(এ পোস্টটির পূর্বোক্ত নাম ছিলো মসজিদে জ্বীনের আচর। বর্তমান নাম অনুযায়ী অল্প কিছুদিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় এডিট করা হবে।)
০) প্রবন্ধের নাম:
মসজিদে জ্বীনের আচর।
১) প্রবন্ধ লিখার তারিখ এবং প্রবন্ধের প্রকৃতি ও শিরোনাম:
তারিখ: ২৩ এপ্রিল ২০২৩ খ্রি./২ শাওয়াল ১৪৪৪ হি.
প্রকৃতি: আত্ম-সমালোচনা ও রহস্য উন্মোচনমূলক।
শিরোনাম: মসজিদে জ্বীনের আচর।
(মসজিদে জ্বীনের আচর, এ পোস্ট সম্পর্কে কমেন্টস করা যেতে পারে)
২) কী উদ্দেশ্যে প্রবন্ধটি লিখা:
এ পৃথিবীতে মানুষের পাশাপাশি জ্বীন জাতি রয়েছে এবং আমি আরিফ উল্যাহ চৌধুরী, প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, বন্ধন ফাউন্ডেশন, গোবিন্দপুর, হাজীর বাজার, ফেনী সদর, ফেনী- একজন জ্বীনমানব। আমার এক্টিভিটিস হিসেবে একটি নির্দিষ্ট মসজিদের মধ্যে নামাজ পড়তে গেলে মুসল্লিগণ আমাকে কেমন দেখতে পেতেন (?); বিশেষ করে ১০/০৪/২০২৩ ইং তারিখে যোহরের নামাজের সময়ের অবস্থাটি, মুসল্লিদের নিকট কেমন লেগেছিলো (?), সে অবস্থাটি তখনকার মুসল্লিদের নিকট থেকে জানতে চেয়ে, অর্থাৎ অন্তত আমার তখনকার অবস্থা কি প্রমাণ করে না যে, আমি একজন জ্বীনমানব? আর ঐ মসজিদের মুসল্লিদের প্রতি উদ্দেশ্য করে এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে এ প্রবন্ধটি লিখা হয়েছে।
(মসজিদে জ্বীনের আচর, এ পোস্ট সম্পর্কে কমেন্টস করা যেতে পারে)
৩) এ প্রবন্ধের মাধ্যমে কার বা কাদের উপকার হবে:
প্রথমত আমার নিজের উপকার হবে, যেহেতু এ গবেষণাটি আমি পরিচালণা করছি। এরপর বড় বাড়ী রহমানিয়া জামে মসজিদ, হাজী আফজলের রহমান সড়ক, ৫ নং ওয়ার্ড, উ: বিরিঞ্চী, বড়বাড়ী, ফেনী- এ মসজিদের মুসল্লি ও তদ্ সংশ্লিষ্ট মানুষদের উপকার হবে এবং যেহেতু এর পাশেই আমার শিক্ষকতার স্থল, আমার কলেজ, তাই এ কলেজের সাথে জড়িত সকলেরই উপকার হবে ইনশা’আল্লাহ্। আবার যেহেতু প্রবন্ধটি ইসলাম ধর্ম বিষয়ক একটি গবেষণার উদ্দেশ্যে লিখিত, তাই আমি মনেকরি সকলে যদি পার্টিচিপেট করেন, তাহলে এর মাধ্যমে পুরো মুসলিম উম্মার উপকার হবে।
(মসজিদে জ্বীনের আচর, এ পোস্ট সম্পর্কে কমেন্টস করা যেতে পারে)
৪) প্রবন্ধের সারমর্ম:
উপরে উল্লেখিত মসজিদে জোহরের নামাজ আদায় করা কালীন জ্বীন কর্তৃক আমাকে প্রায় নিষ্ক্রিয় করা এবং আমাকে নড়তে চড়তে না দেয়া ও আমার শরীরের উপর প্রচন্ড ভার প্রয়োগ করার পরিপ্রেক্ষিতে আমার অবস্থাটি পাশ্ববর্তী মুসল্লি ও মসজিদে উপস্থিত তখনকার সদস্য গণ কীরুপ দেখতে পেয়েছিলেন, তা এ পোস্টের কমেন্টস হিসেবে লিখিত আকারে জানতে চেয়ে তাদের প্রতি আবেদন হিসেবে প্রবন্ধটি লিখা হয়েছে।
(মসজিদে জ্বীনের আচর, এ পোস্ট সম্পর্কে কমেন্টস করা যেতে পারে)
৫) শর্ট ডেসক্রিপশন:
