ্যে শেয়ার করার জন্য অনুরোধ রইলো)
সমিতির জন্য প্রায় ২০০ মানুষ একত্রিত হয়েছিলো। প্রায় ২৮ লক্ষ টাকা ইনভেস্ট হয়েছিলো। প্রায় ৭/৮ বছর প্রতিষ্ঠানটি চালিয়ে ছিলাম। আমার ভায়েরা কিন্ত একজনও আসেনি। আমার ভায়েরাই শুধু বুদ্ধিমান, সমাজের বাকি আর মানুষ গুলো বুঝি সবাই আমার মতোই পাগল!! আমি প্রতিষ্ঠানটি অতি অত্যাধুনিক করতে চেয়েছিলাম এবং কেন এটি বন্ধ করে দিতে হয়েছিলো তা যদি বুঝতে চান তবে –
(ক্লিককৃত ঐ প্রবন্ধের ৪৬-৪৯ হিন্টস)
সবচাইতে বেশি কষ্ট পেয়েছি স্ত্রীর কাছ থেকে। কারণ সারা দিন বাহিরে নানাবিধ যন্ত্রণা থেকে ঘরে এসে যখন কথার কথা ফ্যানটা দিতে বলি, তখন এ ছলনাকারী বেহুদাই বলে ফ্যান এটা দিবো না ওটা দিবো? যে কন্যাদেরকে আমি নিজ প্রাণের মতোই মুহাব্বত করি, সে কন্যাই আমাকে ফরখ করে এবং শরীরের স্পর্শকাতর স্থান গুলো খাউজাইতে থাকে। কারণ তাকে বোঝানো হচ্ছে আমি পাগল।
এখন সে তো আর এতো কিছু বোঝে না। নিজের কন্যা হয়েও বাবাকে ফরখ করতে যায়। অর্থাৎ মায়ের পক্ষে তাদের অবস্থান, আর আমি অপরাধী; এ বিষয়টি আমাকে সে জানাতে চায়। অথবা আমি পাগল তা দেখতে চায়। এতো ছোট বাচ্চা মা-বাবার এ দ্বিমুখী ভাবের কী বুঝে বলুন? এটা আমার বাচ্চাদের জন্য নি:সন্দেহে ক্ষতিকর কিছু নয়? তখন আমার কাছে আরো অনেক বেশি টেনশন লাগে।
রাত ৩ টা বাজেও যদি ঘরে যাই; আমার মা একদিকে বকেন, কী লিখছ এগুলো; এরা প্রতিবাদ করবে বলছে। ইত্যাদি। তিনি তো আর বলছেন না; তাকে বলানো হচ্ছে। আমি আমার মাকে বেশি ভালোবাসি। ফলে আঘাত আরো বেশি করে পাই।
(মানসিক রোগের উপসর্গ এ পোস্টটি সম্ভন্ধে মন্তব্য প্রদান করার জন্য অনুরোধ রইলো)
অপর দিকে স্ত্রীটা এমন ভাবে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেন, পৃথিবীর কোন স্বামীকে তার স্ত্রী এভাবে তুচ্ছ তাচ্ছিল্যের ব্যবহার করবে, এটা আমি ভাবতেও পারি না। অথচ তার অবস্থান হচ্ছে যেহেতু আমার কাছে কোন টাকা বা ক্ষমতা কিছুই নেই, তাকেতো জীবনে বাঁচতে হবে। দুনিয়াতে বেঁচে থাকাই তার ইচ্ছা। এ ক্ষেত্রে স্বামীকে অবমূল্যায়ন, অবহেলা করলেও; দুনিয়াতেতো তাকে একবার বাঁচতে হবে!! আর ইনশা’আল্লাহ আমার মানসিক অবস্থা এর থেকে সম্পূর্ণ বিপরীত। সে সাথে চারদিক থেকে ছোট ছেলেদের কাশি শুনতে হয় আমাকে। যেন আমি কোন প্রতিবাদ না করি।
সবাই মিলে এভাবে ব্যবহার করতে করতে এবং বাবার জায়গা-জমি বিক্রিকে কেন্দ্র করে আমার ভায়ের এমন কিছু হিংসাত্মক মূলক ব্যবহার তাদের পক্ষ থেকে আমার সাথে হয়ে গেছে, যা এখানে আর লিখছি না এবং আপনাদের জানা উচিৎ আমি বিয়ে করেছিলাম এসব ঘটনার অনেক পরে। অর্থাৎ আমার স্ত্রী এসবের চাক্ষুষ স্বাক্ষী নয়, তাকে পরবর্তীতে বোঝানো হয়েছে।
এরা সবাই ভাবছিলো আমি মনে হয় জীবনে এসব আর বুঝবো না। কিন্ত অমার রবের অশেষ মেহেরবানি, অনেকটা আগুনের মধ্যদিয়ে জীবন অতিবাহিত করার পরেও মহান রব আমাকে এসব বুঝিয়ে দিয়েছেন।
