গল্পের নামঃ জ্বীনমানব এবং তার চলমান পরিস্থিতি ও কার্যক্রম সমূহ।

১ম পর্বঃ

উপক্রমণিকাঃ- জ্বীনমানবের প্রাথমিক পরিচয় ও পৃথিবীতে জ্বিন বা জ্বিন জাতির একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের আগমণ।

লিখক বা গল্পাকারঃ জনাব আরিফ উল্যাহ চৌধুরী, গোবিন্দপুর, হাজীর বাজার, ফেনী সদর, ফেনী, বাংলাদেশ।

এ পর্বের সর্বশেষ আপডেটঃ ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রি.

জ্বীনমানবের স্থায়ী ঠিকানাঃ তরঙ্গী রোড়, ১২৩ গোবিন্দপুর, হাজীর বাজার, ফেনী সদর, ফেনী, পোস্ট কোড-৩৯০০, বাংলাদেশ।

জ্বীনমানবের বর্তমান ঠিকানাঃ ঐ

গল্পের মূল স্বত্ত্ব ও মূল ভাষাঃ শুধুমাত্র টেক্সট ভার্সন এবং বাংলা ভাষা।

 অনুবাদের জন্য অনুমোদিত ভাষাঃ পৃথিবীর যে কোন ভাষা।

বৈশিষ্ট্যঃ এডিটেবল। আবশ্যক মনে হলে, তাহলে লিখকের মৃত্যু পর্যন্ত শুধুমাত্র লিখক কর্তৃক এ গল্পটি বা গল্পের যে কোন অংশ বিশেষ এডিট করা অব্যাহত থাকবে। তবে মূল বিষয় গুলো কখনো পরিবর্তন হবে না। শুধু সংযোজনের কিছু যদি বাঁকি থাকে, কেবল তা সংযোজন করা হবে।

স্বত্ত্বঃ ১০০% লিখকের। এ গল্পের মালিকানায় ২য় আর কেউ নেই। তাই লিখকের পূর্বানুমোদন ব্যতিত এ গল্প বা গল্পটির যে কোন পর্ব অথবা এর যে কোন অংশ বিশেষ, বিশ্বের যে কোন দেশে, যে কোন ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া বা প্রিন্ট মিডিয়ায় এর মূল ভাষা কিংবা অনূদিত অন্য যে কোন ভাষায় প্রকাশ করা নিষিদ্ধ এবং আইনত দন্ডনীয় অপরাধ হিসেবে সাব্যস্ত হবে। মূল ভাষায় গল্পটির সফট্ ও হার্ড কপি (নিকটতম সম্ভবপর এডিসন) শুধুমাত্র লিখকের নিকট সংরক্ষিত থাকবে।

কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ লিখকের মন, ব্রেন ও শরীরে অবস্থানরত এ জ্বীন বা জ্বীন সম্প্রদায়কে এবং যারা এ গল্পের বলি (মানুষ ও জ্বীন হতে) তাদেরকে। অর্থাৎ পজিটিভলি হোক কিংবা নেগেটিভলি হোক এ গল্পের চরিত্র সমূহের (এর যে কোন পর্বের সহিত সম্পৃক্ত হোক না কেন)  সকল সদস্যের প্রতি। যাদের সীমাহীন ত্যাগ, তীতীক্ষা, ভালোবাসা, বিশ্বাস, দুঃখ-কষ্ট, ভোগান্তি ও আন্তরিকতার ফল স্বরুপ হয়তো গল্পটি চলমান থাকবে বা থাকতে পারে বা আছে এবং হয়তো এরই ধারাবাহিকতা, সমর্থন, সাপোর্ট, স্বীকৃতি ও তাদের প্রতি ওয়েলকাম বা সালাম বা নিরাপত্তা বা শান্তির বার্তা প্রেরণ হিসেবে এ ধরাধামে নেমে আসবে বা আসতে পারে ও মানুষের সাথে বসবাস করতে পারে লিখকের সাথে থাকা এ জ্বীন ও এ জ্বীন সম্প্রদায়। 

লিখকের বাণীঃ আমার জ্ঞান ও বিশ্বাস মোতাবেক এ গল্পে অসত্য, মিথ্যা ও সন্দেহের লেশমাত্রও নেই। এটি একটি বাস্তব ও লিখকের আত্মজীবনীমূলক সত্য গল্প। গল্পটি আসলে ভবিষ্যত প্রয়োজনে সংরক্ষিত রাখার জন্যে ও মানুষদেরকে জানানোর ইচ্ছায় এবং এ সত্য কাহিনীর তত্ত্ব, তথ্য ও উপাত্তের আদান-প্রদানের উদ্দেশ্যে লিখিত। মূলত গল্পটি জনাব আরিফ উল্যাহ চৌধুরী (লিখক) এর জীবনে ঘটমান বা চলমান ১০০% সত্য ঘটনার বিবরণ। এটা কোন কাল্পনিক বা শুধু মানুষদেরকে মানসিক শান্তি প্রদানের উদ্দেশ্যে লিখিত কোন গল্প নয়। এটি তার শরীরে অবস্থানরত জ্বীন ও জ্বীন জাতি বিষয়ক তার জীবন কাহিনী। ইনশা’আল্লাহ যা চলমান থাকবে তার মৃত্যু পর্যন্ত।

 মূলত এ গল্পের মাধ্যমে উন্মোচিত হওয়ার সূত্রপাত হতে পারে, মানব জাতি, জ্বীন জাতি ও মুসলিম সম্প্রদায়ের কিছু অজানা বা গুপ্ত থাকা বা হারিয়ে যাওয়া তত্ত্ব, তথ্য ও জ্ঞান-বিজ্ঞান এবং চিকিৎসা বিজ্ঞান; আবার হয়তো সিদ্ধান্তকৃতও হতে পারে বা সিদ্বান্তকৃত হওয়ার দিগন্ত উন্মোচিতও হতে পারে বা আবিষ্কৃত হতে পারে, কিছু ইসলামী ফতোয়ার সহীহ্ সমাধান এবং মানুষের বিভিন্ন রোগ ব্যধির সঠিক ঔষুধ ও এর প্রয়োগিক পদ্ধতি। তাই আমি মনে করি সকল মানুষেরই বিশেষ করে মুসলিম সম্প্রদায়ের সকল সদস্যের জন্যে এ গল্পটির সকল পর্ব পড়া উচিৎ এবং বুঝতে চেষ্টা করা উচিৎ মানুষ ও জ্বীন জাতির কী সেই অজানা রহস্য রয়েছে, যা আমি, আপনি, আমরা হয়তো আজও জানি না।

 গণ মাধ্যম বা স্যোসাল মিডিয়ায় গল্পটি শেয়ার করার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে, এটি মানব জাতি ও জ্বীন জাতি তথা সৃষ্টিতত্ত্ব, জ্ঞান-বিজ্ঞান এবং চিকিৎসা বিজ্ঞান ও ইসলাম ধর্ম বিষয়ক একটি তথ্য বা রেকর্ড এবং যা সব মানুষের জানা প্রয়োজন, এ জন্যে। এছাড়া এর আরেকটি অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে, আজকের দুনিয়ায় মানুষের সামনে মানুষ যতটা না সাধু ও মোটামুটি কৌশলগত সত্যনিষ্ঠ; একাকী কিন্তু ঠিক তত তাই এর বিপরীত। তাই এ পোস্টে লিখিত ঘটনা ও তত্ত্ব-তথ্য বা কারেকটার গুলি যে ১০০% সত্য ভাবে উপস্থাপিত হয়েছে বা হচ্ছে, এ বিষয়ে মানুষ ও জ্বীন জাতির গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করা। মানুষ ও জ্বীন জাতির সদস্যগণ এ গল্পের বা এ গল্পের যে কোন অংশ বিশেষের তত্ত্ব, তথ্য ও উপাত্ত্বের বা ঘটনার বা এর যে কোন স্বীকারোক্তি প্রদানের সময় তারা যাতে কোন মিথ্যা বা সাজানো বা ভ্রানোয়াট বা উদ্দেশ্য প্রণোদিত বা কোন ঘটনার বর্ণনায় কোনধরনের মিথ্যা বা সত্য-মিথ্যায় মিশ্রিত বা কোন সত্য গোপনমূলক বর্ণনা পেশ করতে না পারে; সে জন্যে  এবং যার মাধ্যমে শতভাগ ও প্রকৃত সত্য রেজালটেন্টটি প্রাপ্ত হওয়ার উদ্দেশ্যে।