আমি কমপেক্ট পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, একাডেমি রোড, ফেনী সদর, ফেনী- এ প্রতিষ্ঠানে জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর ও ল্যাব ইনচার্জ পদে শিক্ষকতা করি। সে সুবাদে উপরে উল্লেখিত মসজিদে প্রায় সময়ই জোহরের নামাজ পড়তে হয়। ইতিমধ্যে আমার আশেপাশে সহ ফেনী শহরের অনেকেই আপনারা জানেন আমি জ্বীন গ্রস্থ মানুষ। অর্থাৎ জ্বীন জাতিদের কেউ একজন তার দলবল নিয়ে আমার শরীরে অবস্থান করে বা করছে। গত বছর গুলোতে দেখেছি রমজান মাসেই এ জ্বীন সদস্যগুলো খুব বেশী সক্রীয় হয় এবং এর পরে এরা সুপ্ত বা নিষ্ক্রীয় হয়ে যায়। এ বছর (২০২৩ ইং সন) কেমন হয়, তা দিন যাওয়া ছাড়া বলতে পারবো না। কারণ মানুষ হিসেবে মুসলিমদের জন্য রমজান মাসের প্রতিক্রিয়া আর অন্য মাসের প্রতিক্রিয়া ইচ্ছে করলেও একজন মুসলিম সমান করতে পারবে না। তাছাড়া এ বছর কয়েকটি বড় বড় কাজ হাতে নেয়ায়, আমি মানসিক ভাবে এ জ্বীন সদস্যকে অনুরোধ করেছি, এখন থেকে সবসময় অর্থাৎ বার মাস ও ভবিষ্যতের সব সময় আমার সাথে তাদেরকে সক্রিয় ভাবে থেকে যেতে। কারণ মেইনলি পৃথিবীতে জ্ঞান বিজ্ঞানের মাঝে ও কাগজে কলমে জ্বীনের স্বীকৃতি আনতে হবে। তাহলে অন্যান্য বছরের মতো সে যদি সুপ্ত হয়ে যায়, তবে আমি কার স্বীকৃতি আনবো (?) আর কিভাবেইবা আনবো? তবুও সময়ের বিবেচনায় এবং আমার ও জ্বীনের বৈশিষ্ট্যেএবং সক্ষমতা বলতে একটি কথা রয়েছে।
(মসজিদে জ্বীনের আচর, এ পোস্ট সম্পর্কে কমেন্টস করা যেতে পারে)
সে যাই হোক ডেসক্রিপসানে বলা যাবে সব কিছু। তো প্রতিদিনের মতো সেদিনও আমি যোহরের নামাজ পড়তে গিয়েছিলাম। কিন্তু কার ইশারায় বা কার পরমর্শে অথবা কেন জ্বীন সদস্যটি সেদিন আমাকে এতোটা এ্যাটাক করেছিলো, আমার উপর এভাবে চডাও হয়েছিলো এবং এভাবে কেন আমার উপর চড়ে বসেছিলো আমি বুঝতে পারিনি। আমার শরীরে জ্বীন অবস্থান কালে এমনিতেই আমার কষ্ট হয়; সেদিন আমার কষ্ট যেন পাহাড সম হয়ে দাঁড়িয়েছিলো। ১ দিনেই আমি যেন পুরো ২ বছরের নামাজ পড়েছিলাম। আজ কয়দিন সময় পাচ্ছিলাম না প্রবন্ধটি লিখতে। কিন্তু প্রবন্ধটি লিখে মানুষের অনুভূতি কালেক্ট করা আমার একান্ত প্রয়োজন। যেহেতু আমি এ বিষয়ক গবেষণা পরিচালনা করছি। দেখুন, বিজ্ঞান বলে জ্বীন বলতে কিছু নেই। আর আমার রব মহান আল্লাহ বলেন আমি জ্বীন জাতি ও মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছি কেবল আমার ইবাদতের জন্য। অর্থাৎ তিনি জ্বীন জাতি বলতে একটা জাতি সৃষ্টি করেছেন বলেই ঘোষণা দিচ্ছেন।