এক্ষণে আমার স্ত্রী, তার সন্তানদের মাঝে নিজকে নির্দোষ প্রমাণ করতে গিয়ে এমন ভাবে আমার সন্তানদেরকে মিচগাইড করছেন এবং এমন ভাবে আমার ভাই, ভাবী গংদের সাথে মিশে চলছেন ও তারাও কৌশলগত ভাবে আন্তরিকতা দেখাচ্ছেন; ফলে আমার এ আদরের সন্তান গুলো উল্টো আমাকেই ভুল বুঝছে।
ফলে আমার ঘরই মাঝে মাঝে আমার জন্য হয়ে উঠছে নরকপুরি।
গবেষক, ডাক্তার ও বিজ্ঞানী ভায়েরা, আমি কি আসলেই বক বক করছি, না আমার ক্ষেত্রে এ প্রাকৃতিক দান (যেহেতু মূলত এটি আমার উপকার করেছে। আমার পাপগুলো মোছন করতে এবং আল্লাহ মুখী হতে এ মানসিক বৈশিষ্ট্যটি যথেষ্ট কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে আমার জীবনে, তাই একে আমি রবের পক্ষ থেকে দান মনে করছি) বা সমস্যাটি যে বাস্তব সত্য, তা বুঝতে এবার আমার অফিসের পাশে অনুষ্ঠিত ওয়াজকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে পাবলিস্ট করা শুধু এ দুটি পোস্ট এবং এর কমেন্টস সমূহ পড়লে আপনারা তা অনায়াসে বুঝতে পারবেন। পোস্ট দু’টি পড়তে যথাক্রমে-
এবং
ও ফেসবুকে সাইন ইন করে অনুগ্রহপূর্বক পোস্ট দু’টি পড়ে নিতে পারেন।
অন্যদিকে, বিজ্ঞ লোকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, আপনাদেরকে কেউ একজন বলতে পারেন যে, আমি অযোগ্য বা পাগল ছিলাম ; আর তাই প্রায় নি:স্ব অবস্থায় সবকিছু হারিয়ে নিজ হাতে তৈরী করা আমার ওয়েব সাইটটি ভিজিট করলে বা শুধু এ পোস্টটি ভিজিট করলেও বুঝতে পারবেন, আমি কোন পাগল কিংবা অযোগ্য ছিলাম কিনা।
(মানসিক রোগের উপসর্গ এ পোস্টটি সম্ভন্ধে মন্তব্য প্রদান করার জন্য অনুরোধ রইলো)
এরা আমার সন্তানদেরকে নিয়ে, আমি যে অর্থাভাবে ধুঁকে ধুঁকে মরছি তা চেয়ে চেয়ে শুধু দেখতো। আমার প্রতিভাকে হত্যা করে তারা যেন অত্মতৃপ্তিই পেতো। এক্ষেত্রে আমার মানসিক কষ্ট আরো বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হতো। কারণ তারা আমার নিকট আত্মীয় ছিলো।
তবে এ প্রবন্ধটি আমি আমার এ দূর্বল মুহূর্তে মূল্যবান কাজ বাদ দিয়ে ও প্রায় সারাদিন ব্যয় করে তাদেরকে অপমান করার জন্য লিখিনি।
আমার ওয়েবসাইট ভিজিট করতে
অথবা আমি যে ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছি সে সম্পর্কে জানতে
অনেকে এও বলতে পারেন, নিজ পরিবার বা বংশের ব্যক্তিগত কথা গুলো বাহিরে প্রকাশ করা ঠিক নয়। আপনাদেরকে আমি বলতে চাই, আমার উপর দিয়ে ঘটে গেলো এতো বড় ঘটনা, যা প্রায় ২২ বছর ভূগলাম। এখনো যদি কাউকেই কিছু না জানাই তাহলে মানুষতো আমার বিষয়ে বুঝলো যে, হ্যাঁ আমি পাগল ছিলাম; আর আমার সন্তানাদি বুঝলো যে, আমার বাবা পাগল হয়ে গিয়েছিলো, যার জন্য আমার জেঠুরা, আমাদের সম্পত্তি গুলো বিক্রী করে তার চিকিৎসা করে। আমার জেঠুরা অনেক ভালো। ফলে একটা মিথ্যা কথা জেনেই এবং অপমানের মধ্যে থেকেই তারা এ জীবন অতিবাহিত করবে।