যেহেতু গণ মাধ্যমে পোস্টটি পাবলিস্ট বা শেয়ার না করে, শুধু ব্যক্তিগত ভাবে আমার আত্মীয়দেরকে বা পরবর্তীতে সংশ্লিষ্টদেরকে তাদের নিকট এ গল্পটি বা এ গল্পের যে কোন অংশ বিশেষ প্রেরণ করলে, এতে আমার ভাই, বন্ধু আত্মীয়-স্বজনগণ বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ হয়তো এ পোস্টটির কোন গুরুত্বই দিবেন না বা মিথ্যা উত্তর বা সত্য গোপন কিংবা সত্য-মিথ্যায় মিশ্রিত ও কৌশলগত উত্তর দিয়ে আমাকে কোন রকম বুঝিয়ে দেয়ার চেষ্টা করতে পারেন বা এডিয়ে যেতে পারেন অথবা আমার উপর চড়াও হতে পারেন অথবা এমনও হতে পারে যে, আমি নিজেই হয়ত যে কোন মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছি বা সত্য গোপন করছি; এ জন্যে। এ বিষয় গুলো যাতে তারা না করতে পারেন বা আমি না করতে পারি, সে জন্যে এবং সে সাথে নিজের সেফটির জন্যেও কিন্তু আমি এ গল্পটি স্যোসাল মিড়িয়ায় শেয়ার বা পাবলিস্ট করছি বা অব্যাহত রেখেছি এবং পরবর্তীতেও এ গল্প বা এ গল্পের নব নব পর্ব সমূহ জনসম্মুখে প্রকাশ অব্যাহতই থাকবে ইনশা’আল্লাহ।

এখানে একটা বিষয় আপনাদেরকে জানিয়ে দিই; আমার গত প্রায় ২৩ বছরে নিজের শরীর ও মনের উপর, মানে নিজের উপর, তার মানে আমার সাথে থাকা জ্বীনের বিষয়ে আমার যে রিভিউ, তাতে আমার নিজস্ব বুঝ, জ্ঞান ও বিশ্বাস মোতাবেক এ জ্বীন বা জ্বীন সম্প্রদায় আসলে আল্লাহু তা’য়ালার অনুকূলে বিশেষ ভাবে সৃষ্ট তাঁরই কোন এক পবিত্র জ্বীন সম্প্রদায় বা পবিত্র আত্মা। এঁদের বিষয়ে আমি যা বুঝতে পেরেছি, তা হচ্ছে এঁরা একেবারে নিরেট সরল এবং হান্ডেড পার্সেন্ট সত্যবাদি ও তীক্ষ্ণ থেকে তীক্ষ্ণতর জ্ঞানী, প্রজ্ঞাময় ও বুদ্ধিমান এবং হয়তো পক্ষীকূল ও অন্যান্য সৃষ্টিকূলের মাধ্যমে এঁদের শাখা-প্রশাখা মাকড়সার জালের মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে পুরো বিশ্বময়, যা আমার মনে হয় বর্তমান পৃথিবীর একজন মানুষের কাছেও নেই এবং হয়তো বর্তমান মানুষের দ্বারা এ রুপ হওয়া সম্ভবও নয়।  মনেহয় ধূরন্ধর ও স্বার্থবাদী এ মানবজাতির সাথে এঁদের কোন মিলই নেই। তাই আমি নিজেও মাঝে মধ্যে ভাবতে থাকি, এরা কি আসলেই জ্বীন জাতি? যারা কিনা চরিত্রগত দিক থেকে মানুষের চাইতেও এগিয়ে। কিন্তু পবিত্র কোরআন শরীফে মহান আল্লাহু তা’য়ালা তাঁর ইবাদতের জন্য শুধু দু’টি জাতির কথা উল্লেখ করায়, আমি এদেরকে জ্বীন জাতি হিসেবেই সনাক্ত করেছি। তাছাড়া মানুষের চরিত্রতো এখন আর অনেক ক্ষেত্রে  মানুষের মধ্যে নেই। যারফলে আমার মতে এঁদের সাথে মানুষের কালচারের কোন মিল নেই, তাই মানুষ এঁদেরকে বুঝতে পারে না এবং যারই ধারাবাহিকতায় আমাকেও আর মানুষ ও আমার পরিজন গণ পুরোপুরি বুঝতে পারেনি। তবুও আমার পরিজন ও সংশ্লিষ্টজনগণ যে টুকু বুঝেছে, এতেও তাদের মরি মরি আর ত্রাহি ত্রাহি দশা; ওরা ভয়ে মরছে; ওরা ভাবছে এতো পরিমাণ সত্য ও সবদিক মিলিয়ে যার এতো এতো পরিমাণ চারিত্রিক ওজন, তা এ বাঙ্গাল মানুষের কাছে কী করে প্রস্ফূটিত হবে। মূলত ওরা আল্লাহর কূদরতের উপর মানুষের কারিষ্মাকে প্রাধান্য দিয়েছে। হয়তো ওদের বদ্ধমূল ধারনা মানুষের দু’হাতের শক্তি, মুখের চাটুকারিতা, মাথার পোকা-মাকড় আর সমাজের কীটের মাধ্যমেই পৃথিবী নামের এ গ্রহের সকল কার্য সিদ্ধি হয়!! আর তাদের ঈমান, আমল, মন, মগজ ও মানসিকতা যখন এ পর্যায়ের তখন যেহেতু তাদের বেহেশত তাদেরকেই কুড়াতে হবে, তাই তাদের মতানুযায়ী তারা হয়েছে তাদের এ বেড় ধারনা বা কূ-বৈশিষ্ট্যে আরো প্রলুব্ধ। ফলে তারা আমাকে আঁটকানোর, পদদলিত করার একটি উপায় বের করেছে এই যে, যেহেতু মহান রবের সৃষ্টিতত্ত্ব অনুযায়ী ওস্তাদ, শিক্ষক বা গুরুর মাঝে বেশি জ্ঞান ও হিকমত হবে, ছাত্র বা শাগরেতের মাঝে ঐ রকম হবে না বা শ্রোতা বক্তাকে যেমন মনে করবে, বক্তার বক্তৃতাও ঠিক তেমনই বের হবে। আর তাই তাদের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত মনে হয় এ রকম যে, এ লোক মানে আমাকে তারা কখনো সম্মানী আসনে বা ভালো কোন আসনে উঠতে দেবে না। আমাকে সব সময় সবাই বোকা সোজা হিসেবে সাব্যস্ত করতে থাকবে। ফলে রবের সৃষ্টিতত্ত্ব যেহেতু অপরিবর্তনীয়, তাই সে অনুযায়ী সকলের দৃষ্টি এড়িয়ে এবং একজন সরল ও সহজ মানুষের কাছে কখনোই, মানে আমার মাঝে জ্ঞান ও প্রজ্ঞার উপস্থিতি কখনোই থাকবে না, যেহেতু তারা আমাকে সবাই খাটো দৃষ্টি বা খাটো পরিচয় করে রাখবে। আর যেহেতু সমাজ ও দেশের সিংহ ভাগ মানুষ লেখা-পড়া করলেও বিভিন্ন দিকের বিবেচনায় মূলত অজ্ঞ; তাছাড়া এরই মাঝে আবার লেখা-পড়া বা চিন্তা-ফিকির করেইবা কয়জন, যা করে তাও শুধুমাত্র তার নিজস্ব দুনিয়াবী স্বার্থ কেন্দ্রিক। জেনারেলি এ জাতের লোকদের মাঝে কখনোই প্রকৃত সত্য ধরা দেয় না। আর সমাজ ও দেশের সিংহভাগ মানুষ যখন এ রকম, তাই দুনিয়ার এ অবস্থায় সকলের মাঝে মি. আরিফ সরল ও সোজা (প্রচলিত অর্থে) হিসেবেই সাব্যস্ত হতে থাকবে। কখনোই মি. আরিফের মাঝে জ্ঞান এসে ধরা দেয়ার কোনই সুযোগ থাকবে না। এতে আমাকে দাবিয়ে রাখার বিষয়ে তারা হবে সফলকাম।

 এ এক মহা জটিল সমীকরণরে ভাই! কিন্তু আমি সব বিষয় বাদ দিলেও, তাদের একটি বিষয়ে আমি হয়েছি বিস্ফোরিত। আর তা হচ্ছে, আমার এ লোক গুলো দুনিয়ার কার্যসিদ্ধিতে আল্লাহু তা’য়ালার কুদরতের উপর এবং কুদরতের উপর নিজেদের বাহুবলকে প্রাধান্য দিয়েছে। না হয় মানসিক রোগের চিকিৎসা করতে বা জ্বীন তাড়াতে মানুষের মন, শরীর ও ব্রেনের উপর এতো অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগের থিওরি এরা কোথায় পেয়েছে (!?), যে মেথডটি অবশ্যই ঈমানের পরিপন্থী। মূলত এ কারণেই এবং আমার দ্বারা যদি আপময় জনসাধারণের উপকার হয় ও এতে এদেরকে বাধার কারণ মনে করে আমি করেছি এদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ এবং দিয়েছি এদের বিরুদ্বে প্রায় যুদ্ধের ঘোষণা। যেখানে আমি ছিলাম এবং এখনো আছি সম্পূর্ণ একা। আমার পক্ষে আমার বউটিকেও আমি পাইনি এখনো। এছাড়া আমার অর্থনৈতিক মন্দা, ঋণগ্রস্থতা; এককথায় আমার দুনিয়াবী দূর্বলতার কারণেও কোনদিকে আমি ফেরে উটতে পারছি না।