অর তাই আলোচ্য প্রবন্ধে আমার সেদিনকার কষ্ট বা অবস্থা, যে সব মুসল্লি ভায়েরা স্ব-চক্ষে দেখেছেন, কেমন করে আমি সম্পূর্ণ পরাধীন হয়ে গিয়েছিলাম, কেমন করে আমার নিজের শরীরের পঞ্চইন্দ্রিয়ের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতাই আমার নিজের কাছে ছিলো না, আমি নড়তে-চড়তে পারছিলাম না, কেমন করে হাত-পাঁ নাড়াতে পারিনি; সম্মানিত মুসল্লিগণ ঐ মুহূর্তে আমাকে কেমন দেখতে পেয়েছিলেন; তা জানতে চেয়েই, তাদের প্রতি আবেদন হিসেবে আমার আজকের প্রবন্ধ। যা আমার জ্বীন বিষয়ক গবেষণারই একটি অংশ হিসেবে লিখিত। আমার সাথে তখন যারা নামাজ পড়েছিলেন, রিয়েলি সেদিন আপনাদের কাছে কী মনে হয়েছিলো, আমি কী একজন জ্বীন? আশা করবো এ প্রশ্নের উত্তর আপনারা এ পোস্টের কমেন্টস সেকশনে জানাবেন। এবং আমায় সহযোগিতা করবেন, যাতে বিজ্ঞানীদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে পারি এবং বলতে পারি, দেখুন মহান আল্লাহ জ্বীন সৃষ্টি করেছেন এবং আমিই সেই জ্বীন।
তবে এ পোস্টের কমেন্টস হিসেবে যদি কেউ বলেন যে, আমি জ্বীন; তাহলে আপনি আমায় কিভাবে বুঝতে পারলেন যে, আমি জ্বীন, দয়া করে আপনার সে যুক্তিগুলো অবশ্যই উল্লেখ করবেন এবং আপনার এ পজিটিভ রিভিউর মাধ্যমে এবং পৃথিবীতে জ্বীন জাতির স্বীকৃতিতে আমি হয়তোবা একধাপ এগিয়ে যেতে পারবো ইনশা’আল্লাহ।
আল্লাহর ঘোষণা অনুযায়ী পৃথিবীতে একটা জাতি থাকবে, অথচ কাগজে কলমে এর কোন স্বীকৃতি থাকবে না; উল্টো মিথ্যা প্রতিপন্ন করা হবে আমার রবকে, মিথ্যা উক্তি হিসেবে সাব্যস্থ করা হবে আল কুরআনকে; দেখুন একজন মুসলমান হিসেবে এটি হতে দেয়া যায় না। যেহেতু কোরআন, ইহা শুধু মুসলিমদের কাছে সত্য হিসেবে থাকবে, আর বাকীদের কাছে মিথ্যা হিসেবে থাকবে এ রকম কোন কিতাব নয়।
বুঝতে চেষ্টা করুন, সত্যতো সত্যই, এটা কারো কাছে সত্য, আবার কারো কাছে মিথ্যা এ রকম হতে যাবে কেন? আর বিষয়টির স্বীকৃতিতে সুযোগ থাকার পরেও যদি আমরা বসে থাকি, তাহলে তা হবে আল্লাহর নেয়ামতেরই অস্বীকৃতি বা নাফরমানি।
অতএব সে মসজিদের সেদিনকার সম্মানিত মুসল্লিগন বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে, রেয়েলিই বলবেন আসলে আপনারা আমাকে কেমন দেখতে পেতেন বা পেয়েছিলেন?
আর যদি আপনারা জ্বীন বলে বুঝতে না পারেন, তাহলেও আবশ্যই কমেন্টস করবেন যে, নাহ্ এটি জ্বীন নয়। তখন এভাবে বলবেন যে, তোমার কাছে জ্বীন নেই। তুমি পাগল বা তুমি অভিনয়কারী ইত্যাদি। এভাবে হলেও বলবেন!! তাহলেও বিষয়টা ক্লিয়ার হয়ে যাবে।
দেখুন একজন মানুষ হিসেবে সকলেরই নৈতিক দায়িত্ব যে, তার প্রতিবেশি ভায়ের সুখে দুখে তাকে সাধ্যমতো সহযোগিতা করা। এ পর্যন্ত আমার ওয়েবসাইটের কয়েকটি পোস্টের মাধ্যমে আমি অনেকের কাছেই জানতে চেয়েছিলাম, আমি জ্বীন কিনা? কিন্তু কোন্ এক অদৃশ্য কারণে সকলে বুঝার পরেও কেউ মুখ খুলছে না। হ্যাঁ-না, তারা কেউই কিছু বলছে না।
বিষয়টি যুক্তি সহ লিখতে না হয় ১০ মিনিট সময় যাবে?