এখানে আর একটু বলি, আমার মতে আমার সে প্রাকৃতিক কারণে আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর কোন প্রয়োজন ছিলো না। আমি কাউকে এমন কিছু করিনি যে বা নিজেও এমন কোন এবনরমাল আচরণ করিনি যে, আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করে আমার হাজার হাজার টাকা শেষকরতে হবে।
এরা আমার প্রাকৃতিক কারণকে দূরীভূত করার নামে, হয়তোবা দূর্ভিসন্ধিতেও, আর এখনতো ইহা স্পষ্টই বুঝতে পারছি যে, নিজেদের ইচ্ছেমত দামে জমি ক্রয়ের সুযোগ সৃষ্টি করাও আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর একটা কারণ ছিলো।
এভাবে নারী পুরুষ সবাই মিলে বার বার তারা আমার উপর বিভিন্নমুখী মানসিক অত্যাচার চালিয়ে আমার ব্রেনকে ব্যাকওয়ার্ডে ফেলে দিয়ে সমাজের চোখে সাজিয়েছিলো আমি রোগি।
যদি আমার কথা মিথ্যা হয় তাহলে তাদেরকে এ পোস্টের কমেন্টস-এ প্রতিবাদ করতে বলেন।
সেটা শুধুই আমার ভাইদের থেকে হতে হবে।
ছোটদের সাথে, ভাতিজা কিংবা ৩য় পক্ষের সাথে এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না।
যদি তারা দোষী নয়, আমি পাগল ছিলাম; এ বিষয়টি প্রমাণ করতে চায়; তবে শুধুই ভাইদের থেকে আমার বিরুদ্ধে এ পোস্টের কমেন্টস সেকশনে কলম ধরতে বলেন।
আর আমি তখন একে একে জানতে চাইবো, আমার বিরুদ্ধে তাদের দ্বারা পরিচালিত এ কাজগুলো রোগী চিকিৎসার সাথে কিভাবে সম্পর্কিত ছিলো? যদি চিকিৎসাই করেন, আমার মঙ্গলই চেয়েছিলেন, তাহলে আপনাদের এ কাজ গুলো কী অর্থ বহন করে?
সত্যবাদি হলে এ কাজটি করে দেখাতে বলেন?
আর আমিও বুঝতে শিখি (এবং সম্মানিত পাঠকবৃন্দও), না, আমার মনে হয় সত্যিই আমি পাগল ছিলাম। তাই আমার জমি গুলো বিক্রি করে ফেলা হয়েছে এবং আমার বিরুদ্ধে আমার স্ত্রীকে উপস্থিত করেছে। মনেহয় এরও প্রয়োজন ছিলো।
আমার এ স্ত্রীটিকে স্বাধীন ভাবে আমি কার্যত আজও পাইনি। কারণ সে তাদের প্রতিনিধি। যেহেতু সম্মান সে তাদেরকে করে, আমাকে করে না। কথা তাদের শুনে, আমার কথা শুনে না। আমার বিধি নিষেধের কোন মূল্যায়ণ তার কাছে নেই। মনেরাখবেন এভাবেই নিজের দূর্বলতা প্রকাশ করছি আজ।
অথচ সে স্পষ্টই দেখতে পাচ্ছে, আমার ইনকামের সমস্ত পথ আমার ভায়েরা বন্ধ করে দিতে সমর্থন যোগায় এবং আমাকে এরা বিভিন্ন ভাবে প্রেসার প্রয়োগ করে শক্তিহীন রাখতে চায়।
বর্তমানে আমি প্রায় উপোষ, ভবিষ্যতের কোন অবলম্বন আমার নেই।
এদের যদি জমি কিনে নেয়ার অসৎ উদ্দেশ্য না থাকতো, তবে বাবার ইন্তেকালের পরে এখন আমার দিকে ফিরেও তাকায় না কেন? এবং সমিতি প্রতিষ্ঠা করার পর যখন তা প্রাতিষ্ঠানিক রুপের কাছাকাছি এসে যায় তখন এদেরকে মারমূখী ভূমিকায় দেখতে পেয়েছি কেন? তারা কি প্রতিযোগিতায় হেরে যাচ্ছে, এ ভয় করছিলো?