অপরদিকে আপনারা বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না, আমার জ্ঞান ও বিশ্বাস মোতাবেক এ দেশের প্রায় সবগুলো আলেমও আমার ভাই বা আত্মীয়-স্বজনদের এ ধারার ও এ কারেক্টারের উপরই অবিচল বা আস্থাবান বা বিশ্বাসী। অর্থাৎ তাদের ঈমান-আমলের এ দিকের বিবেচনা প্রায় এ পর্যায়েরই। আর আমার মন-মানসিকতা যখন তাদের প্রতিও এ রকম, ফলে তারা এবং তাদের সাথে থাকা, প্রায় সে পর্যায়েরই জ্বীন সদস্যের অসহযোগিতা ও বাধা অতিক্রম করে ও বাঙ্গাল হিসেবে হাজারো দূর্বলতা নিয়ে সকলের মাঝে পরিচিত হয়ে আমাকে পথ চলতে গিয়ে আমার আজ করুণ দশা।

অন্যদিকে বিষয়টি আসলে এ মহা বিশ্বের জন্য নতুন হওয়ায় এবং আমি দৈতস্বত্ত্বা হওয়ায়; তাই কাকে আসলে আমি কিভাবে দোষী সাব্যস্ত করবো, তা আমার কাছে অনেকটা অজানা। ফলে দুষ্ট লোক, আমার পরিজন ও সংশ্লিষ্টজনগণ যখন বুঝতে পায় আমার মানসিকতা এ রকম, তখন তার বা তাদের স্বার্থ সিদ্ধিতে তারা পাচ্ছে বা পায় আরো সুযোগ; তার উপর আমি দয়ালু, সরল ও উদার হওয়ায়, স্বার্থাম্ভেষী মানুষ ও জ্বীনদ্বারা আক্রান্ত হচ্ছি জীবনের প্রতিটি সময় এবং আমার পথচলা হচ্ছে একেবারেই দূর্গম ও কঙ্কটাকীর্ণ।

যেহেতু মানুষ ও জ্বীন হিসেবে আমাদের আগমন শুধু একটি জাতি, গোত্র, গ্রুপ বা দল বা সম্প্রদায়ের জন্যে নয়। ইনশা’আল্লাহ আমরা হিন্দু, বোদ্ধ, মুসলিম, খ্রিস্টান, কালো-ধলো সকল মানুষ ও সকল জ্বীনের জন্য সার্বজনিন ভাবে আবির্ভূত। যা এ গল্পে (সব গুলো পর্বে) ঘটে যাওয়া পটভূীমর দিকে মনযোগ সহকারে লক্ষ্য করলে বা আমাদের জীবন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন এক্টিভিটিজ এনালাইসিস করলে আপনারা তা সহজেই বুঝতে পারবেন।

অন্যদিকে আরো একটি বিষয় হচ্ছে, বর্তমানে (২০২৪ ইং) আমার এ সীমাহীন দূর্বলতা, ঋণগ্রস্থতা, পাপ ও অভাবগ্রস্থতার মাঝেও, এ গল্পের পটভূমিকায় সত্যের পক্ষে আমি এতোটাই কট্টর ছিলাম ও ইনশা’আল্লাহ সত্যনিষ্ঠ থাকবো যে, যদিও বর্তমানে আমার খাওয়া-পরার তেমন কোন ভাল ব্যবস্থা নেই, আমার মেয়ে বড় হয়েছে অথচ হাতে টাকা পয়সা নেই; নেই ভালো কোন চাকুরী বা ব্যবসা; অপরদিকে আমার মা, শাশুড়ি এবং আলেম সমাজ, যাদেরকে আমি সম্মান করি, তারাই আমাকে বার বার নিজ বংশীয় সদস্যদের বিরুদ্বে এসব লিখা-লিখি বা তাদের সাথে বৈপরিত্ব ব্যবহার করতে নিষেধ করছে ও করে চলেছে এবং অর্থনৈতিক ভাবে ভবিষ্যতের অবলম্বন বলেও এখন পর্যন্ত আমার নিজের জন্য এমন কিছু আমি দেখতে পাচ্ছি না; তবুও সত্য উদঘাটনে বা সত্যের পক্ষে আমি যেন আমার আত্মীয়-স্বজনকে অনেকটা চিনতেই পারিনি বা পারিনা বা পারছিনা; আলেম সমাজ, মা ও শাশুড়িকেও যেন বৃদ্ধা আঙ্গুলি দেখিয়েই আমি যেন সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে অটল রয়েছি; আর এটিই হচ্ছে আমার স্বভাব এবং আমার সত্য নিরুপনের পলিসি।

আমি মনে করি বন্ধুন্ত্বপূর্ণ মিষ্ট ভাষা প্রয়োগে বা এ রকম পরিবেশে যে সত্যটি উদঘাটন করা যায় বা পাওয়া যায় এবং এভাবে প্রাপ্ত সত্যের যে পিউরিটি; তার চাইতে তিক্ত ভাষার ব্যবহার ও তিক্ত এবং বৈপরিত পরিবেশ থেকে প্রাপ্ত সত্যের পিউরিটি বা গ্রহণযোগ্যতা এর চাইতে হাজার গুণ পিউর।

 আর তাই আমার কারেক্টার এ রকম।

এখানে একটি বিষয় আপনারা স্থীরিকৃত ভাবে বুঝে নিতে পারেন যে, আমার এতো এতো দূর্বলতম সময় ও অবস্থায় আমার পরিবার ও বংশের মধ্যে তাদের সাথে আমার স্থায়ী ঠিকানায় থেকে এবং তাদের বিভিন্নধর্মী হিংসা ও ভয় প্রদর্শনের (যেমন আমার এ বাণী লিখার সময়ও, আমার বাড়ির মহিলাদের বিরুদ্ধে, তারা আমাকে কষ্ট দেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ফেসবুকে একটি পোস্ট লিখেছিলাম, যার কারণে তারা আমাকে আমার ঘরের মধ্যে রেখে তালা দিয়ে রেখেছিলো। তবে আমার মনে হয় আজকের তালা দেয়ার বিষয়টি তারা আমার পক্ষে খুশি মনেই দিয়েছিলো। যা একটু পরে বুঝিয়ে দিচ্ছি।) মধ্যদিয়ে অতিক্রান্ত আমার ভয়াল ও কষ্টের এ সময়ে এ গল্পের পটভূমিকায় আমি আমার আত্মীয় ও সংশ্লিষ্টজনদের বিরুদ্ধে যা করেছি বা এখন যা লিখছি, এসব আসলেই সত্য। না হয় রিমান্ডের মধ্যে সাধারণত জটিল ও কঠিন প্রকৃতির ডাকাতদলও মিথ্যা বলার সাহস পায় না। আর আমি তো ইনশা’আল্লাহ সে প্রকারের কোন ডাকাত নই। আপনারা হয়তো ভাবতে পারেন, আমি বোধহয় বাড়ির মানুষ সহ, আশ-পাশের বা সংশ্লিষ্ট জনদের কষ্ট দেয়ার বিষয়টিকে হয়তো রিমান্ড নামে আখ্যা দিচ্ছি। আসলে বিষয়টি পুরোপুরি এ রকম নয়। আমাকে আসলে মানুষদের স্বাপেক্ষে রিমান্ডে নিয়েছে প্রধানতঃ আমার সাথে থাকা এ জ্বীন বা জ্বীন সম্প্রদায়ভূক্ত ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণই। এবং আমার মনে হয় এ জ্বীন সম্প্রদায়ের ইঙ্গিতে ও তাদের প্রত্যক্ষ সাপোর্টে তাদের সাথে এ কাজে তাদের সঙ্গী করে নিয়েছে পুরো এলাকার ও সংশ্লিষ্ট মানুষদেরকে। আর এ রিমান্ডের বিবরণ যদি লিখতে যাই; আর জ্বীন ভাইগণ যদি এ বিষয়ে লিখার জন্য আমার ব্রেনকে ছাড়দেন ও স্মরণ করিয়ে দেন বা স্মরণ করতে কোন বাধা না দেন, তবে আমার এ কষ্ট ও ত্যাগের বিবরণ পড়তে  হয়তো আপনাদের পুরো ২৩ বছর গত হয়ে যেতে পারে। যেহেতু আমার এ রিমান্ডের মেয়াদ আজ প্রায় ২৩ বছর ছাড়িয়ে গেছে।

