আপগ্রেডঃ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রি.

(এ পোস্টটির পূর্বোক্ত নাম ছিলো আমাকে জবাবদিহীতার আওতায় কেন? বর্তমান নাম অনুযায়ী অল্প কিছুদিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় এডিট করা হবে।)

১. মূলভাব:

আমাকে জবাবদিহীতার আওতায় কেন?, শিরোনামে সহকর্মী কর্তৃক অপমাণের ব্যাখ্যা চেয়ে তার নিকট আবেদন,তারিখ: ১০/০৪/২৩ ইং।

২. আবেদনকারী হিসেবে ১ম পক্ষের পরিচয়:

আরিফ উল্যাহ চৌধূরী, জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর ও ল্যাব ইনচার্জ, কমপেক্ট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, একাডেমি রোড, ফেনী সদর, ফেনী। আমার ফেসবুক প্রোপাইল দেখতে  এখানে ক্লিক করতে পারেন

৩. প্রতিপক্ষ হিসেবে ২য় পক্ষের পরিচয়:

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জনৈক শিক্ষিকা।

(আমাকে জবাবদিহীতার আওতায় কেন?, এ পোস্টটি শেয়ারের অনুরোধ রইলো)

৪. এ আবেদন নিষ্পত্তিতে মডারেটর ও বিচারকের পরিচয়:

আরিফ উল্যাহ চৌধুরী, প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, বন্ধন ফাউন্ডেশন, গোবিন্দপুর, হাজীর বাজার, ফেনী।

৫. আবেদনের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা:

গতকাল ০৯/০৪/২০২৩ ইং তারিখে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় আমার সহকর্মী “মিসেস ক” তার কয়েকজন ছাত্র বাহিনী নিয়ে আমার রুমে ঢুকেন এবং আমাকে অপমাণ করেন। আলহামদুলিল্লাহ, এতে আমি ব্যক্তিত্ববান ও সত্যনিষ্ঠ হওয়ায় এবং নারী জাতিকে মায়ের জাত হিসেবে বিবেচনা করে সম্মান ও দূর্বল জাতি হিসেবে এবং চারদিকে দূর্বলের উপর সবলের অত্যাচার চলে বিধায়, এমনিতেই আমি তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল তার উপর আমি কাপুরুষ নই সে জন্যে আমি তার সাথে তেমন কোন উচ্চবাচ্য করিনি। আমি মনে করেছিলাম আমাকে মানুষ তাদের মৃতপ্রায় দৃষ্টিতে একটু দূর্বল ভাবে বা তাদের দৃষ্টিতে নরম ও কোমল মনে করে। এ জন্যে ম্যাডাম নিজ থেকে তার কোমলমতি ছাত্রদেরকে নিয়ে আমার বংশ ও গ্রামবাসীদের অনেকের মতো আঘাতে আঘাতে জর্জরিত করে আমাকে শক্ত করতে চাইছেন। ম্যাডাম মনে হয় জানেন না, রাজ্য যে জয় করে সে বীর নয়; যে উত্তেজনা মূহুর্তে নিজকে সংযত ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সে বীর। সে মুহুর্তে আমার অনেক কষ্ট হয়েছিলো। অপরদিকে আমি তখন ফেসবুকে একটা পোস্ট লিখতে ছিলাম। কিন্তু আমার ভাবনার জগতে চিড় ধরিয়ে দেয়ায় লিখতে আর পারিনি। পোস্ট লিখা আর হলো না। যে পোস্টটি আমি পরবর্তীতে রাত ১টার দিকে পাবলিস্ট করি। আমি এভাবে পোস্ট লিখতাম না। কিন্তু ম্যাডাম আমার ধৈর্যের সীমানা পেরিয়ে পরিচালক মহোদয়ের নিকট নালিশ করেন এবং আমাকে ডেকে পাঠানো হয় এর কারণ দর্শানোর জন্যে। এতে আমি আমার মনুষ্যত্ববোধে ও মানসিক ভাবে চরম আঘাত প্রাপ্ত হই এবং সাথে সাথে আমি এ সিদ্ধান্তে উপনীত হই যে, এ ধরনের ম্যাডামদেরকে সুযোগ দিলে তারা আমার ক্ষতি ছাড়া উপকার বৈ কিছুই করতে পারবে না। অবশ্য আমি বিষয়টি আগে থেকেই জানতাম। আমার হাজার প্রকারের দূর্বলতা থাকায়, পরিস্থিতির শীকার হয়ে আজ আমাকে এসব হজম করতে হচ্ছে।

(আমাকে জবাবদিহীতার আওতায় কেন?, এ পোস্টটি শেয়ারের অনুরোধ রইলো)