৬। আত্মীয়তা সম্পর্কে আমার অবস্থান এবং সম্মানিত পাঠকবৃন্দের প্রতি জ্ঞাতব্য:
সবাইকে আমার আত্মীয়দের বিষয়ে আমি স্পষ্ট করে এবং কোন ধরনের কৌশল বিহীন স্ব-ইচ্ছায় জানাচ্ছি যে, যেহেতু আমার এ বিষয়টি বর্তমান ঈমানী দূর্বলতার এ সময়ের মধ্যে, একটি প্রাকৃতিক কারণ থেকে সৃষ্ট এবং অপরদিকে ইসলামের ঘোষণা হচ্ছে, আত্মীয়তা ছিন্নকারী বেহেশতে প্রবেশ করবে না; আর তাই ভবিষ্যতে আমি আমার স্ত্রী সহ আমার সকল রক্ত সম্পর্কিত আত্মীয়ের সাথে পরিপূর্ণ ভাবে মিশে যাবো ইনশা’আল্লাহু তা’য়ালা; যেমনটি এ রোগের পূর্বে ছিলাম; বরং আল্লাহর রহমতে আরো উত্তম ভাবে মিশবো। এবং বর্তমানেও আমি আমার কোন আত্মীয়ের বিরুদ্ধে কোন ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছি না বা চালাইনি এবং সীমাহীন নির্যাতিত না হলে, তবে চালাবোও না। বর্তমানে আমি শুধু তাদের থেকে বিমুখ রয়েছি। অর্থাৎ মুখ ফিরিয়ে রেখেছি। এটা একটি অভিমান, দু:খ ও হতাশা মূলক পজিশন ছাড়া আর কিছু নয়। এবং এ পজিশনেও তাদের যে কেউ আমার সাথে যে কোন কথা-বার্তা বলতে চাইলে, তবে আমি বলছি এবং আমার প্রয়োজন হলে তবে তাদের সাথে নিজ থেকেই বলছি। সে সাথে তারা কোন বিপদে পড়লে আমি সামাজিক কারণে নয়, আন্তরিক ভাবেই তাদের খোঁজ-খবর নিচ্ছি। সামাজিক এসব অপকৌশল বা আন্তরিকতা বিহীন শুধুই বিনিময় হিসেব করে চলা, এভাবে আমি জীবন পরিচালনা করি না বা আমি পারিও না; তা আমার এলাকার প্রায় সবাই জানে। অতএব আমি তাদের সাথে কথা বলিনা এবং কথা না বলার যে তোহমত, যা একটি বড় ধরনের অপরাধ; আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের কোর অপরাধের অভিযোগ আল্লাহর ওয়াস্তে আশা করি দেশ বিদেশের কেউ উত্থাপন করবেন না। কারণ তাদের সাথে কথা বলবো না, এ ধরনের কোন সিদ্ধান্ত আমার নেই এবং এরূপ কোন সিদ্ধান্ত আমি নিতে পারি না।
আমি তাদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের হিংসুটে বা শত্রতা ভাব দেখিয়েছি; বা তাদের মান সম্মান বা উন্নতির অগ্রযাত্রাতে কোন ধরনের বাধা প্রদান করেছি, বা করার উদ্দেশ্যে এ সমাজ বা যে কারো সাথে এ ধরনের কিছু বলেছি; তা কোথাও কেউ বলতে বা প্রমাণ করতে পারবেন না। আর ইহা আমার শারীরিক-মানসিক নেচারও নয়। ফলে এ সব কাজ প্রাকৃতিক ভাবেই আমি পারি না, বা পারবো না।