বলতে চেয়েছিলাম আমার যে পরিস্থিতি, এ পরিস্থিতিতে আমার পক্ষে আমার মুখ দিয়ে মিথ্যা বলার কোন সুযোগ নাই। শুধু আজকে এ বাণীর কৃয়দাংশ লিখতে গিয়েও আমার কম্পিউটারটি ৩/৪ বার হ্যাং হয়েছিলো ও মনিটরে ডিস্টার্ব করেছিলো। আবার কখন এ জ্বীন গুলো মনিটরটি বা পিসিটি নষ্টই করে দেয়, এ ভয়েই আমি মরি মরি! যা অতীতে ঘটেছিলো। আপনাদের অনেকের কাছে এ বিষয়টি হয়তো হাস্যকর বলে মনে হতে পারে। আবার শরীরের কত জায়গায় যে এঁরা একেক সময় প্রচন্ড ব্যথা করে দিচ্ছে, তার হিসেব না হয়, নাই দিলাম। অন্যদিকে শরীরে এনালপিসার রোগ দিয়ে আজ প্রায় ৮/১০ বছরের মতো আমায় কষ্ট দিচ্ছে। কোন ঔষুধেই এ রোগ আমার ভালো হচ্ছে না। আমি মনেকরি এ সব সহ আমার অন্যান্য সকল কষ্ট এ রিমান্ডেরেই ফসল। আবার অনেক সময় অনেকে মনে করতে পারে, আমার শারীরীক উপস্বর্গ সমূহ, যেমন কারো সামনে বা কাউকে লক্ষ করে আমার হাত, আঙ্গুল বা চোখ নাড়ানো, অর্থাৎ ইত্যাদি নাড়িয়ে বা আকার-ইঙ্গিত দিয়ে মানুষদেরকে কিছু বোঝানো এগুলো মানুষদের মতো হয়তো আমি নিজে ইচ্ছে করে করি; আসলে কিন্তু তা নয়; এগুলো হয়তো আমার হাত কামড়ায়, না হয় সংশ্লিষ্ট স্থানে ব্যথা করে; এক কথায় এক ভাবে না এক ভাবে বাধ্য হয়েই আমাকে এ রকম করতে হয়; এগুলো কখনো আমি ইচ্ছে করে করি না।

অন্যদিকে এ জ্বীন বা জ্বীন সম্প্রদায়কে দেখে মানুষজনদেরও অবৈধভাবে বিন্দুমাত্র স্বার্থ উদ্ধারেরও কোন সুযোগ থাকবে বলে আমার মনে হয় না। একে স্বর্ণ-রৌপ্য বা হীরা-জহরত ভাবার কোন যুক্তি নেই। যেহেতু এ পর্যন্ত আমি যা বুঝতে পেরেছি, দোয়া, চেষ্টা ও পরিশ্রম ছাড়া এ জ্বীন ভাইগণ আমাকে যেমন এক ফোঁটা কিছু দিতে রাজি নই; ঠিক কোন মানুষকেও কিছু দিতে তারা রাজি নই। আমি মনে করি এঁরা সকলের জন্য সমান। অথচ আমার পরিজন, গ্রামের মানুষজন ও সংশ্লিষ্টজন গণ আমার এ জ্বীনকে স্বর্ণের ক্ষণির মতোই মনে করছে। কিন্তু আমি বুঝতে পাইনা, কিভাবে এ স্বর্ণের ক্ষণি থেকে স্বর্ণ তুলে আনবো আমি!

আমি আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করি যখন আমার জ্বীন চলে যায় বা ডুবে যায়, তখন জ্বীন আর আসবে না মনে করে আমার পরিজনদের এ মানুষ গুলো আমার প্রতি কীরুপ হিংসা, শত্রুতা ও অবহেলা পোষণ করে, আর যখন জ্বীনের পুনঃআগমন বা প্রস্ফুটন বা উত্থান ঘটে তখন তারা কী এক স্বর্ণ পাওয়ার লোভে আমার সাথে ভালো ব্যবহার করতে চায়। এ বিষয়টি আমার প্রতিবেশিগণ হয়তো কিছুটা বুঝতে পেরেছেন, কিন্তু পুরোপুরি আমি ছাড়া আর কেউ হয়তো বিষয়টি বুঝতে পারবেন না।  

 অনেক সময় অবাক বিষ্ময়ে চিন্তা করি, এই দু’দিন আগেও কেমন করে, কত নিষ্ঠুর ভাবে অবহেলা বা এভোয়েড় করলে; আর এখন কত আপনজনের মতো ব্যবহার করতে চাচ্ছ! স্বার্থ চিন্তার কী বিভৎস রুপ তোমাদের!

আমি আপনাদেরকে স্পষ্ট বলতে চাই, আমার আত্মীয় বা সংশ্লিষ্টজনদের সাথে আমার যে বৈরীতা, তা কোন ক্রমেই আমার বা আমার আত্মীয়দের অভিনয় নয়।

 তারা এখন আপনাদের সাথে আমার বিষয়ে যতই মিষ্টি কথা বলুক না কেন; আমার সাথে আমার আত্মীয়দের সংঘাতময় এ গল্পের পর্বগুলো মনোযোগ সহকারে পড়লে, তা আপনারা খুব সহজে বা অনায়াসেই বুঝতে পারবেন।

অন্যদিকে আমি আরো একটি বিষয় স্পষ্ট বুঝতে পেরেছি যে, আমার সাথে থাকা এ জ্বীন বা জ্বীন সম্প্রদায়, আমার সাথে আছে বলে, খুব সহজে বা অবৈধ ভাবে আল্লাহু তা’য়ালার কোন নেয়ামত আমাকে দিয়ে দিবেন; পক্ষান্তরে আমার পরিবার বা বংশ বা সমাজ বা সংশ্লিষ্ট যে কাউকে তার কোন ন্যার্য প্রাপ্য দিবেন না, এ বিষয়টি হয়তো তাদের দ্বারা কষ্মিকালেও সম্ভব হবে না। আমি খুব ভালো করে লক্ষ্য করেছি, আমার সাথে থাকা এ জ্বীন বা জ্বীন সম্প্রদায়টি একেবারেই ন্যায়পরায়ণ। এঁদের ন্যায়পরায়নতা মুসলিম অমুসলিম সকল মানুষের জন্যেই সমান।

 আমার বৈচারিক বিশ্লেষণ বা অবস্থানের আরো একটি রুপ এই যে, আমি মনে করি, যাকে বা যার ভিতর নেগেটিভ প্রয়োগ করা হয়নি, এ রকম ব্যক্তি বা বস্তুর পজিটিভ তুল্যমান কী রকম বা কী পরিমাণের বা কোন্ পর্যায়ের হতে পারে, তা কী করে আমি বুঝবো (?) এক্ষেত্রে বিচার-বিশ্লেষণের বা গবেষণার তো কোন উপাদান বা সুযোগ বা সিস্ট্যাম বা অবস্থা আমার নেই। বিশ্লেষ্য ব্যক্তি বা বস্তুটির আলোয় অন্ধকার দূর করতে পারবে কিনা, তাতো ঐ বিশ্লেষ্য ব্যক্তি বা বস্তুটিকে অন্ধকারে ফেলে তার ক্রিয়া-কলাপ বিশ্লেষণ বা পর্যবেক্ষণ করে আগে তাকে পরিমাপ করতে হবে এবং হয়তো এরপরই কেবল বোঝা যাবে তার ভিতর সত্যতার নিত্যতা বা কোয়ালিটি বা গ্র্যাভিটি ও এ সবের কুয়ান্টিটি কত পার্সেন্ট রয়েছে, তাই না? বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষনের আগে ফলাফল কী হবে, তা বোঝার উপায় কি থাকে কখনো?

 তার মানে, আমার কাছে পজিটিভ বা ভালোকিছু বা বন্ধু নির্বাচন বা সিদ্ধান্ত প্রদান বা গ্রহণের ক্ষেত্রে বা যে কোন বিষয়ের বৈচারিক রায় প্রদান বা এর শাস্তি কী হতে পারে অথবা এর পুরষ্কারইবা কী হতে পারে, তা নির্ধারণের ক্ষেত্রে; তখন আমি তার ভিতর তার মান বা গ্রহণ যোগ্যতা বা তার ক্যাপাসিটি অনুযায়ী অবশ্যই পরীক্ষণীয় ঐ ব্যক্তি বা বস্তুর মন, মোগজ, শরীর বা ঐ বস্তুর উপাদানের মধ্যে নেগেটিভ প্রয়োগ করবো বা করাবো; আর তখন হয়তো আপনি আমাকে নাও বুঝতে পারেন যে, আমি আপনার সাথে কিংবা অন্যান্য মানুষ বা জ্বীন গণের সাথে অথবা ঐ বস্তুটির সাথে এ রকম নেগেটিভ আচরণ করছি কেন? আসলে আপনি সত্যি আমার কিনা বা আমার প্রতি আপনার বন্ধুত্বের মান কতটুকু অথবা মানুষ বা জ্বীন হিসেবে আপনার পিউরিটি কতটুকু অথবা বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষ্য বিষয়টির প্রামাণিক সত্যতার মান কতটুকু, তা বুঝতে বা সহীহ্ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে আমি এ রকম করি।