চিন্তা করুন তো (?) কাজটি কি আমার একার আসলে? মুসলিমদের কি কোনই দায়িত্ব নাই এ বিষয়ে। আপনার উত্তরের স্বপক্ষে যুক্তিসহ লিখুন। প্লিজ হ্যাঁ বা না; একটা না একটা কিছু কমেন্টস করুন।
(মসজিদে জ্বীনের আচর, এ পোস্ট সম্পর্কে কমেন্টস করা যেতে পারে)
৬) ডেসক্রিপসন:
উপরে উল্লেখিত মসজিদের সম্মানিত ঈমাম সাহেব, মুয়াজ্জিন সাহেব, নিয়মিত মুসল্লি ও সুপ্রিয় এলাকাবাসি গণ প্রথমে আপনারা আমার স্ব-শ্রদ্ধ সালাম গ্রহণ করুন, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
আপনারা নিশ্বয় দেখতে পেয়েছেন, আমি গত প্রায় ৩/৪ মাস আপনাদের এ মসজিদে আপনাদের সাথে প্রায় দিন যোহরের নামাজ পড়ে আসছি। মাঝে মধ্যে এদিকে আরেকটি মসজিদ থাকায় এবং সময়ে সময়ে জামাতের টাইমে আমার ক্লাস থাকায় হয়তো আপনাদের মসজিদে যেতে পারিনি। কিন্তু তারপরও আমি মনে করি আমার এক্টিভিটিস নিশ্বচয়ই আপনারা লক্ষ্য করেছেন।
সম্মানিত মুসল্লি ভায়েরা আপনারা যদি বুঝতে পারেন যে, আমার সাথে জ্বীন আছে, তবে কেন তা গোপন রাখবেন? আমি তো আর জ্বীন দিয়ে তদবীর করে মানুষের টাকা হাতিয়ে নেয়ার বুদ্ধি করছি না। এবং এটা কোন অপকৌশলেরও অংশ নয়। তাছাড়া আপনাদের ঐ তদবীর জাতীয় বিষয়গুলো আমি হয়তো জীবনে কখনোই করবো না। যেহেতু এগুলোতে রয়েছে এক রাজ্যের ভন্ডামি। তাছাড়া আপনার কাছে যদি মনে হয় যে বা আপনি যদি বুঝতে পারেন যে, আসলেই আমি একজন জ্বীনমানব, তাহলে আপনার অসুবিধা কোথায় যে, আপনি যা বুঝতে পেরেছেন সে সত্য কথ্যাটি বলতে।
প্রিয় ভাই, আপনি কি চান না (?), আল-কোরআন যে সত্যবাণীর সমাহার তা অমুসলিমদের কাছেও বিশ্বাস যোগ্য হোক। দেখুন কোরআনের বিজ্ঞানময় ভাষার মতো, এ ধরনের বিজ্ঞানময় ভাষা আর কোন ধর্মগ্রন্থে কিন্তু এভাবে নেই। তাহলেএটা কি আমাদের ধর্মগ্রন্থ সত্য প্রতিপাদনে প্রয়োজনীয় নয় (?) এবং বিজ্ঞজনের নিকট ইসলামের দাওয়াত পৌঁছানোর ক্ষেত্রে ইহা কি যথেষ্ট সহায়ক নয়? হ্যাঁ ভাই, আমি তদবীর সিস্টেমের কোন ভন্ডামি জাতীয় কাজ করবো না এবং জ্বীনের পরিচয়ে পরিচিত হয়ে যে কোন ধান্দা করে টাকা হাতিয়ে নেয়া বা অহংকারিত্ব বা দম্ভ বা এ জাতিয় কোন কাজ বা ব্যবহার ইনশা’আল্লাহ আমার কাছে আমরন পাবেন না ইনশা’আল্লাহ্।
আজ আমার কাছে খুব খারাপ লাগে যে, গত দীর্ঘ ২২টি বছর আমি জ্বীন হিসেবে আমার বাড়ি ও এলাকায় বার বার দেখা দিচ্ছি, বার বার প্রকাশিত হচ্ছি জনাব আরিফ উল্যাহ চৌধূরী নামক এ মানুষটির শরীরে। কিন্তু মানুষ গুলো আমাকে জ্বীন হিসেবে বুঝতে পেরেও তারা আমার নামটি, মানসিক রোগের মিথ্যা একটা তোহমত দিয়ে আঁটকিয়ে রেখেছে।