অতএব, দয়া করে আমি আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করেছি; এ ধরনের কোন গুরতর অপরাধ বা তোহমত বা এমন একটি মিথ্যা কথা আমার বিরুদ্ধে কোথাও কেউ আমার নিকট বা অন্যকারো নিকট বলবেন না। বা আমার নামে চালিয়ে দিবেন না। কারণ আমি আত্মিয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করিনি এবং মুসলিম হিসেবে সাময়িক কিছু অক্ষমতা মূলক ব্যবহার ছাড়া, এ ধরনের মহা-পাপীষ্ঠতা মূলক অবস্থান আমি নিতে পারি না এবং আমি নিইনি।
বস্তুত আমার ভাই-বোন বা অন্যান্য সকল আত্মীয়ের বিষয়ে রয়েছে আমার গভীর আন্তরিকতা। যা তারা সীমাহীন কষ্ট দেয়ার বা অমানসিক নির্যাতন করার পরেও হয়তো আপনাদের অনেকেই তা বুঝতে পেরেছেন।
কারণ, আমি একজন মুসলিম। আমি আল্লাহু তা’য়ালাকেই পেতে চাই। তাঁর পদতলই আমার লক্ষ্য। তবে একমাত্র আমার স্ত্রী ছাড়া আর বাকীদের সাথে আপাতত এখন মিশতে পারবো না। যেহেতু এ মুহূর্তে তাদের সাথে মিশতে গেলে, তাদের স্বভাব গত কারণে (যেহেতু স্বভাব মানুষের সহজে পরিবর্তন হয় না) তারা আমায় হয়তো আরো তিরস্কৃত করবেন।
৭। পরবর্তীতে কারো যদি এ রোগ হয়, তবে তার প্রতি বিশেষ কিছু পরামর্শ:
দেখুন ভাই, আমি আগে বলেছিলাম এ রোগটি আল্লাহর রহমতও হতে পারে এবং রোগী ধীরে ধীরে আল্লাহর পদ তলের দিকেই ধাবিত হতে পারে। বিষয়টি আসলে এ রকম হলেও, এখানে বুঝতে পারার অনেক গুলো বিষয় রয়েছে।
প্রথমেই মনে রাখুন ও বিশ্বাস করুন যে, আপনাকে মহান রব বিনা বিচারেই তাঁর দিকে ধাবিত করবেন; অন্যদের জন্য হিসাবটা ভিন্ন রকম হবে এবং এ রোগ হলে যে, আপনি আরো শক্তিশালী হযে যাবেন; বাকি মানুষদের ক্রিয়েটিভিটি বা কারেক্টারস্টিকস বা ধৈর্য ও সহ্য করার ক্ষমতা আপনার চাইতে গরমিল হবে; পৃথিবীর নিত্য নৈমিত্তিক কথা ও কর্ম সম্পাদনের ক্ষেত্রে মানুষ ও জ্বীনের কালচার এক রকম হবে; আর আপনার উপস্থিতিতে বা আপনার জন্যে তা আরেক রকম হবে অথবা আপনার জন্য নিয়ম-কানুন চেঞ্জ করা হবে বা আপনাকে দেয়া হবে স্পেশাল সহযোগিতা; বর্তমানে আপনি যে ধর্মেরই হন না কেন, এ রকম পক্ষপাত মূলক রব আমার বা আমাদের রব নই।
আমার এ রোগ কেন হয়েছে বা মানুষের বিভিন্ন রোগ কেন হয়; সে মূল কারণটি এখনো মানুষের প্রায় পুরোটাই অজানা।
যেমন করিম বৃস্টিতে ভিজেছে তার জ্বর হযেছে; কিন্তু রহিমও করিমের সাথে, একসাথেই ভিজেছিলো কই তার তো জ্বর হয়নি!? অথচ করিম রহিমের চাইতে বেশি শক্তিশালী বলেই মনে হয়। তবে শক্তিকে আপনি এখানে অস্বীকার করতে পারবেন না। আমি শুধু বোঝাতে চেয়েছিলাম, রহিমের মতো কতো শক্তিশালী মানুষ রোড় এক্সিডেন্টে মারা যায়, কই করিমের মতো দূর্বল মানুষতো একসিডেন্ট হয়ে মারা যায়নি!!??