 এছাড়া আমার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের আরো একটি দিক এ রকম যে, দেখুন সূরাতুল ফাতিহা সমস্ত রোগের ঔষুধ; কিন্তু প্রায় ১০০% লোককেই মহান আল্লাহ কর্তৃক প্রদত্ব এ ঔষুধে ধরে না, মানে রোগ ভালো হয় না। আমি মনে করি এটা এ জন্যে যে, যেহেতু আমাদের সামাজিক বিশ্বাস, পেরাসিটামলে জ্বর ভালো হবে, সূরাতুল ফাতিহায় নয়; তেমনি স্থান, কাল, পাত্র ভেদে দুষ্ট মানুষের অনেকগুলো শাস্তিযোগ্য আচরণ ও শয়তানী কর্ম থামাতে ঔষুধ স্বরুপ মুখ দিয়ে বের করি বা বের করে ফেলতে হয় বিশ্রী গালিগালাছ। যা হয়তো মূহুর্তেই প্রিভেন্ট দেয় আমাকে। এটি আমি মানুষ হিসেবে ঐ মানুষের ঔষুধ হিসেবেই প্রয়োগ করি। তবে দেইখেন, এটা কিন্তু সবসময় নয়, শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় সময় এবং স্থান, কাল ও পাত্র ভেদেই শুধুমাত্র। বরং অন্য সময় বা অন্য স্থানে আমি নিজে যেমন কোন ধরনের গালিগালাছ করি না, ঠিক তেমনি আমার নিজের কেউ গালিগালাছ করলে তার প্রতিও আমি চড়াও হই।

ধিক! শতো ধিক এই সব নারী/পূরুষের উপর, যাদের কারণে আমার প্রাকৃতিক স্বভাব গালিগালাছ না করা; অথচ আজ আমাকে মুনাফেক কিংবা ফাসেকের মতো গালিগালাছ বা অন্যান্য কঠিন গুনাহের মতো আমল করতে হলো বা করতে হয়!! মহান রবের নিকট কঠিন শাস্তি দাবী করছি, যাদের কারণে বা যাদেরকে আজ আমি এ সব দূর্ব্যবহার করছি বা করতে হচ্ছে, তাদের জন্যে। এবং এ বিষয়ে মহান রবের নিকট আমার ভূল-ত্রুটি সমূহের জন্যে মাফ চাচ্ছি।

ইয়া আল্লাহু তা’য়ালা! আমায় মাফ করে দিন এসব গালিগালাছ বা আমার এসব বাহ্যিক খারাপ ব্যবহার বা আমল গুলো থেকে।

 ইয়া রব! আমিতো এসব করতে চাইনি; বরং ওরা আমার উপর জুলুম করেছিলো, আমার উপর অন্যায় করেছিলো, আমার হককে নাহক করেছিলো বা করতে চেয়েছিলো এবং আমায় মজলুম বানিয়ে ছিলো বা বানাতে চাচ্ছিলো বা বানিয়ে রেখেছিলো; তাই বাধ্য হয়েছিলাম এসব গালিগালাছ করতে বা খারাপ ব্যবহার বা খারাপ আমল করতে!

হে আল্লাহ্ এগুলো আমার স্বাভাবিক বা প্রকৃত কর্ম বা আখলাক ছিলো না। ওরা আমায় রুগী করে দিয়েছিলো বা করতে চেয়েছিলো। আর এসব ছিলো আমার রোগ ও মজলুমের ভাষা।

আমি এদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি প্রার্থনা করছি এবং ক্ষমা প্রার্থনা করছি এ বিষয়ে আমার অক্ষমতা ও অভ্যাসের কারণে আমার ও আমার পরিজনের বাড়াবাড়ি থেকে।

এটা এমন যে, যেমন কোন নারী হয়তো বেপর্দা করে বা বাজে কোন উদ্দেশ্য নিয়ে আমার সামনে হাজির হলো বা বেপর্দান ভাবে আমার সামনে এসে যে কোন অবৈধ সুবিধা হাতিয়ে নিতে চেষ্টা করলো বা অযথাই আমাকে বিব্রত করতে চেষ্টা করলো; আর আমি তাকে যতই সুন্দর ও নরম সূরে কথা বললাম, এতে সে কিছুই শুনলনা; কিন্তু যেই মাত্র বিশ্রী গালিগালাছ শুরু করলাম, তখন সে কিংবা তার দল সকলেই আমার সামনে থেকে উধাও হলো। তার মানে সে বেপর্দার অপরাধ করে আমার কাছে তার মনে রোগ বা অবৈধ উদ্দেশ্য নিয়ে আসলো; আর আমি সে পরিমাণই একটি ঔষুধ প্রয়োগ করে (গালিগালাছ) তাকে তাড়ালাম এবং এভাবে হেফাজত করলাম পর্দার বিধান, তার মনের রোগ অথবা আমার অন্যান্য ক্ষয়-ক্ষতির অনিষ্টতা। এছাড়াতো অন্যকোন কৌশল বা ঔষধে তাকে ধরছেনারে ভাই! আর আমার এ ধরনের নেগেটিভ আচরণের একটি দিক এই যে, এগুলো মানুষের জন্য শুধুই ঔষুধ, আর কিছু না।

 তেমনি ভাবে পরবর্তীতে মানুষের অনেক গুলো কূ-কারেক্টার থামাতে আমাকেও হয়তো করতে হবে অহংকার, মানে এ ধরনের জঘন্য রোগাক্রান্ত মানুষদেরকে প্রয়োগ করতে হবে অহংকারের ঔষুধ, অহংকার দিয়েই। ভায়েরা এখানে আমাকে ভূল বোঝার কোন কারণ নেই। যেমন আপনার রোগটি যদি হয়, নেগেটিভ অহংকার, তাহলে আপনার ঔষুধটি হবে পজিটিভ অহংকার। মনেরাখা উচিৎ ঔষুধ তৈরী বা প্রয়োগে রোগের উৎপত্তি যেখানে, বিনাশ করতে হবে সেখানে; রোগের প্রকৃতি বা উপাদান যা হবে, ঐ রোগ চিকিৎসায় ব্যবহার করতে হবে এর সম পরিমাণ বিপরীত প্রকৃতি বা উপাদান। আবার এ ঔষুধ প্রয়োগ করতে হবে রোগীর বিশ্বাস, স্বাস্থ্য ও মনস্তত্ব অনুযায়ী। আমার মতে তবেই হবে রোগের বিনাশ।

তাহলে বোঝাগেল গালির নির্যাস থেকে সৃষ্ট রোগের ঔষুধ হবে গালির নির্যাস, অহংকারের নির্যাস থেকে সৃষ্ট রোগের ঔষুধ হবে অহংকারের নির্যাস; আর সহবাসের নির্যাস থেকে সৃষ্ট রোগের ঔষুধ হবে সম কোয়ালিটি ও কুয়ান্টিটির সহবাসের নির্যাস (যেমন হয়তো এভাবেই আবিষ্কৃত হতে পারে এইডস এর ঔষুধ। এটা অবশ্য আমার ব্যক্তিগত অভিমত। অবশ্য মহান রবের সৃষ্টি জগত তো অনেক বিশাল ও বিস্তৃত, তাই রোগের ঔষুধ আরো অনেক ভাবেই আল্লাহু তা’য়ালা আবিষ্কার করার তাওফিক দিতে পারেন; রাখতে পারেন রোগ থেকে প্রিভেন্ট উপকরণ বা সিস্টেম অন্যভাবেও।)

 এ পয়েন্টে আমার আলেম ভাইগণ আমার সাথে দ্বীমত পোষণ করতে পারেন।

 সম্মানিত আলেম ভায়েরা, আপনাদেরকে বলতে চাই, মহান আল্লাহ্ এ পৃথিবীর প্রত্যেক কিছু জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন। তাই যে নেগেটিভ স্বত্বাময় জোড়ায় বা তাদের কর্মে সৃষ্টি হয়েছে বা শয়তানীর মাধ্যমে আগত হয়েছে যে রোগ; ঠিক সে পরিমাণ পজিটিভ স্বত্বাময় জোড়ায় বা ঐ কর্মেই আবিষ্কৃত করতে হবে সংশ্লিষ্ট ঐ রোগের ঔষুধ। অর্থাৎ রোগ সৃষ্টিতে যেমন প্রয়োজন জোড়া ও তাদের কর্ম; ঠিক ঔষুধ আবিষ্কার করতেও প্রয়োজন হবে এর বিপরীত পোলারিটির সে মান ও পরিমাণের কর্ম বা ঐ রকমই উপাদান। যেখান থেকে রোগের সৃষ্টি, ঠিক সেখান থেকেই ঔষুধের আবিষ্কার। আর এটিই আমার যুক্তি।

 এক্ষেত্রে মানুষ ও জ্বীন জাতির প্রাণ ও ঈমান রক্ষা করতে বা তাদের মৃত্যুসম চিকিৎসায় অথবা তাদেরক প্রিভেন্টকরণ বা শান্তি আনয়নে এবং শুধুমাত্র ঔষুধ আবিষ্কার ও তা প্রয়োগের ক্ষেত্রে এসব কর্ম করা (আপাত দৃষ্টিতে যা নিন্দনীয়), ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী কেন অবৈধ হবে, তা আমার বোধগম্য নয়।