৬. ১ম পক্ষ কর্তৃক তার আবেদনের বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা:

যেহেতু আপনি এ মামুলি বিষয়টিকে  এবং  আমার দৃষ্টিতে আপনি আমাকে সংশোধন করার লক্ষ্যে নিজকে অপ্রকাশ্য রেখে আমার রুমে এসে ছিলেন। তাই আপনি শুনুন, যেহেতু আমি আপনার মনের খবর বুঝতে পেরেছি, অতএব জেগে জেগে কেউ ঘুমালে তার ক্ষতি করা যায় না। বরং চোরই ধরা পড়ে সহজে।

অতএব আমি নিজকে নিয়ন্ত্রণ করার সময়ও, অনেকটা রসিকতা করে বলেছিলাম, অভিনয় আমার ভালো লাগে না, চার দিকে শুধু অভিনয়!! আমার জীবনে কোন কিছুই অভিনয় না। মনেহয় এও বলেছিলাম, আমি মরহুম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান না যে, তার সরলতার সুযোগে আমাকে শেষ করবেন আপনারা।

আর এ অভিনয় শব্দ নিয়ে আপনি আমাকে পরিচালক স্যারের সামনে আপনার ছাত্রগ্রুপ সহ প্রশ্নবৃদ্ধ করলেন। ইনশা’আল্লাহু তা’য়ালা এ জীবনে আমার বিচার, পুলিশ, র‌্যাব, বর্ডার গার্ড, থানা, কোর্ট, কাঁচারী কিছুই লাগবে না; যদি আমি মুমেন হই। সবাই ভালো করে শুনুন, জেনারেলি মুমিনদের জন্যে এসবের প্রয়োজন নেই।

সম্মানিত ভিউয়ার, আমি খুব একটা ক্লাস নিই না। নেটে আমি ব্যক্তিগত কাজ করি বিধায় আমি খুব অল্প পরিমাণ ক্লাস নিই।  আমি এ রুপ চুক্তিবদ্ধ হয়েই এ পোস্টে দায়িত্ব পালন করছি। সুতরাং এ ছাত্র গুলো মেড্যামের হয়ে কাজ করবে, এটিই স্বাভাবিক।

দেখুন, অভিনয় হয় মঞ্চে, আর অভিনয় যদি কোর্টে উঠে, তবে সেটি আর অভিনয়ের সীমায় থাকে না। সেখানে নিশ্চয় কোন ক্লু থাকে, সেখানে হতে পারে ক্রাইম। আর এমনেতেই আমি বিচারে উঠবো!! নাউজুবিল্লাহ! নাউজুবিল্লাহ! অসহ্য! মানইজ্জত বলতে কিছু কি আর রইলো! এটা আমার এক প্রকারের মানসিক অবস্থা।

এখন বলেন আপনি যেহেতু, আমাকে দোষারোপ করলেন, আমি আপনাকে অভিনয়কারী বলেছি, এটা আমার অপরাধ। তাহলে গত কয়েকদিন আগে ২ দিনে ২ বার আমার রুমে এসে আপনি আমাকে বললেন, আমার রুমটি ছাত্রদেরকে দিয়ে পরিষ্কার করাবেন।

শ্রদ্ধেয় শিক্ষানুরাগী!! আসলে আপনি আমার রুমের কোন দিকটি পরিষ্কার করানোর কথা বলেছিলেন? এখানে রুম? না আমাকে?

কই পরিষ্কারতো কিছু করাননি!? বৃথা দুই দিনে ২ বার ছাত্র কতগুলো সহ এসে আমাকে মানসিক যন্ত্রণা দিয়ে গেছেন।

গতকাল আমার রুমে ঢুকে অনেকটা তাচ্ছিল্ল্য, আবেগ, আদেশ, উদ্ধত ও কর্কশ ভাষায় আপনার ডিপার্টমেন্টের কোন একটা ইন্সট্রুমেন্ট সম্ভন্ধে প্রশ্ন করলেন অমুক ইকুয়েপমেন্টটি কোথায়? বাসুদেব (বিশেষ ইন্ডিকেট করে) স্যার বলেছে আপনার কাছে আছে সেটি?