সবকিছুই যদি মানুষ বুঝে যেত, তাহলে, অসুস্থ হওয়া মুমিনের জন্য রহমত স্বরুপ, এ কথাটি হাদিস শরীফ থেকে আমরা পেতাম না। এ অসুস্থ হয়ে রহমতের ভাগিদার হওয়া, ইহা আপনার জন্যে যেমন; ঠিক অপর মানুষের জন্যেও তেমন; এর বেশি কিছু নয়। আর আমি একজন মুমিন হিসেবে শুধুমাত্র এ দৃষ্টিকোন থেকেই আমার বিষয়ে উপরে উল্লেখিত এ মন্তব্য করেছিলাম।
রোগীকে এবং বাকী মানুষদেরকে, এ বিষয়ে শতভাগ নিশ্চিত হতে হবে যে, একটা চিমটি কাটলে বা কাউকে লোহার রড দিয়ে পিটালে সে যেমন ব্যাথা পাবে; ঠিক এ রোগীও সে রকমই ব্যাথা পাবে। তাই এ রোগীর সাথে কিছু একটা আছে মনে করে তাকে আঘাতে আঘাতে জর্জরিত করে ফেলা; ইহা কারো পক্ষেই উচিৎ হবে না। রোগীও এ রকম মনে করতে পারবে না যে, বাকী মানুষের সাথে তার ভিন্নতা রয়েছে।
এখানে অবশ্য একটি বিষয় বোঝা দরকার, আপনারা নিশ্চয় জানেন, রাসূলুল্লাহ (সা:) এঁর সাহাবী গণের (রা:) কারো কারো এমনও সময় গিয়েছে যে, তিনি (রা:) নামাজ পড়ছেন, আর এ অবস্থায় তীর এসে বিদ্ধ হয়েছে, অথচ তিনি নামাজ ভঙ্গ করেননি, বরং নামাজের শেষে তীরটি খুলেছেন।
এটা হচ্ছে আপনি যদি কোন নেক আমল করেন বা শুধুই আল্লাহু তা’য়ালার জন্যেই ইবাদতে মশগুল থাকেন বা শুধু আল্লাহ্ তা’য়ালার জন্যেই ধৈর্য ধরেন ও সহ্য করেন, ঠিক তখন মহান রব কাউকে না কাউকে দিয়ে অথবা গায়েবী ভাবে আপনাকে সহযোগিতা করবেন।
আমি মনে করি এ রোগীর পুরোটাই শুধু এ যুক্তি দিয়েই পরিচালিত। তাই ভালো কাজ করলে মানুষ যেমন সহযোগিতা করবে, ঠিক তেমনি আপনার ভিতর থেকেও সহযোগিতা পাবেন। না হয় ভিতর বাহির কোথাও থেকে কোন ধরনের সহযোগিতা পাবেন না। বরং ভিতর থেকেও বিরোধিতা পাবেন এবং ধীরে ধীরে শয়তানী কালচারের দিকে চলে যেতে পারেন।
মূলত এ পয়েন্টেই এ রোগীকে আজকে আমি পরামর্শ দিতে চেয়েছিলাম।
দেখুন প্রত্যেকটি মানুষের সাথেই একটি জ্বীন শয়তান ও একটি ফেরেশতা রয়েছে। অতএব এ রোগীর সাথেও থাকবে। এর কোনরুপ পরিবর্তন হবে না। আর তাই এ রোগীর গুনাহের তারতম্য অনুযায়ী নিজ মনে, ব্রেনে, কথায় একং কর্মে শয়তান চালাবে এক মহাযুদ্ধ। আর তাই আপনাকে শয়তানের মোকাবেলায় অবশ্যই আল্লাহর রহমত যাতে পান, সে জন্য হতে হবে যথেষ্ট উপযুক্ত। শয়তান বার বার চেষ্টা করবে আপনার ঈমান নষ্ট করে দিতে। যা মূলত কোন কাজের মাধ্যমে ঘটতে নাও পারে এবং যা মানুষও হয়তো দেখবে না যে, কেউ আপনাকে সহযোগিতা করতে পারে। তাই এ সব পয়েন্ট থেকে আপনার ঈমানকে রক্ষা করতে এ রোগীর জ্ঞান অর্জনের কোনই বিকল্প থাকবে না। তাই সুযোগ ফেলেই ধর্মীয় জ্ঞান অর্জন করবেন।