 এখানে ক্ষেত্র বিশেষে নিয়তটাও ঔষুধের প্রুভিং হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হতে পারে। আর বিশেষ কিছু রোগের ক্ষেত্রে শুধু নিয়তটাই যদি ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী ঔষুধের প্রুভিং হিসেবে অনুমোদন পায়, তাহলে ফতোয়ার কিতাব সমূহে আমি কোন একদিন পড়েছিলাম, ঔষুধ তৈরী ও প্রয়োগে নাজায়েজ ও হারাম বিষয় গুলোকেও প্রুভিং করে ব্যবহার করা বৈধ। আর তাই আপাত দৃষ্টিতে আমার চরিত্র বা ব্যবহারে আপনাদের চোখে কিছু নাজায়েজ ও হারাম কর্ম দৃষ্ট হতে পারে বা হচ্ছে। যা কোন ভাবেই নেগেটিভলি নয়; অবশ্যই তা পজিটিভলি।

 আবার এর চাইতেও বাড়িয়ে যখন আমার পরিবার ও বংশ বুঝতে পারলো যে, আমি তো চুরির দায়ে হাত কাটা কিংবা যেনার দায়ে মৃত্যূদন্ড কার্যকর, এ জাতীয় সিদ্ধান্ত প্রয়োগ করবো, তখন এ মহাবিশ্বের ঈমান দীপ্ত বা জ্ঞানী মানুষ বা জ্ঞানী জ্বীন নামে মানুষের নিকট অনর্থক সুপরিচিত আপনি বা আপনারাও আজ যেমন আমার পরিবার ও বংশ আমাকে আঁটকিয়ে রেখেছে, ঠিক আপনারাও এদেরই মতো হয়তো স্বমস্বরে বলবেন, একে থামাও, একে আঁটকাও, একে পদদলীত করো, যেভাবেই হোক একে দাবিয়ে রাখ; যেহেতু এ মহাবিশ্বে এ সব আইন চলেনা, আমরা এ সব মানি না; আমরা শুধু লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পড়ি!!!

বন্ধুরা যে কারণে মূলত আমি আঁটকে আছি বা আমাকে দাবিয়ে রাখা হয়েছে প্রধানত এটিই হচ্ছে সে কারণ। আর এটি যদি সত্যি হয়, তাহলে এদের, মানে আমার বাড়ির আপনজনদের এবং তাদের দোসর আমার স্ত্রী সহ সকলের এমন উপযুক্ত শাস্তি দিবে, যাতে আমার দিকে এরা চোখ তুলে না তাকাতে পারে এবং আমাকে আঁটকানোর বা আমার মাধ্যমে কিছু পাওয়ার অধিকার যেন আর তাদের না থাকে ও ক্রিমিনাল হিসেবে তারা যেন পরিচিত হয়ে থাকে এ মহাবিশ্বে। তবে তারা যদি তাওবা করতে চায়, তাহলে যেহেতু তারা আমার পরিবার ও আমার বংশীয় সদস্য, তাই আমার স্ত্রী সহ সবাইকে তাওবা করার তাওফিক দিবে এবং করবে সবাইকে মুক্ত ও পবিত্র। আবার আমি যেহেতু এখানে দোষী নই, তাই আপময় জনসাধারণকে যে সার্ভিস আমি দিতে পারতাম, এক ভাবে না এক ভাবে, জনসাধারণকে তা দিবে ও আমাকে এর সাওয়াব থেকে বঞ্চিত করবে না। অর্থাৎ মানুষকে খেদমতের আমার যে নিয়ত ছিলো, এর সাওয়াব আমায় প্রদান করবে।

আর মানুষ সত্য কেন বুঝে না, সত্য কেন চিনে না বা মানুষের মন-মাইন্ড এ রকম কেন তা বোঝাতে আমি আপনাদেরকে ছোট্ট একটি উদহারণ দিচ্ছি শুনুন, ধরুন শীতকালে আপনার ৬ বছরের শিশু ছেলে, বিছানায় আইসক্রিম খেতে খেতে বিছানা ভিজিয়ে ফেললো, আর আপনি যখন তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তখন সে আপনাকে বললো, সে ফেলেনি, সে আইসক্রিম খায়নি, সে দেখেনি বা কে ফেলেছে, কে আইসক্রিম খেয়েছে তা সে জানে না এবং এ বিষয়ে সে কিছুই জানে না; অনেকটা শক্ত অবস্থান তার। এখানে মাত্র ৬ বছরের আপনার শিশু ছেলে মিথ্যা এ জন্য বলেছে যে, তার ব্রেনে হয়তো বদ্ধমূল হয়েগেছে, মিথ্যা বললে সে মাফ পেয়ে যাবে এবং সত্য বললে আপনার হাতে তাকে মার খেতে হবে। আমি মনেকরি, এভাবে ও এ কারেক্টারের মা-বাবার নির্জাস নিয়ে জন্মিত মানব, শিশুকাল থেকেই মিথ্যা বলতে বলতে ও আইসক্রিমের মতো মদ, গাঁজা বা সুদ-ঘোষ বা বিভিন্ন হারামি ইত্যাদি খেতে খেতে বা অনৈতিক জীবন-যাপন করতে করতে আমাদের আজ এ পরিণতি। আর তাই হয়তো আজ আমরা মিথ্যাকেই সত্য মনে করি বা ভালো মনে করি; অপরপক্ষে সত্যকে আজ আমরা হয়তো চিনতে বা বুঝতেই পারি না।

যার পরিপ্রেক্ষিতে আজ আমরা শুধু আল্লাহু আকবার মুখেই পড়ছি; কিন্তু আল কোরআন অনুযায়ী শাসন কার্য ও বিচার কার্য সহ ফুল কোড অব লাইফ আমরা মানতে রাজি না।  

 ইনশা’আল্লাহ আমি ফুল শরীয়ত মান্যতার মানসিকতার মানুষ। তথাপি যেহেতু আমি নিজেও প্রস্ফুটিত হতে পারছি না ও পরিবেশ পরিস্থিতিও আমার প্রতিকূল; তাই এ অবস্থায় আপনারা সমাজ ও দেশের অনেকেই না বুঝে আমাকে নেগেটিভ কিছু একটা ভাবতে পারেন, ভাবছেন ও আমাকে কষ্ট দিতে পারেন, দিচ্ছেন এবং দিয়েছেন বা দিয়ে চলেছেন।

 তবুও মহান আল্লাহু তা’য়ালার রহমতে হান্ডেড পার্সেন্ট পিউর সত্যের প্রয়োজনে আমার কারেক্টার আমৃত্যু এ রকমই অব্যাহত থাকবে ইনশা’আল্লাহ। এবং যদি আমাকে আমার মতো করে কাজ করতে হয়, তবে আমার এ প্রাকৃতিক চরিত্রে আমার মা, বাবা, ভাই, বন্ধু, আত্মীয়-স্বজন, দল-বিদল, হিতাকাঙ্কী বা শুভান্যূধায়ী বলতে কোন ভেধাভেদ থাকবে না ইনশা’আল্লাহ্। আইন, বিচার, শাসন ও শাস্তি প্রয়োগে সকলেই আমার নিকট সমান থাকবে। সেখানে হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলিম বা যে কোন স্ব-জাতি বা বিজাতি বলতে আমার কোন পরিচয় থাকবে না; সেখানে আমি কেবলই মানুষ ছাড়া আর কিছু থাকবো না।

আর আমার এ রকম কারেক্টার হওয়ার কারণে বা এরই ফলশ্রুতিতে আমার বিচার বা অবস্থান মাঝে মাঝে আমার আপনজন বা বন্ধুসম মানুষদের বিপরীতেও যেতে পারে এবং জেনারেলি যেহেতেু আমি দৈত স্বত্ত্বা (মানুষ ও জ্বীন), তার উপর আমি যেহেতু চলমান পরিবেশ-পরিস্থিতির বিপরীত শুধুই আমার মহান রব আল্লাহু তা’য়ালাকেই চাই, আর কাউকে না; তাই অনেক সময় আমার ক্রিয়া-কর্মের অনেক কিছু মানুষ ও জ্বীনগণের মধ্যকার অনেক সদস্যের তাদের হয়তো সাধারণ বুঝ-জ্ঞানে নাও ধরতে পারে। আর তখন আপনি বা আপনারা হয়তো আমাকে পজিটিভ না ভেবে, নেগেটিভই ভাবতে থাকবেন; যা আমার জন্য হবে সমূহ বিপদ, দূঃখ আর হতাশার কারণ। যা এখনো আমাকে নিয়মিতই সহ্য করতে হচ্ছে।

তাছাড়া মানুষের শরীরে জ্বীন জাতির আভির্ভাব হলে, সে মানুষটি যে কেমন হয়, তার যে কী কষ্ট হয় এবং এর যে কী বৈশিষ্ট্য অথবা প্রতিনিয়ত আমার মন-মাইন্ড চারদিকের কীরুপ অচঅচা বা শব্দ দ্বারা আক্রান্ত ও এর ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া কী এবং এ বিষয়ক বুঝ-জ্ঞানতো আপনাদের একেবারেই অজানা!