এখানে আমি বাঙ্গাল হয়ে এতো পিউর জীবন কিভাবে অতিবাহিত করবো, আমি তো আলেম না, তাহলে আমি বেঁচে থাকবো কিভাবে? তাই আমাকে দুনিয়াবি কাজ করতে হবে; এই ভেবে যে আমার ভাইগণ আমাকে বিভিন্ন মানসিক যন্ত্রণা দিয়ে আমাকে বার বার হাসপাতালে পাঠিয়ে আমার জমি গুলো নিজেদের মনগড়া দামে ক্রয় করে নিয়ে কার্যত আমাকে পঙ্গু করে দিয়েছে বা দুনিয়াবি কাজে অভ্যস্ত করতে চেয়েছে শুধু তা নয়; এইতো অল্প কয়দিন আগের ছোট্ট একটা উদাহরণ দিই, আমি সকাল সাড়ে ৭টায় ঘর থেকে বেরিয়ে প্রায় বিকাল ৪টায় ক্লান্ত শরীরে আমাদের বাজারে এক দোকানের ভিতর গেলাম আমার আম্মার জন্য একটা রুম পারফিউম কেনার জন্য। উনি ব্রেন স্ট্রোক করা বিছানা শোয়া বার্ধক্য জনিত বয়োবৃদ্ধা রোগী।
(মসজিদে জ্বীনের আচর, এ পোস্ট সম্পর্কে কমেন্টস করা যেতে পারে)
লোকটা আমার বন্ধু মানুষ। আমি যখন পারফিউমের নাম মুখে নিলাম। এই লোকটা মনে করেছিলো, আমি পারফিউম বলতে আমি আমাকেও বুঝাচ্ছি। ফলে সে শুরু করলো আমার সাথে ছলনা। এখানে পারফিউম নাই, এই তাকে না ওই তাকে, ইত্যাদি। মানে আমাকে পূর্ব থেকেই অহংকারী হতে বা দামী ভাবতে তারা দেবে না। শুধু আমি দামী হয়ে যাই নাকি, দামী ভাবী নাকী; যেহেতু আমি আলেম না এবং আমার অর্থ কড়ি, চাকুরী কিছুইতো নাই; এখন যদি আমি জ্বীনের প্রভাবে কোরআনের তাফসীর শুরু করে দেই, জ্ঞান গর্ভ কিছু বলা শুরু করে দিই নাকি, এ জন্য তারা ছিলো মহা ভয়ে। এ জন্যে বাড়ির লোকজন, সমাজবাসি দেরও অনেকে আমাকে পূর্ব সীদ্ধান্ত অনুযায়ীই করে রেখেছিলো প্রচন্ড ভাবে অবহেলিত এবং কার্যত: বন্ধী । অনেক সময় এমনও দেখা গেছে সামান্য মুদি দোকানদারের কাছে কিছু কিনতে গিয়েও আমাকে হতে হয়েছে অবহেলিত। এ লোক গুলো নিজেদেরকে আমার চাইতে দামী; এ বিষয়টি কিভাবে যে আবিষ্কার করেছিলো বা করতো তা আমার মাথায় ধরতো না। সামান্য ফাতিহার অর্থটিও তারা যেন আমার কাছ থেকে শুনবে না, এ রকম অবস্থা। তো ভাই দু:খ থেকে কথা গুলো বলেছি।
আজও কি আমাকে উঠতে তারা সুযোগ দিবে? দিবে না। কারণ আগে যে আমার সাথে বাজে ব্যবহার করে এসেছে? এ ইয়াহুদি নাসারাদের অনলাইন যদি না থাকতো, তাহলে তারা কি আমার বর্তমানকার মেধা সম্পর্কে অর্থাৎ জ্বীনগ্রস্থ অবস্থার মেধা সম্পর্কে জানতো? বা জানানোর সুযোগ দিতো? দিতো না? আমার জীবন অতিবাহিত করার সম্মান জনক কোন চিন্তা করতো? করতো না। যেহেতু তারাতো তাদের চিন্তা অনুযায়ীই থেকে যেতো। আর আমিও কাউকে জানাতে পারতাম না বা জানানোর হয়তোবা কোন সুযোগ পেতাম না। ফলে সকলের সামনেই একটা জেন্ত মেধার মৃত্যূ হতো।
যাক কথায় কথায় আসলে অনেক গুলো কথা বলে ফেলেছি। তো তারা আমায় অহংকারী হতে না দিতে দিতে আজ আমার সহায় সম্পত্তি বলতে তেমন কিছুই নেই। আজ ২২ বছর আমায় রুখে রাখার পর তবুও বুঝি আমি ঘাড় তেড়ামি করবো?