আবার আপনাকে হেফাজতের জন্য জ্ঞানই মূখ্য নয়। মূলত আপনাকে হেফাজত করতে যে ৬টি বিষয় যথেষ্ট কার্যকরি হবে, তা হচ্ছে-
ক) প্রথমত আপনার রব মহান আল্লাহু তা’য়ালার জন্য আপনার জান, মাল, সন্তান-সন্ততি, মা-বাবা এবং আপনার সমস্ত ধন-সম্পদ তুচ্ছ্য করে দিতে হবে। যেন বেঁচে থেকেও আপনার কিছুই নেই; কেবলমাত্র রব ছাড়া। রবের বিপরীতে এগুলো যেন আপনার চিন্তায়ও আসতে না পারে এবং সাবধানতার সাথে মনে রাখবেন; এ রোগ থেকে আপনাকে উত্তোরিত বা সুস্থ হতে হলে, সেক্ষেত্রে এটিই হবে আপনার মূল পুঁজি।
খ) দ্বিতীয়ত মানুষের প্রতি ভালোবাসা। এ বিষয়টি আপনার স্বভাব ও অভ্যাসের মধ্যে প্রাকৃতিক হতে হবে। যেন আপনি ইচ্ছে করে কিছু করছেন না; শত আঘাত সয়েছেন, তবুও অটো ভাবে প্রমাণিত হচ্ছে আপনি মানুষকে ভালোবাসেন। আর সাধারণ লোক এ কারণে আপনাকে পাগল সাব্যস্ত করছে , অথচ জ্ঞানী লোক নি:সন্দেহে বলবে যে, আপনি মানুষকে ভালোবাসেন, মানুষের ভালোবাসা থেকেই মূলত এমনটি হয়েছিলো। মনেরাখবেন, এটিই হবে আপনার প্রধান পুঁজি।
গ) আপনাকে সবসময় সত্য বলতে হবে।
ঘ) মিথ্যা পরিহার করতে হবে।
ঙ) সব সময় এবং যে কোন অবস্থাতেই সত্যকে সমর্থন বা সাপোর্ট দিতে হবে। সত্য স্বাক্ষ্য ও ন্যায় বিচার আপনাকে করতে হবে। এখানে পক্ষপাতিত্ত্বের বা আপন-পর বিবেচনার অথবা বাঁচা-মরার, জাত-বিজাতের, সমাজ-নামাজের, বংশ-পরিবারের, আত্মীয়-অনাত্মীয়ের, সম্মান-অসম্মানের বিন্দুমাত্র কোন ব্যবধান থাকবে না।
চ) আপনি কখনো সত্য-মিথ্যায় মিশ্রিত করতে পারবেন না।
আপনাকে খুব ভালো করে মনে রাখতে হবে, শয়তান এ বিষয় গুলোতে আপনার সাথে যুদ্ধ করতে পারে এবং এ যুদ্ধ অনেক সময় শুধু আপনার মনস্তত্ত্বের মধ্যেই থাকতে পারে।
তবে আপনাকে একটা হিন্টস দিয়ে দিই, দেখুন পানি বেশি ঘরম করলে যেমন, পানির ভিতরে থাকা ব্যাঙ বা মাছ লাফিয়ে বেরুতে পারে না, ঠিক তেমনি আপনাকেও কখনো কখনো প্রতিবাদী হতে হবে এবং মনে রাখতে হবে যে, প্রতিবাদ করাও যেন, যাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছি, তাদেরকে ভালোবাসারই আরেক নাম হয়। আপনি কখনো এবং কোন অবস্থাতেই মানুষকে ঘৃণা করতে পারবেন না। আপনি শুধু পাপকে ঘৃণা করবেন এবং শয়তানই হবে কেবল মাত্র আপনার প্রতিপক্ষ।
আর যদি আপনি এ রকম হতে পারেন, তবে আপনার জ্ঞান ও বিদ্যা-শিক্ষা কম থাকলেও আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলছি যে, বেহেশত ইনশা’আল্লাহু তা’য়ালা আপনি পাবেন।