আবার কতজনকেইতো কত ইঙ্গিত দিয়ে যাচ্ছি বা কতকিছু বলে যাচ্ছি এ সবের কী পরিমাণ বাস্তবায়িত হবে বা হতে পারে বা আসলে হবে কিনা (?); না আবার আমার মুখের বা চরিত্রের গ্রহণ যোগ্যতা বা পিউরিটি প্রশ্নবিদ্ধ হবে বা হতে থাকবে? ব্যক্তিত্ব, চরিত্র তথা আখলাকের বিবেচনায় একজন মানুষের শরীরে অবস্থিত সবচাইতে মূল্যবান অঙ্গ হচ্ছে তার জ্হিবা। এতো কিছুর প্যঁচে পড়ে আমার মনুষ্যত্বের মূল্যায়ন কি আর থাকবে (?); না অপমাণিত বা অবমূল্যায়িত হবো? এসবের টেনশন প্রতিনিয়তই আমাকে কুরে কুরে খাচ্ছে ও করছে বিব্রত।

বন্ধুরা, এ ধরনের নানাবিধ জটিল সমীকরণের কারণেই, আপনাদের মাঝে নিজকে বা নিজের কারেক্টারকে আমি হয়তো বোঝাতে পারিনি অথবা পারি না এবং এ সব কারণে আপনারাও হয়তো আমাকে বুঝতে পারেননি।

তবে সব কথার মূল কথা হচ্ছে, জীবনে আসলে আমি কিছু করতে পারবো কিনা বা আমার ভবিষ্যত কী, তা আমি নিজেও জানি না। এবং এটা কি একটা জ্বীন, না হিন্দু/মুসলিমের মতো এ রকম পুরো একটি জ্বীন সম্প্রদায় সে বিষয়েও আমি নিশ্চিত নই।

কারণ সেই ২০০১ সন থেকে আজ পর্যন্ত আমার জীবনে এ সব কিছুই ঘটেছে বা ঘটছে আমার সাথে যে জ্বীন বা জ্বীন জাতিটি রয়েছে তাদের প্রভাবে বা তারা সাথে থাকার কারণে।

 আবার ভবিষ্যতে যদি উন্নয়ন মূলক কিছু করা যায়ও, তবে তাও সম্ভব হবে কেবল মাত্র এ জ্বীন বা জ্বীন সম্প্রদায়ের সদস্যগণ তাদের স্ব-শরীরে আমার নিকট আগমনের মাধ্যমে ও তাদের নিজস্ব সততার উপর। যেহেতু ইনশা’আল্লাহ আমি হক; তাই অনুমান নির্ভর বা মানুষকে ঠকানো মূলক বা কূফরী মূলক কিছু আমি কখনো করতে পারবো না। তাই সব কিছু নির্ভর করছে, তারা কখন আসবে এবং এসে কখন মানুষের উপকারী বা যৌক্তিক কিছু আমাকে বলবে, আর আমি সে অনুযায়ী পারবো কিনা বা বুঝবো কিনা তার উপর। কারণ আমাকেতো আর অবশ করে বা আমাকে শুধু তাদের অনুকরণ করতে বলে তো, আমাকে দিয়ে তারা কিছু করাতে পারবে না। যতক্ষণনা আমি স্ব-জ্ঞানে বুঝবো, বিষয়টা যে আসলে মানুষ ও জ্বীন জাতির জন্য মঙ্গল জনক, উপযুক্ত, ফলপ্রসু, যৌক্তিক ও আমাদের দ্বারা সম্ভব, ততক্ষণ পর্যন্ত আমার দ্বারা, তাদের সাজেস্টকৃত কোন কাজও ইনশা’আল্লাহ আমার দ্বারা করা সম্ভব হবে না।

 কারণ আমি আল্লাহু তা’য়ালার ইবাদত করি। কোন জ্বীন বা জ্বীন জাতি বা কোন মানুষ বা মানব জাতির নয়।

 আমাকে কাল কেয়ামতে তাঁর নিকটই হিসাব দিতে হবে এবং আমি তাঁর গোলাম ও মূলত তাঁর প্রেম ও ভালোবাসা পাওয়ার জন্যে এবং তাঁর বন্ধু হওয়ার উদ্দেশ্যেই এ জীবন আমি উৎস্বর্গ করেছি।

 অর্থাৎ সবকিছুর মূলে আল্লাহ্; তিনি যদি রাজি থাকেন তবে হয়তো অনেক কিছুই হবে, আর তিনি রাজী না থাকলে কিছুই হবে না। আর আল্লাহ্ রাজী থাকলে, তবে কিছু হলেও আমি আলহামদুলিল্লাহ! আমি সন্তুষ্ট। আর তিনি রাজি না থাকলে, তখন কিছু না হলেও আমি আলহামদুলিল্লাহ! আমি সন্তুষ্ট।

 সে যাই হোক মহান রবই ভালো বুঝবেন, কেন আমায় তিনি নেয়ামত দিলেন বা দিবেন, আর কেনইবা তা প্রকাশ করার সুযোগ ও সামর্থ আমায় দিলেন না বা দিবেন না।

 যেহেতু আল্লাহ’ই আমার সৃষ্টিকর্তা, আর মানুষের এসব নেয়ামত আসলে তাঁরই।

 তাঁরই ইচ্ছা কার প্রতিভা ও সম্ভাবনা দ্বারা তিনি মানুষকে উপকার দিবেন, আর কার প্রতিভা ও সম্ভাবনা তিনি সুপ্ত করে রাখবেন।

তাই ইনশা’আল্লাহ আমি সর্বদা ও সারা জীবনব্যপী আল্লাহু তা’য়ালার প্রতি অনুগত ও সন্তুষ্ট থাকবো। এ তাওফিকই আমি আমার রবের নিকট চাই।

 তবে কথা হলো মানুষের উপকার করতে পারলে কেন জানি নিজের কাছে ভালো লাগতো। তাই আমার মহান রব যদি আমাকে মানুষের উপকার ও সেবা করার তাওফিক ও সুযোগ করে দিতো!! তাঁর নিকট এ আমার বিনীত প্রার্থনা!!

 আর যেহেতু আমার প্রকৃত বয়স এখন প্রায় ৪৮ বছর। অতএব আমার যৌবন কাল বা কাজের বয়সও প্রায় শেষের দিকে; তাই আমার মনে হয়, যদি আমার ভাগ্যে মানুষের খেদমত করার তাওফিক না থাকে, তাহলে যে কোন ভাবে যদি পবিত্র আরব ভূমির সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থিত মসজিদে হারাম শরীফে প্রবেশ করে সেখানে আমৃত্যু ইবাদত করার সুযোগ করে দিতেন,তাহলে তা আমার জন্য অনেক বেটার হতো বলে মনে হয় এবং আমি অনেক খুশি হতাম। মহান রব আমার ঋণগুলো শোধ করার তাওফিক দিয়ে আমার এ শেষ আর্জিটুকু যদি কবুল করতেন (!!), তাহলে আমি অনেক অনেক আনন্দিত হতাম।

 হে আল্লাহু তা’য়ালা! তোমার কাছে অসাধ্য বলতে কিছু নেই! সুতরাং আমাকে তোমার ঘর মসজিদে হারাম শরীফে আমৃত্যু নিয়মিত ইবাদত করার তাওফিক দান কর। আমীন।

দৃষ্টি আকর্ষণঃ এ গল্পে যে জ্বীন বা জ্বীন সম্প্রদায়ের কথা বলা হয়েছে, তারা যদি তাদের প্রকৃত স্বত্ত্ব নিয়ে ও নিজস্ব অবয়বে এ পৃথিবীতে আগমন না করে ও লিখকের সাথে মানুষ ও জ্বীন (?) হিসেবে তাদের উভয়ের সম্পূর্ণ সূস্থ, স্বাভাবিক ও স্বাধীন অবস্থায় প্রয়োজনীয় যে কোন বিষয় নিয়ে পারষ্পরিক শ্রদ্ধাময় ও বন্ধুত্বপূর্ণ রিলেশান ও পরিবেশে ডিসকাস না করে এবং পারষ্পরিক অনুকরণ বা নকলতান্ত্রিকতা ব্যতিত যে কোন বিষয়ে উভয়ের নিজস্ব সতেজ ব্রেনের যৌথ সিদ্ধান্ত সমূহ গৃহিত না হয়, তবে এ গল্পের যে কোন অংশে অথবা লিখা সম্ভব হয়নি এ ধরনের সংশ্লিষ্ট যে কোন ঘটনায় প্রদান করা জ্ঞান-বিজ্ঞান বা চিকিৎসা বিজ্ঞানের তাত্ত্বিকতা বা বস্তুতান্ত্রিক সৃজন বা এর প্রয়োগিকতার কিছুই হয়তো উদ্ভাবন বা আবিষ্কার করা সম্ভব হবে না বা কোন কিছু হয়তো ঘটবেও না। অন্ধকারে ঢিল মেরে বা অনুমান বা ধারনা করে বা শুধু উপসর্গ এনালাইসিস বা গবেষণা করে অথবা অসত্য চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে বা মিথ্যাকে পুঁজি করে বা শুধু টাকা উপার্জনের ইচ্ছায় ধান্দা করে মনগড়া কিছু করা; এ গল্পের লিখক এ জাতীয় কিছুই করে না বা বলে না বা করতে পারে না। ইহা তার প্রাকৃতিক স্বভাব।