শুনেন ম্যাডাম, আপনার বলার ভঙ্গিমা শুনে, একদিকে আপনাদের ডিপার্টমেন্ট আলাদা, তার উপর আপনি দ্রব্যটি কতগুলো প্যাঁচানো তারের দিকে ইন্ডিক্যাট করেছেন। ফলে আমি আপনার কথাই বুঝিনি। কারণ আপনার ভাষা ছিলো কর্কশ ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এক্ষণে আপনি বলেন, আমি কি কোন গায়েব জানি? আর না জানলে, ক্লিয়ারলি নিয়মমোতাবেক কথা না বলে এভাবে বলবেন কেন? তাহলে আপনি কমেন্টস সেকশনে এখন লিখবেন, আসলে আপনি কোন্ দ্রব্যটি পেতে চেয়েছিলেন। ভালো করে বুঝিয়ে লিখবেন। অন্য দিকে বাসুদেব স্যার বলেছে, অমুকে বলেছে, এ ধরনের ভয় দেখানো মূলক কথা না বলে, যেহেতু ডিপার্টমেন্টটি আমার দায়িত্বে তাই ভদ্রভাবে শধু আমার নিকটই চাইবেন। দ্রব্য চাইবেন আমার কাছে, অথচ সাথে আরেকজনকে আমার নির্দেশদাতা হিসেবে বা ভয় প্রদর্শনকারী হিসেবে খাড়া করবেন। এভাবেই আপনারা সমাজ সংসার অফিস আদালত চালান, তাই না? আমার কাছে এসব চলবে না, বলে রাখলাম স্থায়ী ভাবে।

আবার অনেক সময় আপনাদের ছাত্ররা যুদ্ধাংদেহী চোখ নিয়ে আমার কাছে আসে এইটা সেটা নিতে। এ সিটোয়েশন গুলো তো আমার ক্ষতি ছাড়া লাভ বলতে কিছু হবে বলে আমার মনে হয় না। দয়াকরে প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের গ্রুপিং ছাড়েন আপনারা। দেখুন দুনিয়াতে সবাই আমার বন্ধু হতে পারে না ও সকলের বুঝও সমান না। বিষয়টি প্রথমে মাথায় রাখতে হবে সকলকে।

যাক এ পোস্টের মাধ্যমে আমি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানিয়ে দিতে চাই যে, দেখুন আমার ভিতর থেকেও যদি কোন কিছু কেউ একজন আমারই শরীরের কোন অঙ্গ-ভঙ্গি দ্বারা বোঝায়, তবে সেটিও আমি ধরি না; যবে না আমার নিজ মাথায় এর মূল তত্ত্বটি হ্নদয়ঙ্গম করতে পারি। অতএব আমার কোন অঙ্গভঙ্গি দেখে যদি আপনার মনে হয়, আরে মিয়া হাঁচি এসেছেতো (উদাহরণ স্বরুপ), এটা ধরো না কেন তাহলে আমার ক্ষতি বই উপকার হবে না। আমাকে বিবেচনা করবেন আপনারা কেবলমাত্র কাগজে কলমে।

আজকের এ প্রবন্ধের মাধ্যমে আমি সবাইকে আরেকটি বিষয জানিয়ে দিচ্ছি যে, আপনারা নথিভূক্ত করতে পারবেন, এ রকম জীবনে আমি কখনো লিখিত বক্তব্য ছাড়া মৌখিক বক্তব্য দেবো না।

অতএব আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আনতে হলে, তাহলে সত্যিই যদি আমি দেশ-জাতি ও ধর্মের বিরুদ্ধে কিছু করি শুধু তখন আনবেন; আর শুধুমাত্র আমার লিখিত কোন কথা থেকেই আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনবেন। আমার মুখের কথা সত্যি হলেও আমিই আমলে নিবো না। সেটি কেন পরে একসময় পারলে বুঝিয়ে বলবো। কথাটা ছড়িয়ে দিবেন।

(আমাকে জবাবদিহীতার আওতায় কেন?, এ পোস্টটি শেয়ারের অনুরোধ রইলো)

৭. বিচারকের সিদ্ধান্ত:

(আলোচ্য কন্টেন্টে এ অপশনটি প্রযোজ্য নয়, তবে অন্যান্য কন্টেন্টে প্রয়োজন হতে পারে বিধায় উল্লেখ করে রাখা হলো।)

৮. শেষ কথা:

পরিশেষে আবারো গতকাল আসলে ম্যাডাম কী জানতে চেয়েছিলেন এবং আমাকে কেন আপনি অপরাধী সাব্যস্ত করলেন; তা জানিয়ে কমেন্টস করার অনুরোধ করে আজকের মতো এখানে শেষ করছি। হাতে সময় নেই বিধায় আর বেশি কিছু লিখলাম না। সবাই ভালো থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।

এছাড়া আজকের বাংলা ইংরেজি ও আরবি তারিখ জানতে এবং আজকের পুরো দিনের নামাজ ও রোজার সময়সুচি দেখতে

এখানে ক্লিক করতে পারেন

আবার শুদ্ধরূপে কোরআন তিলাওয়াত শিখতে

এখানে ক্লিক করতে পারেন