৮। পরিশেষ:
পরিশেষে বলতে চাই, আমার এ রোগটি আসলে কোন রোগ নয়; এটি যদি কারো হয়, তবে বুঝতে হবে, যদি ঐ রোগী ধৈর্য ধারন করতে পারে ও সহ্যশীলতার মাধ্যমে ঈমান রক্ষা করতে পারে তবে ইহা ১০০% সত্য এ রোগটি ঐ রোগীকে আল্লাহু তা’য়ালার পদতলে (অনুগত গোলামার্থে) নেয়ার জন্যই প্রতিভাত হয়েছে এবং এ ধরনের রোগিকে জ্বীন তাড়ানোর কথা বলে উল্টো আরো রোগী করে দিবেন না। বরং তাকে জ্বালা যন্ত্রণা না দিয়ে ইসলামী শিক্ষা দিন, রোগীর সাথে আলোচনা করে যে কোন মাদ্রাসায় ভর্তি করে দিন বা কোন ভালো বুজর্গের সোহবতে পাঠিয়ে দিন। কোন গুনাহের পরিবেশে তাকে পাঠাবেন না। আর তার আমল ইবাদতকে মূল্যায়ণ করুন এবং তাকে সম্মান করুন। আশা করি এতেই সে ভালো হয়ে যাবে। হাসপাতালে নিতে হবে না। এরা হাসপাতালের রোগী নয়। এরা আধ্যাত্মিক রোগী এবং এদের চিকিৎসা আল কোরআন, আল হাদিস ও রাসূলুল্লাহ (সা:) এবং তাঁর সাহাবীদের (রা:) এর জীবন চরিতের আমল ছাড়া আর কোথাও নেই। তবে রোগীকে বিষয় গুলো মেনে নিতে হবে।
এছাড়া আপনাদেরকে আরো জানাতে চাই যে, আমি আর এ ধরনের লিখা লিখতে চাই না। এ মহুর্তে আমার ইনকাম প্রয়োজন। অযথা আমাকে চটিয়ে বা অবরুদ্ধ করে রাখতে চেষ্টা করে আমার মুখ অপবিত্র করতে চেষ্টা কইরেন না। আমাকে অবরুদ্ধ রাখতে পারবেন না। যেহেতু আমি কোন অন্যায় করিনি। বরং আপনারা আমার উপর সীমাহীন বর্বোরচিত অত্যাচার করে গেছেন।
সকলের নিকটই আমার অহবান, পারলে বন্ধুত্ব পূর্ণ ভাবে আমার সাথে স্বাভাবিক আচরণ করেন ও আমার কর্ম গুলো ভালো মনে হলে তবে এতে সমর্থন দেন।আর পৃথিবী ব্যাপী মানসিক রোগীদেরকে এভাবে বা এর চাইতেও যন্ত্রণাদায়ক ব্যবহার কইরেন না। এরা যতটা না রোগের কারণে সর্বহারা হয়, সীমাহীন কষ্টপায়; তার চাইতে বেশী পায় নিজ আত্মীয়-স্বজন কর্তৃক নিগৃহীত হয়ে। আমার মনেহয় এ রোগের জন্য যতটা না প্রাকৃতিক কারণ দায়ী, তার চাইতে বেশি দায়ী তার চারপাশের এ মানুষ গুলো।
আমি কী বোঝাতে চেয়েছি, তা যারা বিষয়টি বুঝতে পারছেন না, তারা যদি একবার নি:স্ব হতেন; অপনার মাঝে স্বজনদের কোন উপকারিতা, কিংবা কোন ভয়ই যদি না থাকতো এবং আপনি যদি তাদের বোঝা হতেন; তাহলে হয়তো বিষয়টির গভীরতা কী, তা কিছুটা হলেও বুঝতে সক্ষম হতেন।
যাক আমি আর বক বক করবো না। জানি না বেশি বলে ফেলেছি কিনা।
অল্লাহু তা’য়ালাকে ভয় করার মতো ভয় করেন।
ধন্যবাদ সবাইকে। সবাই ভালো থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।
0 মন্তব্যসমূহ