 তাই অবাস্তব বা অসম্ভব মনেহলেও, তবুও মানব ও জ্বীন কল্যাণ বা সেবা বা আল্লাহর ইবাদতের লক্ষ্যে সম্মানিত পাঠক, সমর্থক ও শুভান্যূধায়ীদের উচিৎ হবে উপরে উল্লেখিত এ জ্বীন বা জ্বীন সম্প্রদায়কে তাদের প্রকৃত স্বত্ত্ব নিয়ে ও নিজস্ব অবয়বে এ পৃথিবীতে গল্পাকার বা লিখকের সাথে ও মানব সমাজ এবং বিশ্বের মানুষের পাশাপাশি তারা যেন আগমন করে এবং মানুষ ও জ্বীন জাতির চিকিৎসা সহ সাধ্য ও সম্ভব মতো উপকার করে ও মানুষের সাথে বসবাস করে, সে জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ তৈরীর মানসিকতা, সাপোর্ট, সমর্থন ইত্যাদি প্রদান করা এবং তাদেরকে পৃথিবীতে আগমন করার জন্য কায়মনোবাক্যে মহান  আল্লাহু তা’য়ালার নিকট দুয়া করা ও তাদেরকে সালাম এবং স্বাগত জানানো। ইহা সকলের প্রতি লিখকের একান্ত ও বিনীত অনুরোধ। যেহেতু মানুষের ভক্তি, বিশ্বাস, সহযোগিতা, সাপোর্ট ব্যতিত কিছু সম্ভব হবে বলে লিখক মনে করেন না। অতএব আপনারা সকলে এ বিষয়ে মহান রবের নিকট দোয়া করতে থাকুন।

প্রিয় দেশবাসী, এলাকাবাসী ও বিশ্ববাসী আপনারা মনে কইরেন না; আমি অর্থের ধান্দা করার জন্য এসব গল্প সাজিয়েছি। আপনারা আমার এলাকা ও আমার পরিচিত অঙ্গনে খোঁজ নিলেই বিষয়টার সত্যতা নিশ্চিত করতে পারবেন। আর আমি ইনশা'আল্লাহ এমন লোক নই যে অবৈধ কোন পন্থায়, আমি অর্থ ইনকাম করবো? যদি তাই হতো তাহলে জ্বীনকে পেয়ে এতোদিনে একভাবে না একভাবে তা আরম্ভ করে দিতাম হয়তো!

 আপনাদের নিকট আমি আরো একটি বিনীত আবেদন জানাবো; আর তা হচ্ছে, যদি এ জ্বীন বা জ্বীন জাতি আমার নিকট স্ব-শরীরে না-ই আসে, তাহলে কেন আজ প্রায় ২৩ টি বছর আমায় কষ্ট দিচ্ছে বা দিলো এবং সামনে আর কত বছর কষ্ট দিবে তাতো আমি জানি না; আপনারা দয়াকরে মহান রব আল্লাহু তা’য়ালার নিকট তাদের বিরুদ্ধে এর বিচার চাইবেন। কারণ যাদের পরাধীনতার শৃঙ্খলে আমি আজ দিশেহারা প্রায়; সমাজে আজ আমি অপরাধী। যদি তারা না-ই আসে, তাহলে অতি দ্রুততম সময়ে আমার কাছ থেকে তাকে বা তাদেরকে চলে যেতে বলবেন। কারণ আমার দ্বারা আর সম্ভব হচ্ছে না!!! আমার যেন আজ মরণ দশা!! মাঝে মাঝে মনে হয় এরচাইতে মরে গেলেই বোধহয় ভালো হতো (ঈমানের কারণে এমনটি না আসলেও, এ রকমইতো অবস্থা!)।

আমি স্বাধীন ভাবে অনেকটা হাঁটতে, চলতে, বলতে বা কোন কাজ করতে পর্যন্ত পারি না।

মানুষ ও জ্বীন ভাই/বোনদেরকে কিছু বোঝাতে আমার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি বা উপস্বর্গ সমূহ, যেমন হাত নাড়ানো, চোখ বন্ধ করা বা চোখ দিয়ে কিছু বোঝানো বা কিছু বলা বা না বলা ইত্যাদি ভাষা বা ইঙ্গিত গুলো বাকি মানুষদের মতো অনেক সময় আমার মতোকরে হয় না বা আমি করতে পারি না। এগুলো অনেক সময় আমার সংশ্লিষ্ট অঙ্গটি ব্যথা করে বা মাথা কামড়ায় বা কোপাল খাউজায় বা ইত্যাদি যে কোন কারণে বাধ্য হয়ে আমাকে করতে হয়।

ভাবতে পারেন, যেমন ধরুন, আমার একটি ছাতা বা একজোড়া জুতা ইত্যাদি আমার ব্রেনকে অবশ করে বা বুঝতে না দিয়ে কাউকে দিয়ে দিলো অথবা চলতে চাই বা কাউকে কিছু বোঝাতে চাই; কিন্তু পারিনা এবং এমনও হতে থাকলো যে, বোঝাতেতো পারিনি, উল্টো ভুল বোঝায়ে দিলাম কাউকে; আবার এমনও হচ্ছে যে, ধরুন চাকুরির ইন্টারভিউ দিতে গেলাম বা চাকুরী করছি, কিন্তু হঠাৎ করে আমার জ্বীন ভাইটি বা ভাই/বোনগণ হঠাৎ উত্থাপিত হয়ে এমন আচরণ করলো যে, যার কারণে আমার চাকুরীটা হলো না বা আরো বেশি পরীক্ষার মধ্যে পড়ে গেলাম বা চাকুরীটা চলে গেলো; আর মানুষ গুলো শুধু আমাকেই দোষারোপ করতে থাকলো; এই যে অবস্থা গুলো, এগুলো কতটুকু কষ্টের, (?) এগুলোর ওজন মাপতে পারবেন? 

 আমার ছোট ছোট ছেলে মেয়েদেরকে এখন প্রায় না খেয়ে থাকতে হয়। আমি ভদ্র, কিন্তু আমার জীবনের নেই কোন ভিত্তি বা সম্মান। অর্থনৈতিক ভাবে চরম অভাবের কারণে আমি আমার রবকে পর্যন্ত ঠিকমতো এখন ডাকতে পারছি না।

 তবে আমি বুঝতে চাই, আমার কাছে বা মানুষদের কাছে তারা আসলে কী চায় বা তাদের উদ্দেশ্য কী?

আমাকে এসব না জানিয়ে বা এতো বছর কষ্ট দিয়ে তারা যদি চলে যায়, তাহলে অন্তত তারা যেন অন্তত একবার স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে বলে যায়, আমার কাছে বা মানুষের কাছে আসলে তারা কী চেয়েছিলো এবং তা সম্ভব হয়নি কেন?

উৎস্বর্গঃ মহান আল্লাহু তা’য়ালার ইবাদত, তাঁর সন্তুষ্টি ও তাঁর ভালোবাসা পাওয়ার লক্ষ্যে শুধুই তাঁর জন্যে।

প্রযোজনা, পরিবেশনা ও প্রকাশনাঃ দেশী-বিদেশী বিভিন্ন অনুমোদিত ও বৈধ অনলাইন এবং অফলাইন ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার মধ্যে লিখক নিজেই এ কাজ সম্পাদন করবেন বা লিখকের প্রত্যক্ষ্য বা পরোক্ষ  অনুমতি স্বাপেক্ষে শুধুমাত্র টেক্সট আকারে ও প্রয়োজনে পরবর্তীতে অডিও এবং ভিডিও আকারে দেশ-বিদেশের যে কেউ এ ধরনের কার্য সম্পাদন করতে পারবেন।

বি. দ্র. জ্বীনমানব বিষয়ক পূর্বে প্রকাশিত ar900.com এ ওয়েবসাইটের প্রবন্ধ সমূহ বর্তমান jinmanb.blogspot.com/ এ সাইটে আপডেট ও আপগ্রেড করা হবে। তাই পাঠক, আগ্রহী, গবেষক ও শুভান্যূধায়ীদেরকে বর্তমান এ সাইটটি ভিজিট করে এ গুলো পড়ার জন্য অনুরোধ করছি (ইনশা’আল্লাহ এ সাইটের জন্য পরবর্তীতে কাস্টম ডোমেন সংযোজন করা হবে।)।

নিউ উপশম হাসপাতাল, ফেনী এর ডাক্তারগণের রোগী দেখার সময় ও তাদের সম্পর্কে জানতে   এখানে ক্লিক করুন