শুধু এখানেই শেষ নয়, আমি কোন ব্যবসা-বাণিজ্য ধরলেও কেউ যেন আমায় সহযোগিতা করবে না, এ রকম একটি সিটোয়েশন। আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন আমার অনেকগুলো অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, কিন্তু ভিউয়ার শূন্য। তাহলে চিন্তা করতে পারেন, এটি কেন? আমার বংশ কিন্তু একেবারে ছোট নয়। এখানে শিক্ষিত লোকের অভাব একেবারে নেই বললেই চলে।
আপনারা অন্য সমাজের মানুষ, তাই আশা করি নিজকে নিজে প্রথমে নেগেটিভ ভেবে আমাকে নেগেটিভের দিকে চোখ ফিরাতে বাধ্য করে, পরে আবার আমাকে দোষারোপ করবেন না। মানুষের এ জাতীয় কালচারও আমি কম সহ্য করি নাই এবং এ পয়েন্টেও আমি কম কষ্ট পাই নাই।
অল্প কয়েকদিন আগে আপনাদের মসজিদের একটি কথা মনে পড়েছে, আপনারা যখন জামাতের একামত দিচ্ছিলেন, তখন মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা:), একামতের এ অংশে পৌঁছানোর পর আমি আমার রসূল (সা:) হিসেবে এবং আমার বংশীয় চিন্তায় একটু যখন সে দিকে মন নিমগ্ন করতে চাইলাম, তখন আপনাদেরই অনেককে দেখলাম; আমায় বেড মাইন্ড করতে ও আমার বিষয়ে শক্ত হয়ে যেতে।
তো শুনুন ইনশাআল্লাহ আমি নবী (আ:) মাহাদী (আ:), ইনশা’আল্লাহ এ জাতীয় কিছুই দাবী করবো না এ জীবনে। তবে আমি কোন্ বংশ হতে আগত তা খুব সহসাই জানাবো ইনশা’আল্লাহ। আর মানব বংশীয় সূত্র ছাড়া আমি কোন কাজও করতে পারবো না কিন্তু। শুধু জ্বীনের সূত্র ধরে আমি কোন কাজ করতে পারি না। তবে জ্বীন অবশ্যই লাগবে। যেহেতু জ্বীন যদি না থাকে, তাহলে এ সমাজের, যা যোর-যবরদস্তি, এতো এতো কিছুর মাঝে কোন মতে জীবন অতিবাহিত করতে পারলেই আমার হবে। কারণ আমি কোন যুদ্ধাংদেহী মানুষ নই।
হোক না সেখানে লোকের কাছে আমার পরিচয় অজ্ঞ, তবুওতো ইনশা’আল্লাহ পাপ থেকে থাকতে পারবো মুক্ত।
তো আপনারা বুঝতেই পারছেন, আপনাদের মতামত না পেলে আমি তো কাজ করতে উৎসাহ পাই না। এবং এটা মানব বৈশিষ্ট্য যে, উৎসাহ না পেলে, মানুষ সাধারণত কাজ করতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। যেমন প্রতি রমজানেই আমি এ ধরনের জ্বীন সম্ভন্ধীয় কন্টেন লিখেছি; কিন্তু রমজান পরবর্তী সময়ে তা ডিলিট করে ফেলেছি। আশা করি এবার তা হবে না।
(মসজিদে জ্বীনের আচর, এ পোস্ট সম্পর্কে কমেন্টস করা যেতে পারে)
৭) পরিশেষ:
পরিশেষে আপনাদেরকে আবারো এ পোস্টের কমেন্টস করতে আহবান জানিয়ে এবং আমি যেন আমার এ গবেষণা বন্ধ না করি ও পৃথিবীতে জ্বীনের স্বীকৃতি আনয়নের এ জেহাদ পরিত্যাগ না করি, সে জন্য আপনাদের নিকট দোয়া চেয়ে আজকের মতো এখানে শেষ করছি।
সকলে ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। সুন্দর থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।
আজকের বাংলা ইংরেজি ও আরবি তারিখ জানতে এবং আজকের পুরো দিনের নামাজ ও রোজার সময়সুচি দেখতে
এখানে ক্লিক করতে পারেন
আবার শুদ্ধরূপে কোরআন তিলাওয়াত শিখতে-
এখানে ক্লিক করতে পারেন
0 মন্তব্যসমূহ